![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই। Facebook name: Sheikh Minhaj Hossain সার্চ দিলে একজনই পাবেন সারা বিশ্বে। :)
১।
নীরার সাথে প্রথম পরিচয়ের দিনটা আমার ঠিক মনে নেই। তখন মাত্র কৈশোরের শেষভাগ। কলেজের শেষের দিকে। এইচএসসি এর পরই আমাদের মেলামেশা বাড়তে লাগল। আস্তে আস্তে আমরা প্রণয়ের দিকে এগুতে লাগলাম। নতুন প্রেম; তখন দুজনের চোখে মুখে কত স্বপ্ন। আমরা দুজনেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। নীরার অবস্থাটা অনেক খারাপ ছিল। ওদের পরিবারে নানা অশান্তি। অভাবের সংসার। নীরার মা বেঁচে নেই। ওর বাবা ছোট্ট একটা চাকরি করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন। নীরা সংসারের বড় মেয়ে। ছোট একটা ভাই, একটা বোন। সংসারে বাবাকে সাহায্য করার জন্য নীরাকেকয়েকটা টিউশনি করতে হয়। সাথে সংসারের দেখাশোনা তো আছেই। মেয়েটার সাহস শক্তি দেখে অবাক হতাম। পরিবার নিয়ে কত চিন্তা!! ভাইটার কি হবে, বোনটার কি হবে। ওর কতোই না চিন্তা-ভাবনা। তবে একটা জিনিস বুঝতাম। আমাকে ও একটা বড় অবলম্বন মনে করে। ওর সমস্ত দুশ্চিন্তা শেষে সুখস্বপ্নটা শুরু হয় আমাকে নিয়ে। তখন মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করেছি। চোখে রঙিন স্বপ্ন। দুইজনে মিলে কত স্বপ্ন দেখতাম!! আমরা আমাদের অভাবের সময়টা দূর করে দিব। ছোট একটা ঘর বাঁধব। সেখানে আমরা টোনাটুনি সংসার করব। মাঝে মাঝে রিকশায় একসাথে ঘুরতাম। ও সব সময়েই চাইত রিকশার হুড উঠিয়ে রাখতে; ওর নাকি লজ্জা লাগত। কে না কে দেখে ফেলবে। আমার ছিল উল্টোটা। আমি হুড ফেলে দিয়ে সবাইকে দেখাতে চাইতাম যে এই অসাধারণ মেয়েটিকে আমার পাশে পেয়েছি। তবে হুড উঠিয়ে দিলেও খুব খারাপ হতো না। আমি অনেক ঘনিষ্ঠ হতে পারতাম। সেই ঘনিষ্ঠতার মধ্যে কিছু অন্যায় আবদারও করতাম। কিন্তু আমাকে সে কখনোই প্রশ্রয় দিতো না। তারপরও আমরা চুটিয়ে প্রেম করতাম। মাঝে মাঝে মনে হতো একবার এই অসাধারণ মেয়েটিকে আমার জীবনসঙ্গিনী করি তারপর তার সব ব্যাথা ভুলিয়ে দিব। আমার টিউশনির জমানো টাকা ওর পরের জন্মদিনে ওকে একটা আংটি পরিয়ে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম ভালবাসার স্মারক। স্মারক হিসেবে সেদিনই প্রথম ওর গালে আমার অধরের চিহ্ন এঁকে দিয়েছিলাম। আমার অধর আরো এগুতে চাচ্ছিলো। কিন্তু ওর কাছে প্রশ্রয় পাইনি কখনোই। ও আমাকে মাঝে মাঝে বলতো, “তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে নাতো?” আমি খুব তাড়াতাড়ি বলতাম, “দূর পাগলী, এগুলা কেন বলো?” ও বলতো, “না আমার মাঝে মাঝে খুব ভয় হয়। দেখো তুমিই কিন্তু আমার চলার একমাত্র অনুপ্রেরণা। বাবা আমার উপর ভরসা করেন। নিজের পড়াশোনা, সংসার, ছোট ভাই-বোনদের দেখাশোনা সব চাপে আমি প্রায়ই কিন্তু শক্তি হারিয়ে ফেলি। তখন আমি তোমার কথা মনে করি। তোমাকে ফোন করি। আমার মনে হয় যে, অন্তত আমার তো একজন আছে যে আমাকে দেখে রাখবে। আমি আমাদের ভবিষ্যতের কথা মনে করি। তুমি চলে গেলে কিন্তু আমি শূণ্য হয়ে যাব”। আমি বলতাম, “এসব উলটাপালটা চিন্তা করে না”। ওকে অভয় দেয়ার জন্য আমি আরো কাছে আসতাম। ও যেন আমার বুকে মাথা রেখে নির্ভরতা খুঁজে পেত।
তারপরও ভালোই চলছিলো। সমস্যাটা বাঁধলো হঠাৎ করে নীরার বাবার মৃত্যুর পর। নীরারা পড়ল অকুল পাথারে। নীরার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরার অবস্থা। সব দায়িত্ব ওর কাঁধে। মনে হচ্ছিলো ওকে বিয়ে করে ফেলি। কিন্তু তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৩য় বর্ষের ছাত্র আমি। নিজের পরিবারের অবস্থাও বিয়ে করার মতো না। আর নীরা?? ওর আগের বাসাটা ছেড়ে দিতে হলো। ছোট একটা ভাই-বোন নিয়ে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিলো না। আর আমাদের সমাজে শুধু একটা মেয়েকে কেউ একটা রুম ভাড়াও দেয় না। ওর স্থান হলো সমাজের অনেক নিচুতে। অনেক কষ্টে একটা রুম ভাড়া করল।
নীরার সাথে আমার যোগাযোগ অনেক কমে গেল। ও ক্লাস করা ছেড়ে দিলো। চাকরী আর কয়েকটা টিউশনি করে। আমাকে বলতো, “বিয়ের পরে আমি পড়াশোনা করব”। সপ্তাহে আমরা একবার মাত্র দুই-তিন ঘন্টার জন্য দেখা করি। আমি চেষ্টা করি এই তিন ঘন্টায় ওকে সব চিন্তা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। ও আমাকে বলে, এই তিন ঘন্টায় নাকি ও নিজেকে রিচার্জ় করে। পুরো সপ্তাহের প্রেরণা পায়। আমি বুঝি না আমি কিভাবে ওর প্রেরণা হতে পারি।
কিছুদিন ধরেই নীরা আমাকে বলছিলো যে, ওদের বাসার পাশে নতুন একটি পাঁচতলা বাড়ি উঠছে। সবসময় খালি। এলাকার বাড়িওয়ালার ছেলেরা নাকি সব সময় ওখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়। মাঝে মাঝে নাকি নীরাকে বিরক্ত করে। নীরা একবার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। বাড়িওয়ালাকে বলতে গিয়েছিল। কোন লাভ হয়নি। আমি একবার নীরার বাসায় গিয়েছিলাম। পরিণাম হলো ভয়াবহ। এমনিতেই একা মেয়ে থাকে; তার উপর একটি ছেলে এসে সেই বাসায় ঘুরে গেল। যে বাড়িওয়ালার ছেলের বিরুদ্ধে নীরা প্রতিবাদ করেছিল সেও বাগে পেয়ে বসল, “তুমি আমাদের ছেলেদের বিরূদ্ধে অভিযোগ করবে। আর ঘরের মধ্যেই ব্যবসা করবে। সেটাতো চলবে না। তোমাকে সময় দিচ্ছি। এই মাস শেষে বাসা ছেড়ে দিবা”।
রাতে নীরা আমাকে ফোনে বলছিলো আর কাঁদছিলো। এখন আবার কোথায় যাবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলো না। মাসের আর কয়েকদিনই বাকি। পরের দুইদিন আমরা সারা শহর ঘুরলাম একটা ছোট রুম খোঁজার জন্য। রিক্সা করে ওকে রাতে বাসায় নামিয়ে দিতে আসছিলাম। না, এবার রিক্সায় রোমান্সের কোন স্থান ছিল না। বরং বাস্তবতার কাঠিন্যে জর্জরিত হওয়ার আশংকা ছিল। ও কাঁদছিলো। আমি ওকে সান্তনা দিচ্ছিলাম। আমি বলছিলাম, “আর ২-৩ বছর অপেক্ষা কর। আমি পাশ করে একটু দাঁড়াতে পারলেই তোমাকে বিয়ে করে ফেলব”। তখন ওর চোখে মুখে হঠাৎ আলোর ঝলকানি দেখতে পাই। ও বলল, “আমি সেই আশাতেই তো আছি। তুমি যদি না থাকতে তাহলে আমি কিছুই করতে পারতাম না। আমার প্রবল দুঃসময়ে আমি তোমার কথা মনে করি, তোমাকে ভাবার চেষ্টা করি। মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দুঃসময় কাটবে”। আমি খুব অবাক হয়ে এর রহস্য খোঁজার চেষ্টা করতাম। আমি এমন কি করেছি যে মেয়েটা আমাকে এমনভাবে ভালোবাসে? আমার মধ্যে অনুপ্রেরণা পায়? জীবনযুদ্ধে সংগ্রামরত কঠিন বাঙালি এই মেয়েটার মধ্যে এত কোমলতা কোথা থেকে আসে? খুব অবাক হতাম। যাই হোক, বাসার কাছাকাছি এসে রিক্সা থেকে নামিয়ে দিলাম। বাসা পর্যন্ত যাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে ভাবলাম। কিন্তু কি ভয়ানক বিপজ্জনক কাজটি যে করলাম তা যদি বুঝতাম!!
বাসায় ফিরে ওকে ফোন করছি। ফোন ধরছে না। কতোবার যে ফোন করলাম ফোন ধরছেই না। নিজের মধ্যে বিপদের আশংকা পেয়ে বসল। সকালে ওদের বাসায় গেলাম। মনে হয় অবচেতন মনে একটা বিপদের আশংকা ছিল বলেই যাওয়া।বাসার মধ্যে যেন কেমন একটা গুমোট ভাব। আমাকে দেখেই নীরা ছূটে এল আমার কাছে। আমাকে ধরে ডুকরে কাঁদতে লাগলো। কি হয়েছে বুঝতে পারছি না। ওকে শক্ত করে ধরে আছি। মনে হচ্ছে কাল রাতে নীরা আর আজকের সকালের নীরার মধ্যে অনেক তফাৎ। এক রাতের মধ্যে যেন রাজ্যের ক্লান্তি ভর করেছে নীরার চোখে মুখে। যখন ঘটনা জানতে পারলাম নিজের প্রতি খেয়াল করেছিলাম। আমি অনুভব করছিলাম যে আমি ওকে আর শক্ত করে ধরে নেই। আমার হাত আলগা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই পরিবর্তন অনুভব করার চেতনা ওর মধ্যে ছিল না। আসার সময় নীরাদের বাড়ির পাশের নির্মাণাধীন পাঁচতলা বাড়িটির দিকে তাকালাম। কয়েকজন মিস্ত্রীর ঠকঠাক শব্দ শুনা যাচ্ছে। বড় সুনসান এই বাড়িটি। বাড়িটিকে দেখে কাল রাতের কোন চিহ্নই চোখে পড়ছে না। নিচে ছেলেদের সেই দলটাও দাঁড়িয়ে নেই। মিস্ত্রীদের একটা ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছা করছে। কিছু ভাল মানুষ তো এখনও পৃথিবীতে আছে। তারা যদি স্বউদ্যোগে নীরাকে বাসায় পৌঁছে না দিত তাহলে? একতা রিক্সা ডাকি, রিক্সায় উঠে বসি। রিক্সাওয়ালা এই এলাকার। আমি রিক্সায় উঠতেই গল্প শুরু করল, “আমাগো এলাকার ওই মাইয়াটারে তো শেষ কইরা দিসে”। কি সর্বনাশ!! ঘটনা এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। আমি কাল রাতের কথা ভাবতে লাগলাম। নীরা একা আসছিলো অন্ধকারে। হঠাৎ একটি যুবক দল নীরাকে ঘিরে ধরল। ওই নির্জন বাড়িটার কোন এক রুমে ঢুকে পড়ল ওকে নিয়ে। না, নীরার চিৎকার কেউই শুনেনি। শোনার কথাও না। ওই শয়তানগুলোকে পেলে টুঁটি চেপে ধরতাম। সকালে অজ্ঞান অবস্থায় নির্মাণকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু তারাই কথা ছড়িয়ে দিয়েছে?? এই রিক্সাওয়ালাও জানে?? আমার নিজের মধ্যকার পশুটাও জানান দিচ্ছে।
সবাই জেনে গিয়েছে!! সমাজ জানে!! নীরাকে নিয়ে আমি এখন কি করব?? সারাদিন ভাবলাম। একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। কঠিন এবং চরম সিদ্ধান্ত।
নীরাকে অসম্ভব সমস্যায় পড়তে হল। সমস্যা আসলো নানাদিক থেকে। নীরা যেই টিউশনিগুলো করত সেগুলো ছুটে গেল। একজন স্বীকৃত নির্যাতিতা নারীর কাছে কোন অভিভাবক সন্তান পড়াতে চায় না। নীরার চাকরিটাও ছুটে গেল। দুই ভাই-বোন নিয়ে নীরা একদম রাস্তায় পড়ল। নীরা মামলা লড়তে গেল। সঙ্গী আমি ছিলাম। একজন নির্যাতিতা নারীর ছেলেবন্ধু তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছে সেটাও সমাজ ভালোভাবে নেয় না। আর নীরার পেছনে কেউ নেই। অথচ যাদের বিরূদ্ধে অভিযোগ তারা সমাজের উপরের স্তরের মানুষ। অনেক টাকা, ক্ষমতা। নীরা এই মামলায় জয় কিভাবে পাবে? এদিকে কালই মাসের শেষদিন। নীরাকে বাড়ি ছাড়তে হবে। নীরা হঠাৎ করে আমাকে বলল, “চলো, আজকেই বিয়ে করে ফেলি। পরে যা হবার হবে। কিন্তু বিয়ে করলে অন্তত তোমাকে আমার সঙ্গী দেখাতে পারব। এই মুহূর্তে তোমার মত অবলম্বন আমার খুব দরকার”। আমি কি আর তা বুঝছিলাম না?? কিন্তু আমার মধ্যে যে তখন পশু ভর করেছে। নিজে শক্ত করলাম। ওকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবার সময় এসেছে। “তা আর হয় না নীরা। আমি বন্ধু হিসেবে সারাজীবন তোমার পাশে থাকতে পারি। কিন্তু তোমাকে বিয়ে করা আর সম্ভব না”। মনে আছে নীরা আমার দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে ছিল। সে ছিল বিস্ময় আর বেদনার এক অপলক দৃষ্টি। কিন্তু আমাকে তখন যেন নিষ্ঠুরতায় পেয়ে বসেছে। “দেখো আমি কখনোই তোমার সঙ্গ উপভোগ করতে পারবো না। যখনই তোমার শরীরটাকে ছুঁতে যাবো, তখনই আমার ওই রাতের কথা মনে হবে। আমি আর আগাতে পারব না। তাছাড়া এটা সবাই জানে। আমার পরিবার কি বলবে? তারা মেনে নেবে না। এ অবস্থায় তোমাকে বিয়ে করা সম্ভব না”। নীরা সেই নিষ্ঠুরতার কোন প্রতিবাদ করেনি। নতমস্তকে সেখান থেকে চলে গিয়েছিলো। যখন চলে যাচ্ছিলো তখন নীরাকে আমি পেছন থেকে ডাক দেইনি। পরেরদিন ওর বাসায় গিয়ে ওকে খুঁজে পাইনি। পুরা বাসা খালি। কোথায় গেছে কেউ জানে না। ফোনে পাইনি। অনেক খুঁজেছি কিন্তু নীরা কোথাও নেই। নীরা পুরোপুরি হারিয়ে গেল আমার জীবন থেকে।
২.
আজ অফিস থেকে একটা এনজিও এর কাজে গিয়েছিলাম। এখন সেটার উপর একটা প্রতিবেদন লিখতে হবে। রাত জেগে কাজ করতে হবে ভেবে আমার স্ত্রী টেবিলে আমার জন্য চা আর কিছু স্ন্যাকস দিয়ে গিয়েছে। মনটা প্রচণ্ড রকম বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। চেয়ার টেবিলে বসে বিছানায় আমি আমার ঘুমন্ত স্ত্রীর দিকে তাকাই। মন কিছুতেই বসছে না। আমি প্রতিবেদন লেখা শুরু করি, “আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো দরকার। ব্যাক্তি পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে। আমাদের একটু সচেতনতা আর মানসিক উন্নতি এদের জীবন পাল্টে দিতে পারে”। আমি লিখতে থাকি আর আমার চোখে ভেসে উঠে আজ পতিতা পুনর্বাসন কেন্দ্রে মানসিক বিকারগ্রস্ত নীরার পবিত্র মুখখানা।
.।.।.।.।.।।।
অনেকদিন ধরেই এই প্লটটা মাথায় ঘুরছে। এই এক প্লটের উপর আমার মাথায় প্রায় ১০টা গল্প আছে। কোনটা লিখব বুঝতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত এটাকে ভাল মনে হল।
আর গল্পটার নাম পছন্দ হচ্ছে না। কেউ একটা ভাল নাম দিতে পারলে কৃতজ্ঞ থাকব।
.।.।.।.।.।।
আরো গল্প
প্রতীক্ষার ভালোবাসা --- গল্পের প্রথমটুকু জীবন কথা। পরের পুরোটাই কল্পকথা।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৭
ডেজার্ট ফক্স বলেছেন: আপনাকে নয়, আপনার করা পাপটাকে এক দলা থুতু। কাজটা খুবই খারাপ করেছেন। (যদি ঘটনা সত্যি হয়)..
মাইনাচ...
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৯
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: বাহ! আমার গল্প লেখা সার্থক! আপনি এটাকে সত্যি মনে করেছেন? আপনি আমার প্রথম কমেন্টটি পড়লেই বুঝবেন। ঘটনা সত্যি না। কিন্তু এমন একটা গল্প লিখতে চাইনি এটাও সত্যি।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৭
বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: সত্যিই কি নীরা আছে????
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫১
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় বাস্তবে আমাদের সমাজে অনেক নীরার অস্তিত্ব সত্যিই আছে। কিন্তু এটি একটি গল্প। আমাদের সমাজের অনেক নীরার প্রতিচ্ছবি হয়তোবা!
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫২
রেদওয়ান খান বলেছেন: খুবি ভাল হয়েছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৮
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!!! অন্য গল্পগুলোও পড়বেন আশা করি।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৬
ডেজার্ট ফক্স বলেছেন: গল্পই যদি লিখবেন, ৩র্ড পার্সন হয়ে লিখতে পারতেন। নিজেই কেন আত্বকথা টাইপ নায়ক সেজেছেন??...
পার্লে মাইনাশ আরও একটি দিতাম।..
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৪
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: গল্পটি প্রথম পুরুষে লিখেছি। কারণ আমি প্রথম পুরুষে আমি সহজবোধ করি।
আপনাকে মাইনাসের জন্য ধন্যবাদ!! অন্তত আপনার মাইনাস আমার গল্পটির জন্য একটি প্রশংসার মতো।
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: যদি গল্প হয়ে থাকে তবে বলব চরম স্বার্থক হয়েছেন আপনি। আর সত্যি হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই এটাই স্বাভাবিক আমাদের সমাজে(!)
০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১১
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: না ভাই। এটা সত্যি নয়। শুধুই গল্প। কিন্তু হয়তোবা বাস্তবের গল্প।
আমি কি গল্পটা এতটাই বিশ্বাসযোগ্য করে ফেলেছি?? তবে আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ!
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৫
ফিরোজ-২ বলেছেন: এটাই বাস্তব সত্য...................।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১১
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: কিন্তু এই বাস্তব সত্যিটা কি আমরা পাল্টাতে পারি না? আমরা কি আমাদের পশুসুলভ মানসিকতাকে পাল্টাতে পারি না?
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৩
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আমরা বলতে আমরা "পুরুষরা", যারা নারীর 'সততা থেকে সতীত্ব কে বেশী গূরুত্ব দেই।
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৮
শয়তান বলেছেন: গল্পের গাঁধনিতে একটু ভুল আছে । এই যুগের নীরারা যথেষ্ট ম্যাচিউর্ড । এরা শেষ আশ্রয় হিসাবে পতিতাপল্লীকে বেছে নেয় না ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১২
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: ভাই। হয়তোবা আধুনিক বড়লোকী মেয়েরা পতিতাপল্লী বেছে নেয় না। কিন্তু নীরার মতো সমাজের মেয়েদের কি অন্য কোন গতি আছে?
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৯
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: সবাই পরিবর্তন চায় , পরিবর্তনের সাহস কার আছে ,
ভালো লেখা
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৪
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ! আমরা পুরুষরা নারীদের কাছ থেকে এই তথাকথিত "সতীত্বের" দাবী না চাইলেই কিন্তু হবে। আমাদের পসুটাকে মারতে হবে।
তবে আমি মানি, একজন স্বীকৃত গণধর্ষিতা কোন মেয়েকে গ্রহণ করার মতো মানসিকতা এখনো আমাদের হয়নি।
১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩০
টক দঐ বলেছেন: গল্পের মধ্যের বাস্তবতা আমাকে মুগ্ধ করছে। এক কথায় দারুন।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!! আমার ব্লগ ঘুরে অন্য গল্পগুলোও পড়ার অনুরোধ রইল।
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪১
েভােরর স্বপ্ন বলেছেন: মনটা বিষন্ন হয়ে গেল ।
নীরারাকি সারা জীবন এমন ভাবে বাচবে ??
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৬
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আমরা আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করলেও হয়তোবা নীরাদের জীবনধারাও পরিবর্তন হবে।
আমাদের অন্য একটা ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। সমাজে ধর্ষণ জিনিসটাই কেন থাকবে। ইভ টিজিং থেকেই আস্তে আস্তে শেষ পর্যন্ত যায়! আমাদের সচেতন হতে হবে।
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৩
কিছুক্ষণ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন...
২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৯
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ!! অন্য গল্পগুলোও পড়ার অনুরোধ রইল।
১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৭
আকাশ মামুন বলেছেন: পরে আসব
২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৩
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: পরে কিন্তু পড়ে এবং কমেন্ট লিখে আসবেন।
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৮
কমান্ডো বলেছেন: গল্পটা যদি জীবন থেকে নেয়া হয় তাইলে আপনাকে মাইর দিয়া ল্যাংড়া কইরা দেওন উচিত। আর যদি কল্প কথা হয় তাইলেও আপনাকে মার দেয়া উচিত। কারন মাইরের উপর ঔষধ নাই।
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপনি নিরাকে কেন বিয়া করলেন না? বিয়া করলে খুব খুশি হইতাম।
প্লাস +++++++++++++
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:০৫
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আসেন আমরা শপথ নেই যে, এই গল্প আমরা সত্যি বানাতে দিব না।
ধন্যবাদ!
১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৯
রাহুল বিশ্বাস বলেছেন: খুবি ভাল হয়েছে।মনটা বিষন্ন হয়ে গেল ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: মানুষের মন বিষন্ন কোরে খুশি হওয়া যায় না। তবে াপনার মন বিষন্ন মানে ামার লেখার সার্থকতা। অনেক ধন্যবাদ!!
১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০
নীল-দর্পণ বলেছেন: বাস্তবতার উপর নির্ভর করেইতো গল্প হয়ে থাকে। তাইনা?
অনেক ভাল হয়েছে আপনার গল্পটি
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৪৯
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!!
১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৫১
আকাশ মামুন বলেছেন: আমরা প্রত্যেকেই চাই ধূলো-ধুয়া আর পাপ-পঙ্কিলতা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে কিন্তু তা কী পারি?।আনমনে জেনে অথবা না জেনে কত পঙ্কিলতার ছাপই না আমাদের গায়ে লাগাই কিন্তু বৃহৎ স্বার্থে অপরের জন্য সামন্য পঙ্কিলতা গায়ে লাগাতেও প্রস্তুত থাকি না।কিন্তু তার পরও কি আমরা বাঁচতে পারি ?পঙ্কিলতা যে আমাদের ছুঁয়েই ফেলে।এ আমাদের আমাদের এক উন্নাসিকতা।খারাপ মানসিকতার অন্তরালে ভাল মানসিকতা দেখানোর পৈচাসিকতা।
ভাল থাকবেন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৩
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ! প্রশ্ন হচ্ছে এই পঙ্কিলতা সৃষ্টি করে কে? আমাদের সমাজ। আর সমাজে কারা থাকে আমরা, আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন না করছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের পঙ্কিলতা দূর হবে না। হয়তবা কে জানে, আমাদের নীচু মানসিকতাই আমাদের সবচেয়ে বড় পঙ্কিলতা!!
১৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫১
ম.শরীফ বলেছেন: সময় না পাওয়ার কারনে এখন আর গল্প পড়া হয় না। অনেক দিন পরে গল্পটা পড়ে ভাল লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!! আমার ব্লগের অন্য গল্পগুলোও পড়ার অনুরোধ রইল।
১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৬
দূর্যোধন বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প ..........
তবে গল্পের শেষের অংশটাই বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে সত্যি মনে করি, কয়জন পুরুষ ধর্ষিতা নারীকে নিয়ে সংসার করার শজক্ত মানসিকতা রাখেন ???
হ্যাটস অফ !!!!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩১
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: দূর্যোধন এর মতো একজন বিখ্যাত ব্লগারের কমেন্ট পেয়ে আমার ব্লগ কিছুটা হলেও ধন্য হলো!! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!!
গল্পের ব্যাপারে বলবো, আমরা কি আমাদের মানসিকতা বদলাতে পারি না?? আর একটা কথা আমাদের শহুরে জীবনে এখন বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশা অনেকটাই সহজ ব্যাপার!! আমি মাঝে মাঝে ফেসবুকে আমার অনেক বন্ধুর এত খোলামেলা ছবি দেখে অবাকই হই। তারা ছবি দেয়, শুনি উলটাপালটা কাজও করে। আবার দুইদিন পরে ব্রেক আপও করে ফেলে। দুইদিন পর আবার একজন জুটিয়ে ফেলে!! তাদের কোন সমস্যা হয় না!! সমাজের উপরতলার মানুষের স্ক্যান্ডাল কিছুই না!! তারা এটাকে কোন ব্যাপারই মনে করে না। অথচ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মেয়েরা নিজের ইচ্ছের বিরূদ্ধেই অপবাদে জড়িয়ে পড়ে। মানসিকতার বদলই আমাদের পরিবর্তন করতে পারে!!
২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৭
বিভ্রান্ত পথিক ২০১০ বলেছেন: গল্প ভাল হয়েছে
০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০৯
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কষ্ট করে পড়ার জন্য!! আরো গল্প পড়ে সমালোচনার অনুরোধ রইল!
২১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১
সায়েম মুন বলেছেন: বাস্তবতার একদম কাছাকাছি গল্প। সুন্দর লিখেছেন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০০
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!! আপনার মত পুরষ্কারপ্রাপ্ত ব্লগারের কমেন্টে আমি ধন্য!! আরো গল্প পড়ে কমেন্ট দেবেন এই প্রত্যাশা।
আর হ্যা বাস্তবতার কাছাকাছিই থকতে চেয়েছি। মনে হয় বাস্তবটা আরো নিষ্ঠুর।
২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
টুনা বলেছেন: জীবন ঘনিস্ঠ গল্প যা মন ছুঁয়ে যায় । আন্তরিকতার কোন কমতি নেই । আপনি স্বার্থক ।
শুভ নববর্ষ ।
নতুন বছরের প্রতিটি ক্ষন আপনার জন্য আশার আলো নিয়ে আবির্ভূত হোক এই শুভ কামনা রইল । ভাল থাকবেন । ধন্যবাদ ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৩
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য!!
আপনাকেও শুভ নববর্ষ!! নতুন বছর আপনারও অনেক ভালো কাটুক এই প্রত্যাশা! আপনিও ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
২৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২২
অহরিত বলেছেন: ভালোবাসা নয়, এটা পৈশাচিতকতার গল্প।ভালোবাসার মানুষের সাথে এমন কেউ করতেই পারেনা!
আরো গল্প লেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলাম।ভালো থাকুন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৭
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: হুমম, বলতে পারেন এটা পৈশাচিকতার গল্প। কিন্তু আমাদের সমাজে আমরা বেশিরভাগ মানুষেরাই কি এমন পৈশাচ নই?
ড়ৎশড়ের মতো একজন লেখকের মন্তব্যে আমি অনেক প্রেরণা পেলাম। আমার অন্য গল্পগুলোও পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
২৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩০
সজীব বড়ুয়া নীল বলেছেন: স্বার্থক বাস্তবতার গল্প, বাস্তবতার মুখোমুখী হলে জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া বোকামী নয়। নীরার জন্য বড্ড খারাপ লাগছে, আমাদের এই সমাজের হীনমন্যতাকে কুড়াল মারি।
লিখাটা অসাধারণ ভালো ....
১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটিও অসাধারণ ভালো। কিন্তু এই বাস্তবতা কি আমরা পালটে দিতে পারি না? সবসময় কেন এই কঠিন সিদ্ধান্তটি নিতে হবে? কেন আমরা আমাদের মাসসিকতা পরিবর্তন করতে পারি না?
২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:১৫
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: আগেই পড়েছি,মন্তব্য করা হয়নি।ভাল লাগল।
ভাল থাকবেন ভাইয়া,শুভকামনা।
১৪ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪০
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ! ভাব নাও কেন?
অন্য গল্পগুলোকেও কমেন্ট দেও।
২৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:২৪
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: বন্ধুরা সবাই এসেছেন । ভাল বলেছেন । কিন্তু তারা একটা বিষয় খেয়াল করেন নি, শুরুটা আপনার কেন জানি জমে না । এটার শেষ কিন্তু ভাল হয়েছে । আপনি আরো লিখুন । এবং নিজেকে চরিত্রের বাইরে এনে লিখুন । মানে ভাব বাচ্যে একটা গল্প লিখুন । ভাল লাগবে ।
আর একটা কথা গল্পের থিম আমার পছন্দ হয়েছে । আপনি যদি অনুমতি দেন আমি আবারো লিখতে চাই । জানাবেন..................
Click This Link
০২ রা মে, ২০১১ বিকাল ৪:১০
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: ভাই, এটা কিন্তু ঠিক বলেননি আমার কোন বন্ধুদের সাথেই আমার সামু ব্লগে যোগাযোগ নেই। এই গল্পে এক "অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ" ছাড়া আর কোন মন্তব্য প্রদানকারীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না আর অদৃশ্য সত্তাকেও আমি ঠিক বলিনি যে মন্তব্য প্রদান করতে।
যাই হোক, আপনি ঠিক বলেছেন, আমারো মনে হচ্ছিলো যে, প্রথমটুকু জমেনি। আর ভাববাচ্যে গল্প লেখার চিন্তা করি; কিন্তু আমি কেন জানি প্রথম পুরুষে সাবলীল বোধ করি।
আর এই গল্পের থীম নিয়ে লেখা নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। আবারো ধন্যবাদ!!
২৭| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১২:৩৫
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমি বণ্ধুরা বলতে আপনার বন্ধুদের কথা বলিনি । আমার ব্লগার বন্ধুদের কথা বলেছি, আপনি বিষয়টা প্লিজ অন্যভাবে নেবেন না । মুন ভাই, দুর্যধন এদের কথা বলছিলাম । এরা অনেকেই আমার লেখা পড়েন এবং কমেন্ট করেন । তাই এদের কথা বলেছি । আশা করি ভুল ভাঙল ।
দয়া করে কিছু মনে করবেন না । আমার সমালোচনা বোধহয় বেশি হয়ে যাচ্ছে । এবার অফ যাওয়া উচিত ।
আমার লেখাটায় আপনি কমেন্ট না করলে বুঝবো মাইন্ড করেছেন ।
০৯ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:০৮
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আরে না না!! মাইন্ড করিনি। আমি অবশ্য একবার ভেবেছিলাম আপনি বোধহয় এই গল্পের প্রথম কমেন্টের কথা বলেছেন। যেখানে আমার বন্ধু, আত্মীয়দের কথা বলা আছে। যাই হোক, মুন ভাই, দূর্যোধন দা এরা আমার প্রিয় ব্লগার তো বটেই। সুতরাং ব্লগীয় বন্ধু বলাই যায়।
আর আপনার সমালোচনা খুবই ঠিক আছে। আমার লেখা উত্তরণের জন্য এমন সমালোচনাই দরকার ছিল।
আমি কমেন্ট করবো।
২৮| ১৭ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:২৫
তুসিন আহমেদ বলেছেন: কিছুই বলার নেই। সত্যি আমাদের সমাজটুকু এমনই.........
২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:০২
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: এই সমাজের পরিবর্তন কার হাতে??
২৯| ২৫ শে মে, ২০১১ রাত ১:২৫
কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি বলেছেন: গল্পের নামটা ঠিক হয় নি আসলেই। কাহিনীর শেষের দিকে এসে মেয়েটার জন্য কোথাও কোন ভালোবাসা ছিলো না। যাকে নিয়ে এত এত স্বপ্ন গড়া হয়ে গেলো সেই মানুষটাও এক মুহুর্তে পর হয়ে গেলো........মেয়েটাকে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীটাতে এই সময়ে একা ছেড়ে দিলো!
গল্পের বাড়িওয়ালার ছেলেপুলেগুলোর মত সমাজের যেই সব নোংরা লোকজন আছে তাদেরকে যেমনে ঘৃণা করি তেমনি ঘৃণা করি এই গল্পের নায়কের মত কাপুরুষদেরকেও।
আর খুবই দুঃখের ব্যাপার হলো, যখন এই রকম কিছু ঘটে, তখন সমাজের মানুষ নীরার মত অসহায় মেয়েগুলোকে ঘৃণা করে, তাদের দেখে ছি ছি করে, তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়! অথচ, যেখানে শাস্তি আর ঘৃণা পাওয়ার কথা সেই নোংরা মানুষগুলোর যারা এই রকম বাজে কাজ করে। খুবই অদ্ভুত!
আমরা মনের দিক থেকে কখনোই বড় হয়ে উঠি না এটা খুবই দুঃখের ব্যাপার।
নীরা, তোমরা বেঁচে থাকো এই সুন্দর পৃথিবীতে সমস্ত সুন্দরতার মধ্য দিয়ে, আর তোমাদের কাছে ধরা দিক পবিত্র ভালোবাসা। কারণ আমি আজো মনেপ্রানে বিশ্বাস করি যে পবিত্র ভালোবাসার চেয়ে মুল্যবান কিছুই এই জগতে নেই.....আর পবিত্র ভালোবাসা আমাদের চোখের আড়ালে ঠিকই আছে।
*****************************************************************
প্রিয় লেখক, অনেক শুভ কামনা রইলো। সব লেখা পড়ে কিন্তু মানুষ ইমোশনাল হয়ে পড়ে না। খুব কম লেখাই আছে যা পড়ে মানুষ প্রভাবিত হয়। খুব কম লেখাই থাকে যা পড়ে মানুষের চোখে জল আসে। খুব কম লেখাই থাকে যেই লেখার সুখ-দুঃখ, ঘৃণা, হিংসা, বিষাদ মানুষকে ছোঁয়ে যায়। এই লেখা এমনি একটা লেখা। এই গল্প পড়ে নীরার জন্য লেখকের মন ব্যাথায় ভরে উঠেছে, পশুর মত কাজকর্ম দেখে লেখক ঘৃনায় আর রাগে জ্বলে উঠেছে। এইখানেই লেখকের স্বার্থকতা।
২৮ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:২৯
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!! উপরেরটুকু যে তুমি বুঝতে পেরেছো, এইজন্যে তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!! লেখার নামটা আমি আসলে দিয়েছিলাম, লেখকের পক্ষ থেকে। আমার নিজের পক্ষ থেকে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে "নীরার জন্য ভালবাসা"। তোমার মন্তব্যের শেষের অংশটুকু পড়ে নিজেকে একটু গর্বিত লেখক মনে হচ্ছিল। এত্তো প্রশংসার যোগ্য না।
আর এই গল্পের সারকথা একটাই, আমাদের সমাজচিত্র যতটুকু সম্ভব পাল্টানোর চেষ্টা করা।
৩০| ২৫ শে মে, ২০১১ রাত ১:৩১
কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি বলেছেন: পাঠকের হবে
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৮
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: হুমম। বুঝেছি।
৩১| ০৮ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২২
স্বপ্নময়ী_আমি বলেছেন: সত্যিকার ভালবাসা কি কখনো এমন হতে পারে?? না, কক্ষনো না।
এমন ভুল ভালবাসা কাউকে ছুঁতে না পাক।
লেখার হাত তো তোমার অসাধারণ ছোট্ট ভাইয়া, আরো গল্প লিখবে, অপেক্ষায় থাকবো
২৭ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০১
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপু, অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের জন্য!! হুমম। ভালবাসা এরকম হবার কথা না! কিন্তু কি করা? এটাই কি আমাদের সমাজে সত্যি না?
যাই হোক, প্রশংসার কারণে বিনয়ে গলে গেলাম। আমার অন্য গল্পগুলোও পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
৩২| ২৭ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫১
জাফরিন বলেছেন: প্রিয়তে!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:২৯
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!! আমার অন্য গল্পগুলোও পড়ার অন্যরোধ রইল।
৩৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:১৯
সহ্চর বলেছেন: আপনার এই গল্প টা তখন ই পড়েছিলাম। কিন্তু তখন আইডি না থাকায় কমেন্ট করতে পারিনি।
যাই হোক লেখনি অনেক ভালো।
নীরার জন্য ভালবাসা।
নীরা... নীরা... নীরা অনেক অনেক দিন পর অনেক কিছু মনে পড়ে গেল।
ভালো থাকবেন
২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:২৯
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: নীরাটা কে ভাই? সরি, কিছু মনে করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত জীবনের কোন স্মৃতি? আপনার অনেক কিছু মনে করাতে পেরে ভালো লাগলো। সে সুখের স্মৃতি হোক আর দুখেরই হোক!
৩৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৮
নীল কষ্ট বলেছেন: গল্প নিয়ে আর কি বলবো
সবাই সবকিছু বলে গেছে
এই একটা ব্যাপার অনেকের ভেতর দেখি_ "যে কোন একটা কিছু হোক"_সে তার ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে চলে যায়।
এই মানুষ কি আদৌ ভালোবাসতে জানে? তারা কি জানে ভালোবাসা কি?
কত অবলীলায় ছেড়ে চলে যায় গহীনে ছুঁড়ে ফেলে
তাদের কে হৃদয়ের সবটুকু ঘৃণা-------------
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২০
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন:
জানেনা আপু, এরা ঠিক ভালোবাসতে জানে না! যদিও আমাদের পুরুষদের জন্য এমন একটা ঘটনা ফেস করা অনেক কঠিন একটা ব্যাপার! আমাদের মানসিকতা এটার জন্য এখনও প্রস্তুত কিনা জানিনা।
৩৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: খুব চমৎকার একটি গল্প পড়লাম এবং ভালো লাগার আবেশ রেখে গেলাম।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২১
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! অন্য গল্পগুলোতেও মন্তব্যের অনুরোধ রইল।
৩৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৮
এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: ভাল লাগছে। আপনার অন্য গল্প গুলিও পড়ার আশা রাখছি।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৫
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ! ইচ্ছে আছে টানা গল্প লিখবার! সময় কম!
৩৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪
সোহাগ সকাল বলেছেন: পরেছিলাম কয়েকদিন আগে। মোবাইলে। অনেক ভালো লেগেছে ভাই। নীরাদের জন্য আরও লিখা প্রত্যাশা করছি।
অপেক্ষায় থাকবো।
+++++++++
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সোহাগ সকাল আপন আপনাকে! ইচ্ছে আছে, আরও লিখবার! এখন থেকে লেখালেখি কন্টিনিউ করবার ইচ্ছে!
৩৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২১
রাফা বলেছেন: এটাই আমাদের সমাজের আসল চিত্র।আমরা নারী অধিকারের জন্য মিটিং মিছিল সবই করি।কিন্তু একজন নীরাকে গ্রহণ করতে চাইনা।
কস্ট কস্ট ভালো লাগার গল্প।
৩৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
এস আই জয় বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম..........
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: এই গল্পটা আমি লিখি আমার কর্মস্থলে বসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে। প্রথম পাঠক আমার সহকর্মী এক ডাক্তার ভাই। উনি গল্পটি পড়ে মন খুব খারাপ করে আমার সাথে পারলে কথা বলা বন্ধ করে দেন। পরে বাসায় আসার সময় ট্রেনে আমার মামাতো ভাই ফয়সালকে গল্পটি পড়াই। গল্পের মাঝ...ামাঝি এসে ও আমাকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়। গল্প শেষে বলে, ট্রেন ভর্তি মানুষ না থাকলে নাকি আমাকে সেখানেই গাইড়া ফেলত!!(??)।। গল্প প্রকাশিত হওয়ার পর আমার আরেক খালাতো ভাই গত দুই ঘণ্টা ধরে আমাকে নারীর কুমারীত্ব, আমাদের পুরুষদের পশুসুলভ মানসিকতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমাকে ধুয়ে দিয়েছে। একদম WASH OUT!!
এবারে আমার কথা বলি,
আমি যখন গল্পটা লিখছিলাম আমি নীরার সাথে একেবারে মিশে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন নীরার প্রত্যেকটি চলাফেরা আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।নীরার কথা মনে করে সত্যি মনটা ভীষণ খারাপ। আমার সৃষ্ট চরিত্রের পরিণতিতে আমার মনই তো সবচেয়ে বেশি খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। নীরার এই পরিণতি আমি কখনোই লিখতে চাইনি। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমার কলমকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। আমি সমাপ্তি লেখার সময় হাতের কলমটাকে কয়েকবার ছুঁড়ে মেরেছি। শেষ করে কলমটাকে অনেক জোরে একটা আছাড় দিয়েছি। নিজেকে গালাগাল করেছি। নীরার এমন পরিণতি প্রাপ্য না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের সমাজে এটাই বাস্তবতা। নীরারা এমন পরিণতিই লাভ করে। হয় তারা আত্মহত্যা করে নাহলে তাদের স্থান হয় নিষিদ্ধ পল্লীতে। আমি বুঝাতে চেয়েছি পরিস্থিতির স্বীকার নীরারা যেন এমন পরিণতি লাভ না করে। আমরা পুরুষরা যেন এসব ব্যাপারে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠতে পারি। যদি গল্পের মাধ্যমে তা না বুঝাতে পারি তা আমার ব্যর্থতা।