![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখ আমার খাঁচার পাখি, পাখা মেলে তবু উড়ে না... আমার ব্যাথা আমি ছাড়া, আর কেউ কভু বুঝে না...
কাফনের কাপড়
মৃত লাশকে যে কাপড় পরিধান করে সমাধিস্থ করা হয় তাকে কাফন বলে। লাশকে কাফন দেওয়া ফরযে কেফায়া। পুরুষ এবং স্ত্রী লাশের কাফন দেওয়ার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে ।
যথাঃ পুরুষের জন্য মোট তিনখানা কাপড় ব্যবহার করতে হয়।
১) লেফাফা বা চাদর ২) পিরহান ৩) ইযার বা তহবন্দ
এটা পুরুষের জন্য সুন্নত কাফন। পুরুষের জন্য কেফায়া কাফন দুইখানা; যথাঃ ১) চাদর। ২) ইযার। অর্থাৎ এই দুইখানা কাফন পরালেই ফরযে কেফায়া আদায় হয়ে যায়।ওজর বশতঃ কাপড় না পাওয়া গেলে পুরুষকে শুধু একখানা কাপড় অর্থাৎ ইযার পড়িয়েও দাফন করা যায়। এটাকে পুরুষের জরুরত কাফন বলে।
স্ত্রীলোকের জন্য সুন্নত কাফন পাঁচখানা।যার প্রথম তিনখানা পুরুষের মত আর অতিরিক্ত দুইখানা ১) ছিনাবন্দ এবং ২) ওড়না। স্ত্রীলোকের জন্য কেফায়া কাফন তিনখানা যথাঃ ১) চাদর ২) পিরহান এবং ৩) ইযার।
স্ত্রীলোকের জরুরত কাপড় দুইখানা। ১) চাদর (লেফাফা) এবং ২) ইযার। লেফাফা মাথা হতে পায়ের সৃদ্ধাঙ্গুলীর চেয়ে কিছু বেশী লম্বা
করবেন। পিরহান ঘাড় হইতে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত লম্বা করবেন।স্ত্রীলোকের ছিনাবন্দ হাঁটু পর্যন্ত চওড়া করবেন এবং ওড়না দুই হাত দৈর্ঘ্য ও এক হাত প্রস্থ্য রাখবেন।
কাফনের কাপড় পরানোর নিয়ম
পুরুষের লাশ হলে একটা খাট বা তক্তার উপরে প্রথমে চাদর তারপর ক্রমান্বয়ে ইযার ও পিরহান রাখবেন।তারপর কাফনের উপরে লাশ শুইয়ে তাঁর নাক,ললাট ও ছিনা ইত্যাদি স্থানে কিছু খুশবু আতর বা অন্য কোন সুঘ্রাণ জাতীয় জিনিস লাগিয়ে প্রথমে পিরহান পরাবেন।এই ভাবে চাঁদরও পরাবেন।
স্ত্রীলোকের লাশ হলে প্রথমে ছিনাবন্দ রাখবেন তারপর ক্রমান্বয়ে লেফাফা, ইযার ও পিরহান রাখবেন।তারপর লাশ শয়ন করিয়ে পুরুষের মত খুশবু আতর বা অন্য কোন সুঘ্রাণ জাতীয় জিনিস লাগিয়ে পিরহান পরাবেন।তারপর মাথার চুল দুই ভাগ করে কাঁধের দুই দিক দিয়ে এনে বুকের ওপর রাখবেন এবং ওড়না মাথায় জড়িয়ে ওটা দিয়ে দ্বারা ছিনার উপরের চুলও ঢেকে দিবেন।তারপর প্রথমে বামদিক হতে তারপর প্রথমে বামদিক হতে ক্রমান্বয়ে ইযার, লেফাফা ও ছিনাবন্দ পরিয়ে দিবেন।কাফন পরান হয়ে গেলে একটু পেঁচিয়ে মাথার উপরে ও পায়ের নীচে নেকড়া কিংবা সূতা দ্বারা হালকাভাবে বেঁধে দিবেন।
কাফন পরিয়ে তাঁর উপরে কিছু আতর বা অন্য কোন সুঘ্রাণ জাতীয় জিনিস মেখে দিবেন।ধর্মযুদ্ধে শহীদ ব্যক্তিকে যেমন গোসল করানোর দরকার হয় না তেমন তাদের কাফন পরানোর প্রয়োজন হয় না, বরং তাদের পরিহিত রক্তমাখা কাপড়েই তাদের দাফন করা হয়।লাশ দাফন করার পর যদি কবর হইতে কোন জন্তু তা বের করে ফেলে বা অন্য কোন ভাবে বের হয়ে যায় এবং দেখা যায় যে, লাশের কাপড় বিনষ্ট বা অপহৃত হয়েছে , তখন লাশ না পচে গলে আবার নতুন ভাবে কাফন দিয়ে দিবেন।আর যদি পচে গলে যায় তাহলে একখানা কাপড় দ্বারা পেঁচিয়ে দিবেন।
ব্লগে হয়তো অনেকই জানে এই ব্যাপারগুলো আবার অনেকই জানে না। যারা জানেননা তারা হয়তো অনেক কিছুই জানবেন এই পোস্টের মাধ্যমে।
মুসলমান হিসেবে আমাদের এই ব্যাপারগুলো জানা অনেক জরুরী।
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সৎ ও সুন্দরভাবে বাঁচার তৌফিক দান করুন -আমিন।
সবাই ভালো থাকবেন।
মিনহাজ রিমন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩২
িনহাজ রিমন বলেছেন: তাইতো সবাইকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলাম।
কারো এই ব্যাপারে ধারনা না থাকলে জানিয়ে দিবেন।
ধন্যবাদ।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৩
পাপাই বলেছেন: এত্ত ভালো একটা পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬
িনহাজ রিমন বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: এই সম্পর্কে আমার ধারনা একটু কম ছিল তাই পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে নিলাম
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৬
িনহাজ রিমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... জরুরী পোস্ট...
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
িনহাজ রিমন বলেছেন: পারলে শেয়ার করেন।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: সুন্দর পোস্ট...... ধন্যবাদ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
িনহাজ রিমন বলেছেন: শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
পেন্সিল চোর বলেছেন: দারুন পোস্ট!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৯
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: একদিন আমাদের সবাইকেই এই কাপড় পরতে হবে।