নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরান ঢাকার কুট্টির খপ্পরে মিথিলা - ২য় পর্ব :|

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৪

অনেক আগে ১ম পর্বটি পোস্ট করেছিলাম সামুতে । পরের পর্বগুলো যে লিখবো সেই চিন্তা ছিল না । হঠাৎ করে প্রায় বছর খানেক পর মনে হলো গল্পটা একটু এগিয়ে নেওয়াই যায় । গল্পের প্রেক্ষাপট - একটি মেয়ের পিছনে লেগে যায় পুরাতন ঢাকার একটি ছেলে । সরাসরি রাস্তাতেই প্রপোজ করে বসে সে । ছেলেটির এহেন আচরণে মেয়েটি চিন্তায় পড়ে যায় । এরপর কি হলো ঠিক এটাই জানতে পারবেন ধীরে ধীরে পোস্ট হওয়া লেখাগুলোতে । তাই ধৈর্য্য ধরে লেখাগুলো পড়ুন আর উপভোগ করুন । সকলের সুবিধার্থে অনেক আগের সেই লেখাটিই ১ম পর্ব আকারে আবারও পোস্ট করা হলো আর সাথে ২য় পর্ব তো আছেই ।

পুরান ঢাকার কুট্টির খপ্পরে মিথিলা - ১ম পর্ব

পুরান ঢাকার ছেলের জ্বালাতন যে এমনভাবে শুরু হবে, সেটা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি মিথিলা । সবই তো ঠিক ছিল । সকালে কলেজ, কলেজ শেষ করে বাড়ি ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে কোনরকমে খেয়ে-দেয়ে ব্যাচ আর ব্যাচ শেষ করে বন্ধুদের সাথে সামান্য আড্ডাবাজী এরপর গল্প করতে করতে বাড়ি ফেরা ।

অনেক ছেলেই এই পর্যন্ত প্রপোজ করেছে ঠিকই কিন্তু তাদের কাউকেই নিজের জীবনে প্রবেশ করতে দেয়নি সে । সেই ছেলেগুলো মধ্যে অনেক স্মার্ট, শিক্ষিত, বড়লোকের ছেলেরাও ছিল, তারাই বরং পাত্তা পেলো না আর কোথেকে কোন পুরান ঢাকার ক্ষেত আকারে কথা বলা ছেলেটাই কিনা তার পিছু লাগলো । আচ্ছা, কোন সমস্যা করবে না তো ছেলেটা !! তার পড়াশুনার ক্ষতি করবে না তো ? এইসব কিছু পথে ভাবতে ভাবতেই বাড়িতে আসলো মিথিলা । পথে বান্ধবী পারুলের সাথেও কোন কথা হয়নি । পারুল অবশ্য তাকে অনেক সান্ত্বনা দিয়েছে, কিছুই হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে বলেছে কিন্তু মিথিলা জানে এমন ছেলেরা এত সহজে মেয়েদের পিছু ছাড়ে না । সব এতসহজে ঠিক হবে না, এটা মিথিলা ভালোই জানে ।

যাই হোক বাড়িতে এসেই ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলো মিথিলা । বাড়িতে মা আর মেয়ে দুইজনই । মিথিলার বাবা সিলেটে পাথরের কন্ট্রাক্টরি করে । মিথিলা আর মিথিলার মা, মিসেস দেলোয়ারা ঢাকায় থাকে । ওয়াশরুম থেকে বের হয়েই মিথিলা খাবার টেবিলের দিলে আসতেই মিসেস দেলোয়ারার সাথে চোখাচোখি হয়ে গেলো তার । মিথিলাকে দেখেই তার মা বুঝে ফেললো কিছু একটা সমস্যা হয়েছে । তাই মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন মিসেস দেলোয়ারা,

- কি হয়েছে রে তোর ?
- কই, মা, কিছু না তো ।
- মায়ের সাথে মিথ্যা বলে কি কেউ পারে ? সত্যি করে বল তো তোর কি হয়েছে ?
- (মায়ের কথা শুনে মিথিলা হেসে দিলো) হ্যাঁ, আসলেই কেউ মিথ্যা বলতে পারে না । আমি সত্যিই বলছি মা, কিছু হয়নি । একটু টায়ার্ড লাগছিল, তাই ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি । এখন কিছু একটা খাবো, এরপর শোবো ।
- কি !! এখনও ৮টাই বাজেনি । এখন শুবি মানে ? শরীর খারাপ ?
- না, মা, শরীর খারাপ না কিন্তু ভালো লাগছে না । আজকে দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়বো । মনে হচ্ছে ঘুমালে একটু ভালো লাগবে ।
- আচ্ছা কি খাবি ? ভাত গরম করবো ?
- আচ্ছা, করো । কতক্ষণ লাগবে ?
- তরকারিটা ফ্রিজে রেখেছিলাম । সেটা আর ভাত গরম করতে বড়জোর ১৫ মিনিট । তুই বরং এই ১৫ মিনিট টিভি দেখ গিয়ে যা । হয়ে গেলে আমি ডেকে নেবো নে ।
- ঠিক আছে মা । তুমি খাবার গরম করো, আমি টিভি রুমে যাচ্ছি ।

মিথিলা যদিও বলেছে কিছু হয়নি কিন্তু মিসেস দেলোয়ারা জানেন কিছু একটা তো নিশ্চয়ই হয়েছে । কিন্তু তার মেয়ে মিথিলা ছোটবেলা থেকেই বড্ড চাপা স্বভাবের । নিজে থেকে কিছু না বললে জীবনেও ওর মুখ থেকে কথা বের করা এত সহজ না । মিথিলা পাশের রুমের দিকে যেতেই মিসেস দেলোয়ারা খাবার গরম করার দিকে মনোযোগী হলেন । মেয়ের মতিগতির দিকে খেয়াল রাখবেন এবার থেকে, মনে মনে এরকমই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি ।

(বাকীটা পরবর্তী পর্বে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৩:২০

ওমেরা বলেছেন: আগামী পর্বের অপেক্ষায় ----

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.