নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাইনাস এইটিন_পন্ডিত

মোর ঘরের মাঝে পাঁচিল ভেঙ্গে আসে বাস্তুহারার শত কান্না প্রতিটি সন্ধ্যায় একা একা বসে ভাবি বিথোভেন, শংকর আর না এ পৃথিবী কালো জলে, বিদ্যুতে, বাজে পুড়ে জ্বলুক লক্ষ নদী হয়তো বা আমি তার পাশে বসে দেখছি পল ক্লি, মাতিসের ছবি

মাইনাস এইটিন_পন্ডিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফরিদা পারভীন, লালনের গানের বিকৃতি এবং "সময় গেলে সাধন হবে না" প্রসঙ্গ

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

ফরিদা পারভীন কিছুদিন আগে একটা তর্ক তুললেন শাহ আবদুল করিম বাউল না। উনি লালনের গানের আসল শিল্পী। এইসব ব্লাব্লাব্লা! কিন্তু যখন কোথাও লালনকে নিয়ে পড়ি তখন বিস্মিত হতে হয় লালনের গানের কথা কী পরিমাণে উনার মুখে এসে বদলে গেছে! কিছু কিছু জায়গায় এই বদলে যাওয়াটা প্রায় বিকৃতির পর্যায়ে পরে। লালনের গানের প্রামাণ্য পাঠ হয়ত কিছুটা কষ্টসাধ্য তবু এই ধরণের বিকৃতি মেনে নেয়া যায়না। যেমন, এই মুহূর্তে তার গাওয়া বিখ্যাত গানটা "সময় গেলে সাধন হবে না" গানটার কথা মনে পড়ছে। "দিন থাকিতে দিনের সাধন" আর "দিন থাকিতে তিনের সাধন" এর মাঝে অনেক ফারাক। "তিনের সাধন" বাউল সাধনারই একটা অঙ্গ। তাই এই ধরণের বিকৃতি খুব ভয়াবহ। আর উল্লেখযোগ্য কারণেও ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে হবে। এই ফরিদা পারভীনই আমাদের ড্রয়িং রুমের লালন হয়ে উঠেছেন!



আবদেল মাননান এর লালন সমগ্র আর ফরিদা পারভীনের গাওয়ার মধ্যে পার্থক্যটা তুলনা করলেই বোঝা যাবে বিকৃতিতা কী পর্যায়ের।



লালন সমগ্রতে আছে-



সময় গেলে সাধন হবে না।

দিন থাকিতে তিনের সাধন কেন করলে না।।





জানো না মন খালে বিলে

থাকে না মীন জল শুকালে।

কি হবে আর বাঁধাল দিলে, মোহনা শুকনা।।





অসময়ে কৃষি করে

মিছামিছি খেটে মরে।

গাছ যদিও হয় বীজের জোরে, ফল ধরে না।।





অমাবস্যায় পূর্নিমা হয়

মহাযোগ সেই দিনে উদয়।

লালন বলে তাহার সময় দণ্ড রয় না।।



আর ফরিদা পারভীনের গাওয়া-



সময় গেলে সাধন হবে না

দিন থাকতে দিনের সাধন

কেন জানলে না

তুমি কেন জানলে না।



জানোনা মন খালে বিলে

থাকে না মীন জল শুকালে

কি হবে আর বাঁধাল দিলে

মোহনা শুকনা

বিলের মোহনা শুকনা।



অসময়ে কৃষি করে

মিছামিছি খেটে মরে

গাছ যদিও হয় বীজের জোরে

ফল ধরে না,

তাতে ফল ধরে না।।



অমাবশ্যা পূর্ণিমায় হয়

মহাযজ্ঞে দিনে উদয়

লালন বলে তাহার সময়

দন্ড রয় না



ফরিদা পারভীন হয়ত জেনে থাকবেন, লালন অনুসারীরা লালনের গানের কথাকে "কালাম" বলেন। উনি জেনেশুনেই বিশ বছরেরও অধিক কাল সময় ধরে এইসব বিকৃতি ঘটিয়ে চলছেন। এজন্য উনার কোন অনুতাপ আছে বলেও শুনিনাই। নিজেকে উনি লালনগীতির "এলিট" শিল্পী বনে গেছেন!





যাই হোক, আগ্রহীদের জন্য দুইজনের কন্ঠে এই গানটার ডাউনলোড লিঙ্ক দিলাম।



নবনীতা চৌধুরী গাওয়া



ফরিদা পারভীনের গাওয়া

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

শায়মা বলেছেন: হায় হায় এটা তো জানতাম না ভাইয়া তবে আমি কিছুদিন আগে ডঃ মনিরুজ্জামানের লালন বীক্ষন পড়লাম আর তাতে আমি আমার নিজের মত করে লালনের কিছু গানের ভাবার্থ অনুধাবন করলাম।


আসলেই লালনের গানের সব কি বোঝা এত সহজ! তার গান ভাব আর অনুভুতির ব্যাপার । বড়ই জটিল আবার বরই সহজ!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

মাইনাস এইটিন_পন্ডিত বলেছেন: লালনের গান বোঝা অনেক কঠিন। বিশেষ করে আমাদের জন্য যাদের পড়াশোনা নাই, যাদের কাছে লালনের গান পৌঁছেছে বাউল বা ফকিরদের মাধ্যমে নয়, বরং ফরিদা পারভীনের মত লালনগীতির শিল্পীদের মাধ্যমেই। সেই গানও যখন বিকৃত হয়ে আসে তখন লালনের ভাব বোঝার সাধ্য কই আমাদের? ইমন ভাইয়ের পুরানো কিছু পষ্ট পড়ার পর বিষয়টা আমি খেয়াল করি। পরে ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বইতে এইটা নিয়ে কিছু পড়ছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.