![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সিলেট শহরে অবস্থিত শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। আমি এই আন্দোলনের পক্ষেও নই, বিপক্ষেও নই। কারণ, আমি পক্ষে-বিপক্ষে যেখানেই থাকিনা কেন তাতে কিছু যায় আসেনা। আন্দোলনকারীরা বলছে সিলেটের এই পবিত্র মাটিতে তারা ভাস্কর্য নামে মূর্তি বসাতে দেবেনা।
আন্দোলনকারীদের কাছে আমার প্রশ্ন আমার সিলেট শহরকে আপনারা কতটুকু পবিত্র রেখেছেন? আমি সিলেটের যেখানটায় থাকি সে এলাকার নাম হচ্ছে পীরপুর। নামটাতেই বোঝা যায় কেমন পীর-পীর ঝাঁঝালো গন্ধ। কিন্তু, এখানে পীরের উৎপাত খুব বেশি একটা নেই। কিন্তু, ওভার অল সারা সিলেট জুড়েই রয়েছে পীরের উৎপাত। অনেকেই মহান সাধক হযরত শাহজালাল (রাঃ)-এর নাম নিয়ে তাদের পিরাগী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এটা মহান সাধককে অপমানের নামান্তর।
আমার পাশের এলাকার নাম খুররমখলা। গতকাল থেকে খুররম শাহ-এর মাজারে উরুস শুরু হয়েছে। তিনদিনব্যাপী উরুস। সারারাত চলেছিল নাচ গানের আসর। আমার পাশের মহল্লা হওয়ায় আমি সারারাত মেয়ে কন্ঠের গানের আওয়াজ পেলাম। সকাল বেলায় আমি জানতে পারলাম এই গানগুলো উরুস থেকে এসেছে। কেউ চাইলে আজ এবং কাল সন্ধ্যায় এসে দেখে যেতে পারেন। উরুসের নাম করে মাজারে এনে মেয়েদের নাচালে-গাওয়ালে পবিত্রতা যায়না, কিন্তু ভাস্কর্য বসালে পবিত্রতা চলে যায়!!!!!!!!!!!!
এরকম ঘটনা হারহামেশাই ঘটছে এই সিলেট শহরে। হায়রে মানুষ। সিলেটের পবিত্রতা রক্ষা করতে হলে আগে মাজার নামক এসব ভণ্ডামি বন্ধ কর, তারপর যাও ভাস্কর্য নামক মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে। আরেকটা কথা গোঁড়ামিটা ছেড়ে দাও। কোন কিছু বোঝার আগেই চিল্লাফাল্লা করোনা। এটা সবার জন্যই অমঙ্গল। ধর্মকে নিয়ে এসব মাজারপ্রেমী মানুষের ভন্ধামি বন্ধ করো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০
বিজ্ঞানী সিমুল বলেছেন: “জাগরণের গানে গানে মুখরিত তরুণ প্রজন্ম”/ “রাজাকার তুই বাংলা ছাড়বি কিনা বল?/কিলের চোটে হাড় করিব জল।”