নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নামটা শুনে বিজ্ঞানী মনে হলেও আমি ভিন্ন

বিজ্ঞানী শিমুল

বিজ্ঞানী সিমুল

বিজ্ঞানী সিমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মানবিকতার গল্প

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৪

মেয়েটির নাম রুপা। গরীব বাবা-মার প্রথম সন্তান। টাকার অভাবে মেয়ের অনেক আগেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। তারপরেও সংসার অনেক কষ্টে চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে রুপার বাবা মারা যায়। ছোট দুটি ভাই-বোন রয়েছে। সবাই মিলে একমুঠো খাবারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় কাজের চেষ্টা করে। তার মা গ্রামের একটা বাড়িতে কাজ পায়, যা দিয়ে তারা কোন রকমে চলতে পারে। এর মাঝে রুপার বিয়ের ঘর আসতে থাকে। বিয়েও ঠিক হয় এক কাঠুরের সাথে। তবে বিয়েটা হবে আরও তিন মাস পর।



মায়ের কষ্ট রুপা সহ্য করতে পারেনি। তাই সে মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাজীপুরের দিকে কোন এক মোটামুটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে কাজের মেয়ে হিসেবে যোগ দেয়। চেহারা মোটামুটি সুন্দর হওয়ায় বাড়ির মালিকের কলেজ পড়ুয়া ছেলেটির লোলুপ দৃষ্টি পরে মেয়েটির উপর। সে মেয়েটিকে যে কোন মূল্যে বাগে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু বাড়িতে বাবা-মা আর একজন লজিং মাস্টার থাকায় সে যুত করতে পারেনি।



একদিন বাবা-মা, লজিং মাস্টার সবাই যার যার কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। প্রতিদিনের মত সেও কলেজে যাচ্ছিল। কিন্তু, হঠাৎ করে সে থমকে যায় এবং অসুস্থতার ভান করে বাড়িতে রয়ে যায়। লজিং মাস্তারটা একটু চালাক লোক। সে কি ঘটতে পারে কিছুটা আন্দাজ করল। তাই মাস্টার সাহেব নিজের কাজ বাদ দিয়ে বাসার দিকে চলে আসল। বাড়িতে এসে দেখে যা ভেবেছিল তাই ঘটতে চলেছে। মালিকের ছেলেটি জোর করে মেয়েটিকে আটকে রেখেছে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে। মেয়েটি অনেক কষ্টে ছুটে গিয়ে একটা লাঠি নেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু মেয়েটি দুর্বল হওয়ায় শেষ রক্ষা যে আর হবেনা বুঝতে পারল। তাই প্রাণপণে বাঁচার চেষ্টা করল।



শেষপর্যন্ত লজিং মাস্টার এসে ছেলেটির সামনে দ্বারায়। ছেলেটির চোখ দিয়ে তখনো লালসার আগুন ঝরছিল। কিন্তু সে লজিং মাস্টারের জন্য পারলনা তার কু ইচ্ছা পূরণ করতে এবং মেয়েটির সতীত্ব নষ্ট করতে।



লজিং মাস্টারের ব্যক্তিগতভাবে তেমন ভালো লোক নয়। কিন্তু তারপরেও সে জানে গরীবের ইজ্জতের মূল্য। হয়ত এক সময় সে নিজেও মেয়েটির দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাতো। কিন্তু, তার মাঝে মানবিকতা জেগে উঠেছিল বলেই হয়ত এরকম সম্ভব হয়েছে। নাহলে ব্যপারটা অন্যরকম হতে পারত। ছেলেটির এবং তার লজিং মাস্টারের বয়স প্রায় সমানই ছিল। সে হয় তার কলেজ পড়ুয়া ছাত্রটিকে সাহায্য করতে পারত। কিন্তু তার মানসিকতা এতটা কলুষিত হয়নি।



যাইহোক, পরদিন মেয়েটির মা এসে মেয়েটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য। লজিং মাস্টারের সম্পর্কে হয়ত মেয়েটা তার মায়ের কাছে ব্যপারটা বলেছে। মেয়ের মা এসে লজিং মাস্টারের সামনে এসে অঝোর ধারায় কাঁদতে শুরু করল। এই মায়ের কান্না দেখে মাস্টারের চোখেও পানি চলে আসল। একজন মায়ের অনুভুতি দেখে মাস্টার সাহেবের মনে যা হল তাই এই গল্পের মোরাল। যদিও এটা গল্প নয় একটি বাস্তব ঘটনা।



মোরালঃ মানবিকবোধ না থাকলে কাউকে মানুষ বলা যায়না। নারী জাতির ইজ্জত রক্ষা করা ঈমানী দায়িত্ব। যদিও এখন আমরা ব্যপারটাকে এখন বাজারজাত করে ফেলেছি।



[বিদ্রঃ আগোছালো লেখার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। গল্পটা ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.