নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গতকালের ডায়েরী

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

গতকাল জাতীয় জাদুঘরের নলীনিকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনীকক্ষে শিল্পী কালিদাস কর্মকারের 'পাললিক প্রাণ-মাটি-প্রতীক' শিরোনামের শিল্পকর্ম প্রর্দশনী দেখলাম। মনোমুগ্ধকর কাজ! শিল্পী তার শিল্পকর্মে মাটিলগ্ন অনেক উপাদান ব্যবহার করেছেন, মানুষের অব্যক্ত কথা, যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখ, যাতনা নান্দনিকভাবে তুলে ধরেছেন তার চিত্রকর্মে (আমি বুঝি কম, আমার তাই মনে হয়েছে)। কয়েকটি শিল্পকর্ম দেখে মনে হয়েছে, ভাগ্যিস তেনারা (ভয়ে মানুষ সাপ আর ভূতকে তেনারা বলে) চিত্রকর্ম দেখেন না। নইলে কি থেকে কি মানে বের করে তাদের লিস্টে শিল্পীর নাম তুলে দিত! তেনাদের কাছে তো চিত্রকর্ম নিষিদ্ধ। আর চিত্রকর্মেই কিনা শিল্পী উপস্থাপন করেছেন......! এক্ষেত্রে চিত্রশিল্পীরা লেখকদের চেয়ে অনেক নিরাপদ, তাদের তো কথা বলতে হয় না।

এরপর আজিজে গিয়ে জ্যোতি বিকাশ বড়ুয়া অনূদিত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের ভারত ভ্রমণ কিনলাম। প্রকাশক অ্যাডর্ন পাবলিকেশন। প্রচ্ছদের নিচের দিকে অ্যাডর্নের লোগো। ইদানিং ফেসবুকে অনেকেই প্রচ্ছদ শেয়ার করছে, সেখানেও দেখি প্রচ্ছদের সৌন্ধর্যহানি করে বেশ বড় বড় লোগো শোভা পাচ্ছে। প্রচ্ছদ একটা শিল্পকর্ম, সেখানে লোগো রাখলে তা চোখ এবং চিত্ত কোনটার পক্ষেই সুখকর অনুভূতি সৃষ্টি করে না। আমার মনে প্রশ্ন লাগলো এই লোগোটা বসাতে গিয়ে শিল্পীর কি একটুও খারাপ লাগেনি? মনে হয়নি শিল্পী তার নিজের শিল্পটাকে ধর্ষণ করছেন? জানিনা। নিজের বইয়ে প্রচ্ছদের ওপর লোগোর কথা ভাবতেও পারিনা, তাতে সারাজীবন বই বের না করতেও রাজি আছি। মনে ভাবনার উদয় হয়, কালে কালে হয়তো প্রচ্ছদের ওপরে বিভিন্ন কোম্পানীর বিজ্ঞাপনও দেখবো। হয়তো দেখবো লাস্যময়ী-ছলাকলাময়ীরা ঝকঝকে দাঁত, স্ফীত-উদ্ধত বুক, ধণুকবাঁকা শরীর আর মুখাবয়বে যৌন আবেদন ছড়িয়ে হাতে ধরে আছে ন্যাপকিন, কনডম, হারপিক ইত্যাদি দ্রব্য সামগ্রী। হয়তো দেখবো ভবিষ্যতের কালিদাস কর্মকাররাও তাদের চিত্রকর্মের পাশে এই সব বিজ্ঞাপন সেঁটে দিয়েছে!

শিল্পী-লেখকদেরকে কি সব বিকিয়ে দিতে হবে, নিজের জন্য কি কিছুই রাখার প্রয়োজন নেই!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এখন এই কর্পোরেট যুগে লোগো-অ্যাডবিরোধী কথা বলছেন, এত সাহস আপনার! এখন হয়তো রাম লক্ষণ হনুমান থাকলে টিভিতে শক্তিশেলের অ্যাড দেখাত, হনুমান বাইসেপ দেখিয়ে পণ্যের গুণগান গাইত, তার বুকে রামের পাশাপাশি দুটো বায়িং হাউসের লোগো সাঁটা থাকত!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

মিশু মিলন বলেছেন: কর্পোরেট যুগ বলে কি নিজের মাথা আর রুচি বিকিয়ে দেব নাকি! রামের বুকে বায়িং হাউজের লোগো থাকলেই যে তার গাল ভরা প্রশংসা করে মাথায় তুলে ধেই ধেই করে নাচতাম, কিংবা রাম কৃত সকল কর্মই মহান ভেবে নতশিরে মেনে নিতে হবে সেটা আমি মনে করি না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। শুভকামনা............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.