|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 

        নিরুপমাও চাকরি করে খায়
             মিন্টু শাহজাদা    
চাকরি করে খাই। সময় কোথায় এতসব বুঝিবার? 
গম্ভীর নিপাট ভদ্রমহিলার মতোন চেয়ে থাকে নিরুপমা, 
সন্ধ্যা হবার পর। একটি কাগজের পাখা হাতে করে 
বসে থাকে জানালার ধারে, বাসে। অদ্ভুত চুপচাপ!  
নিরুপমা, তোমার মন খারাপ?   
একনলা বাঁশের বাঁশির সুর বাজে না বহুকাল। 
শর্ষে ক্ষেতের আলে বসে নির্জন আলোর ঝিকিমিকি, 
রং দেখিবার সময় ফুরিয়ে গেছে নিরুপমার। নেই। 
সাঁতার কাটিবার আগে গাঁয়ের ধারের নদীটি মরে গেছে! 
গোপনে খবর নিত যে, সেও গেছে মরে, একা। পৃথিবীর 
আলো ছায়ায় ঘন জনমানবের ভিড়ে খোঁজ নেবার কেউ নেই!   
আশ্বিনের গরম আর ফেরীওয়ালার হাকডাকে বিষাদ, নিরবতা। 
রাত্রি নামিবার বহু আগে মৃদু অন্ধকারে ছেয়ে গেছে দিন, 
সারাদিন কাজের ভারে নুব্জ,  ক্লান্ত দিন; চোখ বুজে আসে ঘুমে। 
ছিমছাম যুবকেরা চলে যেতেছে পাশ কাটিয়ে পেছনের সিটে! 
একটি কাগজের পাখা হাতে করে নিরুপমা বসে থাকে জানালার ধারে, 
চুপচাপ। নিরুপমার চোখের নিচে কালি।   
গত বোনাসের টাকার ঘ্রান ভুলে গেছে নিরুপমা, কবেকার কথা! 
ঋণের বোঝা বাড়িবার আগে, আবারও যদি পাওয়া যেত বোনাস!  
কালের বিপাকে এবারও বেতন বাড়িবে না আর। আহ! নিরুপমা নিশ্চুপ।  
অফিস বাসের ভাঙা জানালা দিয়ে হাত বাড়ায় হাড্ডিসার ভিক্ষুক, 
একটি পয়সা যদি পাওয়া যেত আবার! নিরুপমা নিশ্চুপ। 
মা আর বোনটা কেমন আছে? আর কিছু টাকা হাতে হলে পাঠাবে, ঘরে।   
শহরের অদ্ভুত ভিড় ঠেলে ঘর্মাক্ত নিরুপমাও ভাড়া করা ঘরে ফেরে; 
একা। ক্লান্ত শরীরে রাত্রি নামে আবার। নিরুপমা ক্লান্ত! 
সস্তা বিছানায় শরীর এলিয়ে দেবার পর, লালচে আবছা আলোতে  
গোপন ব্যথাগুলো আবার কেন জেগে উঠিতে চায়? আহ! 
আলো ছায়ায়, ঘন জনমানবের ভিড়ে, গোপনে খবর নিত যে,   
অবহেলায় সেও মরে গেছে, ভাড়া ঘরের খসে পড়া পলেস্তার মতোন!  
প্রেমের সময় আসিবেনা আর।নিরুপমাও চাকরি করে খায়।
 ৯ টি
    	৯ টি    	 +৪/-০
    	+৪/-০  ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ৮:৩৩
১১ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ৮:৩৩
মিন্টু শাহজাদা বলেছেন: জনাব চাঁদগাজী আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২|  ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ৯:৪৪
১১ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ৯:৪৪
মোঃ সোহেল আনোয়ার বলেছেন: আমি মনে করি, নিরুপমা যদি এই লিঙ্কটা সম্পর্কে জানত তবে সে কখনো চাকরি করতো না। আমাদের স্যার বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন যে বিসিএস এ যে যত বেশি দক্ষতার সাথে উত্তর দিতে পারবে সে সরকারের তত বড় চাকর হতে পারবে। আর আমরা সেই বড় পদের চাকর হওয়ার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাই লিঙ্কটা রহস্য এড়িয়ে যাবেন না। লিঙ্কটার রহস্য জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৩|  ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ৯:৫৯
১১ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ৯:৫৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল লিখেছেন!
৪|  ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ২:২৬
১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ২:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন: 
সাম্প্রতিক সময়ে আমার পড়া কবিতাগুলোর মাঝে খুবই উঁচু মানের, হৃদয়ের-ছোঁয়া  কবিতা, আমাদের  ষাধারণ নারীদের কস্টকর দিকের জীবন-আলেখ্য
৫|  ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  ভোর ৫:৪০
১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  ভোর ৫:৪০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: 
কবিতাটা পড়ে একটু চুপ হয়ে গেলাম। নিরুপমাকে অনুভবই করছি মনে হচ্ছে।
কবিতার ভাবটা খুবই গভীর।
++
  ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  সকাল ৮:৫৮
১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  সকাল ৮:৫৮
মিন্টু শাহজাদা বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব রক্তিম দিগন্ত। শুভ হোক সব।
৬|  ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  সকাল ১০:১৯
১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  সকাল ১০:১৯
অপ্সরা বলেছেন: এই লেখাটা খুব খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া!
অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্য
  ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  সকাল ১১:১৬
১২ ই অক্টোবর, ২০১৬  সকাল ১১:১৬
মিন্টু শাহজাদা বলেছেন: ধন্যবাদ, জনাব অপ্সরা। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ৮:২২
১১ ই অক্টোবর, ২০১৬  রাত ৮:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের কবি, জীবনের কবি, অদ্ভুত সুন্দর এক সৃস্টি; জীবনের ছোঁয়ায় জীবন্ত