নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম নিয়ে ছেলে-খেলা করা মুসলমানের কম্য নয়... অমুসলিমরা ইসলামকে যেভাবে দেখতে চায়, সেই সুযোগটুকু আদৌ দেওয়া উচিৎ কি ?? #:-S

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪০

যারা ইসলাম বিদ্বেষী কাউকে দেখলেই নিজেকে আর সহ্য করতে পারেন না, হাত নিশপিশ করে আর মনে মনে ভাবেন, ইশ, এই শয়তানটাকে যদি একটি উচিৎ শিক্ষা দিতে পারতাম তাদের কেন জানি আমার কাছে প্রকৃত মুসলমানই মনে হয় না । ইসলামে আবেগ খুব ভয়ংকর জিনিস । আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আপনার দ্বারা আর যাই হোক ভালো কাজ হবে না । মানুষের ইন্দ্রিয়সত্তা দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ হয়, এক মনের দ্বারা আর এক মস্তিস্ক দ্বারা । অনেকেই আবার বলেন আসলে মন বলতে কিছু নেই, সবই মস্তিস্কের ভেলকি । আপনার মন সবসময়ই চাইবে অন্যায় করতে । শয়তান সর্বপ্রথম মানুষকে নিজের কবজায় নিতে যে কাজটি করে সেটি হলো মানুষের মনকে আক্রান্ত করা অর্থাৎ মানুষকে এমনভাবে বাধ্য করা যেন মানুষ নিজের মন যা চায়, তা-ই করে ।

ইদানিং প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, কেউ যদি ইসলামের বিরুদ্ধে ব্লগ, ফেসবুক কিংবা অন্যান্য কোন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে কিছু লিখে থাকে, তাহলে এক দল ধর্মপ্রাণ মুসলিম খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে তাকে দুনিয়া থেকে পরপারে পৌঁছানোটাকে নিজেদের জীবনের উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলে । অবশেষে যেভাবেই হোক, সেই মুসলিমরূপী নাস্তিক কিংবা অমুসলিমকে হত্যার মাধ্যমে তারা তাদেরকে জীবনের সেই কঠিন উদ্দেশ্যকে পূরণ করেই স্বস্তির নিশ্বাস নেয় । আবার ঠিক তখনই আরেক শ্রেণী উদয় হয়, তারা নিজেদের আগে লুকিয়ে রাখে যেন এহেন কিছু ঘটার পর তারা ইসলামের মুন্ডুপাত করতে পারে । তখন তারা যেন হাতে জলজ্যান্ত প্রমাণ পেয়ে যায় যে ইসলাম অত্যন্ত অশান্তির ধর্ম । ইসলাম হত্যাকে প্রশ্রয় দেয়, ইসলাম অমুসলিম ধরে ধরে নিধন করতে বলে, ইসলাম মানুষকে পশু করে তোলে ইত্যাদি ইত্যাদি । এই শ্রেণীর লোকগুলো আবার এই কথাগুলো বলেই গর্তে চলে যায় । আপনি যে তাদের ভুলটি ধরিয়ে দেবেন, এই সময়টুকুও আপনি পাবেন না । কারণ তখন তো তারা ইতিমধ্যে গর্তে চলেও গেছে ।

যাই হোক, ঐ গর্তে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর একটি হাদিস শুনাই । বলা তো যায় না, তারা হয়তো গর্তের থেকে একটু মুখ বের করে এই হাদিসটা দেখেও ফেলতে পারে । হাদিসটি হলো,

"যে বা যারা অমুসলিম কিংবা কোন আগন্তুককে হত্যা করলো, তারা মৃত্যুর পর কবরে যাওয়ার পর কখনই জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না । (চল্লিশ বছর এক নাগাড়ে হাঁটলে যতদূর যাওয়া যায়, ঠিক ততদুর থেকে জান্নাতের ঘ্রাণ পাওয়া যায়)" [সহীহ হাদিস]

একজন অমুসলিমকে হত্যা করলেই যদি এমন গোনাহ হয়, তাহলে ভেবে দেখা দরকার, একজন মুসলিমকে হত্যা করলে গোনাহের পরিমাণ কেমন হবে !!! জী না, আমি অসম্প্রদায়িক হয়ে ভেজাল মানুষ হতে চাই না । খাঁটি মানুষ হতে গেলে আমাকে সাম্প্রদায়িক হতেই হবে । আল্লাহ্‌ তায়ালা যেটা চেয়েছেন, সেটি হলো মানুষ যেন নিজেদের সাথে মিলমিশ ও মহব্বতের সাথে থাকে । কারও প্রতি কারও বিদ্বেষ, অহংকার, হিংসা, প্রতিশোধ, মারামারি-হানাহানি ইত্যাদি যেন না থাকে । আমরা প্রায়ই যে ভুলটি করে সেটি হলো নিজে থেকে যে কোন ভুলের বিচার করার প্রয়াস করে । কিন্তু মনে রাখার দরকার এই বিচার অবশ্যই ন্যায়বিচার হবে না । ন্যায়বিচার যারা দিতে পারেন বা দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন, শুধুমাত্র তারা ব্যতীত অন্য কারও বিচার করার এখতিয়ার নেই ।

অনেক সময়ই দেখা যায়, চোর, ডাকাত ইত্যাদি মানুষদের আমরা ধরে শাস্তি দিতে থাকি । অনেক সময়ই অতিরিক্ত প্রহার করে তাদেরকে আমরা মেরেই ফেলি । অর্থাৎ আমরা নিজেরাই বিচার করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করলাম । কিন্তু ইসলামের ভাষায় এই ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে । আবার অনেক সময়ই আমরা ইসলামে যেমন শাস্তির বিধান আছে তেমনিভাবে আমরা চোর ধরে তার হাত কেটে দেই, ব্যাভিচারি মহিলা কিংবা পুরুষ ধরে পাথর নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করি ইত্যাদি । কিন্তু ইসলামে এই ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আছে । এই ইসলামিক আইনগুলো প্রয়োগ করার ক্ষমতা একমাত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ছাড়া ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় । আশা করি, অল্প হলেও বুঝাতে পেরেছি ।

ইসলামিক জ্ঞান আমাদের আধুনিক মুসলমানদের অনেক কম । এই কম জ্ঞান নিয়েই আমরা অনেক অনেক ভুল করে । আর এই ভুলগুলোর কারণেই অমুসলিমরা ইসলামকে নিয়ে খারাপ কিছু বলার সুযোগ পায় যা একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার বিষয় । আশা করি, সকলেই ইসলাম নিয়ে কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ইসলামিক পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করার নুন্যতম চেষ্ঠাটুকু করবে ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৪

মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলেছেন: ভুমিকম্প রোধে বিল্ডিং এর বেইজ ডিজাইন করার আগে যা যা করণীয়

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৬

আমিই মিসির আলী বলেছেন: খুবই সুন্দর কথা বলছেন।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫১

মহা সমন্বয় বলেছেন: খুব সুন্দর কথা্।
আজকে একজন ইসলামী চিন্তাবাদি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলেন। view this link

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:০৩

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন । ইসলাম সত্য ,কিন্তু মুসলিমরা খারাপ ।

মুসলিমদের কার্যকালাপ কার্যত ইসলাম নিয়ে ছেলেখেলা করছে ।

মুসলিমদের উচিত কোরানে ফিরে যাওয়া ।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:০৬

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "একজন অমুসলিমকে হত্যা করলেই যদি এমন গোনাহ হয়, তাহলে ভেবে দেখা দরকার, একজন মুসলিমকে হত্যা করলে গোনাহের পরিমাণ কেমন হবে "


দুর্দান্ত লজিক ।নিম্ন শ্রেনীর মানুষ (অমুসলিম ) আর উচ্চ শ্রেনীর মানুষ (মুসলিম ) এদের প্রভেদ আল্লাহ দারুন ভাবে করে দিয়েছেন ।

নিশ্চয়ই তিনি সৃষ্টিকর্তা ,পরম দয়ালু ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.