নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইমেলায় পাঠিকা বিড়ম্বনা... =p~

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

- এ্যা, আপনি ?
- হ্যাঁ, আমি । কেন ?
- আমরা তো ভাবছিলাম...
- কি ভাবছিলেন আপনারা ?
- না, মানে, আপনার বইটা তো অনেক সুন্দর । রোমান্টিক । পড়লেই ভালোবাসা শিখে যাওয়া যাবে একেবারে । আর তার লেখক আপনি !!??
- কেন, আপনারা কি ভেবেছিলেন, এমন বইয়ের লেখক কি রূপালী পর্দার নায়ক হবে ?
- না, ঠিক তা না । কিন্তু তাও তো...
- তাও তো কি !! চেহারা-সুরুত অনেক সুন্দর হবে । রোমান্টিক বইয়ের লেখককে দেখলেই ভালবাসতে মন চাইবে ?
- না, ঠিক তা না ।

হঠাৎ আমার কথায় মেয়েগুলো ইতস্তত অবস্থায় পড়ে গেলো । ঠিক আর কিছু বলবে নাকি চলে যাবে, এই নিয়ে সংকোচে পড়ে গেলো । আমি মেয়েগুলোর অবস্থা বুঝতে পারছি কিন্তু মেয়েগুলোর অবস্থা দেখে আমার নিজেরই হাসি পাচ্ছে । বইমেলায় প্রতিবার এমন কিছু পাঠিকার সাথে আমার দেখা মেলেই । এরা কোন রোমান্টিক বই ভালো লাগলেই, তার লেখকের কাছে এসে এমন ভাব নেবে, যেন লেখককে তার নিজের মত করে পাওয়া দরকার । তখন লেখকের মোবাইল নাম্বার, বাড়ির ঠিকানা, ফেসবুক আইডি চেয়ে হুলস্থূল কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে এরা । কিন্তু আমার চেহারা-সুরুত তেমন ভালো নয়, এটা অবশ্য আমিও জানি । তাই আমার সাথে এমন ঘটনা ঘটতে যেয়েও কোনদিন ঘটেনি । মেয়েগুলোর ইতস্তত অবস্থা থেকে বাঁচানোর জন্যই আমিই আগে কথা বললাম -

- আপনারা কয়জন এসেছেন বইমেলায় ?
- আমরা মোট পাঁচজন বান্ধবী মিলে এসেছি বইমেলায় ।
- আমার এই বইটি যে এত ভালো, এত রোমান্টিক তা বুঝলেন কিভাবে ? আপনারা তো কেবল কিনলেন বইটা ।
- না, মানে, দুইদিন আগে আমার এক বান্ধবী আপনার বইটা পড়ে ফেসবুকে রিভিউ দিয়েছিল । তখন বুঝলাম ।
- ওহ, আচ্ছা । ঠিক আছে, অনেক ধন্যবাদ আপনাদের ।

আমি ধন্যবাদ দিতেই মেয়েগুলো সকলে মিলে একসাথে ফিরে যেতে উদ্যত হতেই তাদের মধ্যে একটা মেয়ে আরেকটা মেয়েকে খুঁচাতে লাগলো, এরপর মেয়েটি বান্ধবীর কানে কানে কি যেন ফিসফিস করে বললো । বলা মাত্রই কিছুদূর যেতেই সকলে দাড়িয়ে গেলো । আবার একটু পর সবাই ফিরে আসলো আমার কাছেই । আসামাত্রই তাদের মধ্যে একটি মেয়ে আমাকে উদ্দেশ্যে বললো -

- আচ্ছা, এই বইয়ে আপনার অটোগ্রাফ দিন ।

মেয়েটি বলা মাত্রই আমি মেয়েটির মুখের দিকে তাকালাম । খেয়াল করে দেখলাম, আমার অটোগ্রাফ নেওয়ার তাদের ইচ্ছা খুব একটা নেই, শুধু নেওয়ার জন্যই নেওয়া । আমি অটোগ্রাফ দেবো কি, দেবো না, একটু ভেবে নিলাম । এরপর চটপট অটোগ্রাফ দিয়ে দিলাম সবগুলো বইয়েই । অটোগ্রাফ দেওয়া শেষ হতেই মেয়েগুলো দ্রুত প্রস্থান করলো স্টলের সীমানা থেকে । আর আমিও তাদের যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম শুধু ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: তা দীর্ঘশ্বাস ফেলার কারণটা বুঝলুমনা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪১

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: লেখকের অন্তর্নিহিত দীর্ঘশ্বাস । প্রকাশের ভাষাও নেই... হা হা হা

ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য ।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

লুসিফার ০১ বলেছেন: হা হা হা!
এটাকে কি হাসির বলবো নাকি কষ্টের?
আমি হাসিরই বলবো।

আজকালকার মেয়েরা খ্যাতি খুঁজে সাথে চেহারাটাও ;)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪২

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই । কমবয়সী মেয়েগুলো সুন্দর চেহারার ছেলেগুলোকেই খুঁজে প্রেম করার জন্য কিন্তু বিয়ে করার ক্ষেত্রে বিষয়টা উল্টে যায় কখনও কখনও ।

ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.