নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার মানুষের ব্যস্ততা হলে কিইবা করার :| :||

১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:১০

- কি রে, সুবর্ণা, আমার জন্য কি একটুও টাইম নাই তোর ?
দেখ, সানি, সামনে পরীক্ষা । এখন তো টাইম কম থাকবেই । বুঝিস না কেন ? খালি বাচ্চাদের মত করবি না তো ......
- একটা মাত্র টপিকস, একটু বুঝিয়ে দে না ......
নাহ, তুই তো শুনবি না, বুঝছি । আচ্ছা, বল, কি বুঝার জন্য এই কয়দিন আমার মাথাটা খাচ্ছিস ?
- ঐ যে ফিজিক্সের "ল অব রিলেটিভিটি" আছে না ? ঐটার মাথামুণ্ডু তো কিছুই মাথায় ঢুকছে না । এইবার টার্ম ফাইনালে ফিজিক্সে নির্ঘাত ডাব্বা মারবো ।
'ল অব রিলেটিভিটি' ? এইটা একটু জটিল বটে, আমিও মানছি । আমারই বুঝতে পুরো একটা দিন লেগে গেছে । ঠিক আছে, বই আর খাতা বের কর, আমি তোকে শর্টকাটে বুঝিয়ে দিচ্ছি । এরপর পড়লেই বুঝবি ।
- আচ্ছা, তাই সই । বই কোনটা বের করবো ? ঐ বেনেটের বইটা নাকি ?
বেনেটের বইটা হলেই তো সবচেয়ে ভালো হয় । ডিটেইল্‌স-এ আছে ঐ বইটাতে । হুম, বের কর । আর খাতা আর পেন্সিল দে ।
- মানে কি ? তুই চিত্রও আঁকাবি নাকি রে ? আমি কিন্তু চিত্র-মিত্র আঁকাতে পারি না । ওইসব আমারে দিয়ে হবে না ।
তাইলে কি ? বুঝবি না ? আমি চলে যাবো ? এমনিতে এইবারের পিএলে আমি এখনও ভালো করে পড়তে বসতেই পারিনি ।
- আরে না, আমি তো মজা করলাম । এই নে খাতা আর পেন্সিল আর বেনেটের বই । শুরু কর ।
হুম, তাইলে শোন । এই সূত্রটা দুইটি বেসিক নিয়ে গঠিত । একটি হল ......
- আহা, বেসিক কথাদুইটা জানি তো ।
ওহ, জানিস ? তাইলে এক্সপ্লেনেশনটা বোঝ । গতিশীল কোন ব্যক্তি কাছের ঘড়ি স্থিতিশীল কোন ব্যক্তির ঘড়ির তুলনায় আপেক্ষিকভাবে ধীরে চলে ।
- এইটাও তো বুঝি । পরেরটা বল ।
ভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া একই সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা আপেক্ষিকভাবে একটু আগে-পরেই হয় ।
- ধুর, এইটাও তো বুঝি । আরেকটা বল ।
শক্তি বা এনার্জি হল ভর ও আলোর গতির বর্গের গুণফলের সমান ।
- ওহ, তাই বুঝি । এইটা বুঝতেও আমার পাক্কা দুই ঘণ্টা লাগছিল ।
আচ্ছা, যা বলছি, সবই তো বুঝিস, দেখছি । তাইলে সমস্যাটা কোথায় ?
- ............ ইয়ে মানে, সুবর্ণা, তোর সাথে একটু গল্প করতে ইচ্ছে হচ্ছিল খুব । তুই যে আকারে পড়ুয়া, নির্ঘাত এভাবে ছাড়া তো সময়ই দিবি না, জানতাম । তাই .....

সুবর্ণা মাথা নিচু করে থাকে । আসলে সানির মনের কথাটা সেও বুঝতে পারে । কিন্তু অনেক কথাই আছে যা বুঝেও কিছু প্রত্যুত্তর দেওয়া যায় না । মেনে নেওয়া যায় না । সবচেয়ে ভালো বন্ধুটিকে মনের মানুষ করে নেওয়া যায় না অনেক সময়ই । তার মানে কি আদৌ একটি ছেলে আর একটি মেয়ে কখনও বন্ধু হতে পারে না ? সুবর্ণা ভাবছে । আর ওদিকে সানি একপলকে তাকিয়েই আছে তার ভালবাসার মানুষটার দিকে ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১২

মৌরি হক দোলা বলেছেন: ছোট্ট গল্প, কিন্তু ছোট্ট লেখায় অনেক কথা......চমৎকার!


শুভকামনা :)

২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: Motivation দেও মোরে ।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

কাইকর বলেছেন: শব্দচয়ন গুলো ভাল লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.