নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি আর মিলানের গল্প ।। স্বপ্নগুলো ভেঙে যাওয়ার ভয়

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৫৮

- একটা গান গাও না ?
- আবার ?
- আবার !! মানে ?
- তুমি কি চাও আশেপাশের মানুষগুলো সব দৌড়ে পালাক ?
- পালালে তো ভালোই হবে । তুমি আর আমি একাকী কিছু সময় পেয়ে যাবো । একে অন্যের সাথে গল্প করবো, হাসবো, খুনসুটি করবো - আরও কত কি ।
- তাহলে এর জন্য আমার গান গাবার দরকার কি ? এর থেকে নিরিবিলি কোথাও গেলেই তো হয় ।
- না, এমনিতে আমার খুব গান শুনতে ইচ্ছে করছে । তোমার কাছ থেকে, তুমিই গাইবে ।

ছবির আবদারগুলো ছেলেমানুষি টাইপের । মিলান যতই না করবে, মেয়েটার ছেলেমানুষি আবদার ধীরে ধীরে কপট রাগে পরিণত হবে, সেই রাগ ভাঙ্গাতে ভাঙ্গাতে আবার অতিরিক্ত পনেরো-বিশ মিনিট তো লাগবেই । এর থেকে গান গেয়ে ফেলাটাই ভালো । মিলান চোখ বন্ধ করে গান ধরলো, "মিলন হবে কত দিনে ? আমার মনের মানুষেরই সনে" । বেশ খানিকক্ষণ গাওয়ার পর মিলান থেমে গেলো, চোখ খুলেই ছবির দিকে তাকালো । মেয়েটা এতক্ষণ খুব মজা করেই গানটি শুনছিল । আচ্ছা মেয়েটা কি বুঝছে মিলন কার সাথে হওয়ার জন্য মিলান এই গানটা ধরেছে ? হয়তো বুঝেছে, হয়তো না । হঠাৎ ভাবতেই ভাবতেই মিলান হেসে দিলো । হঠাৎ মিলানের হাসি দেখে ছবি অবাক হয়ে গেলো ।

- ও মা, পাগলের মত হঠাৎ হেসে দিলা কেন ?
- না, ভাবছি, মায়ের কথাটা ।
- ওহ, তাই তো । আমি তো ভুলেই গেছিলাম । তোমার মা শেষমেশ কি বললেন ?
- সে তো এক লম্বা ইতিহাস । তাও সংক্ষেপে বলি শোনো, হাসপাতাল থেকে রিলিজ পাওয়ার পর প্রথম যেদিন বাসায় পৌঁছালাম সেদিন দেখি মা আশেপাশে বেশ উঁকিঝুঁকি দিচ্ছেন । আমি বুঝতে না পেরে মা কে জিজ্ঞেস করলাম, "কি খুঁজো ?" মা বললেন, "একাই এসেছো ? বান্ধবী আসেনি সাথে ?" মা এই কথা বলার পরপর আমার বেশ হাসি পেয়ে গেলো । মা-ছেলে দুইজনই বেশ প্রাণখুলে হাসলাম ।
- এরপর ?
- এরপর আর কি !! মা কে বলে দিলাম পুরোটা ।
- ও মা, পুরোটা মানে ? কি বলেছো তুমি অ্যান্টিকে ?
- তুমি কি মনে করেছো, আমি ভয় পাই ?
- এ্যা, এসেছে আমার বীরপুরুষ !! তা তোমার আব্বুর কান পর্যন্ত পৌঁছায়নি খবরটা এখনও ?
- ওরে বাবা !! আব্বু জানলে তো একটু প্রব্লেম হবেই । বেকার ছেলের আবার প্রেম !! বাড়ি থেকে কান ধরেই তাড়িয়ে দেবে ।

এই কথা শোনা মাত্রই ছবি খিল খিল করে হেসে উঠলো । একনাগাড়ে হাস্সতেই লাগলো । কি হাসি মেয়েটার !! মিলান ছবির হাসির দিকে তাকিয়ে আছে । কি অপূর্ব ভাবে হাসে মেয়েটা !! আব্বু তাড়িয়ে দেওয়ার ভাবনাটা হয়তো এখনও মিলানের মনে আসেনি কিন্তু ছবিকে ছাড়া থাকার ভাবনাটা এসেছে । কি ভয়ংকর সে ভাবনা !! মিলান শিউরে উঠে আবারও । কি মধুর সময়গুলো কাটছে এখন !! স্বপ্ন নয়তো এগুলো ? যে স্বপ্ন ভাংলে হয়তো জীবনটাই তছনছ হয়ে যাবে । নাহ, মিলান চাই-ও না যে এই স্বপ্নটা ভেঙে যাক :)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১২

বিদ্যুৎ বলেছেন: খুব সুন্দর লেখনি। এক লাইন পড়লে পরের লাইন পড়তে ইচ্ছে করে। পড়েছি পুরো লেখা কিন্তু কেমন যেন পরের লাইনের জন্য মন আনচান করছে!
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য। ভাল থাকবেন সব সময়। শুভ কামনা রইল।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.