নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলুন একবার ধর্ষক অভিযানে নামি একসাথে

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

।। ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তে লেখা অতি পুরনো একটি লেখা । বর্তমান দেশীয় প্রেক্ষাপটের সাথে এতটা মিলে যাবে ভবিষ্যতে কোনদিন, স্বপ্নেও ভাবিনি ।।

একজন ধর্ষককে খুন করতে হবে । কে কে আছেন, হাত তুলুন । এক কাজ করুন, ছুড়ি, দা, কাস্তে, শাবল, রামদা ইত্যাদি যা যা পারেন তাই নিয়ে দ্রুত আসুন । আর কিছু না পেলে একটি লাঠি অথবা সাধারণ একটি মুলি বাঁশ নিয়ে জলদি আসুন । তাহলে গেম প্ল্যানটা বলে দিই আগে । আমরা প্রথমে লুকিয়ে থাকবো রাতের অন্ধকারে রাস্তার ঐ কোণাটিতে যেখানে ল্যাম্পপোস্টের আলো একটু কম আসে । ঐখানে একটি মেয়েকে আমাদের প্ল্যানের মেইন হিসেবে ব্যবহার করবো । মেয়েটির কাজ হচ্ছে শুধু ঐ রাস্তাটিতে একা একা খুশি মনে গান গেতে গেতে এগুনো । এরপর শুরু হবে আসল খেলা । আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন আসছে, আচ্ছা, ধর্ষক যদি একের বেশি হয় কিংবা একটি পুরো গ্যাং হয়, তাহলে ? ভয় পাবেন না, আপনার এই ভয়টাই আমাকে এতদিন এই প্ল্যান করা থেকে আটকিয়ে রেখেছিল ।

ধরুন, আমাদের ভাগ্য ভালো । আমরা একজন ধর্ষককেই পেলাম । আর তাকে শুধু লাঠি আর বাঁশ দিয়েই পিটিয়ে মেরে ফেললাম । একি, আপনি কাঁদছেন কেন ? আর এদিকে, একি ইনি যে কাঁপছেন । আরে আপু, আপনি হাপাচ্ছেন কেন ? আর ভাইয়া, আপনি দৌড়ে পালাচ্ছেন কেন ? ও আপনারা সবাই কি আইনের ভয় পাচ্ছেন ? ভালো, ভয় পাওয়া ভালো । জানেনই তো, ভয় থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, তাহলে ভয়ই ভালো ।

টু ফিঙ্গার টেস্ট বোঝেন ? মেডিকেল টার্ম একটা । অনেকেরই না বুঝারই কথা । আমিও বুঝতাম না । কয়েকদিন আগে বুঝতে বাধ্য হলাম । আমাদের দেশে কোন তরুণী যখন ধর্ষণের শিকার হয়, তখন পুলিশের কাছে মামলা করতে গেলে আগে তাকে প্রমাণ করতে হয় যে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে । তখন তাকে কোন একটি সরকারী হাসপাতালে নিজের এই ধর্ষণের পরীক্ষা দেওয়া লাগে । কোন এক অভিজ্ঞ অথবা অনভিজ্ঞ সরকারী ডাক্তার তখন ঐ তরুণীর যৌনাঙ্গে তার হাতের দুইটি ফিঙ্গার ঢুকিয়ে এই পরীক্ষাটি করেন । শুনে শিউরে উঠতে পারেন এই জেনে, অনেক সময়, না, না, বেশিরভাগ সময়ই এই পরীক্ষাটি কোন মহিলা ডাক্তার করেন না । আচ্ছা, ঐ মেয়েটিই তো ধর্ষণের শিকার হল, তাই না ? হিংস্র হায়েনারা নিজেদের অভিলাষ পূরণ করার জন্য ঐ মেয়েটিকেই তো ছেড়ে-ফুরে খেলো । এখন আবার এই মেয়েটিকেই আবার বিচার চাইতে এসে পাশবিক সব প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে যেতে হল, আপনার এখন কি বলার আছে ?

ভাই, এটি তো স্রেফ একটি ঘটনা বললাম । বাংলাদেশে প্রতিদিন এরকম কত মেয়ে যে ধর্ষণ হয়, তা এখানে নাই বা বলি । অনেকেই আবার বলতে পারেন, কই, প্রতিদিন তো মাত্র কয়েকটা ধর্ষণ কেস হয়, বেশি তো হয় না । আরে ভাই, এই ধর্ষণ কেসে পুলিশ ভাইদের উপরি কিছু ইনকাম করার সুযোগ কম । আর তাছাড়া তদন্ত ইত্যাদি ইত্যাদি ঝামেলা অনেক বেশি । এখন আপনিই বলুন, একটি মেয়ে যে কিনা তার সারা জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, মানে তার সম্ভ্রম হারালো কতিপয় জানোয়ারদের কাছে, এখন সেই মেয়েটি তার এই সম্ভ্রম হারানোর বিচার চাইতে গিয়ে আরও হেনস্থা হল আমাদের আইনব্যবস্থার মাধ্যমে, এরপরও কিভাবে আপনি আশা করছেন এই ধর্ষকরা এই ঘৃণ্য কাজ করা ছেড়ে দেবে ? তাদের তো কোন কষ্ট করতে হচ্ছে না । শুধু মেশিন তৈয়ার রাখো, আর কাজ সারো ।

এখন সমাধান একটাই । একজন ধর্ষককেও যদি প্রকাশ্যে শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়, অর্থাৎ একজনকেও যদি সবার সামনে ফাঁসির মঞ্চে দাড় করিয়ে ফাঁসি দিয়ে, অথবা ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যু পর্যন্ত পাথর মেরে শাস্তি দেওয়া অথবা সবার সামনে গুলি মেরে কিংবা শিরচ্ছেদ করে এদের মৃত্যু নিশ্চিত করা যায়, তাহলেই তথাকথিত ধর্ষকদের চুলকানি কমবে । উপরের গেম প্ল্যানটা কিন্তু সঠিকই ছিল । আছেন নাকি আমার সাথে, থাকলে জায়গায় বসে একটু আওয়াজ দিন তো ...

তারিখঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আগে ধর্ষনের খবর পড়তে মজা লাগতো এখন পড়লে মেজাজ খারাপ হহয়। X(

এত প্ল্যানিং এর দরকার নাই। ধর্ষককে ধরে ইট বেঁধে জন্মদিনের পোষাকে সারা শহর ঘোরানো হোক।

ধর্ষককে খুন করাটা বাড়াবাড়ি, দেশে প্রচলিত আছে। সেটাই ঠিকমত ব্যবহার করা হোক।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বুঝি না ধর্ষন করার দরকার টা কি? যদি এতই মন চায় হোটেলে যা।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

আরোগ্য বলেছেন: ইসলামী নীতিমালা গ্রহণ ছাড়া এই সব অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। বর্তমান বিচার ব্যবস্থা পঙ্গু।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি বুঝি না ধর্ষন করার দরকার টা কি? যদি এতই মন চায় হোটেলে যা। [/sbএই নীতিবোধ থাকলে তো এ্যামেরিকাও প্রতিবছর ধর্ষণে বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন হতো না,কারণ ওখানে ডাকলেই মেয়েরা বাসায় এসে পড়ে।
ধর্ষণ একটা ভয়ংকর মানসিক রোগ যার একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদন্ড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.