![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মাতৃভূমিকে অনেক ভাল বাসি। আমি সত্য বলতে নিভীর্ক। প্রত্যেকটা মানুষই দেশের সম্পদ, সবাই দেশকে সুন্দর করে গড়ার জন্য কাজ করা উচিত, সব কিছুর উদ্ধে উঠে।আমার মাতৃভূমিকে অনেক ভাল বাসি। আমি সত্য বলতে নিভীর্ক। প্রত্যেকটা মানুষই দেশের সম্পদ, সবাই দশকে সুন্দর করে গড়ার জন্য কাজ করা উচিত, সব কিছুর উদ্ধে উঠে।
{প্রথমেই বলে রাখি লেখাটি আমার না, ফেইজবুক থেকে কপি করা। বেকারদের মনে যেই কস্ট তা লেখা গুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন, আশা করি পড়বেন।}
এক ছোট বোন বললো যে ভাই আমার ছোট ভাই তো গোল্ডেন প্লাস পাইছে,,,কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দিবে,,
বললাম কোনটাতেই না,
বলল কেন ভাইয়া??
বললাম ওরে মুদির দোকান কইরা দাও,,নয়তো ৫/৭ টা গরু কিনে দাও হাল চাষ করুক,,,,নয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যে ৪/৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে সেই টাকা দিয়ে বিদেশ পাঠায় দাও,,কামে দিব,,
সে রেগে গিয়ে বললো,,ধুর ভাই,,আপনরা কাছে সাজেশন চাওয়াই ভুল হয়সে,,
বললাম ভুল না,,৫/৬ বছর পর অনার্স শেষ করার পর বুঝবা,,,
হ্যা,,এটাই বাস্তব,,আজ যে ছেলেটা প্লাস,,,গোল্ডেন প্লাস পেল,,পরিবারের মুখ উজ্জল করলো,,হয়তো ৫/৭ বছর পর এই সন্তনটিই বৃদ্ধা পিতা মাতার কাছে অভিশাপ হয়ে যাবে,,
মাত্র ২৯ হাজার প্লাস গোল্ডেন প্লাস,,অথচ সরকার ১৭ কোটির দেশে এই কয়জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যতও নিশ্চিত করতে পারবে না,,
এভাবে ২৯ হাজার পুন্জিভূত হতে হতে আজ ঊনতিরিশ লক্ষ হয়ে গেছে,,
তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যদি দেশ স্বাধীন হয়ে থাকে তো,, তিরিশ লক্ষ বেকার ও আজ শহীদ হবার পথে,,
,কোটার এই যুগে কেন চাকরি হবে,,,
অনেকে প্রশ্ন করে ভাই আপনি এত হতাশ কেন,,,আপনি এত বেশী ফেইসবুক চালান কেন,,কোটা তো ৫৬%,, আপনি বাকী ৪৪% এর ভেতর ঢুকবেন,,
এক এক করে শেষ করি,,
আমি আদৌ হতাশ না,,আমি নিজেকে নিয়ে গর্ব করি ,,আমি ভালোবাসি আমাকে,,,সমাজের আর দশটা ভালো ছাত্রের থেকে আমার মেধা,,প্রজ্ঞা , প্রত্যয়,আত্মবিশ্বাস কোনটায় কম না,,
ব্যক্তি জীবনে টিউশনি আর ইউসিসি কোচিং এ তিন বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতার আলোকে প্রায় ২ হাজার ছাত্র ছাত্রীর সান্নিধ্যে গিয়েছি,,যারা আমাকে নিয়ে আমার থেকেও বেশী স্বপ্ন দ্যাখে,,,
আর এই যে বই গুলো দেখছেন,,এগুলো আমার সন্তানের মত আমার কাছে,,ফেইসবুকে আপলোড করার জন্য এই বই গুলো আমি বিশ তিরিশ হাজার টাকা খরচ করে কিনি নাই,,
দিনশেষে এসে যখন আমি এগুলো দেখি,,তখন আমার মনটা ভরে যায়,,
মেধায় ও নিজেকে কারো থেকে এতটুকু কম মনে করি না,,
আমার জন্ম একদম অজপাড়াগায়ে,,মা বা দুজন ই সম্পূর্ণ অশিক্ষিত,,আমার চৌদ্দ গোষ্ঠীতেও একজন স্নাতক সম্মান শেষ করা ছাত্রছাত্রী নেই,,আমার গ্রামে আমি ই একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়া ছাত্র,,
,আমি এসএসসি পরীক্ষা দেবার আগে বিয়ে করেছি,,এটা ছিলো জীবনের সবথেকে বড় ভুল,,শত অভাবের সংসারে কত কষ্ট করে যে,, হাট দারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে প্লাস পেয়েছিলাম,
,কোনদিন ক্লাস করি নাই,,জীবনে একদিন ও না,,শুধু এক্সামের দিন যেতাম,,কোন শিক্ষকের সুনজর পাই নাই কোনদিন,,
কলেজ লাইফে ফজলু স্যার একদিন বাড়ি থেকে গার্ড পাঠিয়ে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন এবার পাশ ও করতে পারবি না,,আমি অনেকটা দাম্ভিক সুরেই বলেছিলাম,,শুধু দারিয়াপুর কলেজ না,,যদি পুরা মাগুরা জেলার ভেতর কেউ একজন গোল্ডেন প্লাস পাই,সে হচ্ছি আমি,,
যাগ্গে নিজের জাহির না করি,,এ গুলো এই জন্য বললাম যে,,মেধাবীরা কম পড়াশোনা করে,,,আর আমি নিজেকে মেধাবী মনে করি,,
প্রেম করেই কতজন ধ্বংস হয়ে যায়,,আর আমি পনেরো বছর বয়সে বিয়ে করে বউ এর সাথে ঘর করেও দুইবার প্লাস সহ মেধা তালিকায় দশম হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম,,
এটাই আমার আত্মবিশ্বাস আর প্রত্যয়,,নিজের সাধ্যের ভেতর যতটুকু কুলিয়েছে ততদূর এসেছি,,কোচিং করতে পারি নাই,,পাই নাই কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বড় ভাইয়ের উপদেশ,,
যাগ্গে এটাও,,আমি এখনো কোন চাকরির পরীক্ষায় এটেন্ড করি নাই,,তার আগেই কেন হতাশা আমার,,এটা আদৌ হতাশা নয়,,এটা এক অজানা ভয়,,অপরিনামদর্শী হাতছানি,,
বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এর ছাত্র বেলাল ভাই,,বাপ মারা গেছে অনেক আগেই,,তিন ভাই বোনের সংসার চালান টিউশনি করে,,আরো নিজে পড়ে,,আমার এক ইয়ারের সিনিয়র,,আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মেধাবী,,ফার্স্ট টাইম ৩৭ তম বিসিএস এ নন ক্যাডার হয়েছেন,,আবার ৩৮ এর রিটেন দিল,,সে এতটাই মেধাবী যে কেটাধারীদের সে প্রাইভেট পড়ানোর যোগ্যতা রাখে,,
তার ই পাশের রুমমেট কোটাধারী,,সে এডমিন ক্যাডার হয়েছে,,আর সে হয়েছে নন ক্যাডার,,
কোন রকমে ভাইভা টা দিয়ে এসে কোটাধারী নাক ডেকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়,,কারন সে জানে,,ফরেন বা এডমিন তো আসবেই,,,কোটা বলে কথা,,পক্ষান্তরে একজন মেধাবী ভাইভা দিয়ে এসে তার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়,,সে ভাবে শিক্ষা ক্যাডার কি আসবে?? কারন তার উদ্বিগ্নতার একটাই কারন শত শত চোখ তার দিকে চেয়ে আছে,,চেয়ে বৃদ্ধা মা বাবা,,পরিবার পরিজন,,
এটাও বাদ দিলাম,,অনেকে বলেন আপনার এত কোটা নিয়ে টেনশন কেন,,আপনি ৪৪% এর ভেতর ঢুকবেন,,
ভাইরে আমি গত ছয় টা বছর টিউশনি করে চলি,,বই কিনছি,,প্রস্তুতিও নিজের কাছে মনে করি সয়ংসম্পূর্ন,,এজন্যই আমার কোটা নিয়ে এত মাথাব্যাথা,,
আর ৪৪%,, আরে ভাই দেশে মেডিকেল, বুয়েট,কুয়েট,,ঢাবি,হাবি,জবি,ববি,কুবি,খুবি,,বহুত প্রতিষ্ঠান,,সেখানে লক্ষ পাথরের অভাব নেই,,
আমি ৪৪% এর ভেতর ঢুকতেই রাজি,,কিন্তু দুঃখ একটাই,,নীরবে কাদে লাখো মেধাবী,,হাজারো নন ক্যাডার,,দেখার কেউ নেই,,গায়ের জোরে,,ক্ষমতার জোরে,,কোটা সিস্টেম অব্যাহত রাখা হয়েছে,,
কি দোষ করছি আমরা,,গোল্ডেন প্লাস পেয়ে,,,একটা মেধাবী ই শুধু জানে প্লাস, গোল্ডেন প্লাস পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সিট অর্জন করা কতটা মেহনতির কাজ,,কত রাত নির্ঘুম কাটাতে হয় এর জন্য,,কত চাপা কামনার কবর দিতে হয় এর জন্য,,,আর সেই পরিশ্রম যদি হুমকির মুখে চলে যায়,,যদি নিজের ভবিষ্যত হয়ে পড়ে অনিশ্চিত,,,
আজ যে ছেলেটা এ প্লাস গোল্ডেন প্লাস পেল,,হয়তো সেই ছেলেটাই একদিন,,দেশের স্বনামধন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান শেষ করে যেয়ে,,মিল্লাত ঘামাচি পাউডার,,বলাকা ব্লেড,,আরএফএল,,আবুল খয়ের বিড়ি কিংবা জুই নারিকেল তেল কোম্পানি তে সিভি জমা দিতে গিয়ে দেখবে,,নো ভ্যাকান্সি,,
সবই আমাদের কপাল,,,আমার বইগুলো কেনাই সার হয়েছে,,,
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা সবাই মেধাবী,,এরা এক একটা বারুদ,,জীবন যুদ্ধে কখন বিষ্ফোরিত হতে হবে তা এরা খুব ভালো করে জানে,,,
প্রতিবছরের প্লাস পাওয়া ছাত্র গুলোই আজ বড় বেকার,,স্বপ্ন তাদের মরে গিয়েছে,,তাদের নিজের পায়ে দাড়াতে দাড়াতে তাদের প্রেমিকার ছেলে মেয়েরা নিজের পায়ে দৌড়াতে শিখে যায়,,
একটা দেশের মেধাকে,, ছাত্র সমাজকে অবহেলা করে কখনোই সোনার বাংলা গড়া যায় না,,বড় বড় মনীষীরাও একথা বলে গেছেন,,
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেচে থাকলে সবথেকে বেশী কস্ট পেতেন,,কিছু পার্লামেন্ট মেম্বার্স দেখে,,মতিয়া চৌধুরী,,মমতাজ,,,,বদি,,,নৌ মন্ত্রী,,এইট পাশ খালেদা জিয়া,,আরো বহু পার্লামেন্ট মেম্বার্স, ,,পটুয়াখালীর একজন মহিলা, যে কিনা দেখে দেখেও বানান করে পড়তে পারে না,,আর সংরক্ষিত মহিলা আসনের কথা না হয় বাদ ই দিলাম,,এরা পুরাই গন্ডমূর্খ,,দেশে শত শত চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান আছে যারা নিজের নামটাও লিখতে পারে না,,,,,অথচ এদের ই গার্ড,,,প্রোটকল,, প্রোটেকশন দেয়,,উচ্চ শিক্ষিত,,রত্নগর্ভা সব মেধাবী মুখ,,,এদের কাছে যেয়েই চাকরি কিংবা ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট এর জন্য ধরনা দিতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষিতের,,,,ইতিহাসে অনেকই আছেন,,যারা অনেক গরীব ঘর থেকে অনেক বড় কিছু হয়েছেন,,যেমন আব্রাহাম লিঙ্কন,,কিন্তু তারা মমতাজ,,বদি,, বা খালেদার মত না,,তাদের দূরদৃষ্টি ছিল প্রখর,,
বঙ্গবন্ধু কখনোই এমন বাংলা চাইনি,,,যেখানে ছাত্র সমাজ হবে গ্রেপ্তার,, খুন,,গুম,,রাজাকার,,নিষ্পষিত,,পদদলিত,,নির্যাতিত,,
বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে কেউ কম মেধাবী না,,অনেক প্রতিকূল পথ পাড়ি দিয়ে একজন ছাত্র স্নাতক সম্মান শেষ করে,,আর সেই সার্টিফিকেট যদি বোঝা হয়ে দাড়ায় তার জন্য,,তখন ক্যামন লাগে,,
দেশে যদি অন্যান্য স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মত সার্টিফিকেট কেনাবেচার বাজার থাকতো,, তবে লাখো লাখো সার্টিফিকেট সেখানে নিলামে উঠতো,,,
দেশ নাকি উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে,,,কই আমার গায়ে তো উন্নয়ন লাগে নাই,,,আমি আগেও যে ডাল ভাত খেতাম,,এখনো তাই,,,মাথাপিছু আয় ১৭৬৫ মার্কিন ডলার বা ১৪০০০০ টাকা,,,তো আমার টাকা কই গ্যালো,,,??
হ্যা উন্নয়ন ঠিকই হচ্ছে,,তবে সেটা কৃষক,শ্রমিক,মুটে মজুরের জন্য নয়,,বা আমার মত মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার সন্তানের জন্য না,,,সেটা মন্ত্রীপরিষদ এবং দেশের বড় বড় আমলাদের জন্য,,,
বিচার বিভাগ,,আইন বিভাগ,,শাসন বিভাগ,,সব প্রতিবন্ধী,, কারন তারা অন্ধ হয়ে গেছে,,,
এখনো সময় আছে,,জনসংখ্যা কমান,,কোটা ব্যবস্থা তুলে নিন,,লোক নিয়োগে সমতা আনুন,,স্বজনপ্রীতি বাদ দিন,,,স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ গুলোর ওপর থেকে হস্তক্ষেপ তুলে নিন,,সোনার বাংলা ঠিকই ২১ সাল নাগাদ হয়ে যাবে,,,
ছেলেটা যখন দেশের কোন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেল,,পরিবার পরিজন বৃদ্ধ পিতা মাতার মুখে হাসি,
এই বুঝি তাদের অভাব ঘুচবে,,নাম যশ সবই পাবো এবার,,
কিন্তু তারা জানে না যে এটা বাংলাদেশ,,
ছেলেটাও রঙ্গীন স্বপ্ন দেখে,,হাসি আনন্দে পার করে প্রথম বর্ষ,,বাবাও খুব উতসাহের সাথে প্রতি মাসে টাকার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংকের মত করে,,
এক একটা বছর শেস হয়,
বাবার টাকা দেবার মাত্রাও বেড়েছে,,
,,
এভাবে দেখতে দেখতে স্নাতক সম্মান শেষ,,
শুরু অসম্মানের পালা,,
হল থেকে বের করে দিবে,,চাকরী দরকার,,
বাবা আর আগের মত টাকা দিতে পারছে না,,মাস শেষে ছেলের নীচু গলায় ফোন,,বাবা এ মাসে একটু বেশী টাকা লাগবে,,রুম নিয়েছি,,
বাবা আর আগের মত করে বলে না,,,বাবার ও নীচু গলায়,,দেখছি হাটের দিন কিছু বিক্রী করে দিতে হবে,,
এলাকায় যাবার মুখ নেই,,চাচা চাচী,,জুনিয়র,,বন্ধু সবার সাথে দেখা হলেই,,বাবা আর কতদিন,,
জীবন চলতে থাকে,,
একের পর এক ফর্ম ফিল আপ,,এক্সাম দেওয়া,,
রেজাল্ট আসছে,,কিন্তু তাতে আমার নাম নেই,,
বাবার অসুখ টা বারছে,,মা আগের মত পরিবারের কাজ করতে পারে না,,
বাবা ভেবেছিল,,ছোট ভাই বোনদের হাল হয়তো আমিই ধরতে পারবো,,কিন্তু অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরেছে,,ওদিকে ছোট ভাইটার লেখাপরাও অর্থাভাবে হুমকির মুখে,,
বোনটার বিয়ে দিতে হবে,,
লাগবে চাকরি,,
রাতে ঘুম আসে না,,ছেলেটা কবে যে লাস্ট সুর্যউদয় দেখছে,,বা ব্রেকফাস্ট করছে,,মনে নেই,,দুপুরের খাবার টাই ব্রেকফাস্ট বলে চালিয়ে দেয়,,গভীর রাত,,সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন,,ছেলেটা আপন মনে পড়ে চলেছে,,লাগবে চাকরী,,এদিকে বাবাও টাকা দিতে পারে না,,খুজতে হবে টিউশনি,,
হঠাত থমকে যায় জীবন,,
আগের মত সাজগোজ নেই জীবনের,,
চুল দাড়ি কাটার সময় নেই,,বিছানা,,কাপড় ধৌত করার সময় নেই,,পড়তে হবে,,লাগবে চাকরী,,
এ রেজাল্ট আসে,,ও রেজাল্ট আসে,,আমার নাম তো দেখি না,,
খরচ বেড়ে যায় সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে,,কিন্তু খাবারের মেনুতে দিন দিন কমে যায় মেনু সংখ্যা,,
বাড়িতে যেতে মন চাইলেও,,নিজেকে এলাকা থেকে গুটিয়ে নেবার বৃথা চেষ্টা,,বাড়িতে ফোন দিলে আগের মত আদর করে বলে না,,খাইছিস বাবা,,
ফোন ধরেই মা,,তোর বাপ আর
পারছে না,,কিছু একটা কর,,এলাকার যে বন্ধুরা একসাথে বড় হয়ছে,,কিংবা এলাকার জুনিয়র গার্মেন্টস বা কোম্পানীতে জব করে,,বিয়ে করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোন রকমে জীবন চালায়,,বাবা অভিমান করে হয়তো মায়ের কাছে তাদের সাথে আমাকে তুলনা করে বলবে,,অমুকের ছেলে টিনের ঘড় দিয়ে দিল গার্মেন্টস এ চাকরি করে,,তোমার ছেলে কি করলো,,আমাদের ঘরটাও সারতে হবে,,বর্ষায় পানি পড়ে,,বাবা ভেবেছিলো সেরে আর কি হবে,,ছেলে চাকরি পেলেই তো বিল্ডিং দিব,,
বাজারে গেলে সাদেক চাচার মত হাজারো চাচা বলে,,কি ভুলটাই না করলে ছেলে পড়ায়ে,,
আমিই ভালো,,ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে দিছি,,বা আর্মির চাকরি দিয়ে দিছি,,ছাওয়াল আমার ষাট হাজার টাকা বেতন পাচ্ছে,,পাশের গ্রামের মোল্লা বাড়ির বংশীয় ঘরের মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করছি,,
এবার বাড়িতে এলেই বিয়ে দিব,,মেয়েও শিক্ষিত,,মেট্রিক পাশ,,
বাবার মাথা নীচু,,
জাগ্গে সে সব,,এ মাসে ফর্ম কেনার জন্য এক হাজার টাকা লাগবে,,বাবা দিতে পারবে না,,
আবার এক্সাম,,আবার রেজাল্ট, আমার নাম নেই,,বৃদ্ধ বাবার অসুখ বেড়েই চলেছে,,
আবার মাস শেষ,,,আবার কাতরকণ্ঠে,,
"""" বাবা এই মাসে কিছু টাকা----
#পাথর_খান
এক ছোট বোন বললো যে ভাই আমার ছোট ভাই তো গোল্ডেন প্লাস পাইছে,,,কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দিবে,,
বললাম কোনটাতেই না,
বলল কেন ভাইয়া??
বললাম ওরে মুদির দোকান কইরা দাও,,নয়তো ৫/৭ টা গরু কিনে দাও হাল চাষ করুক,,,,নয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যে ৪/৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে সেই টাকা দিয়ে বিদেশ পাঠায় দাও,,কামে দিব,,
সে রেগে গিয়ে বললো,,ধুর ভাই,,আপনরা কাছে সাজেশন চাওয়াই ভুল হয়সে,,
বললাম ভুল না,,৫/৬ বছর পর অনার্স শেষ করার পর বুঝবা,,,
হ্যা,,এটাই বাস্তব,,আজ যে ছেলেটা প্লাস,,,গোল্ডেন প্লাস পেল,,পরিবারের মুখ উজ্জল করলো,,হয়তো ৫/৭ বছর পর এই সন্তনটিই বৃদ্ধা পিতা মাতার কাছে অভিশাপ হয়ে যাবে,,
মাত্র ২৯ হাজার প্লাস গোল্ডেন প্লাস,,অথচ সরকার ১৭ কোটির দেশে এই কয়জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যতও নিশ্চিত করতে পারবে না,,
এভাবে ২৯ হাজার পুন্জিভূত হতে হতে আজ ঊনতিরিশ লক্ষ হয়ে গেছে,,
তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যদি দেশ স্বাধীন হয়ে থাকে তো,, তিরিশ লক্ষ বেকার ও আজ শহীদ হবার পথে,,
,কোটার এই যুগে কেন চাকরি হবে,,,
অনেকে প্রশ্ন করে ভাই আপনি এত হতাশ কেন,,,আপনি এত বেশী ফেইসবুক চালান কেন,,কোটা তো ৫৬%,, আপনি বাকী ৪৪% এর ভেতর ঢুকবেন,,
এক এক করে শেষ করি,,
আমি আদৌ হতাশ না,,আমি নিজেকে নিয়ে গর্ব করি ,,আমি ভালোবাসি আমাকে,,,সমাজের আর দশটা ভালো ছাত্রের থেকে আমার মেধা,,প্রজ্ঞা , প্রত্যয়,আত্মবিশ্বাস কোনটায় কম না,,
ব্যক্তি জীবনে টিউশনি আর ইউসিসি কোচিং এ তিন বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতার আলোকে প্রায় ২ হাজার ছাত্র ছাত্রীর সান্নিধ্যে গিয়েছি,,যারা আমাকে নিয়ে আমার থেকেও বেশী স্বপ্ন দ্যাখে,,,
আর এই যে বই গুলো দেখছেন,,এগুলো আমার সন্তানের মত আমার কাছে,,ফেইসবুকে আপলোড করার জন্য এই বই গুলো আমি বিশ তিরিশ হাজার টাকা খরচ করে কিনি নাই,,
দিনশেষে এসে যখন আমি এগুলো দেখি,,তখন আমার মনটা ভরে যায়,,
মেধায় ও নিজেকে কারো থেকে এতটুকু কম মনে করি না,,
আমার জন্ম একদম অজপাড়াগায়ে,,মা বা দুজন ই সম্পূর্ণ অশিক্ষিত,,আমার চৌদ্দ গোষ্ঠীতেও একজন স্নাতক সম্মান শেষ করা ছাত্রছাত্রী নেই,,আমার গ্রামে আমি ই একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়া ছাত্র,,
,আমি এসএসসি পরীক্ষা দেবার আগে বিয়ে করেছি,,এটা ছিলো জীবনের সবথেকে বড় ভুল,,শত অভাবের সংসারে কত কষ্ট করে যে,, হাট দারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে প্লাস পেয়েছিলাম,
,কোনদিন ক্লাস করি নাই,,জীবনে একদিন ও না,,শুধু এক্সামের দিন যেতাম,,কোন শিক্ষকের সুনজর পাই নাই কোনদিন,,
কলেজ লাইফে ফজলু স্যার একদিন বাড়ি থেকে গার্ড পাঠিয়ে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন এবার পাশ ও করতে পারবি না,,আমি অনেকটা দাম্ভিক সুরেই বলেছিলাম,,শুধু দারিয়াপুর কলেজ না,,যদি পুরা মাগুরা জেলার ভেতর কেউ একজন গোল্ডেন প্লাস পাই,সে হচ্ছি আমি,,
যাগ্গে নিজের জাহির না করি,,এ গুলো এই জন্য বললাম যে,,মেধাবীরা কম পড়াশোনা করে,,,আর আমি নিজেকে মেধাবী মনে করি,,
প্রেম করেই কতজন ধ্বংস হয়ে যায়,,আর আমি পনেরো বছর বয়সে বিয়ে করে বউ এর সাথে ঘর করেও দুইবার প্লাস সহ মেধা তালিকায় দশম হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম,,
এটাই আমার আত্মবিশ্বাস আর প্রত্যয়,,নিজের সাধ্যের ভেতর যতটুকু কুলিয়েছে ততদূর এসেছি,,কোচিং করতে পারি নাই,,পাই নাই কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বড় ভাইয়ের উপদেশ,,
যাগ্গে এটাও,,আমি এখনো কোন চাকরির পরীক্ষায় এটেন্ড করি নাই,,তার আগেই কেন হতাশা আমার,,এটা আদৌ হতাশা নয়,,এটা এক অজানা ভয়,,অপরিনামদর্শী হাতছানি,,
বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এর ছাত্র বেলাল ভাই,,বাপ মারা গেছে অনেক আগেই,,তিন ভাই বোনের সংসার চালান টিউশনি করে,,আরো নিজে পড়ে,,আমার এক ইয়ারের সিনিয়র,,আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মেধাবী,,ফার্স্ট টাইম ৩৭ তম বিসিএস এ নন ক্যাডার হয়েছেন,,আবার ৩৮ এর রিটেন দিল,,সে এতটাই মেধাবী যে কেটাধারীদের সে প্রাইভেট পড়ানোর যোগ্যতা রাখে,,
তার ই পাশের রুমমেট কোটাধারী,,সে এডমিন ক্যাডার হয়েছে,,আর সে হয়েছে নন ক্যাডার,,
কোন রকমে ভাইভা টা দিয়ে এসে কোটাধারী নাক ডেকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়,,কারন সে জানে,,ফরেন বা এডমিন তো আসবেই,,,কোটা বলে কথা,,পক্ষান্তরে একজন মেধাবী ভাইভা দিয়ে এসে তার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়,,সে ভাবে শিক্ষা ক্যাডার কি আসবে?? কারন তার উদ্বিগ্নতার একটাই কারন শত শত চোখ তার দিকে চেয়ে আছে,,চেয়ে বৃদ্ধা মা বাবা,,পরিবার পরিজন,,
এটাও বাদ দিলাম,,অনেকে বলেন আপনার এত কোটা নিয়ে টেনশন কেন,,আপনি ৪৪% এর ভেতর ঢুকবেন,,
ভাইরে আমি গত ছয় টা বছর টিউশনি করে চলি,,বই কিনছি,,প্রস্তুতিও নিজের কাছে মনে করি সয়ংসম্পূর্ন,,এজন্যই আমার কোটা নিয়ে এত মাথাব্যাথা,,
আর ৪৪%,, আরে ভাই দেশে মেডিকেল, বুয়েট,কুয়েট,,ঢাবি,হাবি,জবি,ববি,কুবি,খুবি,,বহুত প্রতিষ্ঠান,,সেখানে লক্ষ পাথরের অভাব নেই,,
আমি ৪৪% এর ভেতর ঢুকতেই রাজি,,কিন্তু দুঃখ একটাই,,নীরবে কাদে লাখো মেধাবী,,হাজারো নন ক্যাডার,,দেখার কেউ নেই,,গায়ের জোরে,,ক্ষমতার জোরে,,কোটা সিস্টেম অব্যাহত রাখা হয়েছে,,
কি দোষ করছি আমরা,,গোল্ডেন প্লাস পেয়ে,,,একটা মেধাবী ই শুধু জানে প্লাস, গোল্ডেন প্লাস পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সিট অর্জন করা কতটা মেহনতির কাজ,,কত রাত নির্ঘুম কাটাতে হয় এর জন্য,,কত চাপা কামনার কবর দিতে হয় এর জন্য,,,আর সেই পরিশ্রম যদি হুমকির মুখে চলে যায়,,যদি নিজের ভবিষ্যত হয়ে পড়ে অনিশ্চিত,,,
আজ যে ছেলেটা এ প্লাস গোল্ডেন প্লাস পেল,,হয়তো সেই ছেলেটাই একদিন,,দেশের স্বনামধন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান শেষ করে যেয়ে,,মিল্লাত ঘামাচি পাউডার,,বলাকা ব্লেড,,আরএফএল,,আবুল খয়ের বিড়ি কিংবা জুই নারিকেল তেল কোম্পানি তে সিভি জমা দিতে গিয়ে দেখবে,,নো ভ্যাকান্সি,,
সবই আমাদের কপাল,,,আমার বইগুলো কেনাই সার হয়েছে,,,
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা সবাই মেধাবী,,এরা এক একটা বারুদ,,জীবন যুদ্ধে কখন বিষ্ফোরিত হতে হবে তা এরা খুব ভালো করে জানে,,,
প্রতিবছরের প্লাস পাওয়া ছাত্র গুলোই আজ বড় বেকার,,স্বপ্ন তাদের মরে গিয়েছে,,তাদের নিজের পায়ে দাড়াতে দাড়াতে তাদের প্রেমিকার ছেলে মেয়েরা নিজের পায়ে দৌড়াতে শিখে যায়,,
একটা দেশের মেধাকে,, ছাত্র সমাজকে অবহেলা করে কখনোই সোনার বাংলা গড়া যায় না,,বড় বড় মনীষীরাও একথা বলে গেছেন,,
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেচে থাকলে সবথেকে বেশী কস্ট পেতেন,,কিছু পার্লামেন্ট মেম্বার্স দেখে,,মতিয়া চৌধুরী,,মমতাজ,,,,বদি,,,নৌ মন্ত্রী,,এইট পাশ খালেদা জিয়া,,আরো বহু পার্লামেন্ট মেম্বার্স, ,,পটুয়াখালীর একজন মহিলা, যে কিনা দেখে দেখেও বানান করে পড়তে পারে না,,আর সংরক্ষিত মহিলা আসনের কথা না হয় বাদ ই দিলাম,,এরা পুরাই গন্ডমূর্খ,,দেশে শত শত চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান আছে যারা নিজের নামটাও লিখতে পারে না,,,,,অথচ এদের ই গার্ড,,,প্রোটকল,, প্রোটেকশন দেয়,,উচ্চ শিক্ষিত,,রত্নগর্ভা সব মেধাবী মুখ,,,এদের কাছে যেয়েই চাকরি কিংবা ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট এর জন্য ধরনা দিতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষিতের,,,,ইতিহাসে অনেকই আছেন,,যারা অনেক গরীব ঘর থেকে অনেক বড় কিছু হয়েছেন,,যেমন আব্রাহাম লিঙ্কন,,কিন্তু তারা মমতাজ,,বদি,, বা খালেদার মত না,,তাদের দূরদৃষ্টি ছিল প্রখর,,
বঙ্গবন্ধু কখনোই এমন বাংলা চাইনি,,,যেখানে ছাত্র সমাজ হবে গ্রেপ্তার,, খুন,,গুম,,রাজাকার,,নিষ্পষিত,,পদদলিত,,নির্যাতিত,,
বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে কেউ কম মেধাবী না,,অনেক প্রতিকূল পথ পাড়ি দিয়ে একজন ছাত্র স্নাতক সম্মান শেষ করে,,আর সেই সার্টিফিকেট যদি বোঝা হয়ে দাড়ায় তার জন্য,,তখন ক্যামন লাগে,,
দেশে যদি অন্যান্য স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মত সার্টিফিকেট কেনাবেচার বাজার থাকতো,, তবে লাখো লাখো সার্টিফিকেট সেখানে নিলামে উঠতো,,,
দেশ নাকি উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে,,,কই আমার গায়ে তো উন্নয়ন লাগে নাই,,,আমি আগেও যে ডাল ভাত খেতাম,,এখনো তাই,,,মাথাপিছু আয় ১৭৬৫ মার্কিন ডলার বা ১৪০০০০ টাকা,,,তো আমার টাকা কই গ্যালো,,,??
হ্যা উন্নয়ন ঠিকই হচ্ছে,,তবে সেটা কৃষক,শ্রমিক,মুটে মজুরের জন্য নয়,,বা আমার মত মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার সন্তানের জন্য না,,,সেটা মন্ত্রীপরিষদ এবং দেশের বড় বড় আমলাদের জন্য,,,
বিচার বিভাগ,,আইন বিভাগ,,শাসন বিভাগ,,সব প্রতিবন্ধী,, কারন তারা অন্ধ হয়ে গেছে,,,
এখনো সময় আছে,,জনসংখ্যা কমান,,কোটা ব্যবস্থা তুলে নিন,,লোক নিয়োগে সমতা আনুন,,স্বজনপ্রীতি বাদ দিন,,,স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ গুলোর ওপর থেকে হস্তক্ষেপ তুলে নিন,,সোনার বাংলা ঠিকই ২১ সাল নাগাদ হয়ে যাবে,,,
ছেলেটা যখন দেশের কোন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেল,,পরিবার পরিজন বৃদ্ধ পিতা মাতার মুখে হাসি,
এই বুঝি তাদের অভাব ঘুচবে,,নাম যশ সবই পাবো এবার,,
কিন্তু তারা জানে না যে এটা বাংলাদেশ,,
ছেলেটাও রঙ্গীন স্বপ্ন দেখে,,হাসি আনন্দে পার করে প্রথম বর্ষ,,বাবাও খুব উতসাহের সাথে প্রতি মাসে টাকার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংকের মত করে,,
এক একটা বছর শেস হয়,
বাবার টাকা দেবার মাত্রাও বেড়েছে,,
,,
এভাবে দেখতে দেখতে স্নাতক সম্মান শেষ,,
শুরু অসম্মানের পালা,,
হল থেকে বের করে দিবে,,চাকরী দরকার,,
বাবা আর আগের মত টাকা দিতে পারছে না,,মাস শেষে ছেলের নীচু গলায় ফোন,,বাবা এ মাসে একটু বেশী টাকা লাগবে,,রুম নিয়েছি,,
বাবা আর আগের মত করে বলে না,,,বাবার ও নীচু গলায়,,দেখছি হাটের দিন কিছু বিক্রী করে দিতে হবে,,
এলাকায় যাবার মুখ নেই,,চাচা চাচী,,জুনিয়র,,বন্ধু সবার সাথে দেখা হলেই,,বাবা আর কতদিন,,
জীবন চলতে থাকে,,
একের পর এক ফর্ম ফিল আপ,,এক্সাম দেওয়া,,
রেজাল্ট আসছে,,কিন্তু তাতে আমার নাম নেই,,
বাবার অসুখ টা বারছে,,মা আগের মত পরিবারের কাজ করতে পারে না,,
বাবা ভেবেছিল,,ছোট ভাই বোনদের হাল হয়তো আমিই ধরতে পারবো,,কিন্তু অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরেছে,,ওদিকে ছোট ভাইটার লেখাপরাও অর্থাভাবে হুমকির মুখে,,
বোনটার বিয়ে দিতে হবে,,
লাগবে চাকরি,,
রাতে ঘুম আসে না,,ছেলেটা কবে যে লাস্ট সুর্যউদয় দেখছে,,বা ব্রেকফাস্ট করছে,,মনে নেই,,দুপুরের খাবার টাই ব্রেকফাস্ট বলে চালিয়ে দেয়,,গভীর রাত,,সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন,,ছেলেটা আপন মনে পড়ে চলেছে,,লাগবে চাকরী,,এদিকে বাবাও টাকা দিতে পারে না,,খুজতে হবে টিউশনি,,
হঠাত থমকে যায় জীবন,,
আগের মত সাজগোজ নেই জীবনের,,
চুল দাড়ি কাটার সময় নেই,,বিছানা,,কাপড় ধৌত করার সময় নেই,,পড়তে হবে,,লাগবে চাকরী,,
এ রেজাল্ট আসে,,ও রেজাল্ট আসে,,আমার নাম তো দেখি না,,
খরচ বেড়ে যায় সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে,,কিন্তু খাবারের মেনুতে দিন দিন কমে যায় মেনু সংখ্যা,,
বাড়িতে যেতে মন চাইলেও,,নিজেকে এলাকা থেকে গুটিয়ে নেবার বৃথা চেষ্টা,,বাড়িতে ফোন দিলে আগের মত আদর করে বলে না,,খাইছিস বাবা,,
ফোন ধরেই মা,,তোর বাপ আর
পারছে না,,কিছু একটা কর,,এলাকার যে বন্ধুরা একসাথে বড় হয়ছে,,কিংবা এলাকার জুনিয়র গার্মেন্টস বা কোম্পানীতে জব করে,,বিয়ে করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোন রকমে জীবন চালায়,,বাবা অভিমান করে হয়তো মায়ের কাছে তাদের সাথে আমাকে তুলনা করে বলবে,,অমুকের ছেলে টিনের ঘড় দিয়ে দিল গার্মেন্টস এ চাকরি করে,,তোমার ছেলে কি করলো,,আমাদের ঘরটাও সারতে হবে,,বর্ষায় পানি পড়ে,,বাবা ভেবেছিলো সেরে আর কি হবে,,ছেলে চাকরি পেলেই তো বিল্ডিং দিব,,
বাজারে গেলে সাদেক চাচার মত হাজারো চাচা বলে,,কি ভুলটাই না করলে ছেলে পড়ায়ে,,
আমিই ভালো,,ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে দিছি,,বা আর্মির চাকরি দিয়ে দিছি,,ছাওয়াল আমার ষাট হাজার টাকা বেতন পাচ্ছে,,পাশের গ্রামের মোল্লা বাড়ির বংশীয় ঘরের মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করছি,,
এবার বাড়িতে এলেই বিয়ে দিব,,মেয়েও শিক্ষিত,,মেট্রিক পাশ,,
বাবার মাথা নীচু,,
জাগ্গে সে সব,,এ মাসে ফর্ম কেনার জন্য এক হাজার টাকা লাগবে,,বাবা দিতে পারবে না,,
আবার এক্সাম,,আবার রেজাল্ট, আমার নাম নেই,,বৃদ্ধ বাবার অসুখ বেড়েই চলেছে,,
আবার মাস শেষ,,,আবার কাতরকণ্ঠে,,
"""" বাবা এই মাসে কিছু টাকা----
#পাথর_খান( মূল লেখক)
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: কপি পেষ্ট করতে যেয়ে ২ বার পেষ্ট করেছেন। ব্লগে কপি পেষ্ট করে কতদিন আর ব্লগিং করবেন? স্বকিয়তায় নিজস্ব কিছু লিখুন?
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০২
প্রামানিক বলেছেন: বেকারের জ্বালা বেকারই বোঝে।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪০
প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: As a man first be naturalite (French word) before you are socialite.