নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেকিঘর

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

মিলটন

আনুমানিক ৩৫ বছর ধরে বহন করে চলছি এই রক্ত মাংসের ক্ষয়িষ্ণু দেহটাকে। পিছনে তাকিয়ে দেখি কোন পাথেয় সংগ্রহ হয়নি। তাই ভয় হয়। খুব ভালোবাসি মা আর সন্তানকে আর তার সমান্তরালেই আছে আমার দেশ, বাংলাদেশ। সালাম মা তোমাকে, সালাম বাংলাদেশ তোমাকে। ধন্য করেছ তোমরা আমাকে জন্ম দিয়ে। ঘৃণা করি তাদের, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আর সর্বদা অন্যের কুৎসা রটনা করে।

মিলটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ও সেদিনের আমি

২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭

সকালে পেপারে পড়লাম আজ এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে। এইতো আর কয়েকঘন্টা পরেই ফলাফল ঘোষনা হবে। সেদিন ছিল জীবনের বেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই রেজাল্টই মানুষের ভবিষ্যত জীবনের প্রথম দরজা। অর্থাৎ এই পরীক্ষার রেজাল্টের মধ্যে দিয়েই মানুষের পরবর্তী জীবনের একটা টার্ন শুরু হয়।



আমাদের সময় তো আর ইন্টারনেটে ফলাফল পাওয়া যেত না। অপেক্ষা করতে হতো স্কুলের স্যারেরা কখন নোটিশ বোর্ডে আঠা দিয়ে কাগজ লাগিয়ে দিবে। সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়বে। আর কখন সবাই সেখান থেকে জানতে পারবে তার রেজাল্ট।



সে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। একেক জনের একেক রকম চাওয়া। কেউ পাশ করবে কিনা, কেউ ফার্ষ্ট ডিভিশন পাবে কিনা, কেউ ষ্ট্যান্ড করবে কিনা আবার কেউ কত নাম্বার ষ্ট্যান্ড করবে? এই সব নিয়ে মনের মধ্যে দুরু দুরু। কত কানাকানি, ওমুক স্যারের সব সাজেশন কমন পড়েছে, আমি সব লিখেছি, ভালোতো রেজাল্ট হবেই। আরো কত কি? কেউ কেউ বলবে, দুর পরীক্ষার এমন জ্বর পরীক্ষা ভালো দিতেই পারিনি। তাই আর কেমন রেজাল্ট হবে?



আমার বাসায় এখন এমন কেউ নেই যে পড়াশোনা করছে। আমার ছেলে আর আমার ভাগ্নি শুধু ছবির বই নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে আর ছবিতে কি কি আছে সেই গুলো শুনায়। আমি ভাবি আমিও হয়ত একদিন এমন ছিলাম। ওরাও একদিন বড় হবে।



যাই হোক, মনে পড়ে গেল আমার এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের দিনের কথা। আমি ভয়ে স্কুলে যাইনি রেজাল্ট দেখতে। আমার বাবাই গিয়েছিলেন। উনি দুপুর ২টার দিকে আসলেন রেজাল্ট নিয়ে হাসতে হাসতে। আমার বাবাই ছিলেন আমার শিক্ষক। উনি আমাকে সব বিষয়ে পড়াতেন। আমার রেজাল্টে যে আমার বাবা খুশি এতেই আমি খুশি হয়েছিলাম। আমার চেয়ে আমার বাবা মায়ের মুখের হাসিটা বেশী জরুরী ছিল আমার জন্য।



বাবা এসে বললেন, ৫ টা লেটার সহ ষ্টার মার্কস। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলাম। বাবার চোখে সেদিন জল দেখেছিলাম। ওটা আনন্দের অশ্রু। উনি একহাতে আমার পিঠে আদর করছিলেন আর ওনার চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। আমার মাও আমাকে ক্লাশ নাইন পর্যন্ত পড়াশুনা করিয়েছেন। উনি সেই আমলে একজন গ্রাইজুয়েট মহিলা ছিলেন।



আজ বাবা আমার কাছ থেকে এখন হাজার হাজার মাইল দুরে। প্রবাসে। অনেকদিন পর পর দেখা হয়। কথা হয় কমবেশী প্রায় প্রতিদিনই। তিনি এখনও প্রতিবার ফোনে আমার জন্য দোয়া করেন।



দোয়াকরি আজ সব ছাত্রছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট তাদের মনের মত হোক। যারা কষ্ট করে খেটে পড়াশুনা করেছেন, তারা যেন ভাল রেজাল্ট পায়। সবার জন্য শুভকামনা।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩৯

শফিকুল বলেছেন: আপনার উজ্জল ভবিশ্রত কামনা করি।

২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৪৩

মিলটন বলেছেন: "ভবিশ্রত"

এই বানান দিয়া আমার উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করার দরকার নাই।

আল্লাহ ..................

এই লোক যখন দোয়া করেছে, না জানি আমার ভাগ্যে আজ কি আছে?

২| ২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৪৮

শফিকুল বলেছেন: সংশোধিত দোয়া।

আপনার আগামী দিনের সফলতা কামনা করি।

আপনি হবেন সিস্টেম এনালিস্ট , ইনশাঅল্লাহ।

২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫১

মিলটন বলেছেন: সবাই বলি আমিন।

৩| ২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬

মিলটন বলেছেন: শফিকুল,

তোমার প্রতি অনেক দোয়া আর আদর রইল। পরিবার পরিজন বউ মেয়ে নিয়ে সুখে থাকো। কম কম খাও। তোমরা সবাই বেশী মোটা হইয়া যাইতেছো। এই জন্য তোমার এত বিষ বেদনা। তোমার চিকিৎসা করা উচিত। তোমার ওয়াইফের ফুটুক দেয়া ঠিক হয়নি। আমি এটা ভালো চোখে দেখিনি। যাক মুছে দিয়েছো, আমি খুশি হইয়াছি। ভাত বন্ধ করো, রুটি চালাও। কামে দিবো।

আর বিশেষ কি কমু। তুমি আজকে বাসায় যাওয়ার সময় একটা বাংলা আদর্শলিপি আর ব্যাকরণ কিনে নিয়ে যাইবা। ওইটা অধ্যায়ন করবা আর বলগাইবা।

ইতি,

মিলটন

৪| ২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬

শফিকুল বলেছেন: আমিন । সুম্মা আমিন।

৫| ২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫

শফিকুল বলেছেন: শফিকুল,

তোমার প্রতি অনেক দোয়া আর আদর রইল। পরিবার পরিজন বউ মেয়ে নিয়ে সুখে থাকো। কম কম খাও। তোমরা সবাই বেশী মোটা হইয়া যাইতেছো। এই জন্য তোমার এত বিষ বেদনা। তোমার চিকিৎসা করা উচিত। তোমার ওয়াইফের ফুটুক দেয়া ঠিক হয়নি। আমি এটা ভালো চোখে দেখিনি। যাক মুছে দিয়েছো, আমি খুশি হইয়াছি। ভাত বন্ধ করো, রুটি চালাও। কামে দিবো।

আর বিশেষ কি কমু। তুমি আজকে বাসায় যাওয়ার সময় একটা বাংলা আদর্শলিপি আর ব্যাকরণ কিনে নিয়ে যাইবা। ওইটা অধ্যায়ন করবা আর বলগাইবা।

ইতি,

মিলটন




মিলটন

আমার ও দোয়া রইল তোমার উপর, আমি দোয়া করি তুমি মাইক্রোসফটে সিস্টেম এনালিস্ট হিসাবে জয়েন কর, আমার দোয়া সব সময় তোমার মাথার উপর থাকবে।

আমি নিলক্ষেত গেছিলাম কিন্তু আদর্শলিপি আর ব্যাকরণ পাইলাম না তুমি যদি কস্ট কইরা আমারে কিন্না দাও বড়ই উপক্রিত হব। আদর্শলিপি আর ব্যাকরণ এর যদি কোন ওয়েব লিংক থাকে তাও দিও। ভাল থেকো।


ইতি

শফিকুল।

৬| ২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬

বলরাম পোদ্দার বলেছেন: আপনার সেদিনে অনুভুতিগুলো জানতে পারলাম, সুখের অনুভুতি।

আপনারা সবাই ভালো থাকুন। শুভকামনা।

২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১:৩২

মিলটন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:২০

গিফার বলেছেন: ভালো থাকুন...+

২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৩১

মিলটন বলেছেন: ধন্যবাদ, কেমন আছেন আপনি?

৮| ২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:২৯

শিখা মণি বলেছেন: আপনারা দুইজন দেখতিছি এই খানে চিঠি লেখালিখি শুরু করেছেন। ব্যাপার টা কি

আমারও সেদিনের কথা মনে পড়ছে যেদিন আমি এস এস সি পাশ করেছিলাম। ভাল রেজাল্ট করিনি।

৯| ২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮

এফ আই দীপু বলেছেন: ছবিতে তো আপনেরে খু্ইজা পাইনা। সত্যি কইরা কনতো আপনে মেট্টিক পাস করছেন কিনা!!!

২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৪

মিলটন বলেছেন: কন কি?

আপনি কি মাইনষের পিছন দিক দেইখাও চিনতে পারেন? এতদিন জানতাম মানুষের চেহারা দেইখা চিনন যায়। আফসুস......


যাউগ্গা, তাইলে শোনেন, এক্কেবারে বাম পাশের সারিতে সোজা সামনে দেখেন। এক্কেরে.......প্রথমে...........

এইবার দেখছেন?

১০| ২৬ শে জুন, ২০০৮ রাত ৮:৫৮

দ্রগবা বলেছেন: আসলেই old is gold.
আমরা ছিলাম ৫০০ MCQ এর প্রথম ব্যাচ। এরশাদের আমলের গিনিপিগ। মনে আছে আমাদের ছোট্ট স্কুল থেকে আমরা ৬ বন্ধু প্রত্যেকে ৬টা বিষয়ে লেটার পাইছিলাম। বাংলাতে কেউ লেটার পাই নাই। কপাল! রেজাল্ট পাইয়া মনের আনন্দে ৬ জনে মিল্লা মেইন রোডের মাঝখান দিয়া হাটছিলাম। মস্তানি করার উদ্দেশ্যে না অবশ্য।

২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:৩২

মিলটন বলেছেন: আপনার বিষয়টি বেশ চমৎকার।

আচ্ছা আপনার ৬ বন্ধু ৬ বিষয়ে লেটার পেয়ে প্রত্যেকে কি ৬ টি করে মিষ্টি খেয়েছিলেন?

তাহলে আরো মজা হতো।

১১| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:০৫

মনযূর মান্নান বলেছেন: পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।

১২| ২৮ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:১৯

পারভেজ বলেছেন: ১৯৯৯ সালের কথা।
ঐদিন সব বন্ধুরা মিলে জোহরের নামাজ এক সাথে পড়েছিলাম। তারপর গেলাম রেজাল্ট আনতে। খুব ভালো রেজাল্ট হয়েছিলো আমাদের। আমাদের পুরো শয়তান গ্রুপ ষ্টারমার্ক পেয়েছিলো। পুরো ১২ জনই। এটার জন্য আমাদের অভিভাবকরা আরও খুশি হয়েছিলেন। সারা বিকেল নাচানাচি করলাম। সেই শয়তান গ্রুপের সদস্যরা আজকে কে কোথায়..
প্রতিবছর ই একবার করে মনে পড়ে।

২৮ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:৪৫

মিলটন বলেছেন: আমাদেরও এই রকম একটা গ্রুপ ছিল তবে নাম ছিল বিডিপি মানে বাংলাদেশ ডাকাত পার্টি। আমরা স্কুলে ডাকাত নামে পরিচিত ছিলাম। যেকোন অঘটনে আমাদের সন্দেহ করা হতো। কিন্তু আমরা সবাই খুব ভাল রেজাল্ট করেছিলাম।

আপনার ঘটনাটা পড়ে ভাল লাগলো।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.