জীবনের গল্প.........

১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

মধ্যবিও পরিবারের ছেলে জীবন।জীবনের বাবার অনেক স্বপ্ন তার ছেলে ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হবে।এবারের এস.এস.সি পরীহ্মা দিয়েছিলো।আজ রেজাল্ট দিয়েছে রেজাল্টটা অনেক খারাপ হয়ে গেছে।কিন্তু কি করবে সে তার পর্দাথ বিঞ্জান বিষয়টা একেবারে মাথায় ধুকেনা।তাই বাসায় বাবা রেগে সবসময় অপদার্থ বলতো।আজ রেজাল্টের পর কেন জানি এই সমাজের চোখে তার নিজেকে অপদার্থ বলেই মনে হচ্ছে।কিন্তু সে এই পদার্থ বাদে যে অনেক কিছু পারে তার যেন কোন মূল্যেই নেই এই রেজাল্টের বাজারে।অনেক বকা ঝকার পর রাতে খুব কষ্ট করে শুয়েছে সে।বাবার অনেক অভিমান কিন্তু মা কি তার ছেলের উপর রাগ করতে পারেন বরং বরাবরের মতোই আজো তাকে অনেক দোয়া করেছেন।কিন্তু দরজা বন্ধ করে বসে জীবন নিজেকে আজ বড় বেশিই অপদার্থ ভাবছে।সে কিভাবে কাল সমাজের চোখে মুখ দেখাবে!!বাবা বলেছিলো ভালো রেজাল্ট করলে বাজারে যে নতুন সাইকেল উঠেছে তা কিনে দিবে এবং সাথে কম্পিউটার কিন্তু আজ তার আশা সব নিরাশায় পূর্ণ করে দিয়েছে তার রেজাল্ট।তাই সে তার ছোট বোনের উড়নাটা ফ্যনে ঝুলিয়েছে নিজেকে মৃত্যর মুখে ফেলে দেওয়ার আগে অনেককিছু ভাবছে সে।রাতে খাবার খায়নি এখনো মা একবারো ডাকতে এলোনা!!শেষ পর্যন্ত তার গলা দড়িতে ঝুলালো।হুম হয়তো শেষ হয়ে যেতে পারতো এমন জীবন এর জীবনের গল্প কিন্তু না সে নিজেকে সামলে নিলো এইবার সে তার অনুপ্রেরণার যোগান সে নিজেই দিলো।তার মনে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে বাসা বাধলো যে তার যেই কাজটা ভালো লাগে সে তাতেই নিজেক প্রতিষ্টিত করবে.............কিছুদিন পর গণিত অলেম্পিয়াডে অংশ নেয় জীবন এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথম পুরস্কার পেল সে।জীবন ক্রিকেট খেলতে খুব ভালোবাসে।ক্রিকেটকে তার জীবনের একটা অংশ মনে করে সে।হঠাত্‍ একটা ফোন এল তার বাসার ল্যান্ডফোনে সে ধরলো হ্যলো

অপরপ্রান্ত থেকেঃএটা কি জীবনের বাসা?জি আমিই জীবন আপনি কে বলছেন?

আমি ****বলছি।জি স্যার বলুন।তোমাকে একাদশে সিলেক্ট করা হয়েছে।

আগামি ১৯তারিখে চট্টগ্রামের সাথে খেলা আছে।তুমি নিশ্চয়ই অসছো?

জ্বি স্যার অনেক ধন্যবাদ স্যার।

এই ভাবেই জীবন এর জীবনের গল্প চলতে থাকে.........

০ টি +০/-০