নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য বই মিথ্যা বলিব না

তৌহিদুল মিনহাজ

সত্য বই মিথ্যা বলিব না

তৌহিদুল মিনহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকাশ....!! সৃষ্টির বিস্ময়....!! স্রষ্টা কে...!!???

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯


"...পূর্ণিমাসন্ধায় তোমার রজনীগন্ধায়
রূপসাগরের পারের পানে উদাসী মন ধায়।
তোমার প্রজাপতির পাখা
আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের রঙিন-স্বপন-মাখা।"
.
.
মাগরিবের কিছুক্ষন আগে আম্মার সাথে বারান্দায় বসেছিলাম। পরিবেশটাও চমৎকার ছিল,ঝিরঝির করে একটা বাতাস বইছিল....!! বাতাসটা একটু ভেজা ভেজা....!! সেই বাতাসে আমের মুকুলের ঘ্রান,আকাশটাও কেমন যেন কালো হয়ে আসছিল,যেন একটু কান্না করতে পারলে আকাশের বুক হালকা হয়....!!
.
এর মধ্যেই পুবের আকাশে একটা অপূর্ব জিনিস দেখলাম....!! সাদা রংয়ের একটা চাঁদ নিজের পূর্ন যৌবন নিয়ে উদ্ভাসিত করছে..!! একেবারে ঝাপসা...!! আস্তে আস্তে তাতে রং লাগলো.....!! প্রথমে হালকা হলুদ থেকে ধীরে পূর্ন রং ধারন করল...!! আমার দেখা অপরূপ দৃশ্য গুলোর অন্যতম...!! দেখতে দেখতে ভাবলাম- আচ্ছা,পৃথিবী ছাড়াও অন্য কোথাও কি আমাদের মত কেউ নেই..? সেই দূর দূরান্ত থেকে তারাও কি আমাদের নীল গ্রহটা দেখে রোমাঞ্চিত হয়..?? তারাও কি মহাবিশ্বে অন্য বুদ্ধিমান প্রানী খুজে বেড়ায়...!! সেখানেও কি কোন প্রেয়সী তার প্রিয়ের পথ পানে চেয়ে কান্নায় বুক ভাসায়..?? কোন মা সন্তানের জন্য ভাত নিয়ে অপেক্ষা করে...?আচ্ছা,ওখানেও কি প্রফেট ছিল বা আছে?? মহাকাশে কি তরুনীরা স্কুলে যায়..?গেলে স্কুলের পথে ছাত্রলীগ কি ওদের ডিস্টার্ব করে...?? অসম্ভব কিছু তো না....!! আমাদের পৃথিবীর বাহিরেও হয় তো পৃথিবী আছে...!! বিজ্ঞান আকাশের যে বর্ননা দিয়েছে বর্ননায় সেটাকে সম্ভব মনে হয়।
.জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশকে সাত ভাগে ভাগ করেছেন।#১)প্রথম বলয়ে সূর্য,পার্থিবগ্রহ,পৃথীবি ইত্যাদি।এর ব্যাসার্ধ ৮ আলোক মিনিট , #২) দ্বিতীয় বলয়ে সূর্য,সৌরজগৎ, শনি,ইউরেনাস,।এর ব্যাসার্ধ ৫ আলোক ঘন্টা।#৩)এখানে সূর্যের ২০ প্রতিবেশি।ব্যাসার্ধ ২০ আলোক বর্ষ।#৪)এখানে ছায়াপথ, আগে এটাকেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড মনে করা হত।এখন এমন ১০০ মিলিয়ন ছায়াপথ পাওয়া গেছে।ব্যাসার্ধ ৫০০০০ আলোক বর্ষ। #৫) ২০ টি প্রতিবেশি ছায়াপথ। ব্যাসার্ধ ২ মিলিয়ন আলোক বর্ষ। #৬) ছায়াপথের স্থানীয় গ্রুপের গুচ্ছ,সুপার ক্লাস্টার। ব্যাসার্ধ ৭৫ মিলিয়ন আলোক বর্ষ। #৭)আমাদের জানা শেষ সীমা,এখানে ছায়াপথের সর্বোত্তম গুচ্ছ।
.
তাছাড়া ৭ সংখ্যাটিরও গুরুত্ত আছে।বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এ ৭ ধরনের অলৌকিক বস্তু আছে-নক্ষত্র,গ্রহপুঞ্জ,উপগ্রহ,ধূমকেতু, নীহারিকা, ছায়াপথ,কোয়াসারস।এছাড়া আছে ৭ ধরনের নক্ষত্র -ধূসর বর্নের বামন তারকা,প্রধান তারকা,পালসেটিং তারকা,সাদা বামন তারকা,নিউট্রোন তারকা,ব্লাক হোলস তারকা.....
.
এই এত বিশাল জগতে একটা পৃথিবী থাকতেও পারে।এবার দেখি পৃথিবীর বাহিরে আরো পৃথিবী ও ৭ আসমান নিয়ে কোরান ১৪০০ বছর আগে কি বলেছে....
.
"আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।"সূরা তালাক-১২
.
"অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দুদিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।" আল কুরান
.
সর্বশেষ বলব-আল্লাহ সৃষ্টি নিয়ে যত চিন্তা করবেন তত ঈমান বৃদ্ধি পাবে।আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দিন। আমিন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

রিহাব বলেছেন: মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে এখানে একটি সুন্দর আলোচনা আছে
bn.islamkingdom.com/s2/47448

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: “তাঁর কাছেই রয়েছে অদৃশ্য জগতের চাবি। এসব তিনি ব্যতীত কেউ জানেনা; জলে ও স্থলে যা কিছু আছে, তিনিই এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। একটি পাতাও ঝড়ে না কিন্তু তিনিই জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকারে পতিত হয়না এবং সেটি আর্দ্র নাকি শুষ্ক; তা কিন্তু সব লিপিবদ্ধ রয়েছে প্রকাশ্য গ্রন্থে”। সূরা আল্‌ আন-আম ৫৯।

অথচ,
মানুষ অস্বীকার করে আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে! কিন্তু তারা তাঁর মহা সৃষ্টি সম্পর্কে এতটুকুন ভাবে না! মহা শূন্যের এই মহা বিস্ময়কর সৃষ্টি কি এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে, যার কোন একজন স্রষ্টা নাই?

সৃষ্টির চেয়ে স্রষ্টা শক্তিশালী; সৃষ্টিতেই স্রষ্টার পরিচয় লুকিয়ে থাকে। বাতাসের আকৃতি আমরা না দেখেও তাকে বিশ্বাস করি যে, বাতাস বিশ্বজগতে প্রলয় ঘটাতে সক্ষম! শব্দ কম্পনকে না দেখেও তার উপস্থিতিতে যখন কাঁচের ঘর ভেঙ্গে বালিতে পরিণত হতে দেখি, তখন তার উপস্থিতিকে মেনে নেই! চুম্বক শক্তিকে ধরে দেখতে না পারলেও, যখন তা মানুষের সৃষ্টিকে বিকল করে দিতে দেখি, তখন তাকে বিশ্বাস করি! উড়ন্ত ‘সসারকে’ এখনও মানুষ কব্জা করতে না পারলেও, কেউ বলেনা যে, এটি, মহাশূন্যে এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে বরং বলা হয় “তাকে কেউ সৃষ্টি করেছে এবং মানুষের গতিবিধি বুঝার জন্য তাদের পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে!
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর লিখাটির জন্য। আমার ব্লগ বাড়িতে আপনার দাওয়াত রইলো।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০

তৌহিদুল মিনহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ রিহাব ব্রাদার

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

তৌহিদুল মিনহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।আপনার ব্লগের লিংকটা দিলে ভাল হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.