নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্ন দেখি চির সবুজ একটি বাংলাদেশের

একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতা, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার

চির সবুজ

কিছু সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে বেঁচে থাকার নিরন্তন চেষ্টা। জীবের কষ্ট সহ্য হয় না। সমব্যথিত হই অবহেলিত মানুষের ব্যথায়। তাই চেষ্টা করি স্ব-অবস্থান থেকে সবোর্চ্চ কিছু একটা করার, সেটা যে উপায়েই হোক না কেন। ভালবাসি দেশটাকে, মা আর সন্তানের মত। মৃত দেহটাকে পচাতে চাই এদেশের মাটিতেই।

চির সবুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা - কে নিয়ে ছোট্ট একটি সত্য গল্প

১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:১২

মা কথাটি খুবই ছোট্ট কিন্তু এর গুরুত্ব অপরীসিম। আমরা এই সবাই এই দুনিয়ার আলো দেখতে পাই এই মায়ের জন্য। একটা মা যে কত কষ্ট করে তার সন্তানকে মানুষ করেন তার কোন হিসেব বা তুলনা নেই। দীর্ঘ নয় মাস দশ দিন গর্ভে থেকে একটি সন্তান ভুমিষ্ট হয়। এই এতটা দিন একটা মা অনেক কষ্ট করে সেই সন্তানকে পেটের মধ্যে লালন করে।



এসব সব কিছুই বুঝেছি যখন আমার স্ত্রী সন্তান গর্ভে ধারণ করেন। আমাদের কোল জুড়ে এলো একটা সন্তান। তাকে আমরা মানুষ করতে থাকলাম। ওহ! সে কত কষ্ট। সেটা শুধু বাবা মাই বোঝে। আজ যখন বাবা হয়েছি এখন বুঝতে পারি একটা মা অথবা একটা বাবা কতটা কষ্ট করে তার সন্তানকে মানুষ করে। এটা যতটা কষ্টের আবার ততটা আনন্দের। এখন আমার সে সন্তান হাঁটে, দৌড়ায়, আমি অফিসে আসলে ফোন করে আমার খবর নেয়, আমার কোলে শুয়ে থাকে, আমার কাছে গল্প শোনে। কত আনন্দের!!



আমি কয়েক বছর আগে একটা গল্প শুনেছিলাম এবং আরো শুনেছিলাম যে সেটা সত্য ছিল। ঘটনাটি সম্ভবতঃ মধ্যপ্রাচ্যে কোন এক দেশের।



এক স্বামীহারা মহিলা তার সন্তানকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করে। ছেলেটি দিনে দিনে বড় হয়। স্কুলে পড়ে, কলেজে পড়ে। এভাবে সে একদিন অনেক বিদ্বান হয়। স্কুলে পড়া অবস্থায় মা প্রতিদিন তাকে নিয়ে স্কুলে দিয়ে আসতো। মহিলাটির একটি চোখ ছিল অন্ধ। সে এক চোখে দেখতো। তো স্কুলের অন্যান্য ছাত্ররা সেই ছেলেটিকে তিরোষ্কার করতো যে তার মা দেখতে অসুন্দর বলে। অন্ধ বলে। এর ফলে ছেলেটি খুব লজ্জা ফিল করতো। মা যাতে স্কুলে না আসে ছেলেটি তাই চাইতো। এভাবে ধীরে ধীরে মায়ের প্রতি ছেলেটির ঘৃণা জন্মাতে থাকে। কালে কালে তা প্রকট আকার ধারন করে।



এর অনেকদিন পর ছেলেটি বিদেশে চলে যায় চাকুরীর সন্ধানে। মায়ের সাথে কোন যোগাযোগ রাখে না। সেখানে সে বিয়ে করে ভালো চাকুরী করে এবং তার সন্তান হয়। তাদের নিয়ে বেশ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। মায়ের কোন খোঁজ খবর রাখে না। জানেও না যে, মা বেঁচে আছে না মারা গেছে।



অনেকদিন পর ছেলেটির মা অনেক কষ্ট করে ছেলেটির ঠিকানা যোগাড় করে এবং সেই ঠিকানা মোতাবেক সন্ধানে যায়। মহিলাটি ছেলের বাড়ীতে যখন দরজা নক করে, তখন তার নাতী নাতনী দরজা খুলে দেয় এবং হাসাহাসি করতে থাকে অন্ধ দেখে। এমতাবস্থায় ছেলেটি বাহিরে এসে তার মাকে তিরষ্কার করে, চলে যেতে বলে। এতে মা খুব কষ্ট পায় এবং চলে যায় তার নিজের ঠিকানায়।



এর বেশ কিছুদিন পর ছেলেটি কি যেন এককাজে তার জন্মভুমিতে যায়। তখন সেই এলাকার লোকজন তাকে বলে যে কিছুদিন আগে তোমার মা মারা গেছেন তোমাকে একটা চিঠি লিখে গেছেন। সেই চিঠিটা ছেলেটি হাতে নিয়ে পড়ে আর অনুশোচনা করতে থাকে।



চিঠিতে লেখা ছিল----



খোকা,

"আমি তোমার বাসায় গিয়েছিলাম তুমি কেমন সুখে আছো এটা দেখতে। আমার খুব ভাল লেগেছিল যে তুমি ভালো আছো। আমার মনে কোন দুঃখ নেই। তবে খোকা, তোমাকে একটা কথা আমি জানানো প্রয়োজন মনে করছি। খুব ছোটবেলায় একটা মারাত্বক দুর্ঘটনায় তুমি একটা চোখ হারিয়েছিলে। তোমার একটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি আমার একটা চোখ দিয়ে দেই তোমাকে। আমার ভাবতে খুব ভাল লাগছে যে, আমার একটা চোখ দিয়ে হলেও তুমি এই সুন্দর পৃথিবীটা দেখছো, উপভোগ করছ। এটাই আমার আনন্দ।"



আসুন আজ আমরা সবাই আমাদের মাকে অন্ততঃ একবার বলি, "মা আমি তোমাকে ভালবাসি"

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:২০

মুহিব বলেছেন: আপনার সন্তানের শুভ কামনায় ........... আপনার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:৪০

চির সবুজ বলেছেন: ধন্যবাদ মুহিব।

২| ১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:৩৩

নবজন্ম বলেছেন: "মা আমি তোমাকে ভালবাসি"

এই পৃথিবীতে সকল মায়ের প্রতি রইল আমার গভীর শ্রদ্ধ্যা।

১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:১৭

চির সবুজ বলেছেন: সহমত।

৩| ১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:২৪

শেখ জলিল বলেছেন: "মা আমি তোমাকে ভালবাসি"

১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৩৭

চির সবুজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪০

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: ভালো লাগলো খুব।

১১ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪৪

চির সবুজ বলেছেন: তবে গল্পটি খুব কষ্টের।

ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৩৫

ইলা বলেছেন: দিন দিন আমি আপনার লেখার বেশ ভক্ত হয়েগেছি। খুব ভাল লাগল আপনার স্ত্রী মা হওয়ার কারনে নিজের মায়ের গুরুত্ব বুঝার জন্য। ক`জন সন্তানইবা এমন বোঝে? আমার আজ খুব খারাব লাগছে। আমার তো 'মা'ই নাই। কাকে উইষ করব? গত বছর এই দিনেও মা ছিলেন। খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু মা-এর জন্য কাঁদার এই অবসর সময় টুকু আমার নেই। এত যান্ত্রিক আমি।

মা আমাদের ছেড়ে যাওয়ার পরে খুব বেশী বুঝতে পারছি, আমি কাকে হারিয়েছি। একসময় মা`কে আমি দারোগা বলতাম। অবশ্য সামনে নয়। খুব শাসন করতেন। অফিসে পৌঁছায়ে প্রথম কাজ হ`ল মাকে ফোন দিয়ে জানানো আমি নিরাপদে পৌঁছেছি। এর ব্যতিক্রম হলেই রেগে যেতেন। এখন সারা দিনে একবারও ফোন না করলে কেউ জিজ্ঞেস করে না।

২৫ দিন মায়ের সাথে আমি বার্ডেম হাসপাতালে ছিলাম। যখন মা-এর মাথার কাছে বসে মুখের কাছে মুখ নিতাম মা আমার মুখটাকে আরো কাছে টেনে নিয়ে বুকের সাথে চেঁপে রাখতেন। উফ! আর ভাবতে পারছি না।

১১ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:০৭

চির সবুজ বলেছেন: ইলা,

আপনার কমেন্ট পড়ে সত্যিই খুব আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লাম। আপনাকে সান্তনা দেবার ভাষা আমার নেই। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনার মা স্বর্গবাসী হোন। একবার চোখ বন্ধ করে বলুন, "মা আমি তোমাকে ভালবাসি"। ওতেই আপনার মায়ের বিদেহী আত্মা শান্তি পাবেন।

আমার লেখা আপনার ভাল লেগেছে এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১১ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৫৪

কোপা সামছু বলেছেন:
বিশ্বের সকল মায়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।


৭| ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০

সারওয়ার জামান চন্দন বলেছেন:
বিশ্বের সকল মায়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।

১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬

চির সবুজ বলেছেন: সহমত।

৮| ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩

প্রবাস কন্ঠ বলেছেন:

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৬

যুধিষ্ঠির বলেছেন: "মা আমি তোমাকে ভালবাসি"

এই পৃথিবীতে সকল মায়ের প্রতি রইল আমার গভীর শ্রদ্ধা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.