নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলায় কথা কই, বাংলায় লেখা লিখি

শেখ মিনহাজ হোসেন

আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই। Facebook name: Sheikh Minhaj Hossain সার্চ দিলে একজনই পাবেন সারা বিশ্বে। :)

শেখ মিনহাজ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ স্যার, আমার চিঠিটা একটু পড়বেন? আপনাকে ধন্যবাদ দিব, আমাদের মধ্যবিত্তের মানসিকতাটা গড়ে দেবার জন্যে!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩







শ্রদ্ধেয় স্যার,



মৃত্যুর ওপারে ঠিক কেমন আছেন জানিনা। তবে পৃথিবী থেকে যে ভালবাসা আর দোয়া নিয়ে বিদায় নিয়েছেন তাতে বিধাতার আপনাকে ভালোই রাখার কথা। ১৯জুলাই তারিখটার কথা আমার ভালোই মনে আছে। তখন বাংলাদেশে ছিলাম। ১৮তারিখ রাতে হঠাৎ করেই টিভিতে জানানো হলো যে, আপনার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। বলা হলো আপনার সুস্থতার জন্য দোয়া করতে! এশার নামাজ আগেই পড়ে ফেলেছিলাম, তবু আবারো ওযু করে নফল নামাজ পড়েছিলাম শুধু আপনার রোগমুক্তির প্রার্থনায়। বিধাতা তখন আমার সেই প্রার্থনা শুনেননি। যখন সবচেয়ে ভয়াবহ খবরটা প্রথম পেলাম মনে হয়েছিলো বুকে কেউ বাড়ি দিলো, চোখে অশ্রু কোথা থেকে এসেছিলো ঠিক বুঝিনি। বিশ্বাস করুন স্যার, এইমুহূর্তে যখন সেই কথা মনে করার চেষ্টা করছি, আবারো সেই কষ্টটা খুব লাগছে। আপনি যখন “শ্রাবণ মেঘের দিনে” নিথর বেশে শহীদ মিনারে এসেছিলেন, সেদিন সম্ভবত ওখানে উপস্থিত হওয়া প্রথম পাঁচজনের মধ্যে আমি ছিলাম। আমার এক আত্মীয়কে বলেছিলাম, “সম্ভবত, তোমার মৃত্যুতেও এতটা কষ্ট পাবো না, যতটা হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে পেয়েছি!” কেন জানেন স্যার? কারণ, আপনি আমাদের বেড়ে উঠায় এমনভাবে জড়িয়ে আছেন, যা আর কেউ কখনো পারেনি! আমার বেড়ে ওঠার প্রত্যেকটা আদর্শে যে আমি আপনার প্রভাব পাই স্যার।



আপনার কথা মনে করলে প্রথম চোখে ভাসে “বাকের ভাই” এর ছবি! মনে আছে, বাসায় সবাই মিলে বাকের ভাইয়ের নাটক দেখছি, আর কাঁদছি। কী আশ্চর্য, আজ আমরা সবাই আছি, অথচ আপনাকে যেখানে চিঠি লিখছি সেখানে আমরা “কোথাও কেউ নেই”।



"আমার ছেলেবেলায়" বাসায় পড়া মানেই ছিল স্কুলের বইয়ের পড়া! শুধু আমার কেন, আমাদের মধ্যবিত্ত বাঙালি কয়জনের বাইরের বই পড়ার অভ্যাস ছিল, বলেন স্যার! অথচ আমাদের বই পড়াটা আপনি প্রায় একাই শিখিয়ে দিলেন! প্রথম সম্ভবত ক্লাস সিক্সে আপনার বই পড়ি। “বোতল ভূত” পড়বার পরে অনেকদিন চিন্তা করতাম, যদি আমার একটা পোষা ভূত থাকতো, আমি হয়তো ইচ্ছেমতো সব করিয়ে নিতে পারতাম। আমার কল্পনার রাজ্যটাকে তো আপনিই খুলে দিয়েছিলেন স্যার। যে শৈশব-কৈশোর একেবারেই বর্ণহীন হবার কথা, তাকে এমন কল্পনামুখর করে আর কে সাজাতে পারতো, বলুন? একবার আমার খুব জন্ডিস হয়েছিলো। তখনই প্রথম আপনার বইয়ের রাজ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম খুব ভালো করে। হিমু, শুভ্র, মিসির আলী, ফিহাদের সাথে পরিচয়। আমার সমস্যা কি ছিল জানেন স্যার? আমি একসাথে সব হতে চাইতাম। আমার নিজেকে আমি গড়েছি আপনার বই পড়ে! যখন যেই বই পড়েছি নিজেকে উপন্যাসের নায়ক ভাবতে চেয়েছি! আপনিই তো বলতেন, জ্ঞানের শুরু কৌতুহলে। চারপাশে কত রহস্য। রহস্য ভেদ করে জ্ঞানটাকে বের করে নিতে হবে। “কে কথা কয়”, “ম্যাজিক মানব” “দ্বিতীয় মানব”—বইগুলোতে আপনি কিভাবে আমাদেরকে রহস্যে, মানুষের জীবনে আগ্রহী করেছেন জানেন স্যার? হিমুর মতো ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে ঘুরতে চেয়েছি, সবার সাথে মিশতে চেয়েছি সমানভাবে। সবার মন পড়তে চেয়েছি। আবার একই সময়ে মিসির আলীর মতো যুক্তির চিন্তা করতে চেয়েছি, বাসার কাজের ছেলেটাকে পড়াব বলে ঠিক করেছি। ফিহার মতো বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে চেয়েছি। মনে করেছি শুভ্রের মতো বিশুদ্ধ মানব হবো। পারিনি কখনোই, বরং নিজের “পাপ”-পঙ্কিল অংশগুলো দেখে আঁতকে উঠেছি বারেবার। তবুও তো একটু ভালো থাকতে চেয়েছি এই চরিত্রগুলোকে আদর্শ মানবার কারণেই, সেটাই বা কম কি স্যার!



যখন “বহুব্রীহি” পড়েছি তখন থেকেই তো স্বপ্ন বুনেছি একটা সুন্দর পরিবারের, “আমাদের একটা সাদা বাড়ি” হবে। সেই বাড়িতে পরিবারের “আনন্দ-বেদনার কাব্য”গুলো লেখা হবে অবিরত। জীবন যে শুধুই দায়িত্ব পালন নয়, গতানুগতিকভাবে আগের প্রজন্মকে অনুসরণ করে যাওয়া নয়! রোমান্টিকতা আর নানা আয়োজনে যে জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্তকে রঙিন করে তোলা যায়, সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায় সেটাতো আপনিই আমাদের শিখিয়েছেন! কোন এক “ছুটির নিমন্ত্রণে” পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাবো নির্ভার আনন্দে, মাঝে মাঝে বাসার ছাদে গান গাইব সবাই মিলে, কিংবা ড্রইং রুমে নিয়মিত বসবে হাসি-ঠাট্টা আর আলোচনার আসর। শুধু যে উচ্চাকাঙ্খার পিছনে ছুটে চলার নাম জীবন নয়, “ছোট্ট কিছু আনন্দময় মুহূর্তের সমষ্টির নাম জীবন”- এই দর্শনটা আপনি না থাকলে কিভাবে জানতাম স্যার!



আরেকটু বড় হচ্ছি স্যার, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আপনার মতো লিখতে খুব ইচ্ছে হলো। তখন বুঝলাম, আমি হয়তো আতাহারের মতো ব্যর্থ “কবি” যে জীবনের সৌন্দর্যের জন্যেই হাহাকার করে। প্রথম যখন আমেরিকা আসার কথা হলো, আমি আসতে চাইনি। এয়ারপোর্টে রওনা দেবার আগে দাদুকে জড়িয়ে ধরে খুব বলতে ইচ্ছে করছিলো, “আজ আমি কোথাও যাবো না!” কিন্তু ওই যে বললাম, “উড়ালপঙ্খী”-র মতো “সকল কাঁটা ধন্য” করে উড়তে আমি ব্যর্থ, তাই এই “নির্বাসন” ঠেকাতে পারিনি। তবু এই “অচিনপুরে” নিজেকে বন্দী করে রাখিনি। বরং “শঙ্খনীল কারাগারের” সেই বড় ভাইটি হতে চেয়েছি, নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনে যার আশা কোনভাবে বাবার সাথে সংসারের হাল ধরা, মা’র আজীবনের কোমর ব্যাথার চিকিৎসা, ছোট ভাইয়ের সাইকেল, আর বোনের চুলের ফিতেটা কিনে দেয়া। ছোট্ট আশায় তাদের দিকে তাকিয়ে "নন্দিত নরকের" মন্টুর মতো খুব বলতে ইচ্ছে করে, “তোমাদের বড় ভালবাসি”।



স্যার জানেন, পড়াশোনায় আমি কখনো খুব ভালো ছিলাম না। কিন্তু “হোটেল গ্রেভারইন”-এ আপনার শূণ্য থেকে একশ পাবার ঘটনা পড়ে আমি নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছিলাম। অনেকবার ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু বারে বারে মনে হয়েছে, এই যে, আবারো শুরু করা যাবে। একবার খারাপ করা মানেই তো সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। আপনার প্রায় বইয়েই কত চরিত্রই তো জীবনের চরমতম দুরাবস্থা থেকে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে গিয়েছেন। আপনার কাছ থেকে জীবনের অনুপ্রেরণা খুঁজছি স্যার, সবসময়!



প্রায়ই স্কুল-কলেজের বন্ধুদের অনেক মনে পড়ে স্যার। মনে হয়, কোন “গৃহত্যাগী জোছনায়” “চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবকের” মতো বন্ধুরা যদি মিলে হেঁটে যেতে পারতাম। ওই “অনন্ত নক্ষত্রবীথির” দিকে তাকিয়ে জীবনের উচ্ছ্বলতা, মানে খোঁজার চেষ্টা করতাম। তখন হয়তো জীবনের “কৃষ্ণপক্ষ” আমাকে কখনোই আমাকে স্পর্শ করতে পারতো না। কিন্তু পারি না স্যার। মাঝে মাঝে ফেসবুকে বন্ধুদের ঘুরতে যাওয়ার ছবি দেখি। সেই যে “দারুচিনি দ্বীপের” মতো, যেখানে শুধুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা মিলে আনন্দে কয়েকটা দিন কাটাবার জন্যে “রূপালী দ্বীপে” চলে যায়, সমুদ্র দেখবে বলে! তারুণ্যের বাঁধভাঙা পরিমিত উচ্ছ্বাসটা আপনার মতো করে আর কে শেখাতে পেরেছে স্যার।



আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রেম ছিল না স্যার, রবীন্দ্রনাথও ছিলেন না। সেই যে পড়া “বৃষ্টি বিলাস”- সেখানে মলাটে লেখা “এসো নীপবনে”। সেখান থেকেই রবীন্দ্রনাথকে চিনেছিলাম। তখন থেকেই চিন্তা করতাম, কোন এক বর্ষায় আপনার “বর্ষার প্রথম দিনে” গানের সাথে নীপবনে কোন “একজন মায়াবতী”র হাত ধরে বৃষ্টিস্নান করব। সেই কবে থেকে ভেবে এসেছি, কোন এক মারিয়া/“নবনী”/জরী হয়তো আমার জন্যে তার সবগুলো “নীলপদ্ম” নিয়ে বসে আছে “দরজার ওপাশে”। তার সাথে কোন এক “রূপালী রাত্রি”-তে “তেঁতুল বনে জলজোছনায়” সিক্ত হবো। আমার কল্পনার “দেবী” আমায় ধরে বলবে, “তুমি আমার জন্যে দু-ফোঁটা চোখের জল ফেলেছো, আমি তোমার জন্যে জনম জনম কাঁদব!” কী স্বপ্ন স্যার! সেই যে হিমুকে লেখা “রূপা”-র চিঠি, “আমার চেরাগের দৈত্যের কাছে কিছু চাই না, যা চাওয়ার সব হিমুর কাছে চাইবো।” তখন থেকেই ভাবতাম, “দিনের শেষে” যখন ঘরে ফিরবো তখন আমার জন্যে কেউ এমন “অপেক্ষা” করে থাকবে যার সব চাওয়া শুধু আমার কাছেই হবে! নীলুর মতো পরিবারের সব দিক খেয়াল করা একজন "পরী"র সাথেই আমার “এইসব দিনরাত্রি” কাটবে। এখনও স্বপ্ন দেখি। আমার এই মধ্যবিত্ত মানসিকতায় আপনি ভালবাসার হাহাকারটা সেই কৈশোর থেকেই এমনভাবে ঢুকিয়ে দিয়ে কাজটা ভালো করেননি স্যার! মাঝে মাঝে একে নিতান্তই "তন্দ্রাবিলাস" মনে হয়!



নিজের কথা তো অনেক বললাম, এবার একটু দেশের কথা বলি। “১৯৭১”-এর মুক্তিযুদ্ধের সেই প্রচণ্ড “মাতাল হাওয়ার” সময়টা আমি হয়তো কখনোই সেভাবে অনুভব করতে পারতাম না যদি না আপনার “জোছনা ও জননীর গল্প” পড়তাম। আপনি আমার মধ্যে দেশপ্রেম ব্যাপারটা ঢুকিয়ে দিয়েছেন স্যার! আজ তো সবাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বলে, কিন্তু আপনি সেই কবেই “জলিল সাহেবের পিটিশন” লিখে গিয়েছেন। সেই পিটিশন যেখানে জলিল সাহেব পঞ্চাশ লাখ স্বাক্ষর যোগাড় করছেন শুধু অপরাধীদের বিচার শুরু করবার জন্যে! আর এখন তো খুব অবলীলায় কাউকে বলতে পারি স্যার, “তুই রাজাকার”। এটাতো আপনিই শিখিয়ে গেছেন, তাই না? আপনার পড়াশোনা শেষে শুধু দেশের টানে প্রচণ্ড অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় ফিরে আসাটা আমাকে সবসময়েই অনুপ্রেরণা দেয়! “মধ্যাহ্নের” প্রখর রোদেই হোক আর বিকেলের “শ্যামল ছায়ায়”, সহজ-সরল পারিবারিক জীবনেই দেশের মধ্যে কত শান্তি সেটা কি আপনার মতো করে আর কেউ বুঝাতে পেরেছে স্যার? এই বিদেশ-বিভুঁইয়ে মাঝে মাঝে দেশকে স্পর্শ করতে ইচ্ছে হয় খুব। তখন আমি “আগুনের পরশমণি”র মতো করে হাত বাড়িয়ে সূর্যের আলোটাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করি। মনে হয়, এই আলোটাই তো দেশেও যাচ্ছে! তখন খুব কষ্ট হয়, দেশের জন্যে খুব হাহাকার লাগে স্যার। "মেঘ হয়ে বলতে ইচ্ছে করে যাবো যাবো।" তবু দেশ নিয়ে অনেক ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখি স্যার। আপনিই তো লিখেছিলেন, "মোরা এই দিনেরে নিয়ে যাবো সেই দিনেরো কাছে!" আমাদের যে সেই "সূর্যের দিনে" যেতেই হবে, হবেই!



একটা মজার ব্যাপার জানেন স্যার, ওইদিন আমার আপু বলছিলো যে, ওর যখন মন খারাপ হয় খুব তখন নাকি ও “আজ রবিবার” দেখে। ওটা দেখলে নাকি মন ভালো হয়ে যায়। কী আশ্চর্য, আমিও তো তা-ই করি। বাংলা নাটকে "একদিন হঠাৎ" আপনি এলেন, আর কিভাবে "হাসন রাজার" মতো বাংলা নাটকের "ছোট মির্জা" হলেন স্যার। "তারা তিনজনের" মতো একের পর এক হাসির নাটক দেখিয়ে আপনি কিভাবে পারতেন মানুষকে বন্দী করে রাখতে? আমাদের ছোট্ট ছোট্ট আবেগের প্রত্যেকটা জায়গাগুলোকে স্পর্শ করতে আপনাকে কে শিখিয়েছিল স্যার? প্রতিদিন একটা করে অন্তত ভালো কাজ করতে ইচ্ছে হয় আপনার “সবুজ ছায়া”র কারণে।



পড়তে পড়তে বোধহয় আপনি বিরক্ত হয়ে পড়ছেন স্যার, তাই না? শেষ করে দিচ্ছি চিঠিটা। আপনি বলেছিলেন, সারাজীবন আপনি “জোছনার ফুল” ধরতে চেয়েছেন, কিন্তু পারেননি। আমারও ঠিক তেমনই অবস্থা। মাঝে মাঝে কল্পনায় “ময়ুরাক্ষী” নদী “পারাপার” হতে ইচ্ছে হয় স্যার। তখন কল্পনার “লীলাবতি”-র সব দুর্ভাগ্যকে বরণ করে সাথে চলতে চাই সৌভাগ্যের আশায়। তবুও আমি হিমুর সেই লাইনটা মনে করে জীবনে এগিয়ে যেতে চাই, সেই যে বিখ্যাত লাইন, “আমাকে তো আর দশটা সাধারণ ছেলের মতো হলে চলবে না। আমাকে হতে হবে অসাধারণ।”— এখন “নিউ ইয়র্কের নীলাকাশে একটা ঝকঝকে রোদ”। এই রোদের আলোয় আপনার বুনে দেয়া স্বপ্নগুলোকে নিয়ে আমি সেই অসাধারণত্ব ছুঁতে চাই স্যার। সেই স্বপ্নে সফল না হলে সেটা হবে একান্তই “আমার আপন আঁধার!” তবে “আশাবরী” হয়ে স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই। আপনাকে ধন্যবাদ স্যার, আমাদের শৈশব-কৈশোরটাকে এতো সুন্দর আর রঙিন করার জন্যে, আমাদের জীবনটার মানে বোঝাবার জন্যে! বাঙালি মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন জীবনের হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ আর স্বপ্ন নির্মাণের মহান সারথী, হে “বাদশাহ নামদার” “আপনার জন্য ভালবাসা”, আপনাকে ধন্যবাদ! "মেঘের উপরের বাড়িতে" পরম করুণাময় আপনাকে শান্তিতে রাখুন







--শেখ মিনহাজ হোসেন

নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: প্রচণ্ড আবেগ নিয়ে লেখা! মূলত "অপরবাস্তব" এ লেখা জমা দেবার একটা উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু লেখাটা লিখতে গিয়ে স্যারের বইগুলো, চরিত্রগুলো ভেসে উঠেছে আবারো চোখের সামনে! আমি চেয়েছি, স্যারের উল্লেখযোগ্য অনেক বইয়ের নাম এখানে তুলে আনতে। এখানে প্রায় ৫৫+ বইয়ের নাম আছে। ভালো-খারাপ যাই লাগুক সমালোচনামূলক মন্তব্য করলে খুশি হব। ধন্যবাদ!

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৫

সাদরিল বলেছেন: হে আবেগী, তুমি তো হয়ে গেলা বিবাগী

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: হুমম! :) অনেক আবেগ নিয়ে লিখেছিলাম। ভালো হয়নি। :( তবু লিখতে গিয়ে স্যারকে মনে করেছি, সেটাই বড় কথা।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৬

জিকসেস বলেছেন: ভাল লাগল।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জিকো ভাই আপনাকে! আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে! সত্যিই। :)

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৭

সুখ নাইরে পাগল বলেছেন:
হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আপনার পুরো অনুভূতিটা প্রকাশ করলেন। দুঃখ আমি পারি না।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫১

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনুভূতি প্রকাশ করেছি আমার নিজের জন্যে। স্যারকে মনে করবার জন্যে। এর বাইরে কেউ পড়েছে বলে মনে হয় না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬

রীতিমত লিয়া বলেছেন: আমরা তোমাকে ভুলব না

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: কখনো ভুলব না! :) ভুলা সম্ভব না!

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ওয়ান অব দ্যা বেস্ট ট্রিবিউট, আই হ্যাভ এভার রিড। রিয়েলি ওয়ান্ডারফুল জব।

+++++++++++++++

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মন্তব্যের জন্যে! সারারাত বসে, বইগুলোর নাম আলাদা করে নিয়ে লেখাটা মিলানোর চেষ্টা করেছি। আপনার ভালো লেগেছে। :) এজন্যে সত্যিই ভালো লাগছে। আর হুমায়ূন স্যারের বিষয়ে লেখায় আপনার হিমু বিষয়ক "প্রেমিকার ব্যাপারে কথা ছিল" এর কোন তুলনা নেই। আমি একমাত্র ওই লেখাটার ব্যাপারেই নিশ্চিন্ত যে, সিউর অপরবাস্তবে যাবে।

৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

রাফা বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ।মনে হয় হুমায়ুন স্যার জড়িয়ে আছে আপনার জিবনের প্রতিটি পরতে পরতে।

হুমায়ুন স্যারের সাথে আমার একটি সুন্দর স্বৃতি আছে।প্রায় প্রতিটি বইই আমার পড়া।স্যরকে নিয়ে আরো লিখেন।

ধন্যবাদ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাফা ভাই। হুমম। আমরা বড় হয়েছি হুমায়ূন আহমেদের স্যারের বই, নাটক, সিনেমা এগুলোর সাথে। :) আসলেই উনি ছড়িয়ে আছেন জীবনের পরতে পরতে। :) আমাদের প্রজন্মের মানসিকতাটা গড়ে দিয়েছেন উনি।

আমারো প্রায় উনার সব বই পড়া। লেখার ইচ্ছে আছে। কিন্তু কেউ তো পড়ে না। তাই লেখার উৎসাহ পাই না। ভালো লিখি না এটাও একটা কারণ। :( ভেবেছিলাম, এটা অন্তত নির্বাচিত পাতায় যাবে। যা-ই হোক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ভাই।

৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

রাফা বলেছেন: কারো পড়ার দরকার নেই ।নিজের জন্য লিখেন।আমি এমন অনেক ব্লগারের লেখা পড়েছি যা এক কথায় যে কোন প্রথম শ্রেণীর উপন্যাসকেও হার মানায়। কিন্তু কোন মন্তব্য নেই।এখানে দুই লাইনের পোস্টই বেশি মন্তব্য পায়।এটাতো বুঝতেই পারছেন।

ধন্যবাদ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: হুমম! ব্লগে অনেক ভালো লেখক আছেন, যারা প্রচার পাননি। আপনার মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রেরণা হিসেবে আপনি অসাধারণ।

৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনেক টাচি - অনেক আবেগমিশ্রিত একটা লেখা ! অনেক ভাল লাগছে পড়ে! তুমি অনেক ডিটেইল এবং গভীর লিখতে পারও!

অপরবাস্তবে লেখাটা দিও - এই লেখাটা যদি নির্বাচিত না যায় তাহলে বুঝতে হবে সামুর মডু প্যানেলে ঝামেলা আছে!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: মাসুম ভাই, আপনার মন্তব্য পেয়ে সত্যিই ভালো লাগছে। প্রশংসায় বিনয়ে গলে গেলাম। গভীর লিখতে আমি পারি না। তারপরও আপনি বলেছেন, ভালো লাগছে।

অপরবাস্তবে লেখা দিয়েছি। :) অনেক ধন্যবাদ!

১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: অসাধারণ লেখনী......

শ্রদ্ধা ও শোক...... অনেক অনেক.....

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ! স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক!

১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

মাক্স বলেছেন: আপনার লেখা ভালো হইছে।+++++++++
অপর বাস্তবের জন্য কি সিলেক্ট হইছে লেখাটা?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! অপরবাস্তবের লেখার সিলেকশন তো এখনও হয়নি। মনোনয়ন হিসেবে দিয়েছি। এখন প্রাথমিক নির্বাচন তো চলছে। :)

১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

মাক্স বলেছেন: সিলেক্ট হইছে কিনা জানাইয়া আইসেন কিন্তু।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: এখনো তো সিলেকশন তারা করেনি। সিলেক্ট হলে তো অবশ্যই তারা জানাবেন আশা রাখি।

১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: আপনার মত দিল দরিয়া কিছু পাঠকের যে অকৃত্তিম ভালবাসা আর প্রশংসা পেয়েছি, তাতে হয়ত অপর বাস্তবে না গেলেও এত দুঃখ হবেনা।

আপনার পরিশ্রমের উপযুক্ত লেখাই হয়েছে, নো ডাউট। ক্ল্যাসি।
আর শোনেন, নির্বাচিত পাতা কেউ পড়ে না।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: না না! আপনার ওই লেখাটার তুলনা কিছু নেই।

আপনার "ক্ল্যাসি" শব্দটা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলাম! আপনার অনেক উদারতা! অনেক ধন্যবাদ!

আর নির্বাচিত পাতা নিয়ে আক্ষেপের কারণ হলো, এই পোস্টটা প্রথম পাতায় দশ মিনিটের বেশি ছিল না। সেজন্যে হয়তো বেশি মানুষের চোখে পড়েনি। যারাই মন্তব্য করছেন, তারা সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘর থেকে দেখে করছেন। হয়তো, নির্বাচিত পাতায় গেলে অনেক মানুষের চোখে বেশি পড়ত। আফসোসটা সেই জায়গাতেই। (আমি মনে হয় বেশি নিজের ঢোল পেটাচ্ছি, আর না।)

১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

একজনা বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। এক লেখাতেই হুমায়ুন আহমেদের প্রতি আপনার আবেগের পুরো বহিঃপ্রকাশ পেয়েছে। ওয়েল ট্রিবিউট। পোষ্টে ++++++++++++++

ভালো থাকবেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৮

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: চেষ্টা করেছি, যতটুকু পারি, প্রত্যেকটা বিষয় এখানে তুলে ধরতে! :) স্যাররের লেখা পড়ে বড় হয়েছি, তাকে সম্মান তো জানাতেই হয়! :)

১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: কিছু বলার নাই, যারা স্যারের বই পড়েছে, তাদের সবারই মনের কথা এগুলো, আমারও, শুধু গুছিয়ে লিখতে পারিনা বলেই লেখা হয়না, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আমি জানি এটা শুধু আমার কথা না, আমাদের প্রজন্মের সবার কথা। কারণ আমরা বড় হয়েছি স্যারের বই পড়ে! এজন্যেই বলেছি, স্যার আমাদের মানসিকতাটা গড়ে দিয়েছেন। পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ! :)

১৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৬

শায়মা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া!!!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু! গরীবের বাড়িতে হাতির পাড়া মনে হচ্ছে! আপনার মন্তব্য পেয়েই খুশি লাগলো! :)

১৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬

লোনলিফাইটার বলেছেন: দারুন +++

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! একটার জায়গায় তিনটা প্লাসের জন্যে! :)

১৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৬

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: অনেকগুলো কথা আর গল্প মনে করিয়ে দিলেন। আপনার চিঠিটি অনেক ভালো লাগলো। গুড ওয়ান!
+++

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: লেখাটার মূল উদ্দেশ্যই ছিল যেন পড়ার সময় স্যারের গল্পগুলোর নাম মনে হয়। সাথে জীবনটাকে ধরতে চেয়েছি। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে!

১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: খুবই ভালো হয়েছে। একসাথে অনেক কিছু তুলে এনেছেন একটিমাত্র লেখার মধ্যেই। কৈশোরে হুমায়ূন আহমেদের লেখার প্রভাব অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। কিছু কিছু বিষয় আমার নিজের সাথেও মিলে যাচ্ছিল। এমন স্মৃতিচারন আর হয় না। প্রশংষনীয় লেখনি। অপরবাস্তবে অবশ্যই ছাপা হবে আশা করি। পাঠক হিসেবে আমার খুব ভালো লেগেছে।

আপনি লেখক হিসেবে খুব ভালো। লেগে থাকুন। বেষ্ট অফ লাক।

+++++++++++++++++++++

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। এত্তো প্রশংসার যোগ্য হয়তো আমি নই। তবে একসাথে প্রায় সবকিছু তুলে আনার একটা চিন্তা থেকে লিখেছি, সেটা স্বীকার করতেই হবে। আমি চেয়েছি এমনভাবে লিখতে যেন অনেককিছুই আমাদের প্রজন্মের মানসিকতার সাথে মিলে যায়। উনার লেখার প্রভাব আমাদের সবার মহ্যেই আছে। মূলত অপরবাস্তবের কারণেই লেখা।

লেগে থাকার কথা শুনে বিনয়ে গলে গেলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :)

২০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩

মতলববাজ বলেছেন: পোস্টে প্লাস। অপরবাস্তবে আপনার লেখা প্রকাশিত হবে বলে আশা রাখি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনার শুভকামনার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

ইখতামিন বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে.

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

সূখীমানব বলেছেন: চমৎকার! নিশ্চয়ই আসবে সংকলনে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: ব্লগের রথী-মহারথীদের ভিড়ে আমার মতো অধমের লেখা নির্বাচিত হলে অবশ্যই আমি খুব বেশি গর্বিত হব। দোয়া করবেন।

২৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

২৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ভীষন সুন্দর হয়েছে, ভাই।এই লেখাটা থাকতেই হবে।
হুমায়ুন স্যারকে নিয়ে আমিও একটা লেখা দিয়েছি।
আমার কৈশরের একজন 'ভুল হুমায়ুন আহমেদ'

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনার জন্যে আরো বেশি ধন্যবাদ। আপনার লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছে, মজা পেয়েছি।

২৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪

অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: লেখার মধ্যে শ্রদ্ধাটা ভেসে উঠেছে খুব..ভাল থাকুক স্যার মেঘের ওপারে..
তোর জন্য ঢুকলাম আজ অনেকদিন পর।সিলেক্ট হলে জানাস।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। এটা লিখেছিই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। ভালো থাকুন স্যার মেঘের ওপারে! তোমার শেষের লাইনটা আমাকে একটা লাইন যোগ করায় দিল! মেঘের ওপারে বাড়িতে ভালো থাকুন স্যার। নিয়মিত ঢুকো ব্লগে। মাঝে মাঝে মন খারাপ লাগলে ভালো লাগবে দেখো।

২৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি আসলে তাঁর বই বেশি পড়িনি। তারপরও আমার এত খারাপ লেগেছিল সেদিন, আর ভেবেছি আপনার মতদের কথা যারা তাঁর প্রায় সব বই পড়েছে।

আপনার লেখার উদ্দেশ্য কিন্তু প্রায় পুরোপুরি সার্থক। আর আমার খুব মন চাচ্ছে যেগুলো পড়িনি সেগুলো এখনই পড়তে। আমি আবার অনেক অলস, তাই চাইলেও এসব বই পড়িনা কিন্তু আপনার লেখা পড়ে আবারও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

++++++

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: ওইদিনের অবস্থা আসলেই বর্ণনা করার মতো না। সবাই কেঁদেছি আমরা। ছোট-বড় বয়স ভেদে সবাই। আমার ফুপুর কথা জানি যার বয়স প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি, তিনিও কেঁদেছেন, আমাদের বয়সীদের কথা তো ছেড়েই দিলাম। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু ছিল জাতি, ধর্ম, বর্ণ, রাজনীতি নির্বিশেষে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় স্বাভাবিক শোকাবহ ঘটনা।

দেরি না করে, তার বইগুলো পড়ে ফেলুন। ইন্টারনেটে তার প্রায় সব বইয়েরই পিডিএফ আছে। এক টান দেন। দেখবেন, স্যারের জাদুকরী লেখনী আপনাকে এমনিতেই আটকে ফেলবে।

২৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: খুব ভাল লাগছিলো পড়তে। প্রতিটা বইয়ের নাম দেখছিলাম লেখাটায় আর সত্যিই মন ভরে যাচ্ছিলো।এই লেখা গুলো পড়ে কত সময় নিজেকে হারিয়েছি ভাললাগায়!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আসলেই আমিও যখন লিখছিলাম তখন প্রত্যেকটা বইয়ের কাহিনী মনে করতে চেয়েছি। যখন যেই বইয়ের নাম নিয়েছি, যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করেছি ওই বইয়ের কাহিনীর সাথে আমার লেখাকে প্রাসঙ্গিক রাখতে।

কোন উল্লেখযোগ্য বইয়ের নাম বাদ পড়েছে কি মনে করতে পারেন?

আপনার মন্তব্য আমার ব্লগে পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি।

২৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: +++++++++++++++

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

২৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০

সাইফ সামির বলেছেন:

আপনার আমন্ত্রণে লেখাটি পড়তে এলাম। সময় মোটেও বৃথা যায়নি। অসাধারণ ভাব প্রকাশ আপনার। অনেক ভালো লেগেছে। অনেকে বলেন, 'নির্বাচিত পাতা কেউ পড়ে না।' কিন্তু এটা অস্বীকার করার উপায় নেই নির্বাচিত পাতার লেখাগুলো সাধারণ পাঠকের চোখে পড়ে বেশি। তাই আমি সবসময়ই চায়, ভালো লেখাগুলো যেন নির্বাচিত পাতায় যায়। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন, মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি আবশ্যক না। দায়িত্ব ও কর্তব্য, জীবন ও শিল্পবোধ এসবের অপেক্ষা রাখে না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৬

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! আপনার প্রশংসা লজ্জা পাবার মতো! আপনার সময় বৃথা যায়নি জেনে ভালো লেগেছে।

অনেক পরে লেখাটি নির্বাচিত পাতায় এসেছে, দেখেছি। :) আপনার লেখাটি পড়ে দেখছি।

৩০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

আরজু পনি বলেছেন:

অনেক আবেগী লেখা!
ভালো লাগা থাকল।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ। হুমম, আবেগ নিয়েই লেখা।

৩১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
ধন্যবাদ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। হৃদয়কেই ছোঁয়ার চেষ্টা করেছি।

৩২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ওয়ান অব দ্যা বেস্ট ট্রিবিউট, আই হ্যাভ এভার রিড। রিয়েলি ওয়ান্ডারফুল জব।

+++++++++++++++

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৭

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৩৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩০

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: গত বছর এই রাতে ঘুমাতে পারিনি,টানা তিনদিন প্রায় নিস্তব্ধ ছিলাম, আজও মনটা বিশেষ ভালো নেই, স্যারের মৃত্যুদিবস আমি মনে করতে চাইনা, তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন অসংখ্য ভক্তকূলের অন্তঃস্থলে.........

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আমাদেরও তাই চাওয়া! গতবছর এই দিনে সেহরীর আগ পর্যন্ত শুধু চুপ করে বসে ছিলাম! একেবারে স্যারকে কবর দেয়ার সময় ঝরঝর করে কাঁদছিলাম! :( স্যার এখনও বেঁচে আছেন আমাদের মানসিকতায়! বেঁচে থাকবেন আজীবন! :)

৩৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:০৬

সাইফুল আজীম বলেছেন: কি যে করেননা ভাই, সকাল সকাল চোখে জল এনে দিলেন।

৩৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:০৯

সাইফুল আজীম বলেছেন: কি যে করেননা ভাই, সকাল সকাল চোখে জল এনে দিলেন।

৩৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

দীপ-দীপ বলেছেন: প্রথমে ছেলেমানুষী মনে হোলো , পরে চোখ ভিজে গেলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.