নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রতিক গম্ভীরা-২

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

নানা : আরে এই লাতি.....খাড়া খাড়া এমন সাইজে গুঁইজে ঘোড়ার নাহাল
ছুইটে চইলেছিস কুনেঠে? শুন শুন...
নাতি : ওরে.... নানা, তুই খালি পিছে ডাকিস। কি কইবি টপাক কইরে ক
দেখি...
নানা : আরে কইছি কইছি। আগে একটু ব না। এক কাপ চা খা। তা এমন
সাজ দিইয়েছিস ক্যানে রে? হলুদ পাঞ্জাবী পিন্দেছিস, চোক্ষে মোটা
বাতার ঠুলি দিইয়েছিস, আবার চুল-দাঁড়িও রাইখেছিস? পিরিতের
কাঁঠাল খাইতে চইলেছিস নাকিরে?
নাতি : আর কইস না নানা। পিরিত টিরিত কিছু না। চইলেছি বইমেলায়।
আমারে দেইখলে নাকি নাবালক চ্যাংড়া চ্যাংড়া লাগে! তাই এমন
সাজ দিইয়েছি, যাতে চেহারা-সুরতে একটু ভারিক্কি আসে। বুইজলি
না নানা, কবি হইতে গেলে চেহারায় একটু ভারিক্কি থাইকতে হয়।
নইলে লুকে কবি হিসেবে মাইনতে চায় না।
নানা : অ...! তয় শুইনেছি জীবনানন্দ দাশের চেহারায় নাকি বনেদীআনা
ছিল না। আবার ভারিক্কি আনার জইন্যে তিনি চেহারায় বাড়তি
ওজনও চাপাইতেন না। কিন্তু কবিতা তো ভালই লিইখে গেছেন! তাঁর
নামে মেলা-টেলাও হয় না। কিন্তু লুকে তো তারে ঠিকই মনে
রাইখেছে।
নাতি : ঐ জইন্যেই তো বাইচে থাকতে তারও বেশি কদর ছিল না। তার
মূইল্য বুইঝেছে মানুষ পরে।
নানা : তার মানে লেখার গুণে না, দ্যাখনদারিতে বই চলে!
নাতি : ঠিক কইছিস নানা।
নানা : হ্যারে শুইনলাম মেলায় নাকি নকল পাঠক ভাড়া পাওয়া যায়? সেইটা
আবার কী?
নাতি : আরে নানা, কুন জগতে আছিস রে তুই। টাকা হইলে বউ ভাড়ায়
পাওয়া যায়, আর নকল পাঠক ভাড়ায় পাওয়া যাইবে না!
নানা : একটু খুইলে ক দেহি ব্যাপারখানা কী?
নাতি : দুঃখের কথা কী শুইনবি রে নানা! এই শালারা বিদেশ থেইকা
টয়লেট পরিস্কার কইরে, হাঁড়ি-পাতিল মাইজে-ধুয়ে সারা বছর
ডলার-পাউন্ড কামায়, আর ফেব্রুয়ারি মাস আসিলেই বাংলা টাকার
গরম দেখায়! কি করে জিগাইলেই নানান রহম ইক্সিকিউটিভ-
ফিক্সিকিউটিভের নাম কয়। আসলে তো শালারা, টয়লেট
ইক্সিকিউটিভ!
নানা : সে না হয় বুইজলাম। নকল পাঠকের ব্যাপারখানা খুইলা ক দেখি।
নাতি : হাঁড়ি-পাতিল মাইজে যে সময়টুকুন বাচে, হালারা কবিতা লেখে।
মেলার সময় দ্যাশে আইসে বই বাইর করে। এক হালায় টাকা দিয়া
কয়টা লোক ঠিক কইরেছে, হ্যারা রোজ মেলার স্টলে স্টলে ঘুইরে
ঘুইরে ঐ কবির বই চায়। এতে কইরে ঐ কবির নাম প্রচার হয়। আর
স্টল মালিকেরাও ঐ কবির বই সংগ্রহ কইরে নিজেগের স্টলে রাইখে
দেয়। সাধারণ পাঠক যে দোকানেই যায় ঐ কবির বই দ্যাখে। তারা
ঐ কবিরে বড় কবি ভাইবে তার বই কিইনে নেয়।
নানা : ওরে... বাবা রে... লাতিরে.....অয় তো কবি লয়রে, পুলিটিশিয়ান!
কবিতা লেইখা সময় নষ্ট না কইরা ওরে ক পুলিটিক্স কইতে। মুই
লেইখে দিম দশ বৎসরের মইদ্যে অয় পুরধানমুন্ত্রী হইবার পাইরবে!



* সব প্রবাসী কবি-সাতিহ্যিক এমন নন। সুতরাং তারা দুঃখ পাবেন না আশা করি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: খাইছে আমারে। ভাগ্যিস আমি কোন লেখক নয়। তাহলে তো ইজ্জত প্ল্যাস্টিক হয়ে যেতো। :P
প্রবাসীরা কি কাজ করছে সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। বরং তারা যাই করুক, সেটাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি। তবে কাজ নিয়ে মিথ্যাচারের পক্ষে নই। কারণ প্রবাস জীবন কোন আরামের বস্তু নয়। কষ্ট করে টাকা কামানোর জন্যই সবাই সেখানে যায়। যারা পড়ালেখা করার জন্য যায় সেটা ভিন্ন কথা।
তবে পাঠকও ভাড়ায় পাওয়া যায়, এটা খুব ভাবনার ব্যাপার। এটা কখনো মাথায়ই আসে নাই। এমনও হচ্ছে নাকি ইদানীং? তাহলেতো সামনে খুব খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। যারা এমন হীন কাজ করছে, তাদের বোধোদয় হোক, এটাই প্রত্যাশা করছি। বিষয়টা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মিশু।
নানা নাতি পর্ব বেশ জমে উঠেছে কিন্তু। শুভ কামনা রইলো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩১

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় বাঙালি।

কাজের প্রতি আমারও কোন অবহেলা নেই। ছোট হোক, বড় হোক কাজ তো কাজই। প্রবাসীরা ঘাম ঝরিয়ে দেশে টাকা পাঠায়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা। কিন্তু কোন কোন প্রবাসী যখন এই ধরণের কাজ কর্মে লিপ্ত হয়, তখন মেজাজ ঠিক রাখা কঠিন। ঐ চরিত্রটাকে ভাল মতো তুলে ধরতেই আমি ঐ ধরণের সংলাম ব্যবহার করেছি।

"তবে পাঠকও ভাড়ায় পাওয়া যায়, এটা খুব ভাবনার ব্যাপার। এটা কখনো মাথায়ই আসে নাই। এমনও হচ্ছে নাকি ইদানীং? তাহলেতো সামনে খুব খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। যারা এমন হীন কাজ করছে, তাদের বোধোদয় হোক, এটাই প্রত্যাশা করছি।"

এদের বোধোদয় হবে না। বরং আরো নতুন নতুন কি ধরণের অসৎ মার্কেটিং পলিসি বের করা যায় তাই করবে। টিভি নিউজ খেয়াল করলে দেখবেন সাংবাদিকেরা আমলা, সেনা কর্মকর্তা, সাংবাদিক এর বইয়ের কাভারেজ করছে ব্যাপক হারে। প্রকৃত লেখকেরা কোনঠাসা। মিঢিয়াটা চলে গেছে সার্টীফিকেট ধারি একদল গর্দভের হাতে।
অবস্থা এই রকম চলতে থাকলে আমি তো সামনে ঘোর বিপদ দেখছি। যারা ভাল লেখেন তারা মার্কেটিং এ দূর্বল। আজে বাজে বইয়ে ভিড়ে তাদের বই হারিয়ে যাচ্ছে। বই কিন্তু একেবারে বিক্রি হচ্ছে না, তা নয়। কিন্তু ভাল বই বিক্রি হচ্ছে ক'টা! মেলার নামে একটা চরম নৈরাজ্য চলছে। ব্যাঙের ছাতার মতো প্রকাশনী বাড়ছে। এরা টাকা নিয়ে যা খুশী তাই বের করছে। আমি একটা প্রকাশনীতে গিয়েছিলাম। ভাল প্রকাশনী। প্রকাশক বলেন, টাকা খরচ করেন। বই বের করে দিচ্ছি।
আমি বললাম, তা না হয় দিব। কিন্তু পান্ডুলিপি আপনি পড়বেন তো?
বললেন, পান্ডুলিপি সময় পড়ার সময় নাই ভাই। বের করতে চাইলে সফট কপি নিয়ে আসেন। বোঝেন অবস্থা!

মেলায় বই বের করার খায়েশ আমার মিটে গেছে। যাদের মোটামুটি কিংবা বেশ ভাল পরিচিত আছে সাহিত্য অঙ্গনে তারাও বই প্রকাশ করার পর বলছেন, আঠার দিনে দশ-বারো কপি বিক্রি হয়েছে। আমি বের করলে তো পাঁচ কপিও বিক্রি হবে না।

ভাল থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর.........

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৯

প্রামানিক বলেছেন: দারুন লাগল আপনার কবি নিয়ে লেখা গম্ভীরা। আপনার বাড়ি কি রাজশাহীতে?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

মিশু মিলন বলেছেন: না, আমার বাড়ি রাজবাড়ী।

ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.