নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলেই দোষ ,নন্দ ঘোষ

কোর্পরে্ট শয়তান

কোনো কাজকর্ম তো নাই,খাচ্ছেন দাচ্ছেন, অার যখন যা চাচ্ছেন হাতের কাছে তাই পেয়ে যাচ্ছেন। - দাশবংশ

কোর্পরে্ট শয়তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ- কেদারা ( The Songs of Silence )

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫১



কেদারা ( মুক্তিপায় ১লা নভেম্বর ২০১৯ )
IMDb রেটিং ৭.১ / ১০
ব্যাক্তিগত রেটিং ৮ / ১০
প্রডিউসার : সমিরন দাশ
পরিচালক : ইন্দ্রদ্বীপ দাশগুপ্ত
ছবির ধরন : Drama
সময়সীমা : 1h 54m
অভিনয় করেন : কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ,রুদ্রনীল ঘোষ ,বিদীপ্তা চক্রবর্তী ,রজত গঙ্গোপাধ্যায় সহ আরো অনেকে ।

সিনেমা ও অভিনয়ে মানুষ মানুষের ভাষার অভিব্যাক্তি কে একসাথে সকল কে ফিল্মে বেধে রাখে এক সুতায় ।
অন্তহীন সিনেমায় একটা ডায়লোগ আমার সব সময় মনে পরে যারা একাকি বসবাস করেন তারা হয়ত সব বিষয় গুলো নিখুত করে দেখেন ।
একাকিত্ব মানুষকে অন্য একটা জগত নিয়ে বাসকরে প্রতিটা মানুষে মনে ,তেমনি...
একাকিত্ব ছুঁতে চায় শহরের সেই সব গলি, সেই সব বারান্দা বা ধূসর বেডরুম, যেখানে একমাত্র বাসিন্দার মতো মেঝেতে এসে পড়া রোদ্দুর নিজেও বড় একা এই জীবনে ।
যারা একা থাকেন তাদের জীবনটায় আনন্দ ,দুঃখ ,ভালোবাসা নিয়ে একাকি বসবাস করেন ,কখনো বুঝতে না দেওয়া এই জীবনে পরে থাকে ধুলোপরা বইয়ের মতন করে ।হয়ত রহস্য, হয়ত শুকনো আবেগ নিয়ে।একাকিত্বে ডুবে থাকা এক শিল্পী, ক্রমশ প্রান্তিক হয়ে যাওয়া এক নেহাতই নির্বিরোধী মানুষ যত বেশি করে প্রত্যাখ্যাত হয় বাইরের পৃথিবীর থেকে, তত বেশি করে সে ঢুকে পড়ে তার একান্ত নিজস্ব বৃত্তে। কে বলে সে একা? তার মনের ভিতরেই তো বাস করে হারিয়ে ফেলা প্রিয়জনেরা অথবা সেই চরিত্রেরা বাস্তবে যাদের কোনও অস্তিত্বই নেই। সেই চরিত্রদের ছুঁয়ে ফেলতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু কিছু ভাঙা টেলিফোনই পৌঁছে দিতে পারে সেই অন্য বাস্তবতায়।
এমন একটি মানুষ যাকে তার স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছে বহু বছর আগে, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে যে প্রত্যেকদিনের ‘হাসি তামাশার খোরাক একদিন তার ঘরে এসে পড়ে একটা ‘কেদারা’ আর সেখান থেকেই পাল্টে যায় তার বেঁচে থাকা। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ এই চরিত্রটিকে এত তীব্রভাবে সর্বাঙ্গে অনুভব করতেন কি না বলা মুশকিল। তিনি নিজে অনুভবী পরিচালক বলেই হয়তো সেটা সম্ভব হয়েছে। ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা— রুদ্রনীল ঘোষ, বিদীপ্তা চক্রবর্তী অথবা রজত গঙ্গোপাধ্যায় সহ সবাই অসাধারণ দক্ষতায় নির্মাণ করেছেন এই প্রান্তিকতার বিপরীত পোলারিটি। তবে রুদ্রনীল ঘোষের চরিত্রটিকে অনেকটা সেতু বলা যায়, যে নিজের অজান্তেই বহন করে চলে স্বপ্নলোকের চাবি।
মানুষ কীসে শান্তি পায়, কিছু হয়ে নাকি, কিছু না হয়ে? মানুষ তো কিছু হয়ে জন্মায় না। প্রত্যেক মানুষই তো কোনও না কোনও ক্ষেত্রে অসফল। এই যে অনেক সময় আমরা শিল্পীদের পাগল বলি কারণ তার মস্তিষ্কের চলন সব সময় ‘সভ্য’ মানুষের চলনের সঙ্গে মেলে না। সে-ও তো শিল্পী হয়েও সামাজিক ভাবে অসফল। সেখান থেকেই কিন্তু শূন্যতা তৈরি হয়।
একাকিত্বে ডুবে থাকা এক শিল্পী, ক্রমশ প্রান্তিক হয়ে যাওয়া এক নেহাতই নির্বিরোধী মানুষ যত বেশি করে প্রত্যাখ্যাত হয় বাইরের পৃথিবীর থেকে, তত বেশি করে সে ঢুকে পড়ে তার একান্ত নিজস্ব বৃত্তে। কে বলে সে একা? তার মনের ভিতরেই তো বাস করে হারিয়ে ফেলা প্রিয়জনেরা অথবা সেই চরিত্রেরা বাস্তবে যাদের কোনও অস্তিত্বই নেই। সেই চরিত্রদের ছুঁয়ে ফেলতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু কিছু ভাঙা টেলিফোনই পৌঁছে দিতে পারে সেই অন্য বাস্তবতায়।

ঘটনা প্রবাহ :
একজন একা মানুষ নরসিংহ। পেশায় সফল হরবোলা ( বিভিন্ন পশু-পক্ষীর ডাক নকল করে যে ব্যক্তি )। কিন্তু সংসার জীবনে অসফল। ফলে সন্তান নিয়ে স্ত্রী পৃথক। দু’জনের বিরহে বয়স্ক নরসিংহ কাতর হলেও মর্যাদা হারাতে সহজে চান না। তাঁর জীবনে একমাত্র দুর্বলতা বয়স্কা ঠাম্মা। তিনি প্রয়াত। কিন্তু হরবোলা হয়ে ঠাম্মাকে নিজের জীবনে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁকে। একা একাই কথা বললেন তাঁর সঙ্গে। নরসিংহর মান-অভিমান, সুখ-দুঃখের ভাগীদার একমাত্র তিনিই।অসমবয়সি হলেও আরও এক একক মানুষ তাঁর প্রতিবেশী, বাতিল পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচার মানুষ কেষ্টো। দু’জনার বন্ধুত্বেও কোনও খাদ নেই।প্রবীণ বয়সে পেশা ছাড়লেও তিনি মনে করেন হরবোলা একটা আর্ট যেটা এক ধরনের প্রাণী। সেই প্রাণীটির তখন বয়স হয়েছে, রোগে আক্রান্ত, ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছে। তবুও সেই প্রাণীকে তিনি ছেড়ে যেতে পারছেন না। এরপরেই দেখানো হয় যন্ত্রণা ও বেদনায় কাতর নরসিংহ বৃষ্টিতে ভিজছেন। চোখের জলে মিশে একাকার হয়ে যায় প্রকৃতির কান্না! ঠাম্মার সঙ্গে তার সারাক্ষণ একা একা কথা বলে যাওয়ার পাশাপাশি কেষ্টো একটি অসাধারণ দৃশ্য রচনা করেন ঘরের নরসিংহর মধ্যে। হাফডজন টেলিফোন বসিয়ে কল্পিত কিছু মানুষের সঙ্গে সাজানো কথোপকথন। কথা বলেন স্ত্রীর সঙ্গেও। এমনকি বাড়ি ফিরে আসার ব্যর্থ আবেদনও রাখে একসময়।
মানুষ যখন একা থাকে তখন মানুষই মানুষের বড় শত্রু হয়ে দাড়ায় একটা সময় পাড়ার মাস্তান তার বাড়ি দখলে নিতে চায় তাকে ভেঙ্গে দিতে চায় ।নরসিংহ তার সাহস দিয়ে রুখে দিতে চায় তার আপন স্বওাকে ।




মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১২

রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা দেখেছি।
প্রথম দেখে বুঝতে পারি নি। পরে আবার দেখলাম। তারপর কিছুটা বুঝেছি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

কোর্পরে্ট শয়তান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২

লুনা রাহনুমা বলেছেন: মুভিটি আমি দেখেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। মুভি রিভিউর সাথে আপনার নিজের কথাগুলোও খুব সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪২

কোর্পরে্ট শয়তান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫২

মিঠুন কুমার বিশ্বাস বলেছেন: ভারতীয় বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী পরিচালক যিনি এই মুভিতে অভিনয় করেছেন মূল চরিত্রে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় একটা ব্র্যান্ড। যার অভিনয় দক্ষতাও অতুলনীয়। একটি সত্তা কিভাবে টিকে আছে, একাকিত্বে, এক রাজত্বে তিনিই রাজা, সংসারের সমস্ত দুঃখ চেপে সন্তান আর নিজের পত্নীর সানিধ্যে পাওয়ার অপেক্ষায়।
ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর করে লেখাটা প্রকাশ করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.