নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
দুপুরে লঞ্চডুবির দুঃসংবাদটা পাওয়ার পর থেকেই একটা শঙ্কা কাজ করছে, কখন যেন শুনতে হয় কোন আত্মীয়, বন্ধু, বন্ধুর স্বজন কিংবা পরিচিত জনের মৃত্যু সংবাদ! নদী পেরোলেই রাজবাড়ী। আর রাজবাড়ী থেকে ফেরী পারাপার গাড়ি খুবই কম। বেশীরভাগ মানুষ লঞ্চ পারাপারের গাড়িতেই আসে-যায়। তাই এই মৃত্যুর ধাক্কাটা রাজবাড়ীতেই বেশী লাগার কথা। লেগেছেও তাই। এখনও পর্যন্ত্ব বন্ধু বা নিকট স্বজনের মৃত্যু সংবাদ না পেলেও পরিচিতজন কিংবা পড়শীর স্বজনের মৃত্যু তালিকা ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে। কেউ কেউ পুরো পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন, অনেক শিক্ষক নিয়ে ফিরছিলেন এস, এস, সি পরীক্ষার খাতা। তারা অনেকেই আর কোনদিন ফিরবেন না। হারিয়ে যাবেন পদ্মার জলে। কেউ কেউ ফিরবেন লাশ হয়ে।হারিয়ে যাবে এস,এস,সি পরীক্ষার খাতাও!
এই রুটের লঞ্চগুলো খুবই ছোট। শ'খানেক যাত্রীবাহী লঞ্চে যাত্রী বহন করে দু'শ-আড়াইশ জন পর্যন্ত! ঘাটে পুলিশ থাকে কিন্তু এসব দেখার কেউ থাকে না। সাধারণ যাত্রীরা প্রতিবাদ করতে পারেন না। ঘাটের মানুষ (!) কেমন হয় তা অনেকেই জানেন। বাস্টার্ড চাইল্ড!এটা দূর্ঘটনা নয়, হত্যা। প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর একই অবস্থা চলছে। পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পোড়ানোর দায় না হয় বিএনপি-জামায়াতের। এই হত্যার দায় কার? কী উত্তর দেবেন নির্লজ্জ হারামজাদা নৌ-মন্ত্রী?
২০ হাজার টাকায় কী শোক মুছে যাবে স্বজনের? যে মা পরীক্ষার খাতা নিতে এসেছিলেন, মায়ের অভাব ঘুচবে কি বাড়িতে রেখে আসা তার ছোট্ট শিশুর?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৯
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
একমাত্র রাজনীতিবিদেরাই ভাল জানে তা...........
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: লাশে সারি আর কত লম্বা হলে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা বন্ধ হবে জানি না। এখানেতো কোন দলের সম্পৃক্ততা নাই। সরকার এই দায় কার উপর চাপানোর চেষ্টা করবে জানতে ইচ্ছে করছে। বছরের পর বছর ধরে নৌপথের এই অরাজকতা চলে আসছে। অথচ কেউ কোন ভ্রূক্ষেপ করছে না। নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে আই ওয়াস করা হচ্ছে। কিন্তু কারো স্বজন ফিরিয়ে দিতে পারে নাই কেউ। পারবেও না কোন দিন। বন্ধ হোক এই অরাজকতা, বন্ধ হোক এই হত্যা।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইলো।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় বাঙালি।
দেশে এখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষের মৃত্যু অনেক কমে গেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় জয়ের পিছনে রয়েছে মানুষের সচেতনতা আর কিছুটা সরকারের সদিচ্ছা। এখন মানুষের অপমৃত্যু হচ্ছে সড়ক, নৌ দূর্ঘটনায়। আর রাজনৈতিক কোন্দলে। যার দায়িত্ব সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেই নিতে হবে।
কিন্তু এই রাজনৈতিক জন্তুগুলোর চামড়া এতোই মোটা যে কোন কিছুই এরা গায়ে লাগায় না। একজন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী, সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী আজ পর্যন্ত দূর্ঘটনার জন্য পদত্যাগ করেনি। এমন ব্যাহায়া এগুলো।
শুধুমাত্র সদিচ্ছা থাকলেই এই মৃত্যু রোধ কার সম্ভব।
ভাল থাকুন। শুভকামনা.....
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লঞ্চ ডবছে আর মানুষ মরছে । নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে ব্যাপারটি ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৩
মিশু মিলন বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।
শুভকামনা.........
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অভিব্যক্তির যথার্থ প্রকাশ মিশু মিলন।
এ ধরনের গণ অপমৃত্যু রোধে আত্মসচেনতা বৃদ্ধির বিষয়টিও যুক্ত হতে পারে হয়তো উল্লেখিত বিষয়গুলোর সাথে!
ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে যাওয়া লঞ্চটির যাত্রী হতে আমাদের অনাগ্রহও খুব কম চোখে পড়ে সম্ভবত!
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১১
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ দীপংকরদা।
মানুষের সচেতনতা দরকার। কিন্তু অনেকসময় মানুষও নিরুপায় থাকে। কেননা মানুষকে যাতায়াত করতেই হবে। কিন্তু সবগুলো লঞ্চের একই অবস্থা। পেট বোঝাই না করে এরা ঘাট ছাড়ে না। সেক্ষেত্রে মানুষকে অনেকটা বাধ্য হয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এসব লঞ্চে উটতে হয়। তাছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে নির্দিষ্ট বাসের জন্য লঞ্চও নির্দিষ্ট থাকে। যাত্রীরা উঠতে বাধ্য।
ভাল থাকবেন দাদা। শুভকামনা নিরন্তর..........
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: মানুষ মারা কবে যে বন্ধ হবে।