নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় মানুষগুলো হারিয়ে গেলেও তাদের ভুলা যায় না কখনই................. :( :(

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

- হ্যালো, কে ?
- আচ্ছা, চা না কফি ?
- মানে ?
- মানে, তোমার বাসায় এখন আসলে কি খাওয়াবা ?
- খাওয়াবো মানে ? আমার বাসায় মানে ? বুঝলাম না তো । আচ্ছা, কে বলছেন ?
- কে বলছেন মানে ? গলা চিনো না ? নাকি এখন এই গলার স্বরটাও ভুলে গেছো ?
- কে, আরাফ ? তুমি নাকি ? এতদিন পর ? হঠাৎ কি মনে করে ?
- তোমার কথা মনে পড়লো হঠাৎ । তাই এরকম আচমকা স্মরণ ।
- হুম, বুঝলাম, কিন্তু বাসায় আসলে মানে ?
- আচ্ছা, এত মানে মানে করছো কেন ? তোমার বাসায় আসতেছি, ওকে বাই ।
- হ্যালো, হ্যালো, এই না, না । (ধুর, ফোন তো রেখেই দিয়েছে)

আরাফ ছেলেটাকে শিউলি অনেক ভালোবাসতো যখন ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়ে কলেজ শুরু করার পর ক্লাসমেট হিসেবে যখন ওকে পায় । বড়লোক বাপের একমাত্র ছেলে । পড়াশুনায় মনোযোগ নেই একেবারে, সারাদিন খালি গান-বাজনা নিয়েই পরে থাকতো । কিন্তু এই বখে যাওয়া ছেলেটিকেই কেন জানি হঠাৎ মনে ধরে সদ্য গ্রাম থেকে শহরে এসে কলেজে ভর্তি হওয়া মেয়েটির । কিন্তু সাহস করে বলতে পারছিল না । শেষমেশ শিউলির হোস্টেলের রুমমেট রুমা নিজ উদ্যোগে আরাফকে জানায় । কেন জানি, শিউলিকে আরাফ টাইমপাস হিসেবে নেয়নি । আরাফও শিউলিকে ভালোবেসে ফেলে । তবে আরাফ কোনদিন সাহস করে উঠতে পারেনি বিয়ের জন্য । তাই তো ভালোবাসার পরিনতি বিয়েতে রূপ নেয়নি । বিশেষ করে গ্রাম থেকে শিউলির জন্য যখন পাত্র দেখা শুরু হলো, তখন শিউলি আরাফকে কিছু একটা করতে বলেছিল । কিন্তু আরাফ শুধুমাত্র সরে যাওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারেনি । তাই তো ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই শিউলির বিয়ে হয়ে যায় । আর আরাফ চলে যায় নিউইয়র্ক ।

আচ্ছা, এতদিন পর আরাফ কেন আসছে ওর কাছে ? শিউলি মনে মনে ভাবতে থাকে । ও এখন বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জননী । ওর স্বামী একটি পোশাক কারখানার প্রোডাকশন ম্যানেজার । মোটামুটি সুখের সংসার ওর । আর আরাফই বা ওর ফোন নাম্বার কিংবা বাসার ঠিকানা কিভাবে ম্যানেজ করলো ? অনেক প্রশ্ন, সেগুলোর উত্তর হয়তো একমাত্র আরাফই দিতে পারে ।

হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুললো শিউলি । খুলে দেখে আরাফ দাড়িয়ে আছে হাতে এক তোড়া ফুল নিয়ে । শিউলি আরাফকে ভিতরে নিয়ে বসায় । আরাফ ভিতরে ঢুকে সোফায় বসার আগে শিউলির হাতে ফুলের তোড়াটি দেয় ।

- তাহলে, কি নেবে, চা না কফি ?
- একগ্লাস ঠাণ্ডা পানি ।
- মানে ?
- মানে বুঝোনা ? শুধুই পানি, আর কিছু না ।
- (নিয়ে এসে) নাও । কি মনে করে হঠাৎ ?
- তোমার একটা আমানত ছিল আমার কাছে, তাই ফেরত দিতে আসলাম ।
- আমানত মানে ?
- একটি চিঠি । সামনের মাসে আমার বিয়ে । তাই ভাবলাম চিঠিটা দিয়েও যাবো আবার তোমাকেও দাওয়াত করে যাবো । স্বামী নিয়ে আসবে কিন্তু ।
- তা না হয় ঠিক আছে কিন্তু চিঠি কেন ? ওটা তো ফেলে দিলেও পারতে ।
- তুমিও তো আমার গলার স্বর ভুলে গেলে পারতে, মনে রাখলে কেন ?

শিউলি আর কিছুই বলে না । আরাফও না । হঠাৎ ঘরের মধ্যে পিনপতন নীরবতা ছেয়ে গেছে যেন । আসলেই এদের নিজেদের মধ্যকার কথাগুলো তো কবেই শেষ হয়ে গেছে ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



খুচরা প্রসেস্টা, সুবিধে হয়নি; এভাবে গল্প হয় না

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

রোষানল বলেছেন: জীবন গল্পের সমাপ্তি এভাবেই হয়।আরেকটু গুছিয়ে লিখলে আর ভালো লাগতোনা।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ইমোশান প্রোপার হৈসে।
আমার ভাল্লাগসে ||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.