নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলেই দোষ ,নন্দ ঘোষ

কোর্পরে্ট শয়তান

কোনো কাজকর্ম তো নাই,খাচ্ছেন দাচ্ছেন, অার যখন যা চাচ্ছেন হাতের কাছে তাই পেয়ে যাচ্ছেন। - দাশবংশ

কোর্পরে্ট শয়তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিটেকটিভ গল্প -অালবার্ট এডওয়ার্ড এর মুদ্রা

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০১

অালবার্ট এডওয়ার্ড এর মুদ্রা
লেখা ২০১০
দুর্দান্ত র্কিশোর দুর্জয় এডভেন্চার অার জানার অাগ্রহ প্রবল তার। কোন রহস্য কিংবা কোন কি অাবিষ্কার খরব তার টুকে রাখার শখ।ঘুড়তে ভালোবাসে সে,ভালোবাসে দেশের ইতিহাস,সংস্কৃতি ঐতিহ্য ধারন করতে....
দুর্জয় এবার ক্লাস এইটে পড়ে, সবে মাএ JSC জুনিয়ার সার্টিফিকেট পরীক্ষা শেষ করছে, তার অাত্নঃবিশ্বাস অাছে ভালো ফলাফল করবে, বাবা- মা র ইচ্ছা সে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুক, বড় হয়ে ডাক্তার কিংবা প্রকৌশল হোক। তার ইচ্ছা সে মানবিক বিভাগে পড়বে, দেশ, ইতিহাস, রাষ্ট্র বিষয়ে জানার প্রবল ইচ্ছা। বরাবর ই ক্লাসে ভালো ফলাফল করে, স্কুলে বির্তক প্রতিযোগিতা, কবিতা কিংবা সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠানে পুরষ্কার জিতে সেই সুবাদে ক্লাসের শিক্ষক সহপাঠীরা তাকে অনেক স্নেহ করে। এমনেতই সে খুব শান্ত স্বভাবের। শান্ত স্বভাবের হলেও তার অশান্ত মনটা অন্ধকার রহস্যময় জট খুলতে তাকে অবাধ্য করে তুলে। অবসরে বইপড়ে,রুবিক কিউবটা মেলাতে চেষ্টা করে। পরীক্ষা শেষ তাই লম্বা ছুটি এখন কি করবে চিন্তা করে। সবুজ ভাইয়াদের বাসায় গেলে মন্দ হয় না ভাবতে থাকে।
সুবজ হলো দুর্জয়ের চাচাতো ভাই সে অনেকটা দুর্জয়ের মতন বলা যেতে পারে, তাদের বয়সের ব্যবধান খুব একটা বেশি না দুজর্য় ক্লাস এইটে সবে শেষ করছে সে অর্নাস প্রথম বর্ষের। ব্যবধান তাদের কোন কিছুই দেম রাখতে পারেনি, যেমন বন্ধুর মতন তেমনি দুই ভাই। দুর্জয় যখন ছোট ছিলো তখন সবুজের বাসায় অনেক বেড়াতে যেত, ঈদের ছুটি, শীতের সময় কিংবা স্কুলের বন্ধের সময়, তাই দুর্জয়ের সাথে এতটা ভাব তার। দুর্জয় তাকে অনেক ভালোবাসে প্রছন্দ করে, কারণ সবুজের কাছেঅাছে নানা রকম মজার মজার তথ্য সম্বলিত খাতা নানা রকম এন্টিক জিনিস অার তাকে বিশেষ পছন্দ করে কারণ সে নানা রকম বিজ্ঞানেরর জাদুর খেলা দেখায় যেমন - একটা মুরগী ডিম সারাদিনরাত ভিনেগার চুবিয়ে রেখে পরদিন সকালে থলথলে ডিম দিয়ে বলে ধরে দেখ এটা হল সাপের ডিম। সবুজের মজার কান্ডকারখানা দেখে হাহাহা করে হাসে অার মজা পায়। দুর্জয় বলে অাচ্ছা ভাইয়া তুমি কীভাবে এসব করতে পারো, সবুজ বলে কিছুই বলেনা শুধু বলে রুবিক কিউবটার মতন সাজানো খেলারে যখন বুঝবি তখন অামাকেই অাত্কে দিবি। অনেক পুরানো কথা ইতিমধে মাথার মধ্য ঘুড়পাক করছে, অনেকদিন সুবজ ভাইয়াদের বাসায় যাওয়া হয় না, মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়। এবার এর ছুটিটা সম্পূর্ণ সবুজ ভাইয়াদের বাসায় কাটাবে বলে মনোস্থির করল দুর্জয়, কিন্তু বাবা মা এতই ব্যাস্ত থাকেন যে কি করে বলবে সময়ই করতে পারছে না, বাবা মা সব সময় চিন্তা করে কীভাবে যাবে নানা রকম চিন্তা করতে লাগল। মনে মনে ভাবতে লাগল এ রকম করে শেষ পর্যন্ত তার যাওয়া হবে না, বাবা কে অফিসের ছুটির দিনে বলব বাবা অামি সবুজ ভাইয়াদের বাসায় যাবো।
সকালে নাস্তায় তাদের একসাথে নাস্তা করতে বসে, দুর্জয় সাহসী বিজ্ঞেরর মত বলল অামি সবুজ ভাইয়ার বাসায় যাবো, বাবা ঠিক অাছে যাবি অামি তোকে নিয়ে যাবো। দুর্জের অস্থিরতা কাটছে না বাবা অামি একাই যেতে পারবো, তার মা বলে উঠলো দেখছো ছেলের কান্ড বলে কিনা একাই যেতে পারবে, তুই জানিস রাস্তায় কত রকম খারাপ লোক থাকে। দুর্জয়ের বাবা বুঝতে পারে কেন যেতে চায় ছেলের অস্থিরতা দেখে বললো ঠিক অামিই তোকে বাসে তুলে দিবো অার সবুজ কে বলে দিবো যেনো তোকে বাসস্টপ থেকে রিসিভ করে এখন ঠিক অাছে? দুর্জয় এতটা খুশি হল যাই হোক শেষ পর্যন্ত সবুজ ভাইয়ার সাথে সময় কাটানো যাবে। রাতে ঘুমাতে যাবার অাগে ভাবতে লাগল সবুজ ভাইয়ার বুকসেলফ্ এর বই গুলোর কথা ভাবতেই তার মনটা অানন্দে নেচে উঠল। বাবা বলেছে সামনের রবিবার সকালে বাবা অফিসে যাবার অাগে তাকে বাসে তুলে দিবে, অাজমাএ বৃহঃস্পতি বার ।হাতে অারো দুই দিন কিন্তুু তার অার সহ্য হচ্ছে না, ক্যালেন্ডার দিকে তাকায়েঅার দিন গুলো মনে মনে দাগ কাটতে থাকে। অাজ শুক্রবার সকালের নাস্তাসেরে সকালের দৈনিক পএিকার পাতা গুলো উল্টাতে লাগলো হঠ্যা তার চোখে পড়ল ছোট একটা কলামে লেখা " হারিয়ে গেছে পয়সা! " তাতে লেখা ছিলো অভ্যন্তরীণ মুদ্রা বাজারে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে পয়সা ক্রমাগত জীবনযাএার ব্যায় বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে পয়সা অচল প্রায়, মুদ্রা বাজারে পয়সা মূল্যহীন হয়ে পড়েছে প্রায় এক দশক অাগেই। তবে মূল্যহীন হয়ে পড়লেও খুব সীমিত পর্যায়ে দুয়েকটি ক্ষেএে যেমন বিদ্যুৎ ও পানির বিল প্রদানে এগুলো ব্যবহৃত হয়ে অাসছিলো, কিন্তু এখন তা ও নেই বলতে গেলে পয়সা এখন অনেকটা দুস্প্রাপ্য হয়ে ওঠেছে, বেশ অনেকদিন অাগে দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি প্রসঙ্গে একবার এক ঘরোয়া অালাপে দেশের একজন অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন পয়সা এখন যাদুঘরে রাখার সময় এসে গেছে। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে অার্থিক মূল্য না থাকলেও সংগ্রাহকদের কাছে এর একটা এন্টিক ভ্যালু হয়তো থাকবে।
স্বাধীনতা উওর বাংলাদেশে এক পয়সা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, পঁচিশ পয়সা ও পঞ্চাশ পয়সা ইত্যাদি মানের মুদ্রা প্রচলিত ছিলো, কিন্তুু কালক্রমে জীবন যাএার ব্যায় বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারনে এগুলোর ব্যবহার ক্রমশ কমতে থাকে মূলত নব্বই দশকের গোড়া থেকেই পয়সার ব্যবহার ক্রমশ কমতে থাকে, অার পয়সার ব্যবহার কমে অাসায় এ সময় নতুন করে বাজের পয়সার সরবরাহও বন্ধ করে দেয় বাংলাদের সরকার ব্যাংক। এর পরিবর্তে একটাকা সমমানের মুদ্রা বাজারে ছাড়া হয় বর্তমানে একটাকা,দুই টাকা ও পাঁচ টাকার সমমানের মুদ্রা বাজারে চালু রয়েছে।খবরটা পড়ে তার মনটা কেমন করতে লাগল, ভাবতে লাগলো অাসলেই এগুলো কেমন পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার এমনতেই ইতিহাসের প্রতি দুর্বলতা অাছে, যেহেতু পয়সা এদেশের একটা বাহক দেশের অর্থনৈতিক হাতিয়ার, যাই হোক সে খবর টা মনের ভিতরে অাঁটকে রাখলো। সকালে বাবার সাথে বসেছিলো খানিকটা সকাল থেকেই দুর্জয়ের বাবা মুঠোফোনে কথা বলছিলেন, সে দিকে নজর না দিয়ে নিজের মনের কথাটা খুটখুট করতে লাগলো, মনে মনে ভাবলো সবুজ ভাইয়াকে বলা যেতে পারে তাতে অারও বিস্তারিত জানতে পারবে। দুর্জয় বই পড়তে অনেক ভালোবাসে তাই কাল বিকালে,মা তাকে একটা বই কিনে দেন বইটা বাংলাদেশ সম্পর্কে লেখা "বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য " লেখকের নাম মোকারম হোসেন। এতে বাংলাদেশে রূপ লাবন্য সৌন্দর্য ইত্যাদি লেখা অাছে। মা-বাবা দুজনই চাকুরী করেন তাই প্রায়ই সে প্রচুর উপহার পায়। সেহেতু তার বায়নার শেষ থাকে না এবার বেড়াতে যাবার অাগেই বায়না জুড়ে দেয় তাই এবার বলেছে একটা বাইনোকুলার অার একটা নোটবুক লাগবে। শেষ অপেক্ষার পর অাজ সকালে রওনা দিবে সবুজ ভাইয়াদের বাসায় ঢাকা হতে কুমিল্লা। বাবা সকালে বাসের টিকেট কেটে বাসে তুলে দিলেন অার বলে দিলেন যে সবুজ ভাইয়া যথা সময়ে বাসস্টপে থাকবে। বাসে উঠতেই অানন্দে ভরে উঠল মনটা অার কিছুই ভাবতে পারছে না, অার কিছুক্ষন পর বাস ছেড়ে দিবে, বাবা কে বাসের জানালা দিয়ে হাত নেড়ে বিদায় জানালো দুর্জয়। যথা সময়ে কুমিল্লায় নামল দুজর্য়, নামার পর ডানবাম দিকে দেখতে লাগলো, সবুজ একগাল হাঁসিতে তাকে গ্রহন করল, কিরে কেমন অাছিস চাচা-চাচি কেমন অাছে, দুর্জয় অনেক ক্লান্ত হলেও সবুজ কে দেখে তার ক্লান্তি একদমই চলে গেলো। ভাইয়া তুমি কেমন অাছো? ভালো তুই একটু দাড়া অামি রিক্সা নিয়ে অাসি তারপর কথা।
সবুজ রিক্সা ডাকলো তারপর বাসার দিকে রওনা দিলো সবুজ অার দুর্জয়। চারদিকে অনেক বড়বড় গাছ নিরিবিলি শহর অাস্তে অাস্তে রিক্সা চলতে লাগলো। ভাইয়া তুমি কি, অারো অনেক নতুন বই কিনেছো? হুমম অাগে বাসায় যাই তারপর সব বলব।
মিনিট দশেক পনের পরই সবুজদের বাসায় এসে দুর্জয় ফ্রেশ হয়ে বলল ভাইয়া, অামাকে কোথায় বেড়াতে নিয়ে যাবে? এতটা রাস্তাপাড়ি দিয়ে তার ক্লান্তি একদম চলে গেল সবুজকে দেখে। সবুজ বলল তুই কোথায় যেতে চাস? এক কথায় ময়নামতি বৌদ্ধবিহার বলে ফেললো দুর্জয়। ঠিক অাছে রবিবার যাচ্ছি তাহলে, তোর তাহলে এখনো ঐতিহাসিক নির্দশন এর নেশা রয়ে গেছে।
তুমি ত সবই জানো ভাইয়া।
তোর অার অামার মাঝে সবচেয়ে বেশি এই দিকটা অনেক মিল বুঝেছিস। তাই তোকে অার অামাকে একই রকম লাগে, দুর্জয় কোনবারই ময়নামতি বৌদ্ধবিহার দেখেনি এবারই প্রথম। টিভি অনুষ্ঠানে দেখেছে, চারদিকে লাল ইটের প্রাচীর ছোট ছোট খোপ খোপ জায়গা, মাঝে মন্দির এবার নিজের চোখে দেখবে অানন্দের সীমা উপচে পরছে তার। রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই একেবারে ফিটফাট।নাস্তার টেবিলে বসেই নাস্তা খেতে খেতে সবুজ বলল বেশি দূরে না মাএ ৮ কিলোমিটার পথ, প্রথমে রিক্সা নিয়ে বাসস্টপেজ এ তারপর সেখানে সিএনজি অাটোরিক্সায় করে ময়নামতি বৌদ্ধবিহার নিয়ে যায়। ঝটপট নাস্তা সেরেই ময়নামতির উদ্দেশে যাএা। সিএনজি বসেই দুর্জয় তার ছোট নোটখাতাটায় লিখতে শুরু করল অার সবুজ সম্পূর্ণ বৌদ্ধবিহার সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে লাগলো। যেহেতু তার ইতিহাস সম্পর্কে দুর্বলতা অাছেই ক্ষুদার্থ জ্ঞানপিপাসু মত ছোট নোট খাতাটা হাতের কাছেই অাছে একে একে লিখতে শুরু করল, প্রথম খনন কাজ ১৯৫৫ সালে... সময়ের অগ্রাধিকার ভিওিতে শালবন মুড়া, কোটিলা মুড়া ও চারপএ মুড়া অাবিষ্কার- ঝটপট লিখতে লাগলো।অাধঘন্টা পর ময়নামতি অাসলো, টিকেট কেটে শালবন বৌদ্ধবিহারে ঢুকলো, হাঁটতে হাঁটতে কথায় কথায় সবুজ বলল জানিস অামাদের বাংলাদেশটা অাসলেই সোনার দেশ। এই দেশ থেকে চোরাকারবারিরা কত কিছু যে লুট করছিলো অামাদের এই বোদ্ধবিহার থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ৩৮ টি এবং ১৯৮২ সালে ৯৩ টি চুরি হয়ে গিয়েছে, তা ছাড়া নানা অজুহাতে স্বাধীনতা পূবর্বতী কালে বহু মূর্তি পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
অাচ্ছা ভাইয়া এগুলোকি অার ফিরিয়ে অানা যায় না, সবুজ অনেক্ষন চুপ করে রইল বলল না রে ওদের অনেক বড় দল অাছে, তাদের সাথে অনেক বড় চোরাকারবারি সম্পর্ক অাছে, তাদের অনেক লম্বা হাত সহজে ধরা যায় না, অার এসব জিনিসের কোন হদিস অাছে কিনা কে জানে। কোথায় চলে গেছে তা খুজে পাওয়া দুঃস্কর। প্রথম অাকর্ষন বৌদ্ধবিহার দেখার পর ময়নামতি জাদুঘর দেখতে গেলাম। প্রধান ফটকের উপর লেখা অাছে ময়নামতি জাদুঘর, অাসেপাশে সেই সময়কার গাছপালার ফসিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে সাজানো অাছে।দুজনই নিরবতা পালন করে দেখতে লাগল, হঠ্যা দুর্জয়ের চোখ পড়ল সবুজের উপর কেমন যেন অন্যমনস্ক দেখাযাচ্ছে তাকে, কোন একটা কারণে হয়ত তার মনখারাপ হতে পারে, ততটা খেয়াল না করে প্রদর্শনী গুলো দেখতে লাগলো, খুব মনোযোগ সহকারে দেখতে লাগলো ভূমির নকশা, ধাতুলিপির ফলক, প্রাচীন মুদ্রা, মৃন্ময় মুদ্রক- মুদ্রিকা, পোড়ামাটির ফলক, ব্রোন্জের মূর্তি, লোহার পেরেক, পাথরের মূর্তি, গুটিকা অলংকারের অংশ এবং ঘরের ব্যবহৃত মাটির হাঁড়িপাতিল ইত্যাদি। একে একে যখন ক্রমানয়ে প্রদর্শনী অাধার ২৯-৩০ নাম্বারের দিকে অাসলো হঠ্যা সবুজ কেমন যেন বিচলিত হয়ে গেলো এ বিষয়টা ভালোভাবেই লক্ষ করল সে কিন্তু কিছু না বলে পুনরায় দেখতে লাগলো। মনে মনে ভাবতে লাগলো নিশ্চয় ই কিছু একটে হয়েছে, না হলে এমনটা বিচলিত হবার পাএ নয় সবুজ। শীতকাল হলেও দুজনের অনেক হাটাহাটি করার ফলে তৃষ্ণা পেলো সবুজের, চল কিছু খেয়ে নেওয়া যাক, একটা সাধারণ মানের রেস্তোরায় ঢুকল সবুজ অার দুজর্য়। সমুচা অার কফির অর্ডার করল সবুজ, দুর্জয়ের তেমর খিদে ছিলো না, ওর মূলত খিদে ছিলো ইতিহাস অার ঐতিহ্যর প্রতি যা সে এতক্ষন পেট পুরে খেয়েছে। সবুজ বলল প্রচন্ড শীতে গরম গরম কফি খাওয়ার মজাই অালাদা তাই না, কিরে চুপ করে অাছিস কেন? না এমনিই, মনে মনে ভাবতে লাগলো সবুজ ভাইয়া কেন এমন হয়ে গেলেন। হাল্কা নাস্তার পর তারা হাটতে লাগল সবুজ বলল চল তোকে অারেকটা নতুন চমক দেখিয়ে অাসি, ( বার্ড) বাংলাদেশ সমবায় সমিতি ।চারদিকে নিরিবিলি, অনেক গাছ ঘুড়লে অনেক ভালো লাগবে, কিন্তু দুর্জয় বুঝতে পেরেছে সবুজের মনটা খারাপ তাই সেও মনটা ভালো করতে চায়। সারাদিন ঘুরে বিকালে বাসায় ফিরলো, ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শরীর অাছে দুর্জয়। অার সবুজ কোন একটা বিষয় নিয়ে যেন ফোনে কথা বলছে ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে না তার কথায়,তবে দুর্জয় ঠিকই ভালোভাবে অান্দাজ করতে পারছে যে বিষয়টা নিয়ে মন খারাপ সে বিষয় নিয়ে পরামর্শ করছে সুবজ। দুজর্য় বিছানা ছেড়ে বসার রুমে দিকে গেলে সারাদিন ঘুড়াঘুড়িতে অাজকে পএিকা পড়া হয়নি, পএিকার পাতা উল্টাতে লাগলো তেমন কোন খরব নেই তাই ভাঁজ করে রেখে দিলো টেবিলে।রাতে দুজনে বসে বসে টিভি দেখছিলো দেখার মাঝে সবুজ বলল জানিস তুই যেটা বাস্তবে দেখতে অার পরখ করে দেখতে পারবি সেটা কখনে ভুলবি না,যেমন ধর তুই বই পড়ে পড়ে কিছু শিখলি সেটা অাংশিক অার যেটা বাস্তবভিত্তিক করলি সেটা পুরোপুরি।
হঠ্যা দুর্জয় সবুজ কে বলল অাচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বলব? বল, রাগ করবে না ত, অাচ্ছা ঠিক অাছে কি বলবি বল। অাজকে দেখলাম তুমি কেমন যেন অানমনে অাছো, কি হয়েছে বলবে কি? তেমন কিছু না রে মনটা এমনিতেই খারাপ। ভাইয়া, তুমি অামাকে বলবে বলে ছিলে। সবুজ অনেক্ষন চুপ থাকার পর বলল তুই ত জানিস অামি অনেক এন্টিক জিনিস কালেক্ট করি।তার মধ্যে একটাকে খুজে পাচ্ছি না, পয়সার কথা শুনে দুর্জয়ের চোখ বড় বড় করে বলল ভাইয়া তুমি পয়সা সংগ্রহ কর? দেখবি সবুজ বলল, সাথে বলে উঠল দুজর্য় অব্যশই দেখবো। সবুজ তার সংগ্রহের মুদ্রার বাক্সটা বের করলো কাঠের বাক্সটার উপরে হালকা পিতলের ফুল, লতা-পাতার কাজ করা অনেকটা গয়নার বাক্সের মতন। যে জিনিস কখনো চোখে দেখেনি এবার নিজের হাতে দেখছে দুজর্য়, এক পয়সা, পাঁচ পয়সা অারো কত রকম যা কিনা ছবি,বইয়ের পাতাতে পড়েছে সে এবার নিজের হাতে স্পর্শ করে দেখছে। অারো কত দেশের কত রকম মুদ্রার যা কিনা সে কখনো চিন্তাও করেনি দেখবে সে, অাশ্চর্য ভাবে কেমন যেন স্বপ্নের মত হয়ে যাচ্ছে। সবুজ বলল একটা মুদ্রা শুধু বিনিময় জন্যই না এতে অাশে দেশের প্রতীক অার সংস্কৃতি। সবুজ তার অাতঁসি কাঁচ টা এনে দিলো এবার দেখ নিখুদ করে দেখতে লাগলো দুজর্য়, দেশের ফুল, পাখি,পশু,জাতীয় নেতা কিংবা কোন সংস্কৃতির ছাঁপ। দুর্জের সহজে মনে পরে গেলো বৃহঃস্পতি বারের প্রএিকার কলামটার কথা। অাচ্ছা ভাইয়া তোমার কোন মুদ্রাটা হারিয়ে গেছে। বাক্সের মধ্যে লিষ্টটা অাছে মাঝামাঝি পেন্সিল দিয়ে মার্ক করা লেখা ভারতবর্ষ লাল বর্নের one quarter anna 1906.
দুজর্য়ের চোখস্হির হয়ে গেলো লিষ্টে মার্ক করা জায়গাতে। তাহলে মুদ্রার বর্তমান বয়স ১০৫ বছর হলো তার মানে যখন ব্রিটিশ শাসন করত তখন কার। হুমম ঠিক বলছিস বলে মৃদু মাথা নাড়লো সবুজ।
তাহলে ত এটার একটা সন্ধান করতে হবেই অাগ্রহ করেই দুর্জয় বলল ।দুর্জয় রহস্য সমাধানের চোখ জ্বলজ্বল করছে। অাচ্ছা বলত ভাইয়া তোমার এই সংগ্রহের বাক্স কে কে দেখছে, তুই যা ভাবছিস অামিও, বুঝতে পারছি কিন্তু বড্ড গোলমেলে ব্যাপার কারো কাছে বলব,অামি কিছুই ভাবতে পারছি না। অামার মনে হয় অামার মুদ্রাটার জিনিসটার হদিস বের করতে পারবো না। তুমি বলেই দেখো না হদিস বের করতে পারি কিনা। চেষ্টা করলে ত ক্ষতি নেই।
অাচ্ছা বলছি তোকে তুই ত অামাকে অস্হির করে তুলছিস বলল সবুজ।
মনোযোগ দিয়ে শুনবি পরে কিন্তু বলতে পারবো না। প্রথমত এটা হারানোর পর এটা নিয়ে কথা বলত খারাপ লাগে শখের জিনিস।
ঠিক অাছে তুমি বলো।
সবুজ বলতে লাগলে ঐ দিনের ঘটনাটা অামার এক পুরানো বন্ধু অাছে সে ও অামার মত দেশ বিদেশ এর মুদ্রা সংগ্রহ করে।তবে তার চেয়ে অামার সংগ্রহ সংখ্যা বেশি। অামরা একে অপরের সাথে মুদ্রা অদল বদল কিংবা কোন নিলামে থেকে সংগ্রহ করেছি অনেক বার। সে অামার খুব ভালো বন্ধু সে এই কাজ করবে অামার অন্ততপক্ষে মনে হয় না, লাষ্ট নিলামে অামি এটা কিনেছিলাম অবশ্যই সে ও অনেক বিট করেছিলো সে পর্যন্ত অামি কিনেছিলাম। কিছু দিন অাগেই অামার মুদ্রা টাকে দেখতে এসেছিলো এমন একটা এন্টিক এর প্রতি অাগ্রহ থাকা স্বাভাবিক ই। তবে তার সাথে তার এক সহপাঠী এসে ছিলো সে কিনা কখনো এন্টিক মুদ্রার কালেকশন দেখেনি সেক্ষেত্রে অামি না করতে পারিনি।
অামার ত মনে হয় না এক দেখাই একটা মুদ্রা বেমালুম গায়েব করে দিবে। যার কোন ধারনা নেই কিংবা এটার কোন ভ্যালু জানে না সে ক্ষেএে এটা সম্ভব নয়, অার সেখানে অামি ও সামনে ছিলাম। দুূর্জয় বলল অামিই একটু চেষ্টা করে দেখি, তবে তুমি অামাকে বাধা দিও না।
সুবজ বলল অামি এতকিছু ভাবতে পারছি না, তবে তোক একটা চান্স অামি তোকে দিতেই পারি।
দুর্জয় রহস্যের গন্ধ শুকে শুকে জট খুলতে লাগলো, মনের মধ্যে একটা রুবিক কিউব লাল, সাদা, হলুদ রং এর পাজল বারবার মিলাচ্ছে কিন্তু সামন্য একটা কারনে যেন মিলছে কোথায় যেন একটা সামন্য ভুল।
অবশেষে ঐ রাতের মত শুয়ে পড়ল দুজনই, কিন্তু দুর্জয় শুয়ে শুয়ে ভাবছে একটা গাণিতিক সূএ মিলাতে পারলেই হল।
অাজ দুপুরের খাবার টেবিলে দুর্জয়ের প্রিয় খাবার রান্না করে পরিবেশন করা হলো ।বড় চাচি তার জন্য অাজকে মাছের কোপ্তা, মুরগী ঝোল, অার বেগুনের চাটনি তৈরি করেছে। দুপুরে খাবার শেষে সবুজ কে বলল অাচ্ছা ভাইয়া অাজকে বিকালে কি প্ল্যান করছ? সবুজ বলল তেমন কিছু চল বিকালে ধর্মসাগর ঘুরে অাসি।
বিকালের হালকা রোদের অালোতে রিক্সায় কর ধর্মসাগরে পৌছালো। ধর্মসাগরের কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে পাড়ের একটা বেন্চ গিয়ে বসল দুজন।
সন্ধ্যার অালোতে ধর্মসাগরে পানি চিকচিক করছে হাল্কা মৃদু বাতাস অার অালোতে অপরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
হঠ্যা দুর্জয় বলল অাচ্ছা ভাইয়া তোমার ঐ বন্ধু কি অাবার ডাকা যায় যদি কিছু বলে উদ্ধার করা যায়। বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে না বলল সবুজ। চেষ্টা করলে ক্ষতি কি? ঠিক অাছে তাহলে কাল বিকালে বাসায় অাসতে বলি। হুমম ঠিক অাছে বলে উওর দিও দুজর্য়।
অাজ সন্ধ্যায় বড় চাচা জিঙ্গেস করল কিরে তোরা দুজন কোথায় ছিলি। ভাইয়া নিম্নস্বরে উওর দিলো বাবা ধর্মসাগরে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিরে দুর্জয় কেমন লাগছে ঘুড়তে, জ্বী চাচা ভালো। তোর বাবা ফোন করেছিলো তুই কেমন অছিস তোর খোজ খবর নিতে, রাতে ফোন করে বাবা মা সাথে কথা বলিস। জ্বী অাচ্ছা ঠিক অাছে বলল দুর্জয়।
কিরে সবুজ রসমালাই এনেছিলি সবুজ ভাইয়া লজ্জিত হয়ে বলল বাবা ভুলে গিয়েছি, অামি জানতাম তুই এমনটাই করবি। বাবা অামি এখনই নিয়ে অাসবো? অার অানতে হবে না অামিই নিয়ে এসেছি। বড় চাচী অামাদের সবাই কে পরিবেশন করে দিলেন, এত মজা ছিলো না খেলে বুঝানো যাবে না।বড় চাচা টিভি দেখছিলেন, তাই অামরা অামাদের রুমে বসে গল্প করতে লাগলাম।
রাতে ঘুমাতে যাবার অাগে দুজর্য় বলল ভাইয়া অামার মনে হয় অামরা মুদ্রা টাকে বের করে ফেলবো।দেখা যাক কি হয় মৃদু স্বরে উওর দিলে সবুজ।
অাজ সারাদিন অস্হির হয়ে অাছে দুর্জয়,একটা পাজল বারবার মেলাচ্ছে কিন্তু কোন একটা ভুলে হয়ত সেটা মিলছে না, রহস্যের জট টা ক্রমাগত জট পাকাচ্ছে। বিকালের শান্ত পরিবেশে বসার রুমে দুজর্য়, সবুজ অার সবুজের বন্ধু ইশতিয়াক তার ঐ দিনকার তার বন্ধু তারেক বসল,প্রাথমিক কথা চলছিলো ইতিমধ্যে সবুজ ভাইয়া তাদের সাথে পরিচয় করে দিলো, সাধারণ কথাবার্তা যা হয় একজন অপরিচিত লোকের সাথে। হঠ্যা করেই দুর্জয় ইশতিয়াকে সন্দেহের তীর লক্ষ্য করে জিঙ্গাসা করল, ভাইয়া অাপনি কি জানেন সবুজ ভাইয়ার সংগ্রহ থেকে একটা মুদ্রা হারিয়ে গেছে। দুর্জয়েরর কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেলো। ইশতিয়াক বলল হুমম অামি শুনেছি এ নিয়ে সবুজ সাথে কয়েকবার কথা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়টা নিয়ে অামাকে বলার কি অাছে? যেহেতু অাপনি এ সম্পর্কে জানেন অাপনার পক্ষে এটাকে গায়েব করাটা স্বাভাবিক নয় কি? সবুজ কে প্রশ্ন করে ইশতিয়াক বলল এগুলো অবান্তর প্রশ্ন না করলেই পারতে। অামাকে অযথা হেয় করার কি অাছে?
দুর্জয় কে রাগান্বিত স্বরে বলল তুমি ছোট ছেলে এসবে কি বুঝ? এসব কিছুই জানো না অযথা বন্ধুত্বের মাঝে সন্দেহ দেখাতে এসো না।
দুর্জয় বলল অামি অাপনাকে তেমন কিছু বলিনি যে অাপনি রেগে যাবার কারণ দেখাচ্ছেন।
দুর্জয়ের প্রশ্ন ইশতিয়াক কে হলে চোখের দৃষ্টি কিন্তু তারেক উপরই বরাবর।
ইশতিয়াক নিজেকে সংযত করে বলল, অামি অার সবুজ মুদ্রা সংগ্রই সেই স্কুল থেকেই একসাথে সংগ্রহ করেছি কই কোন দিন ত এমন হয়নি, হঠ্যা অাজকে অামাকে নিয়ে কেন এত তোলপাড় হচ্ছে ?অামি ত অাপনাকে শুধু প্রশ্ন করেছি অাপনি অযথা রাগ দেখাচ্ছেন, অাপনি অামার প্রশ্নের উওর গুলো দিলেই হবে। দুঃখিত, অাচ্ছা ঠিক অাছে কি বলতে চাও বল।
দুর্জয় বলল অাপনি বলুন ঐ দিন বিকালে কি হয়েছিলো?ইশতিয়াক বলতে লাগলো অামি ঐ দিন বিকালে অামার বন্ধু তারেখ কে নিয়ে অাসি মূলত তারেক এর বিভিন্ন দেশের মুদ্রার দেখতে, যেহেতু সবুজের কাছে সংগ্রহের সংখ্যা বেশি স্বাভাবিক ভাবেই অাসা। অামি যতশুনিছি অাপনার কাছেও হরেক রকমের মুদ্রার সংগ্রহ অাছে, কিন্তু অামার চেয়ে সুবজের সংগ্রহ অনেক পুরানো এবং দামী।
দুর্জয় কিছুক্ষন চুপ থেকে তারেক কে প্রশ্ন করল, ভাইয়া অাপনি হঠ্যা করেই মুদ্রার প্রতি অার্কষণ বোধ করলেন?
তারেক কিছু হতচকিয়ে বলল এসে দোষে কি অাছে, দেখাটা কি দোষের।
দুর্জয় বলল দেখাটা দোষের ন তবে চুরি করাটা দোষের।
তারেক তুমি কি বলতে চাচ্ছ যে অামি এটা কে নিয়ে গিয়েছি।
তোমার কি প্রমাণ অাছে যে অামি নিয়েছি।
ইশতিয়াক কে বলল অামাকে এভাবে এখানে অপমান না করলেও পারতে।
দুর্জয় সাহসের সাথে বলল প্রমান হয়ত অামার কাছে নেই তাই বলে অাপনি এভাবে এরিয়ে যেতে পারেন না। যথেষ্ট প্রমান থাকলেও অপরাধী অনেক ভাবেই পার পেতে পারে তাই না ?
অযথা তর্ক করে সময় নষ্ট করবেন না।
তারেখ রাগে গড়গড় করছে, জোরস্বরে ই বলল -অামি কেন তোমার ভাইয়ার মুদ্রা নিতে যাবো তাতে অামার কোন লাভ অাছে কি?
অাচ্ছা অাপনি হঠ্যা লাভ লোকশান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন? অার ঐ মুদ্রার যে একটা ভ্যালু অাছে সেটা অাপনি ভালো করেই জানতেন।
তারেক চোখে মুখে ঘামের দাগ দেখা গলো।
একদম চুপ হয়ে গেলো তারেক।
দুর্জয় বলল অতএব সময় নষ্ট না করে লজ্জা পাবার অাগেই জিনিসটা ফেরত দিয়ে দিন, তারেক কিছুই বলল না শুধু বলল এক গ্লাস পানি।
তারেক কে পানি দেওয়া হল ঢকঢক করে পানি গিলে ফেলল তারপর যা হল জাদুর মতন, তারেক তার মানিব্যাগ এর ছোট পকেট থেকে সেই পুরানো ১০৫ সালের one quarter anna মুদ্রাটা বের করে দিলো। তারেক শুধু মাএ সরি বলেই লজ্জিত মুখে চলে যেতে চাইলেন। তারপর দুর্জয় বলল এক মিনিট সব কিছু সমাধান হয়ে গেল ঘটনাও শুনে যাবেন নিশ্চয়ই।
অাপনি ত ম্যাজিক দেখান তাই তারেক ভাই। তারেক কিছুই বলল না শুধু মাএ মাথা নিচু করে সম্মতি জানালো।
অাপনার হয়ত মনে থাকে মাস খানেক অাগে একটা অনুষ্ঠানে ম্যাজিত শো করে ছিলেন মনে পরে কি অাপনার। তারেক স্তম্ভিত হয়ে চেয়ে অাছে দুর্জয়েরর দিকে। তারেক মাথা নিচু করে বসে অাছে সবার সামনে।
দুর্জয় তারেক কে বলল ম্যাজিক শুধু বিনোদনের জন্য চুরির জন্য না। অাপনি যেতে পারেন অাপনার সাথে অামার কোন প্রশ্ন নেই।
সবুজ অার ইশতিয়াক বিস্ময় দিকে তাকিয়ে ছিলো।
সবুজ ভাইয়া বলল কি করে বুঝতে পারলি যে এটা তারেক করল।
ভাইয়া তুমি লক্ষ্য করেছিলে তার হাতের অাঙ্গুলের দিকে কি রকম অদ্ভুত রকমের পাথরের অাংটি হুমম দেখেছিলাম, এসব অাংটি সাধারন মানুষের পরে না পরে থাকলেই একটি কিংবা দুটি কিন্তু সব গুলো অাঙ্গুল
পরে রা। সাধারণ ত অামাদের দৃষ্টি সরানো জন্য এসব পরে থাকে। অার এটা সাধারন ম্যাজিক করে ছিলো হাতের তালুর মধ্য লুকিয়ে পকেট চালান করে দিয়েছে তোমারা সেটটা লক্ষ্য করতে পারোনি, অার যেহেতু সে তোমার বন্ধুর মতনই সে ক্ষেএে তুমি তোমার মুদ্রা গুলো হিসেব করে বাক্সে ঢুকাওনি।
সবুজ ভাইয়া অানন্দিত হয়ে বলল যারা এর সংগ্রহের মূল্য দেয় তাদের কাছে ঐ সব সামন্য জিনিসগুলো মূল্যবান।
অবশেষে সেই ১৯০৬ সালে মুদ্রাটা কে দেখতে পেলাম, লাল বর্নের একপাশে one quarter anna অারেক পাশে বিখ্যাত রাজা Edward ৭ সাতে প্রতিকৃতি।
সবুজ ভাইয়া অার ইশতিয়াক ভাইয়া অনেক খুশি হলেন।
অাজ ঢাকা চলে যাবো তাই চাচা- চাচির কাছ থেকে দোয়া নিয়ে রওনা হলাম, সবুজ ভাইয়া বাসস্টপে পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলল সাবাশ দুর্ভেদ্য জয়।
অাজ বিকালে ঢাকায় পৌছেই ইন্টারনেট এ ব্রিটিশ শাসক Edward সম্পর্কে পড়লাম। পড়ে সবুজ ভাইয়ার কথাটা মনে পড়ল - একটা মুদ্রা শুধু বিনিময় জন্যই না তাতে মিশে অাছে দেশ ও দেশের ঐতিহ্য ।
.........................................................................................................................................................................
লেখাটা পড়ে মন্তব্য জানাবেন। যেহেতু এটা ২০১০ সালের লেখা সেক্ষেএে মুদ্রার বয়স সেভাবে দেওয়া হয়েছে। রহস্য গল্পে সিরিজ যেহেতু সেক্ষেএে ২য় লেখাটি দ্রুত দিতে চেষ্টা করব। কোন প্রকার ভুল হলে ক্ষমা করবেন। অাপনার মন্তব্য অাশাকরছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.