নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মানবতাবিরোধী কবি’র মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করে না

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

আল মাহমুদ, একজন কবি। আমি তাকে বলি-মানবতাবিরোধী কবি। এখন কেউ বলতেই পারেন, আল মাহমুদ আবার কবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করলেন? তিনি কি গোলাম আজম, কাদের মোল্লা বা মীর কাশিমদের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন কিংবা মানুষ হত্যা করেছেন?’ না, কবি আল মাহমুদ তাদের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেননি বা তিনি নিজে মানুষ হত্যা করেননি। একজন কবি চাপাতি দিয়ে মানুষ হত্যা না করেও মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে পারেন তার হাতের কলম দিয়ে; তার শিক্ষা, চিন্তা, দর্শন, আদর্শ এবং প্রজ্ঞা দিয়ে। আল মাহমুদ সেই অপরাধই করেছেন। তিনি তার কলম, শিক্ষা, চিন্তা, দর্শন, আদর্শ এবং প্রজ্ঞা দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। কীভাবে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তা বুুঝতে হলে আমাদেরকে তার একটি কবিতা পড়তে হবে এবং তারপর আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ায়। তার কবিতাটির নাম ‘বকতিয়ারের ঘোড়া’। আসুন আমরা আগে তার কবিতাটি পড়ি-

মাঝে মাঝে হৃদয় যুদ্ধের জন্য হাহাকার করে ওঠে
মনে হয় রক্তই সমাধান, বারুদই অন্তিম তৃপ্তি;
আমি তখন স্বপ্নের ভেতর জেহাদ, জেহাদ বলে জেগে উঠি।
জেগেই দেখি কৈশোর আমাকে ঘিরে ধরেছে।
যেন বালিশে মাথা রাখতে চায় না এ বালক,
যেন ফুৎকারে উড়িয়ে দেবে মশারি,
মাতৃস্তনের পাশে দু’চোখ কচলে উঠে দাঁড়াবে এখুনি;
বাইরে তার ঘোড়া অস্থির, বাতাসে কেশর কাঁপছে।
আর সময়ের গতির ওপর লাফিয়ে উঠেছে সে।
না, এখনও সে শিশু। মা তাকে ছেলে ভোলানো ছড়া শোনায়।
বলে, বালিশে মাথা রাখো তো বেটা। শোনো
বখতিয়ারের ঘোড়া আসছে।
আসছে আমাদের সতেরো সোয়ারি
হাতে নাংগা তলোয়ার।
মায়ের ছড়াগানে কৌতূহলী কানপাতে বালিশে
নিজের দিলের শব্দ বালিশের সিনার ভিতর।
সে ভাবে সে শুনতে পাচ্ছে ঘোড়দৌড়। বলে, কে মা বখতিয়ার?
আমি বখতিয়ারের ঘোড়া দেখবো।
মা পাখা ঘোরাতে ঘোরাতে হাসেন,
আল্লার সেপাই তিনি, দুঃখীদের রাজা।
যেখানে আজান দিতে ভয় পান মোমেনেরা,
আর মানুষ করে মানুষের পূজা,
সেখানেই আসেন তিনি। খিলজীদের শাদা ঘোড়ার সোয়ারি।
দ্যাখো দ্যাখো জালিম পালায় খিড়কি দিয়ে
দ্যাখো, দ্যাখো।
মায়ের কেচ্ছায় ঘুমিয়ে পড়ে বালক
তুলোর ভেতর অশ্বখুরের শব্দে স্বপ্ন তার
নিশেন ওড়ায়।
কোথায় সে বালক?
আজ আবার হৃদয়ে কেবল যুদ্ধের দামামা
মনে হয় রক্তেই ফয়সালা।
বারুদই বিচারক। আর
স্বপ্নের ভেতর জেহাদ জেহাদ বলে জেগে ওঠা।

কে এই বখতিয়ার, মায়ের মুখে যার কেচ্ছা শুনে কবির হৃদয়ে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে, জেহাদের জন্য কবির হৃদয়ে হাহাকার জাগে, কবি বারুদেই অন্তিম তৃপ্তি পান কিংবা রক্তেই খুঁজে পান সমাধান?

ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী, যার নেতৃত্বে তুর্কি সেনারা বাংলা আক্রমণ (১২০২ মতান্তরে ১২০৩ সালে) করে। ইসলামী আক্রমণ মানেই হত্যা, সম্পদ লুণ্ঠন, নারী লুণ্ঠন এবং ধর্ষণ, মন্দিরকে মসজিদ বানানো, স্বাধীন মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা। বখতিয়ার খলজীও তাই করেছিলেন, জয় করেছিলেন বাংলার একটি অংশ। আর এর আগে তিনি কী করেছিলেন? একই পথ অবলম্বন করে মগধ তথা বিহার জয় করেছিলেন। বিহার জয় করার সময় আর একটি ক্ষতি তিনি করেছিলেন, যা কখনোই পূরণ হবার নয়। বিহারের বিক্রমশীলা এবং নালন্দা বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস করেছিলেন; যেখানে কেবল সারা ভারতবর্ষই নয়, ভারতবর্ষের বাইরে থেকেও মানুষ বিদ্যা অর্জনের জন্য আসতেন, বিহারের আবাসিক হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করতেন। বিহারের এইসব নিরপরাধ ছাত্র এবং শিক্ষকদের নির্মমভাবে হত্যা করে রক্তের বন্যা বইয়ে দেয় বখতিয়ার খলজীর নেতৃত্বে তুর্কি সেনারা। এই বৌদ্ধবিহার দুটির পাঠাগারে লক্ষ লক্ষ বই ছিল, সেই সব বই তারা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছিল। ওই বইগুলির সঙ্গে ওরা ধ্বংস করেছিল ভারতবর্ষের তথা মানবসভ্যতার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের একটা অংশ, অসংখ্য মানুষের শত শত বছরের জ্ঞান ও চিন্তার নির্যাস; যার অনেক কিছুই আর কখনোই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, চিরতরে লুপ্ত হয়েছে। মানব সভ্যতার এই অপূরণীয় ক্ষতি বখতিয়ার খলজী করেছেন।

বই ধ্বংসকারী, মানবসভ্যতার ইতিহাস এবং ইতিবাচক ঐতিহ্যের পরম্পরায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী একজন অসভ্য-বর্বরকে নিয়ে একজন কবি কিভাবে ইতিবাচক কবিতা লিখতে পারেন? হত্যাকারী, সম্পদ লুণ্ঠনকারী, নারী লুণ্ঠন এবং ধর্ষণকারী, স্বাধীন মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা একজন সন্ত্রাসবাদীর কর্মকাণ্ড কিভাবে একজন কবিকে উদ্বুদ্ধ করে বা একজন কবি কিভাবে সেই বর্বরটির প্রতি মোহমুগ্ধ হয়ে থাকতে পারেন?

অথচ আশ্চর্য হলেও সত্য বখতিয়ার খলজীর মতো বর্বরের কর্মকাণ্ড কবি আল মাহমুদকে মুগ্ধ করেছে, কবির হৃদয়ে জেহাদের দাদামা বাজিয়েছে!

একজন কবির হৃদয় যুদ্ধের জন্য হাহাকার করতে পারে? একজন কবি কখনো বারুদে অন্তিম তৃপ্তি খুঁজে পান? একজন কবি কখনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই রক্তে সমাধান দেখতে পান?

একজন কবির হৃদয় তো শান্তির আহ্বান করবে; একজন কবি তো বারুদ নয়, ফুলের গন্ধে অন্তিম তৃপ্তি পাবেন; একজন কবি তো রক্তে নয় বন্ধুত্বে সমাধান খুঁজে পাবেন।

অথচ কবি আল মাহমুদের হৃদয় যুদ্ধের জন্য হাহাকার করে উঠেছে, বারুদের গন্ধে তিনি অন্তিম তৃপ্তি খুঁজে পেয়েছেন, রক্তে তিনি সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। সঙ্গত কারণেই আমি তাকে বলি-মানবতাবিরোধী কবি।

এবার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে আসি। মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা কী ছিল? অনেকেই দাবি করে থাকেন যে তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? জীবনের অন্তিমলগ্নে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেও দাবী করেছেন যে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা! ডাঁহা মিথ্যে কথা। তিনি কোন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কেউ প্রমাণ দেখাতে পারবেন? পারবেন না। কারণ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় পালিয়ে ছিলেন, উঠেছিলেন তার ভগ্নীপতি হোসেন তৌফিক ইমামের বাসায়। হোসেন তৌফিক ইমাম প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সচিবের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। দেশ যখন এক ক্রান্তিলগ্ন পার করছে, তখন তিনি তরুণ বয়সী একজন কবি হওয়া সত্ত্বেও অস্ত্রহাতে বা কলম হাতে যুদ্ধে যোগ দেননি। তার পরিবার তখন দেশে ছিল এই অজুহাতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কিছু লেখেননি। তিনি কী করেছেন? ভগ্নীপতির বাসায় থেকেছেন-খেয়েছেন আর কলকাতা শহরের অলি-গলি ঘুরে বেরিয়েছেন, পতিতার সঙ্গে ফুর্তি করেছেন, কবিতা লিখেছেন (মুক্তিযুদ্ধের নয়), পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্নজনকে ধরে সেই কবিতা পত্রিকায় ছাপিয়েছেন, এমনকি তখন তিনি ‘আল মাহমুদের কবিতা’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশ করেছেন!

এইসব কথা আমি বানিয়ে বলছি না, তার নিজের লেখা আত্মজীবনী ‘বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ’ গ্রন্থে এসব আছে। তাহলে তিনি জীবনের শেষ বয়সে এসে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করলেন কেন? আমার ধারণা বয়সের ভারে তিনি আত্মজীবনীতে কী লিখেছিলেন সে-সব বিস্মৃত হয়েই সাক্ষাৎকারে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেছেন। লক্ষ্য করে দেখবেন, মিথ্যা বলা যাদের স্বভাব, তারা কিছুদিন পরেই ভুলে যায় অতীতে কী বলেছিল, বিভিন্ন সময়ে একই ঘটনার বিভিন্ন বয়ান দিয়ে থাকে।

আল মাহমুদ সেই প্রজাতির ধূর্ত কবি, যিনি জীবনের অধিকাংশ সময়ই শাসকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছেন, তার আদর্শের রঙ বদল করেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন, জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের শাসনামলে জলপাই রঙের আদর্শ ধারণ করেছেন। স্বৈরশাসক এরশাদের আমলে দেশের অনেক কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছেন, রাজপথে জীবন দিচ্ছেন, তখন কবি আল মাহমুদ স্বৈরশাসকের কোলে বসে মধু পান করছেন! স্বৈরশাসকের উপহার দেওয়া প্লট গ্রহণ করেছেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তিনি আর তার আদর্শের রঙ বদলাতে পারেননি, কারণ ততোদিনে তিনি জামায়াতের ঝোলায় এমনভাবে ঢুকে পড়েছেন যে সেখান থেকে আর বের হয়ে আসা সম্ভব নয়, আর আসতে চাইলেও স্বাধীনতার স্বপক্ষের বুদ্ধিজীবীদের কারণে হয়তোবা আসতে পারতেন না। ফলে আমৃত্যু তিনি জামায়াতের বুদ্ধিজীবী হয়েই থেকেছেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যে জামায়াত এবং জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির-মানুষ হত্যা, সম্পদ লুণ্ঠন, ধর্ষণ, মানুষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ প্রভৃতি অপরাধ করেছে; সেই জামায়াত এবং ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন আল মাহমুদ, তাদের দেওয়া সংবর্ধনা গ্রহণ করেছেন, বক্তৃতা দিয়েছেন। ছাত্র শিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে আল মাহমুদ এর একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে তিনি বলছেন-‘এখন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সম্বন্ধে একটু বলি-আমি এদের ভালবাসি, কারণ, আমার জানা মতে ইসলামী ছাত্রশিবির একমাত্র ছাত্র সংগঠন যারা এখনো নৈতিক বল এবং ইমানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আমি মনে করি এরা বিজয়ী হবে।’

এমন একজন মানবতাবিরোধী কবি, তিনি যতো ভাল মানের কবিতাই লিখুন না কেন, একজন মানবিক মানুষের মনে তার প্রতি ভালবাসা জন্মায় না, তার মৃত্যুতে হৃদয় ব্যথিত হয় না, বরং বুকের কন্দরে উদগত হয় ঘৃণা আর তা প্রকাশ হয় কথায় কিংবা লেখায়। সঙ্গত কারণেই এমন একজন মানবতাবিরোধী কবি’র মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করে না।

এহেন একজন ঘৃণ্য কবিকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হয়নি বা তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা জানানো হয়নি বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, এর মধ্যে কেউ কেউ রাষ্ট্রের ছোটলোকিপনা খুঁজে পেয়েছেন। কেন রাষ্ট্র তাকে শ্রদ্ধা জানাবে? রাষ্ট্রের জন্য তিনি কী করেছেন? রাষ্ট্রের ক্রান্তিকালে রাষ্ট্রের পক্ষে একটি শব্দও যে কবির কলম থেকে বের হয়নি, রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে স্বাধীনতার বিরোধীতা করা পক্ষের সঙ্গে যিনি হাত মিলিয়েছেন, তাদের দেওয়া উপঢৌকন গ্রহণ করেছেন এবং তাদের রক্তাক্ত হাতের ফুলের মালা কণ্ঠলগ্ন করেছেন, সেই রাষ্ট্রবিরোধী কবিকে শ্রদ্ধা জানানো রাষ্ট্রের উচিত নয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র সঠিক কাজটিই করেছে।

ঢাকা।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯




























মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



খ, উনি তা'হলে খিলজী মিলজী নিয়ে লিখে কাগজ নষ্ট করেছেন? তা'হলে কবি নন, পদ্য লেখক।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

বিজয় কেতন বলেছেন: আমি ব্যাথিত হয়েছি। সে জামায়াত পন্থী হবার পরেও তার মৃত্যুতে আমি শোকাহত।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাইন বোর্ড বলেছেন: তাহলে তো আপনার জন্যে বেশ রোমাঞ্চকর বার্তায়'ই বটে, তো আপনি যখন জিরাফি গলায় মানবতার বথা বলে এতক্ষণ মুখে ফেনা উঠালেন, তখন বর্তমানে স্বাধীনতা ও মানবতা হরণের এই দুঃসময়ে যারা শাসকের পক্ষ্যে তৈলমর্দণ করে যাচ্ছেন, যেসব কবিদের সম্পর্কেও কিছু লিখুন, যাতে করে আমরা আম-জনতা মানবতার কিছু তালীম নিতে পারি আপনার কাছ থেকে ।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ব্লগারদের মগজ কি দিনদিন কমে যাচ্ছে!!!!??

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

আরোগ্য বলেছেন: কাজী নজরুলকে নিয়ে আপনার মতামত কি?

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কামালপা বলেছেন: ইসলামোফোব ছাগল আপনি, ইতিহাসের কচু জানেন। বখতিয়ার খলজী সম্পর্কে রূপকথা লিখেছেন।
আল মাহমুদ একজন বড় কবি, আপনার সাধ্য আছে তার মত কবিতা লেখার?

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: 'যে নান্দনিক সৃষ্টি মানুষের মননে আলোড়ন সৃষ্টি করে , মানুষকে উদ্বেলিত করে , সেটি কবি আল মাহমুদের সৃষ্ট কবিতার মধ্যে ছিল কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের যে মূল্যবোধ তার কোন আবেদন আমাদের মধ্যে রাখে না ।'

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে কোলকাতা প্রসঙ্গ আসাটা কিন্ত বিশেষ সুবিধার প্রসঙ্গ না।কোলকাতার যেই ফিরিস্তি দিয়েছেন তাতে অনেক নামকরা মানুষদের ফেসে যাবার সম্ভাবনা আছে।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তার সবকয়টা লিখনী দেখেন, তারপর বিচার করেন। কারোর গাজাখুরি তথ্য নিয়ে একজন লেখককে বিচার করা ঠিক হবে না। সে ভাল মানুষ ছিলেন তাই জানি। আপনিও ভালো মানুষ হয়ে গুনিদের একজন হউন।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৪

মা.হাসান বলেছেন: "ইসলামী আক্রমন মানেই হত্যা, সম্পদ লুন্ঠন, নারী লুন্ঠন, ধর্ষণ, মন্দিরকে মসজিদে রূপান্তর ..."

আপনি অত্যন্ত মিথ্যা এবং সাম্প্রদায়িক কথা লিখেছেন।

অতি প্রাচিন কাল থেকেই যুদ্ধের সময়ে সিভিলিয়ান হত্যা, নারি নির্যাতন, মানুষকে পুড়িয়ে হ্ত্যা, জীবন্ত অবস্থায় হিংস্র পশুর সামনে নিক্ষেপ করা সহ নানা বিভৎসতা ছিল, বর্তমানেও আছে। প্রাচিন রোমান সাম্রাজ্যে, মিশরে, সাম্প্রতিক কালে কাশ্মির, বসনিয়া, হিটলারের জার্মানি, ইরাক, আফগানিস্থান, মিয়ানমার- কোথায় হয় নি? হিন্দু রাজাদের দ্বারা কচুকাটা হয়েছে বৌদ্ধরা, আশ্রয় নিয়েছে চিন বা অন্যান্য দেশে। অসংখ্য বৌদ্ধ স্তুপের উপর হিন্দু মন্দির নির্মান করা হয়েছে। রেফারেন্স লাগলে বলবেন, দেয়া যাবে। গত বছর রাজস্থানে নিম্ন বর্নের দুজন হিন্দুকে পিটিয়ে মারা হয় গোফ রাখা আর পাগড়ি পরার অপরাধে। এর অর্থ এই না হিন্দুরা সামগ্রিক ভাবে পরধর্মের প্রতি অসহিষ্ণু।

নালন্দা তিন বার ধ্বংস করা হয়। প্রথম বার হুন দের দ্বারা , ৫ম শতকে। দ্বিতীয়বার গৌড়ের সময়ে (হিন্দুদের দ্বারা), ৭ম শতকে। ৩য় বার ১২ শতকে। কার দ্বারা? সুকৌশলে এর দোষ দেয়া হয় বখতিয়ার খলজি কে। আসলে কি তাই? তিব্বতি ইতিহাসবিদ তারানাথের বই কিন্ত অন্য কথা বলে । ইতিহাস বলে বখতিয়ার খলজি আসার আগেই কালাচুরার রাজা (শিব ভক্ত) দেরদ্বারা নালন্দা ধ্বংস করা হয়। দেখুন তারানাথের "হিস্ট্রি অফ বুদ্ধিজম ইন ইন্ডিয়া" (link Taranath যাদের মারা হোল সেই বৌদ্ধদের লেখা ইতিহাস বিশ্বাস করা উচিৎ না যারা মারলো তাদের দ্বারা প্রচারিত ইতিহাস বিশ্বাস করা উচিৎ? ৩য় বার ধ্বংসের পরেও যে অবশেষ ছিল সেখানে কিছু পাঠদান ১৩ শতকেও চলেছে। আরেকজন তিব্বতি বৌদ্ধ সন্যাসি ধর্মসেনা ১৩ শতকে নালন্দা ভ্রমন করে লিখেছেন শিবভক্তদের হাত থেকে রক্ষা পেতে নালন্দায় বৌদ্ধমূর্তির সামনে শিবের প্রতিকৃতি রাখা হতো। দেখুন -G. Roerich, Biography of Dharmasvamin, Patna, 1959, p.64। ডঃ পাতিলের বইয়ে প্রমান সহ লেখা আছে কিভাবে শিব ভক্তদের হাতে নালন্দা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় । দেখুন- Antiquarian Remains of Bihar- Devendrakumar Rajaram Patil, Kashi Prasad Jayaswal Research Institute, Patna, 1963, p.304 । আরো দেখুন ডি.এন.ঝা এর আর্টিকেল D N Jha -link। ডি. এন.ঝা ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক এবং Indian Council of Historical Research এর সদস্য, বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত। ইনি কিন্তু ব্রাহ্মন।

ভুপেন হাজারিকা, পরেশ রাওয়াল, অনুপম খের- সকলেরই পলিটিক্যাল আইডিওলজি আছে। আমরা শিল্পির গুনটা দেখি, তার ব্যক্তি জীবন শিল্পি জীবনের চেয়ে বড় হওয়া উচিৎ না । মারাঠি দস্যু শিবাজির বন্দনা করে রবীন্দ্রনাথ শিবাজী উৎসব লিখেছিলেন। কারন শিবাজী মুসলমানদের ডান্ডা মারতে পেরেছিলেন। আমরা রবীন্দ্রনাথকে সাম্প্রদায়িক কবি বলে পরিচয় করে দেই না। রবীন্দ্রনাথ কিন্তু ছিলেন হিন্দু সমাজচ্যূত। মুসলমানদের সংস্পর্শে আসায় তার পূর্বপুরুষগন হিন্দু সমাজচ্যূত হয়ে ব্রাহ্ম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন।

আমি কবিতার ভক্ত নই। আল মাহমুদের কাব্য প্রতিভার বিষয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিল্পিদের তাদের কাজের দ্বারা বিচার করার পক্ষে, তার জাত, ধর্ম ইত্যাদি দ্বারা না। আপনার অবশ্যই অধিকার আছে অন্য কিছু ভাবার বা বলার । কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায় সম্পর্কে বিশেষ মতামত মনে পোষন করার অধিকারও আছে। তবে পাবলিক ফোরামে সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ করা যুক্তিযুক্ত না।

১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৪

শরীফ আতরাফ বলেছেন: এতদিন জামাত শিবিরকে ছাগু বলতাম ওদের চিন্তা চেতনার সীমাবদ্ধতার কারণে।এখন দেখছি ওদের তুলনায় আপনি ছাগলের ল্যাদা।

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি সব চেয়ে বেশি জঘন্য কাজ করেছেন কিছু মিথ্যা কথা বলার পর আবার ব্লগের পাঠকদের মন্তব্যের কোন প্রতি মন্তব্য না দিয়ে। ব্লগার কাকে বলে আপনি সেটাই জানেন না.........

একজন কবিকে তার লেখা দিয়েই বিচার করুন। সেটাই তার আসল পরিচয়। তার সাহিত্য, তার লেখা, তার সব অমর সৃস্টি দিয়ে তাকে বিচার করুন। আপনাকে এই অনুরোধ শুধু রেখে যাব। না হলে, পুরো সাহিত্য জগত শুধুই ভাগাভাগি হবে, দলাদলি হবে, নোংরা হবে। এতে দিন শেষে, বাংলা সাহিত্য জগতেরই ক্ষতি হবে! ফেসবুকীয় ব্লগিং করবেন না.........

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: আল মাহমুদ একজন কবি ছিলেন

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: কবি আল মাহমুদ তাদের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেননি বা তিনি নিজে মানুষ হত্যা করেননি। একজন কবি চাপাতি দিয়ে মানুষ হত্যা না করেও মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে পারেন তার হাতের কলম দিয়ে; তার শিক্ষা, চিন্তা, দর্শন, আদর্শ এবং প্রজ্ঞা দিয়ে। আল মাহমুদ সেই অপরাধই করেছেন। তিনি তার কলম, শিক্ষা, চিন্তা, দর্শন, আদর্শ এবং প্রজ্ঞা দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন[/sbএই কাজগুলি অঅপনি নিজেও করেছেন অগণিত মিথ্যা দিয়ে।
ইসলামী আক্রমণ মানেই হত্যা, সম্পদ লুণ্ঠন, নারী লুণ্ঠন এবং ধর্ষণ, মন্দিরকে মসজিদ বানানো, স্বাধীন মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা।- এটা তো সব ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। হিন্দু,খ্রীষ্টান,বৌদ্ধ-সব প্রধান ধরমই শক্তির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে।
তাহলে শুধু একটা ধর্মের কথা বলা কেনো?
তুর্কি বহিরাগত ইখতিয়ারুদ্দিন বাংলার মানুষকে ভয়ংকর বর্ণবাদী বিদেশী সেন বংশের শাসন মুক্ত করেছিলো,এদেশের মানুষ যাদের পক্ষে লড়াই করেনি।
সুতরাং অঅপনাকে আরো অনেক পড়তে হবে।
আল মাহমুদক আমিও অপছন্দ করি,কারণ সে ভয়ংকরভাবে জামাতি ভক্ত ছিলো।
কিন্ত মিথ্যাচার দিয়ে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.