নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেন্টমার্টিনে এক বিদেশীর কাছে জীবন শিক্ষা - বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে - পর্ব - ১ :| :-*

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

লেখাটি পর্ব করে লেখার ইচ্ছা না থাকলেও লিখতে হচ্ছে । কারণ আমি আবার কোন মজার ঘটনা কম করে লিখতে পারিনা । যাই হোক, অস্ট্রিয়ার এক নাগরিক ঘটনাক্রমে ঘুরতে এসেছিলেন মাত্র অল্প কয়েকদিনের জন্য বাংলাদেশে । তার কাছ থেকেই কিছু মতাদর্শ পেয়েছিলাম, যেগুলো জীবন নামক ব্যাপারটাকে দেখার আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা হলেও বদলে দিয়েছে । যাই হোক, এবার মূল ঘটনায় আসি ।

জানুয়ারীর দিকে সপরিবারে ঘুরে এসেছিলাম স্বপ্নের দ্বীপ সেন্টমার্টিন । আমি, আম্মু আর আমার তিন বোন । আব্বু নিজস্ব ব্যস্ততার কারণে আমাদের সাথে যায়নি । এই ধরে সেন্টমার্টিন দ্বিতীয়বার যাওয়া আমার । তবে প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারেও উত্তেজনা, আনন্দ একেবারেই কম হয়নি । অবশ্য প্রথমবার যেমন কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয়বার প্রথমে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যেয়ে সেখানে রাত কাটিয়ে পরেরদিন সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম ।



পুরনো ঘটনা বলছি একটি মজার স্মৃতি রোমন্থন করার জন্য । টেকনাফ যেয়ে যখন থাকার জন্য একটি ভালো আবাসিক হোটেল খুঁজছিলাম, তখন বেশ বেগ পোহাতে হয়েছিল । কারণ কক্সবাজারের হাইফাই হোটেলগুলোতে রাত কাটানোর পর টেকনাফের হোটেলগুলো খুবই সাদামাটা মনে হবে যে কারও কাছেই । তাই ভালো হোটেলের খোঁজে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা কাটিয়েছিলাম, তখনই দেখা হয় এক পর্যটকের সাথে । আমাদের মত হোটেল খুঁজছিলেন তিনিও । কিন্তু খেয়াল করলাম, আমাদের মতই বেশ সময় ধরে হোটেল খুঁজে চলেছেন । হয়তো তিনিও টেকনাফে কক্সবাজার ষ্ট্যাণ্ডার্ড হোটেল খুঁজছিলেন । একবার তখন ভাবছিলাম তার সাথে কথা বলবো কিন্তু সময়-সুযোগের অভাবে আর বলা হয়নি । কিন্তু ভাগ্যে হয়তো অন্য কিছুই লেখা ছিল । কোনরকমে একটি হোটেলে রাতের মত মাথা গুঁজে পরেরদিন সকালেই সেন্টমার্টিন পৌছালাম ।

আমি সেন্টমার্টিন পৌছেই আম্মুকে আর বোনদের একজায়গায় বসিয়ে হোটেল খুঁজতে বের হয়ে গেলাম, যেহেতু আমি সেন্টমার্টিন আগেও একবার এসেছি, তাই কিছু ভালো হোটেল সম্পর্কে একটু জেনে গিয়েছিলাম । কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে একটা ভালো হোটেলও খালি ছিল না । এরপর ফোন দিয়ে আমি আম্মু আর বোনদের নরমাল যে কোন হোটেলে উঠতে বলে চলে গেলাম বীচে, একা একাই । তখন সময় দুপুর ১টার মত । বীচে যেতেই দেখি লোকসংখ্যা খুবই কম । মাত্র কয়েকজন এদিক-ওদিক ছিরিয়ে ছটিয়ে রয়েছে । হঠাৎ আমার চোখ গেলো এক পর্যটকের দিকে । দূরে থেকে বুঝা না গেলেও কাছে আসতেই বুঝলাম এই সেই পর্যটক যার সাথে আগের দিন আমার টেকনাফে দেখা হয়েছিল কিন্তু কথা হয়নি । কি মনে হলো কি জানি, হঠাৎ মনে হলো, এক কাজ করলে কেমন হয়, লোকটার সাথে কথা বলি । যেই ভাবা সেই কাজ । আগ বাড়িয়ে চলে গেলাম বিদেশী লোকটির সাথে কথা বলতে ।

(বাকীটা পরের পর্বে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এভাবে ব্লগিং করা যাবে না। পুরোটা লিখবেন। আপনার পরের পর্বর জন্য আবার আপনাকে খোঁজার সময় হবে না ব্লগারদের...

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: ভাই, পরের পর্বগুলো পড়ার যদি সত্যি আগ্রহ থাকে কারও, তাহলে সে তো ব্লগ অনুসরণ করে নিলেই হয় । কমপক্ষে এই পর্বভিত্তিক লেখাগুলো শেষ হওয়া পর্যন্ত ।

যাই হোক, মতামতের জন্য আর লেখাটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.