![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের খেয়ালে শব্দ শ্রমিক।
এন্ট্রপেনরশীপ ইকোসিস্টেম তৈরীর অন্যতম ভিত্তি/কম্পোনেন্ট হলো বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল অবকাঠামো যা আমাদের দেশে একেবারেই অনুপস্থিত।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, এঞ্জেল ক্যাপিটাল এবং ক্রাউড ফান্ডিং অবকাঠামো তৈরি এখন সময়ের দাবি যদি আমরা সত্যিকার অর্থেই আগামীতে একটি এন্ট্রপ্রেনিউরিয়াল অর্থনীতি বাস্তবায়ন করতে চাই যা ছাড়া আমাদের অর্থনীতি অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির শুভঙ্করের ফাঁকিতে ভেঙে পড়বে আমাদের অর্থনীতি, সমাজনীতি এমনকি রাজনীতি।
আর যদি আমরা সঠিকভাবে এই কাজটি করতে পারি তাহলে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি সত্যিকার অর্থেই বদলে যাবে আর দারিদ্র বা বেকারেরা চলে যাবে জাদুঘরে, সরকার চাইলেও বেকার ভাতা দেয়ার লোক খুঁজে পাবে না।
আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে (সাথে আছে গোদের উপর বিষফোঁড়া দৃশ্যমান ও অদৃশ্য খেলাপি ঋণ যা জ্যামিতিক হারে ক্রমবর্ধমান) আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের ভবিষ্যৎ তিন প্রজন্মের উপার্জন খেয়ে ফেলেছি যার অধিকার আমাদের নেই তাই এখনো সময় আছে এই পাপের কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করার।
প্রতিটি গ্রামে একটি করে আইটি পার্ক করা হলেও কোন লাভ নেই (কেবলি জনগণের অর্থের অপচয় এবং গুটিকতক লোকের পকেট ভারি হওয়া ছাড়া) যদি না আমরা আমাদের তরুণ সমাজকে আইটি নির্ভর কাজের জন্য দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রকৃত সুফল পেতে হলে আমাদের যতনা প্রয়োজন ভৌত অবকাঠামো তার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন যোগ্য জনবল, কার্যকরী ও যুগোপযোগী নীতি কাঠামো এবং প্রয়োজনীয় ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ।
আইটি খাতে এযাবত আমাদের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ যথেষ্ট পরিমাণ হলেও এখনো কার্যকরী ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারিনি যা ছাড়া সকল চেষ্টাই বৃথা হতে বাধ্য। একটা কথা মনে রাখা দরকার যে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ মানেই উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ নয়। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আইটি পার্ক স্থাপন প্রকল্পটি বিসিক প্রকল্পের মতোই অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে, যদিও এখনো সময় আছে সবকিছু সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর, কেবল প্রয়োজন এন্ট্রপ্রেনিউরিয়াল ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য সমন্বিত উদ্যোগের যারা এখনো দৃশ্যমান নয়। বাজার ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কহীন প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান আখেরে কারো জন্য কোন লাভ বয়ে আনবে না।
©somewhere in net ltd.