![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
#সকাল, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ -- পিলখানার বিডিয়ার দরবার হলে উপস্থিত বিডিয়ারের ২৫৬০ জন জওয়ান।
#সকাল -৯.০৫ -- দরবার হলে ডিজি শাকিল সহ অন্য সেনা অফিসারদের প্রবেশ।
#সকাল -৯.৩০ -- শাকিলের বক্তব্য শুরু।এই মুহুর্তেই সিপাহী মইন অস্ত্র হাতে মঞ্চে উঠে পড়ে।তারপরই জওয়ানরা বাহিরে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করে।
#সকাল ৯.৩২ - শাকিল সেনাপ্রধান মইনকে কল দিয়ে সেনা পাঠানোর অনুরোধ করেন।তারপর র্যাবের ডিজিকে কল দিয়ে সাহায্যের অনুরোধ করেন।
#সকাল ৯.৩৮ - শাকিল প্রধানমন্ত্রীকে কল দেন।
.
এরপর অনেক সময় গড়িয়ে যায়।পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে।শাকিল সহ সেনা কর্তারা সাহায্যের আশায় দিশেহারা হয়ে যায়,কিন্তু কোন সাহায্য আসে না,বরং চলে সময় ক্ষেপন।
.
#সকাল ১০.৩৯ - অস্ত্র হাতে খুনিদের প্রবেশ।অফিসারদের ব্যাচ খুলে নিয়ে চাকরের মত নির্দেশ দিতে থাকে।
#সকাল ১০.০০ - বিগ্রেডিয়ার হাকিমের নেতৃত্বে ৫০০ সেনা ও র্যাব উদ্ধার অভিযানে যায়।কিন্তু অভিযানের অনুমতি মিলে নি
#সকাল ১০.৪২ - শাকিল সহ বেশ কয়েকজন অফিসারের শাহাদাত।মেধাবী সেনা অফিসারদের রক্তে ভিজে যায় ঢাকার মাটি।
.
আর এই সময়ই মিডিয়ার সামনে জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে বিডিয়ার জওয়ানরা।
#সকাল ১১.০০ - মইন হাসিনার বাসভবন যমুনায় গিয়ে দেখেন হাসিনা নেতাকর্মী নিয়ে চা খাচ্ছে।
#দুপুর ১.০০ - নানক আর আজম পিলখানায় যান।
#দুপুর ৩.৩০ - ডিএডি তৌহিদ সহ ১৪ বিদ্রোহী হাসিনার সাথে বৈঠক করেন।শেরাটন থেকে তাদের জন্য খাবার আনা হয়।সিদ্ধান্ত হয় সাধারন ক্ষমার।
কিন্তু অফিসারদের কথা জানতে চান নাই।এই সময় সুরঞ্জিত মিডিয়ায় সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে বলেন।রাতে পিলখানায় যায় সাহারা খাতুন।সেও অফিসারদের বিষয়ে কোন তৎপরতা দেখান নাই।ঐ রাতেই নানক,আজম,তাপসের সহযোগিতায় খুনিরা পালিয়ে যায়।
.
এরপরই অফিসারদের কবর দেখা যায়।নালা-নর্দমায় ভেসে আসে অফিসারদের লাশ।
.
ঘটনার পর হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট গেলে এক অফিসার তাকে বলেন-আপনাকে কেন ২২ তারিখই ২৬ তারিখের নৈশভোজে যেতে নিষেধ করেছিল।
.
গ্রেফতারকৃত জওয়ানদের জবানবন্দী -
সিপাহী সেলিম রেজা স্বীকার করে শেখ সেলিম ও তাপসের সাথে তার যোগাযোগ ছিল।তাপস অভয় দিয়ে মারতে বলেন।
ডিএডি নাছির বলেন- শেখ সেলিম ও তাপস বলেছে মাফ করে দিবে।
সিপাহী জিয়াউল হক বলে- তাদের ইনুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।ইনু বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়।সেলিম আর তাপস বলেছে অঅপারেশন ভাল হলে সজিব ওয়াজেদ জয় খুশি হবে।
.
তিনটা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখে নি।
সি আই ডির তদন্তের দায়িত্ত দেওয়া হয় আব্দুল কাহহার আকন্দকে।সে পুলিশের চাকরি ছেড়ে আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিল।
.
ঘটনার পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র দেখিয়ে ক্যাপ্টেন শাহনাজ মিডিয়ার সামনে বলেন এই অস্ত্র গুলো আমাদের আর্মি আর বিডিয়ারের না।
.
কিছু প্রশ্ন........
১)কিলিং শুরু হওয়ার আগে মইনের হাতে সময় ছিল ১.১০ ঘন্টা । কেন সে একশনে গেল না??
২)সাহায্য চাওয়ার পর হাসিনা সময় পায় ১.০৪ ঘন্টা। কেন একশন নিলেন না?
৩)কেন হাসিনা ২৬ তারিখের নৈশ ভোজ বাতিল করলেন?
৪) সেদিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিমানের শিডিউল কেন চেইঞ্জ হয়েছিল?
৫)সেই সিপাহি মইনের এখনও কোন খোঁজ নেই কেন??
৬)২৭ তারিখ দুবাইতে জড়িতদের সাথে জয় কেন দেখা করে?
৭)জয়ের পাসপোর্ট তদন্ত কারীদের দেখতে দেয় নি কেন?
৮)তিনটি কমিটির একটাকেও কেন জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় নি?
৯)অভিযানের ব্যাপারে শাকিলের ছেলে রাকিনকে প্রধানমন্ত্রী বলেন-তিনি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মইন উ রাজি হয় নি।
মইন বলেন-সে অভিযান চালাতে চেয়েছিল,হাসিনার অনুমতি মেলে নি.......!!!!
১০)সরকারের ননেতারা কিভাবে নিরাপত্তা ছাড়া পিলখানায় ঢুকেছিল?? এত আত্ত্ববিশ্বাস তারা পেল কিভাবে?
১১) ঘটনার পর সেনাবাহিনী কে কেন ৩ কিমি দূরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল...??
.
জানি এত প্রশ্নের উত্তর নেই।কিন্তু সত্য একদিন বেরিয়ে আসবে।মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাসে আমাদের ৫১ অফিসার শহীদ হয়,আর পিলখানায় ২ দিনে ৫৭ অফিসার শাহাদাত বরন করেন।যে আর্মি অফিসাররা প্রধানমন্ত্রী, এমপি,মন্ত্রী,জনগন, দেশের নিরাপত্তা দেয় তারাই সাহায্যের অভাবে হাহাকার করে মারা যায়।শহীদদের এই রক্ত একদিন কথা বলবেই।
.
ইনশাআল্লাহ।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬
মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: view this link
আমার লেখাটি পড়ুন কিছুটা হলে ও ধারনা পাবেন ।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: হামমম!
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪১
রাশেদ রাহাত বলেছেন: সব প্রশ্ন মানসম্মত না হলেও সর্বশেষে আমি একমত পোষণ করছি। সত্য বের হবেই।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
তৌহিদুল মিনহাজ বলেছেন: মিঠুন বিশ্বাস ভাই,এত বেশি অযৌক্তিক কথা বলেন কিভাবে??তাহলে বাংলাদেশের মত ঘন বসতিপূর্ন এলাকা থেকে সব বাহিনী তুলে নিন
৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
ভাল বলেছেন -মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাসে আমাদের ৫১ অফিসার শহীদ হয়,আর
পিলখানায় ২ দিনে ৫৭ অফিসার শাহাদাত বরন করেন।
যে আর্মি অফিসাররা প্রধানমন্ত্রী, এমপি,মন্ত্রী,জনগন, দেশের নিরাপত্তা দেয় তারাই সাহায্যের অভাবে হাহাকার করে মারা যায়। শহীদদের এই রক্ত একদিন কথা বলবেই।
প্রকৃতি মিথ্যাকে আপনাতেই অপসারিত করে তা যত দেলীতেই হোক বা দ্রুতই হোক।
সত্য আপন রুপে বেরিয়ে আসেই। কোন ষড়যন্ত্র কোন ক্ষমতা সত্যকে চাপা দিয়ে রাখতে পারে নাই।
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮
তৌহিদুল মিনহাজ বলেছেন: চরম সত্য এটা।বিদ্রোহী ভাই
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৫
মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: আনসার বিদ্রোহ সম্র্পকে কতটুক জানেন ??? আমার ধারনা জানেন না । আর পিলখানা পারলে একটু চারপাশ দিয়ে ঘুরে আইসেন তাহলে বুঝতে পারবেন । পিলখানাই একমাত্র ঘনবসতি পূর্ন এলাকার সাথে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৩
মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: আপনার সকল প্রশ্ন এর উত্তর আমার জানা নাই তবে , পিলখানা সর্ম্পকে আপনার ধারনা নাই এই টুকু বুঝতে পারছি । পিলখানার চারপাশ ঘিরে ঘনবসতি পূর্ন এলাকা , যেখান কয়েক লক্ষ লোকের বসবাস । এখানে একশনে গেলে ক্ষয়ক্শতি বাড়ত , কমত না । পিলখানার অভ্যন্তরে ৮০০+ পরিবার ছিল সেখানে নারী শিশু ছিল। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী ছিল । আর কিছু কি আপনাকে বুঝাতে হবে ।