![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের খেয়ালে শব্দ শ্রমিক।
বুদ্ধিজীবী বা লেখক-সাহিত্যিকেরা পীর-আউলিয়া নয় যে তাদের সব মতামতই প্রশ্নাতীত ভাবে মেনে নিতে হবে।
কারো সবকিছু প্রশ্নাতীত ভাবে মেনে নেওয়া কিংবা কোন কিছুই মেনে না নেওয়ার প্রবণতা বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার লক্ষণ!
আমাদের শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বুদ্ধি বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে আর নিজ এবং গোষ্ঠী স্বার্থে দলবদ্ধ বুদ্ধিজীবী এবং লেখক-সাহিত্যিকেরা জাতির হৃদপিন্ডে অনিরাময় যোগ্য ক্যান্সার। এই শয়তানদের খপ্পরে পড়েই স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরেও আমাদের বুদ্ধি বৃত্তিক বিকাশ নেগেটিভ। সত্যিকার অর্থে আমাদের বুদ্ধি বৃত্তিক বিকাশ এবং সামাজিক, মানবিক ও রাজনৈতিক বোধের উন্নয়ন যতোটুকু হয়েছে তা পাকিস্তান আমলে, এরপরে যা হয়েছে তা হলো বিভাজন, ঘৃণা ও হিংসা চর্চা; বেড়েছে শোষণ আর নির্যাতন।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে কোন বুদ্ধি বৃত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতে যার ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি সামাজিক-মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং লুটেরা ও হিংসাত্মক রাজনীতি, পরশ্রীকাতর, লোভী ও আত্মকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থা। দুই একজন ব্যক্তি বিশেষ ছাড়া শ্রেণি হিসেবে আমাদের শিক্ষক সমাজ চরম ব্যর্থ, লোভী, অযোগ্য, চাটুকার, ক্ষমতার পদলেহনকারী, জাতির জন্য বোঝা, এবং শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর শ্রেণি।
এখন আর কোন সংস্কার নয়, প্রয়োজন আমুল পরিবর্তনের জন্য, মহা ধ্বংসের জন্য বিপ্লব, সবকিছু দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ফেলে নতুন করে সৃষ্টি।
©somewhere in net ltd.