নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
ইসলাম ধর্মের মাওলানারা শিল্প-সাহিত্যের বিরোধীতা করেন; গান-বাজনা করা, নৃত্য কিংবা অভিনয় করা, প্রেম-কাম-প্রকৃতি বিষয়ে কবিতা কিংবা গল্প-উপন্যাস ইসলামে হারাম বা নিষিদ্ধ বলে তারা ঘোষণা করেন এবং এই বিষয়ে কোরান-হাদিস থেকে উদ্বৃতিও দেন। কিন্তু যে-সব মুসলমান গান-বাজনা করেন, অভিনয় করেন, কবিতা-উপন্যাস লেখেন তারা আবার মাওলানাদের কথা বিশ্বাস না করে বলেন যে মাওলানারা কোরান-হাদিসের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন; অথবা তারা মাওলানাদের কথা বিশ্বাস করলেও তা উপেক্ষা করে নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা যদি মাওলানা বা মুসলমান কবি-শিল্পীদের কথায় কান না দিয়ে সরাসরি কোরান-হাদিস পড়ি, তাহলে সত্যি সত্যিই সেখানে দেখতে পাই যে মাওলানাদের কথাই সত্য, অর্থাৎ ইসলামে গান-বাজনা, নৃত্য-অভিনয়, প্রেম-কামের সাহিত্যচর্চা হারাম বা নিষিদ্ধ। কিন্তু কেন? কেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ গান-বাজনা, নৃত্য-অভিনয় বা প্রেম-কামের সাহিত্য ইত্যাদি মনোজগতের ক্ষুধা মিটানোর মতো নান্দনিক-সৃজনশীল বিষয়ের প্রতি এতোটা বিরাগভাজন ছিলেন? তার রাগটা আসলে কোথায় বা কাদের ওপর? সেই ইতিহাস খুঁড়ে দেখা যাক।
তথাকথিত নবুয়তির পর মুহাম্মদ নিজেকে আল্লাহ প্রেরিত নবী দাবী করে মক্কার পৌত্তলিক কোরাইশদেরকে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে তার নতুন ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করতে বলেন, কিন্তু কোরাইশরা মুহাম্মদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। কোরাইশদের পক্ষে এটা খুবই স্বাভাবিক, আজকের দিনেও তো নানান ধর্মের ধর্মীয় নেতা নিজেকে অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন ঈশ্বর প্রেরিত প্রতিনিধি বলে দাবী করেন, কিছুদিন আগে সৌদি আরব প্রবাসী এক বাংলাদেশী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান নিজেকে ‘ইমাম মাহাদী’ বলে দাবী করেছেন, মানুষ তাকে বিশ্বাস করেনি, বরং ভণ্ড বলেছে। এমনকি রমনা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। ফেইসবুকে গতবছর একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, সেখানে দেখা যায় এক তরুণ নিজেকে আল্লাহ প্রেরিত রসুল ঈসা নবী দাবী করছে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাকে মিনিট দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদের পর উত্তমমধ্যম দিচ্ছে। সুতরাং একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে ভবিষ্যতে যে-ই নিজেকে ইমাম মাহাদী কিংবা ঈসা নবী দাবী করুক না কেন, তার কপালে ভাল কিছু জুটবে না। মক্কার কোরাইশরাও মুহাম্মদকে আল্লাহ প্রেরিত নবী হিসেবে অবিশ্বাস করেছিল। কিন্তু মুহাম্মদ নাছোড়বান্দার মতো মানুষের পিছে লেগে থাকতো; পথে পথে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে, কাবা মন্দিরে (তখন কাবাঘরে মূর্তিপূজা করা হতো) গিয়ে মানুষকে বোঝাতে চাইতেন যে তিনি আল্লাহ প্রেরিত নবী এবং তার নতুন ধর্ম ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম। মানুষ তার কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হতো, কেউ তাকে পাগল ভাবতো। মক্কার অদূরে তখন ‘ওকাজের মেলা’ নামে বিশাল এক মেলা হতো, আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিল্পীরা আসতেন তাদের শিল্পকলা প্রদর্শনের জন্য। নৃত্যশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, যাদুশিল্পীরা সারাবছর অপেক্ষায় থাকতেন ওকাজের মেলার জন্য; আর তাদের শ্রেষ্ঠ শিল্পনৈপূণ্য প্রদর্শন করতেন ওকাজের মেলায়। পুরস্কারও পেতেন। কবিতার প্রতিযোগিতা হতো, কবিগণ আসতেন তাদের সেরা কবিতাটি নিয়ে পাঠের জন্য, বিজয়ী কবিকে পুরস্কার প্রদান করা হতো। বিজয়ী কবির কবিতা সোনালী পাতে লিখে কাবা মন্দিরের গায়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো। আরবের মানুষ এতোটাই কাব্যপ্রেমী ছিল এবং কবি ও কবিতাকে ভালবাসতো। মুহাম্মদ ওকাজের মেলায় যেতেন ইসলাম প্রচার করতে, সঙ্গত কারণেই মানুষ তাকে পাত্তা দিতো না, পাগল বা উন্মাদ ভেবে তাকে এগিয়ে চলতো। মুহাম্মদ যখন দেখতেন যে তার ইসলাম ধর্ম কেউ গ্রহণ করছে না, তাকে কেউ পাত্তাও দিচ্ছে না, অথচ মানুষ সংগীত শুনছে, নৃত্য-অভিনয়-যাদু দেখছে, কবিতার আসরে মানুষের ভিড় লেগে আছে, কবি-শিল্পীদের মানুষ কদর করছে; তখন হয়তো তার রাগ-ক্ষোভ জন্মাতো কবি-শিল্পী এবং তাদের শিল্পকলার ওপর। আর এ কারণেই হয়তো তিনি শিল্পকলার প্রতি বিষোদগার করতেন, কোরানে আল্লাহ’র বানীর নামে আসলে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতেন।
আল কোরান, সুরা নজম (৫৩:৬১) এ বর্ণিত আছে-
‘তোমরা কি এ কথার (কোরান শরীফ-এর) উপর আশ্চর্য্যান্বিত হচ্ছো ও হাস্য করছো এবং ক্রন্দন করছো না, অথচ তোমরা সঙ্গীত বা গান-বাজনা করছো?’
এই আয়াত নাযিল হওয়ার কারণ সম্পর্কে তাফসীরে ইবনে জারীর, ২৭ খণ্ড, ৪৩/৪৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, ‘হযরত কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে, তিনি হযরত ইবনে আব্বাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে রেওয়ায়েত করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম ‘সামিদুন’ (সামুদ ধাতু হতে উৎপন্ন হয়েছে) এর অর্থ সঙ্গীত বা গান-বাজনা, যখন কাফিরেরা কোরান শরীফ শ্রবণ করতো, সঙ্গীত বা গান-বাজনা করতো ও ক্রীড়া কৌতুকে লিপ্ত হতো, এটা ইয়ামেনবাসীদের ভাষা।’
আল কোরান, সুরা বনি-ইসরাইল: (১৭:৬৪) এ বর্ণিত আছে-
‘এবং (হে ইবলিস) তুই তাদের মধ্য হতে যাকে পারিস নিজের শব্দ দ্বারা পদস্খলিত কর।’
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে ইবনে জারীর-এর ১৫/৭৬ পৃষ্ঠায় আল্লামা ইবনে জারীর তাবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, ‘শয়তানের শব্দ অর্থ হচ্ছে ক্রীড়া ও সঙ্গীত বা গান-বাজনা।’
আল কোরান, সুরা লোকমান: (৩১:৬) এ বর্ণিত আছে-
‘আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে।’
এছাড়া হাদিসেও শিল্পকলার প্রতি মুহাম্মদের প্রতি রাগ এবং ক্ষোভ দেখতে পাই-
নবী মুহাম্মাদ বলেছেন- ‘গান শোনা গুণাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসেকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ এবং প্রশংসা করা কুফরী।’ এবং ‘আমি “বাদ্য-যন্ত্র” ও “মুর্তি” ধ্বংস করার জন্যে প্রেরিত হয়েছি।’-আবু দাউদ
অন্য হাদিস এ নির্দেশ আছে- ‘পানি যেরূপ জমিনে ঘাস উৎপন্ন করে “গান-বাজনা” তদ্রুপ অন্তরে মুনাফেকী পয়দা করে।’ (বায়হাক্বী ফী শুয়াবিল ঈমান)
‘জামিউল ফতওয়া’ কিতাবে উল্লেখ আছে-‘গান-বাজনা শ্রবণ করা, গান-বাজনার মজলিশে বসা, বাদ্য-যন্ত্র বাজানো, নর্তন-কুর্দ্দন করা সবই হারাম, যে ব্যক্তি এগুলোকে হালাল মনে করবে সে ব্যক্তি কাফির।’
‘যে ঘরে কুকুর থাকে আর প্রাণির ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না।’(সহীহ বুখারী, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নং ২৯৯৮- ইফা)
‘(কিয়মতের দিন) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়।” [সহীহ বুখারী, নবম খণ্ড, হাদিস নং ৫৫২৬-ইফা)
‘হাশরের দিন সর্বাধিক আজাবে আক্রান্ত হবে তারাই, যারা কোনো প্রাণির ছবি আঁকে।’ (বুখারি : ৫/২২২২)
এছাড়াও মুহাম্মদ তার উম্মতের বিপথগামীদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন-
‘আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে যারা ব্যভিচার, সিল্কের কাপড় পরিধান, মদ্যপান ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে।’ (বুখারী, হাদীস-৫৫৯০)
একবার মুহাম্মদ এবং তার অনুসারীরা মদিনা থেকে আশি মাইল দূরের আরজ নামক এক পল্লীর মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ একজন কবি এসে তাদেরকে কবিতা শোনাতে থাকেন, কবিতা শুনে মুহাম্মদ তার অনুসারীদের বলেন, ‘এই শয়তানটাকে আটক করো। কবিতা দিয়ে পেট ভরার চেয়ে পুঁজ দিয়ে ভরা ভাল, যে পুঁজ তার যকৃতে পচন ধরায়।’
কবি নদর বিন আল-হারিস হত্যা
বদর যুদ্ধে মুহাম্মদ এবং তার অনুসারীরা কবি নদর বিন আল-হারিসকে বন্দী করে। নদর একসময় আল হিরার লাখমিদ রাজদরবারের রাজকবি ছিলেন। ফেরদৌসি নামের একটি বিখ্যাত কবিতা লিখেছিলেন তিনি। কোরানের আদ-সামুত-লুতের বর্ণনার চেয়ে আরো সুন্দর করে পারস্যের রুস্তম-ইসফানদার এর রাজকীয় ও বীরত্বপূর্ণ কাহিনী বলতে পারেন, এমন দাবী তিনি করেছিলেন। নবী নদরের শিরোচ্ছেদ করার নির্দেশ দিলে সাহাবী আল-মিক্বদাদ বিন আমর বলেছিলেন, ‘এই লোক আমার বন্দী। তাই সে আমার গণিমতের মাল হিসেবে বিবেচ্য।’ আল-মিক্বদাদ চেয়েছিলেন নদরের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে তাকে ছেড়ে দিতে। তখন মুহাম্মদ মিক্বদাদকে বলেন, ‘নদর পূর্বে কোরানের আয়াত নিয়ে যে-সব কটুক্তি করেছে, তা কি ভুলে গেছ?’
অতঃপর নবীর নির্দেশে কবি নদর বিন আল-হারিসের শিরোচ্ছেদ করে হত্যা করা হয়।
কবি ওক্ববা বিন আবু মোয়াইত হত্যা
বদর যুদ্ধে বন্দী কবি ওক্ববা বিন আবু মোয়াইতকে মুহাম্মদের সামনে আনা হলে তিনি তার সাহাবী আসিম বিন সাবিতকে মোয়াইতের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। সাবিত মোয়াইতকে হত্যা করতে উদ্যত হলে মোয়াইত কাঁদতে কাঁদতে মুহাম্মদকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি মারা গেলে আমার সন্তানদের কী হবে?
মুহাম্মদ উত্তর দিয়েছিলেন, ‘জাহান্নমের আগুন।’
অতঃপর কবি ওক্ববা বিন আবু মোয়াইতের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কবি কাব ইবনে আল-আশরাফ হত্যা
বদরযুদ্ধে কোরাইশদের পরাজয় এবং তাদের অনেককে হত্যার খবর দিযে মুহাম্মদ তার দুই অনুসারী জায়েদ ইবনে হারিসাকে পাঠান দক্ষিণ মদিনায় এবং আবদুল্লাহ ইবনে রাওহাকে পাঠান উত্তর মদিনায়। এই খবর শুনে বনু নাবহান গোত্রের কবি কাব ইবনে আল-আশরাফ বলেন, ‘এসব সত্যি? এই দুজন লোক যেসব নাম বলছে, তাদের মুহাম্মদ সত্যি সত্যি হত্যা করেছে? এরা হলো আরবদের মধ্যে খানদানি লোক, রাজবংশের সন্তান। মুহাম্মদ যদি তাদের হত্যা করে থাকেন, তাহলে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো।
তিনি যখন কোরাইশদের মৃত্যর ব্যাপারে নিশ্চিত হন, তখন মদিনা ছেড়ে মক্কায় যান। মক্কায় গিয়ে আল-মুত্তালিব ইবনে আবু ওয়াদার বাড়িতে ওঠেন। তিনি আল-মুত্তালিব এবং তার স্ত্রী আতিকার কাছে হত্যাকারী মুহাম্মদের সমালোচনা করেন এবং বদরে নিহত কুরাইশদের নিয়ে তার লেখা কবিতা আবৃত্তি করে শোনান-
বদরের কারখানা তার মানুষেল রক্ত টেনে নিয়েছে,
বদরের মতো ঘটনায় তোমাদেরিউচিৎ চিৎকার করে ক্রন্দন করা।
জলাধারের চারপাশে হত্যা করা হয় সেরা লোকদের,
যুবরাজেরও ওখানে পড়ে থাকায় বিস্ময়ের কিছু নেই।
যত সুদর্শন মানুষ,
গৃহহীনের আশ্রয় নিধন হলো।
আকাশ বৃষ্টি না দিলে তারা দরাজ দিল হতো,
অন্যের বোঝা টানতো তাতা, শাসন করতো,
ন্যায্য পাওনা বুঝে নিত।
কারও কারও ক্রোধে আমি খুশি হই,
তারা বলে, ‘কাব ইবনে আল-আশরাফ বড় মনমরা হয়ে গেছে।’
ওরা যথার্থই বলে। ওদের হত্যার সময়
ধরণী দ্বিধা হয়ে গ্রাস করেছিল তার লোকজন,
যে খবর রটিয়েছে তাকেও বিদ্ধ করা হয়েছে
অথবা মূক বধিরে পরিণত করা হয়েছে।
শুনেছি বানুল মুগিরাকে অপমান করা হয়েছিল
আবুল হাকিম ও রাবিয়ার দুই ছেলের মৃত্যুর পর
নিহতদের সমান সম্মান পায়নি মুনাব্বিহ ও অন্যরা।
শুনেছি আল-হারিস ইবনে হিশাম
সৈন্যবাহিনী তৈরি করছে,
সেনাদল নিয়ে ইয়াসরিব যাবে সে-যাবে কারণ শরিফ সুদর্শন মানুষই কেভল
উচ্চ সুনামের কদর রাখতে জানে।
তারপর কাব ইবনে আল-আশরাফ মদিনায় ফিরে আসেন এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মুসলমান নারীদের নিয়ে অপমানজনক প্রেমের কবিতা রচনা করার। মুহাম্মদ তার অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই ইবনুল আশরাফের যন্ত্রণা থেকে কে মুক্তি দেবে আমাকে?’
মুহাম্মদ ইবনে মাসসালা নামে এক অনুসারী বলে, ‘আপনার জন্য আমি ওকে দেখে নেব, হে রাসুলুল্লাহ। আমি ওকে হত্যা করবো।’
মুহাম্মদ বলেন, ‘যদি পারো তা-ই করো।’
এরপর মুহাম্মদ ইবনে মাসসালা কাব ইবনে আল-আশরাফের পালিত ভাই আবু নায়লা এবং আরো কয়েকজনের সঙ্গে পরামর্শ করে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতো এক রাতে আবু নায়লা কাব ইবনে আল-আশরাফকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দুজনে কথা বলতে থাকে, আগে থেকেই লুকিয়ে থাকা মুহাম্মদ ইবনে মাসসালা এবং অন্যরা কাব ইবনে আল-আশরাফের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
কবি আবু আফাক হত্যা
আবু আফাক ছিলেন ইয়াসরিবের (বর্তমান নাম মদিনা) একজন কবি, ইহুদী ধর্মাবলম্বী, তাঁর বয়স ছিল একশো বিশ বছর। বদরযুদ্ধের পর ইয়াসরিবের মানুষ মুহাম্মদের কঠোর সমালোচনা করেন অন্যায়ভাবে যুদ্ধ এবং কোরাইশদেরকে হত্যা করার জন্য। ফলে সমালোচনাকারী কিছু মানুষকে খুনের পরিকল্পনা করেন মুহাম্মদ, তার আদেশে তার অনুসারীরা রাতের অন্ধকারে মানুষকে নৃশংসভাবে খুন করতে শুরু করেন। আল হারিস ইবনে সুবায়দ ইবনে সামিত নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করার পর কবি আবু আফাক এই হত্যার প্রতিবাদে একটি কবিতা লিখেছিলেন।
অনেক দেখেছি জীবনে, কিন্তু মানুষের
এমন জমায়েত দেখিনি কখনো
কর্মের ও মিত্রের কাছে এমন কৃত সংকল্প
আহ্বান করলে, কায়লার সন্তানদের চেয়েও
উত্তম তারা একত্র হলে;
এইসব মানুষ পাহাড় টলায়, মাথা নত করে না।
এক সওয়ারি এসে ওদের দুটি ভাগ করলো,
বললো, ‘হালাল’ ‘হারাম’ ইত্যাদি সব।
গৌরব কি রাজত্বের বিশ্বাস করো যদি
তাহলে তুব্বা অনুসরণ করো।
কবি আফাক এই প্রতিবাদী কবিতা লেখার পর মুহাম্মদ তার অনুসারীদের বলেন, ‘আমার হয়ে কে শায়েস্তা করতে পারবে এই বদ লোককে?’
সালিম ইবনে উমায়ের নামে মুহাম্মদের এক অনুসারী প্রতিজ্ঞা করে বলেন, ‘আমি এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করছি যে, হয় আমি আবু আফাককে খুন করবো অথবা তার আগেই মরবো।
গরমের রাত্রে আফাক বাহিরে খোলা আকাশের নিচে খাটিয়ায় ঘুমিয়ে ছিলেন। সালিম ইবনে উমায়ের এই সুযোগটাই কাজে লাগায়, সে ঘুমন্ত কবি আফাকের পেটে তলোয়ার ঢুকিয়ে চাপ দিতে থাকে যতোক্ষণ না তলোয়ারের মাথা শরীর ফুঁড়ে শয্যা পর্যন্ত না পৌঁছোয়। একশো বিশ বছরের বৃদ্ধ কবি আফাককে এভাবেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় নবী মুহাম্মদের নির্দেশে।
কবি আসমা বিনতে মারওয়ান হত্যা
বৃদ্ধ কবি আবু আফাককে হত্যার প্রতিবাদে এবং মুহাম্মদ ও তার অনুসারীদের নিন্দা করে নারী কবি আসমা বিনতে মারওয়ান কবিতা লিখেছিলেন-
ঘৃণা করি আমি বনু মালিক আর আল-নাবিতকে
ঘৃণা করি আউফ আর বনু খাজরাজকে।
এক আগন্তুককে তোমরা মানো
যে মুরাদ কিংবা মান্ধিজের নয়।
তোমাদের সরদারদের নিধন করার পর
কী ভালো তোমরা আশা করো তার কাছে,
হত্যা করেছে যে খাবারের সামনে ক্ষুধার্তের মতো?
সম্মানী মানুষ একজনও কি নেই যে আচমকা
ওর ওপর আঘাত হেনে তাদের সব আশা নির্মূল করবে?
এটা খুবই স্বাভাবিক যে একজন বৃদ্ধ কবিকে হত্যার পর হত্যার নির্দেশদাতা এবং হত্যাকারীর সমালোচনা হবে, তা নিয়ে লেখালেখি হবে, এটা যে-কোনো সচেতন সমাজেই হয়, আমাদের সমাজেও হয়, মদিনাতেও তাই হয়েছিল।
কিন্তু আসমা বিনতে মারওয়ানের প্রতিবাদী কবিতা শোনার পর ক্ষুব্ধ মুহাম্মদ তার অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মারওয়ানের মেয়ের হাত থেকে আমাকে কে বাঁচাবে?
তখন তার কথা শুনেছিলেন উমাইর ইবনে আদিই আল-খাতাম, সেই রাতেই সে আসমার বাড়িতে যায়, আসমা তখন তার পাঁচ সন্তানকে নিয়ে শুয়ে ছিলেন, সবচেয়ে ছোট সন্তানকে দুগ্ধ পান করাচ্ছিলেন। উমাইর আসমার বুকে তলোয়ার ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর ভোরবেলায় সে মুহাম্মদের কাছে গিয়ে আসমাকে খুনের কথা জানায়। মুহাম্মদ বলেন, ‘হে উমাইর, তুমি আল্লাহ ও তার নবীকে সাহায্য করেছো।’
উমাইর তখন মুহাম্মদের কাছে জানতে চান যে তার এই কর্মের ফলে কোনো অমঙ্গলের সম্ভাবনা আছে কি না?
মুহাম্মদ বলেন, ‘দুটো ছাগলও তার জন্য মাথা নাড়বে না।’
মুহাম্মদ ঘাতক উমাইরের কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে তাকে বসির (চক্ষুষ্মান) উপাধি দেন। তারপর উমাইরকে সঙ্গে নিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করেন।
ফারহানা ও কারিবা হত্যা
মক্কা বিজয়ের পর আবদুল্লাহ ইবনে আল-খাতাল এবং তার দুই ভৃত্য সংগীতশিল্পী ফারহানা ও কারিবাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন মুহাম্মদ। ফারহানা এবং কারিবা’র অপরাধ ছিল তারা মুহাম্মদকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক গান গাইতো। বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকা হয়, গান গাওয়া হয়, পথ নাটক করা হয়। কিন্তু ইসলাম ধর্ম ব্যতিত অন্য কোনো ধর্মের মানুষ এই ধরনের কাজের জন্য কোনো শিল্পীকে হত্যা করে না। আমরা জানি যে কয়েক বছর আগে মুহাম্মদের কার্টুন আঁকার জন্য শার্লি এবদোর বারোজন কার্টুনিস্টকে হত্যা করে মুসলমান জঙ্গিরা।
এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে মুহাম্মদের সময়কালেও ব্যাঙ্গাত্মক গান বা নাটকের প্রচলন ছিল, যাদের কাজ সমালোচিত হতো, তাদেরকে নিয়ে হয়তো ব্যাঙ্গাত্মক গান বা অভিনয় করা হতো। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে সেই সময়ে মুহাম্মদের কর্মকাণ্ড কেবল বিতর্কিত বা সমালোচিতই ছিল না, নিশ্চিতভাবেই তা ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধ। আর সেই কারণেই ফারহানা এবং কারিবা তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক গান গেয়েছিলেন। মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মদ প্রতিশোধ-পরায়ণ হয়ে দুই নারী সংগীতশিল্পীকে হত্যার নির্দেশ দেন।
*মুহাম্মদ আরো কোনো কবি বা শিল্পীকে হত্যা করেছেন কিনা আমার জানা নেই। পরে এই ধরনের হত্যার তথ্য পেলে সংযুক্ত করা হবে।
সহায়ক গ্রন্থ:
১. সিরাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) (মুহাম্মদের প্রথম বিশদ জীবনী)
মূল: ইবনে ইসহাক; অনুবাদ: শহীদ আকন্দ; প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন
২. আল কোরান-ইসলামী ফাউন্ডেশন সম্পাদিত
৩. সহীহ বুখারী, পঞ্চম খণ্ড
৪. সহীহ বুখারী, নবম খণ্ড
৫. ইসলামের অজানা অধ্যায় (দ্বিতীয় খণ্ড)-গোলাপ মাহমুদ
৬. আবু দাউদ
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৫
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ আগে এসবই চলতো। তারা হত্যা খুন, ধর্ষন এসব ছাড়া কিছুই বুঝতো না। সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
বহু দিন পর ব্লগে আপনাকে দেখলাম।
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৪
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ অনেকদিন পর লিখলাম ব্লগে।
৩| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি অনেক পরাশুনা করেন - অনেক জানেন, সেটা আগের লেখাগুলো থেকেই ধারনা পেয়েছি।
তবে এমন সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আরো অনেক বেশী পড়াশুনা ও জানার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।
ব্লগারদের এমনিতেই সারা দেশের লোক নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে রেখেছে- সেজন্য ব্লগের ভয়ঙ্কর দুরবস্থার সময়ে প্রায় সবাই অত্যান্ত
আমোদিত হয়েছে। বাকি সব ব্লগ বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের এই মাধ্যমটা এখনো কঠিন সময়ের মধ্যে
দিয়ে যাচ্ছে। আপনি বুদ্ধিমান লেখক, আশা করি কি বলতে চাচ্ছি- বুঝতে পেরেছেন।
ভাল থাকুন- ধন্যবাদ
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৩
মিশু মিলন বলেছেন: না জানা থেকে তো কিছু লিখিনি, সহায়ক গ্রন্থগুলোর নামও উল্লেখ করেছি।
হ্যাঁ বুঝতে পারছি আপনি কী বোঝাতে চাইছেন। ধন্যবাদ।
৪| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৫৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আদি কালে এমন ছাড়া আর কি? তবে এখনো ক্রস ফায়ার এমনি ঘটনা।
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২৭
মিশু মিলন বলেছেন: শুধু আদিকালের ওপর দোষ দিলে ব্যক্তির অপরাধ লঘু হয়ে যায়।
৫| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১:১০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি সহমত প্রকাশ করতে পারছি না।কারনে কোরানে শিল্প সাহিত্য নিষিদ্ধ এমন সরাসরি নির্দেশ দিয়ে আয়াত নেই।
হুজুররা অনেক কিছুই বলে।আবার হাদিসের বই গুলোতে অনেক কিছুই আছে।কিন্ত হুজুররা নিজেরাই সেই হাদিসগুলো নিয়ে একমত নয়।তারা তো বলে দুনিয়ার সব আনন্দের জিনিস হারাম।কোরান কিন্ত তা বলে না।
২২ শে মে, ২০২১ রাত ১:১৫
মিশু মিলন বলেছেন: কোরানের রেফারেন্স দিয়েছি।
৬| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ২:০৯
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি যে একচোখা, নিজের সুবিধামতো তথ্য লোপাট করেন, আপনার লেখায়ই স্পষ্ট। কাব বিন আশরাফের উদাহরণটিই দেই যেহেতু এটি সবচেয়ে আলোচিত: মদিনার সঙ্গে যুদ্ধে মক্কার নেতারা নিহত হয়েছেন, কিন্তু কবি কাব বিন আশরাফ কেন মদিনা সনদ লঙ্ঘন করে মদিনা থেকে মক্কায় গেলেন তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতে, তাদেরকে আবার অস্ত্র ধরার উস্কানি দিতে? আপনার লেখায় কিন্তু এ তথ্য নেই, যুদ্ধাবস্থায় অত্যন্ত ঘোরতর অপরাধটি লোপাট করে কাবকে মহান কবি বানিয়ে দিলেন, অথচ কবির বাইরেও কাব ছিলেন একজন নেতা।
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১৩
মিশু মিলন বলেছেন: অন্ধ বিশ্বাসী মন বড় অবুঝ। তাদের সঙ্গে তর্ক করা অর্থহীন।
৭| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ২:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: একবার শুধু লিখেছিলাম মুহাম্মদ ছয় বছরের নাবালক বালিকাকে বিবাহ করেছিল।কয়েকজন রৈ রৈ করে উঠলো।একজন বললো, আমার নামে মামলা করবে নবী অবমাননার অপরাধে।যেটা ওয়াজিরা দিন রাত মাইক ফাটিয়ে বলে নবী এটা করেছিলেন দৃষ্টান্ত স্খাপনের জন্য।
অনেক তথ্য দিয়েছেন,এক বৃদ্ধা অন্ধ নরীকেও হত্যা করা হয়েছিল শুধু মাত্র নবীকে বকাঝকা করাতো এই অপরাধে।
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১৪
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২২ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:০২
ঈশ্বরকণা বলেছেন: এই নোংরা ভাষায় লেখা একটা পোস্টেও যে কোনো ব্লগার নামধারী কেউ পছন্দ হয়েছে বলতে পারে সেটা আসলেই ভাবিনি । এটা আবার কোনো ব্লগবৃদ্ধের কাজ জেনে আরো মর্মাহত ।
আমি কাব ইবনে আশরাফ নিয়ে আপনার লেখার চরম ইসলাম ও রাসূল (সাঃ) বিদ্বেষী অংশটুকু নিয়ে কিছু বলছি। অন্যদের ব্যাপারেও মুসলিম নন মুসলিম ইতিহাসবিদদের মধ্যে কমবেশি ঐক্যমত আছে যে আপনার বলা এই সব লোকদের শাস্তি দেবার ব্যাপারটা সেই সময়ের বিচারে ঠিকই ছিল। একজন কবি যেমন কবিতা লিখতে পারেন তেমন সে জাতির স্বার্থ বিরোধী কাজেও জড়িয়ে যেতে পারেন ।সেটাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু না । এই কাব ইবনে আশরাফ যে শুধুই প্রেমের কবিতা লিখতো কিন্তু মুসলিম স্বার্থ বিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল না সেটা কি আপনি নিশ্চিত ? জাতির স্বার্থ বিরোধী কাজে কোনো কবি জড়িত থাকলে তার কঠিন বিচার করা যাবে না সেটা কি পৃথিবীর কোনো সংবিধান বলে ? এমন কি এই একবিংশ শতাব্দির কোনো দেশের সংবিধানও কি সে' রকম বলে ? কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক হোক আর যেই হোক জাতির বা দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজে জড়িত থাকলে সেটার গুরুত্ব অনুসারে তার শাস্তি পাবার কথা। তাই কাব ইবনে আশরাফকে শুধু কবি হিসেবে চিহ্নিত করে তার শাস্তিকে নেতিবাচক বললেতো মিথ্যাচারণ করা হলো ।
আপনি কি বিখ্যাত আমেরিকান কবি এজরা পাউন্ডের নাম শুনেছেন কখনো? এইতো মাত্র সেদিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার স্বার্থের বিপরীতে ইতালির সমর্থনে কাজ করার জন্য তার ভাগ্যে কি ঘটেছিলো সেটা মনে হয় জানেনও না, তাই না ? একটু জানার চেষ্টা করুন । এতো কম জেনে লিখলেতো মুশকিল । এজরা পাউন্ডের মতো বিশ্ববিখ্যাত কবিকেও দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজের জন্য চরম দণ্ড পেতে হয়েছিল সেক্যুলার পৃথিবীর নেতৃস্থানীয় দেশ খোদ আমেরিকার আদালতেই ! সেই চরম দন্ডটা কি সেটা ইন্টারনেট খুঁজে দয়া করে জেনে নেবেন ।একলাখ মানুষের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে রাজসিংহাসন ঠিক রাখা অশোককে কি খুনি বলে না মহামতি অশোক বলে? আলেক্সান্ডার আর জুলিয়াস সিজারকে আধুনিক প্রগতিশীল কোনো ইতিহাস বইয়ে খুনি বা অবৈধ দখলদার বলা হয়েছে দেখাতে পারবেন ? দুই হাজার বছর আগের ঘটনাকে বর্তমানের মূল্যবোধ দিয়ে বিচার করতে গেলে কি সমস্যা হয় আর সেটা কে ইতিহাসবিদরা কি বলে সেই টার্মটা কি জানেন ? প্লিজ একটু খোঁজ করে দেখুন বাসায় ইন্টারনেট থাকলে ।
ইসলামিক সোর্সগুলোর বর্ণনা ইচ্ছেমতো মতো ব্যবহার করে মনের মাধুরী মিশিয়ে অশ্রদ্ধার সাথে রাসূলের নাম উল্লেখ করলেন বারবার !! এটাতো চরম নোংরামি। আর কোনো নন ইসলামিক সোর্সের কথাতো বললেন না যে এ'সম্পর্কে তাদের ভাষ্য কি অথবা তারা কিভাবে কাব ইবনে আশরাফের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টা দেখেছে ? আমি তেলআবিব থেকে একাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত খোদ ইহুদি গবেষণার সূত্র দিয়েও বলতে পারবো যে তারা এই হত্যাকান্ডকে অস্বাভাবিক কিছু বলেননি। তারা বরং এটাই বলেছে যে সেই সময়ের অর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে কাব ইবনে আশরাফের বিচার ও হত্যাকান্ড সামঞ্জস্যপূর্ণই ছিল। আর সেই ঘটনার দেড় হাজার বছর পরে আপনি কিছু বাংলা অনুবাদ জোগার করে বিশাল পান্ডিত্যপূর্ণ লেখা লিখে ফেললেন! ইহাদের লইয়া আমরা সাধারণ ব্লগাররা কি করি ! আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডটা কি জানাবেন একটু দয়া করে?কাদের সাথে এই সময়ে ব্লগিং করছি সেটা একটু জানার ইচ্ছে হলো হঠাৎ আপনার পান্ডিত্যপূর্ণ আলোচনা পড়ে । আপনাদের মতো ইসলাম নিয়ে কম পড়াশোনা করা ব্লগারদের চরম ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের জন্যই ব্লগ বারবার বিপদে পড়ছে । প্লিজ নিজের ফেসবুকে এইসব অমূল্য লেখা লিখে জগৎ উদ্ধার করুন আর ব্লগটাকে একটু শান্তিতে থাকতে দিন । ব্লগের আর বিপদ বাড়াবেন না ।
কাল্পনিক_ভালোবাসা, এই নোংরা ও ইসলাম বিদ্বেষপূর্ণ লেখার জন্য এই ব্লগারকে জরুরি ভিতিত্তে চিরস্থায়ীভাবে ব্লগ থেকে ব্যান করুন । আর এই লেখা সমর্থন করে মন্তব্য করা চ্যালাগুলোকে কড়া ভাষায় ওয়ার্নিং দিন নইলে ব্লগ বন্ধ হয়ে যাবার ঝুঁকি কমাবার ব্যাপারে আপনার ভূমিকাও যথেষ্ট ছিল না সেই অভিযোগও উঠতে পারে কিন্তু ।
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২৫
মিশু মিলন বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে এই লেখায় কোথাও নোংরা ভাষা ব্যবহার করা হয়নি। খুব শালীন ভাষায় সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে, অনেকের বদহজম হচ্ছে এই যা। এখানে কেউ কারো চ্যালা নয়, আমরা সবাই সহ ব্লগার। এর পরের বার আমার লেখায় মন্তব্য করার আগে ভাষার ব্যবহার শিখে, ভদ্রতা শিখে, নূন্যতম মানুষের পর্যায়ে উন্নীত হয়ে তবে মন্তব্য করবেন, অন্যথায় মন্তব্য ডিলিট করা হবে।
আমি কোথায় লিখবো সেটা আমার স্বাধীনতা। ব্লগটা আপনার নিজের নয়। ব্লগ স্বাধীন মাধ্যম, এখানে সবাই যার যার পছন্দ মতো বিষয়ে লিখবে। কারো ভালো লাগলে পড়বে, ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাবে। অশিক্ষিত লোকেরাই কেবল অনধিকার চর্চা করে। ব্লগ শান্তিতেই আছে, আপনি উত্তেজিত বোধ করছেন।
৯| ২২ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:৩৭
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @ঈশ্বরকণা, ইসলামবিদ্বেষী এসব সাইক্লপস বিদ্বেষ ছড়ানোর এজেন্ডা নিয়েই এরকম পোস্ট লেখে। তাদের মূল উদ্দেশ্য, অন্য বিদ্বেষী হাবড়াদের মনোরঞ্জন করা যারা সারাদিন অন্যের পোস্ট নকল করবে আর পিঠ চাপড়ে বলবে, ভালো তথ্য, সত্যিকারের ইতিহাস, ...। বেয়াদব মাতাল আর কাকে বলে!
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩২
মিশু মিলন বলেছেন: ভিন্নমত আমি গ্রহণ করি, আমার লেখার সমালোচনা হতেই পারে, কিন্তু কদর্য ভাষায় আক্রমণ নয়। অন্যের লেখায় কোন ভাষায় মন্তব্য করতে হয় সেটা শিখে এসে ভদ্র ভাষায় আমার লেখায় পারলে মন্তব্য করবেন, অন্যথায় মন্তব্য ডিলিট করা হবে।
১০| ২২ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:৪৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: গান-বাজনা করা, নৃত্য কিংবা অভিনয় করা, প্রেম-কাম-প্রকৃতি বিষয়ে কবিতা কিংবা গল্প-উপন্যাস ইসলামে হারাম বা নিষিদ্ধ বলে তারা ঘোষণা করেন এবং এই বিষয়ে কোরান-হাদিস থেকে উদ্বৃতিও দেন। কিন্তু যে-সব মুসলমান গান-বাজনা করেন, অভিনয় করেন, কবিতা-উপন্যাস লেখেন- সংস্কৃতির নামে ক্ষতিকর ও জাতি ধ্বংসকারী কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা কোন যুক্তিতে অপরাধ হতে পারে? সেইসময়ের কবিরা কি ধরণের কবিতা লিখতো, সেটার উল্লেখ করেন, সবাই দেখুক যে সেগুলি মানুষের মন-মানসিকতাকে কতোটা অধঃপতিত করে।
পাকিস্তান আমলে বাঙ্গালীরা অশ্লীল উর্দু ছবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সুস্থ চলচ্চিতর নির্মাণের জন্য এফডিসি সৃষ্টি করেছিলো।
ইউরোপ এ্যামেরিকায় কতো অশ্লীল ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেটা জানেন?List of banned films
List of films banned in the United States
আমি নিজে ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ডি এ্যান্টেনা নিষিদ্ধ করার এবং মদ-মাদক-জুয়ার মতো ক্ষতিকর কার্য়কলাপ বন্ধের দাবী করছি, এখন আমিও মৌলবাদী?
তারপরও যুক্তি দিয়ে যেকোনো কিছুর সমালোচনা করা যায়। কিন্ত আপনি তো মিথ্যাচার আর একচোখা কুৎসা করেছেন।
আপনার মগজে সানি আর মালাইকার দিপিকা-কারিনার অর্ধনগ্ন আইটেম নাচ-গান ছাড়া আর কিছু নাই।
নিজের চিকিৎসা করেন।
ব্যভিচার, সিল্কের কাপড় পরিধান, মদ্যপান ও
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
মিশু মিলন বলেছেন: গান-বাজনা, শিল্প-সাহিত্যকে যারা খারাপ ভাবে তারা অপ্রকৃতস্থ। আপনিও তাই। আপনার মানসিক সুস্থতা কামনা করি।
১১| ২২ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:০৬
এভো বলেছেন:
@ ঈশ্বরকণা কমেন্ট ৮ --- ইসলামিক দলিল বলছে কাব বিন আশরাফকে শুধু কবিতা লিখার জন্য হত্যা করা হয়েছিল । বিস্তারিত রেফারেন্স দেওয়া আছে নতুন নকিবে পোস্ট -- কবি কা‘ব বিন আশরাফ হত্যার ঘটনা প্রথমে নাড়া দিয়েছিল আমাকেও! কিন্তু ........ (قَتْلُ كَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ):
আমার কমেন্ট নং -- ৮, ৯ , ১০,১৩ (যেটার স্কীন শট দেওয়া হোল ) ,১৮,১৯, ২১, ২৬ ( নতুন নকিবের রেফারেন্স থেকে আলোচনা ), ২৭
Link of Natun Nakib's posting
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ। এদের বোঝাতে যাওয়া অর্থহীন।
১২| ২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে অনুরোধ করবো এরকম তথ্য আমাদের আরো দিন। তিতা হলে সত্য, সত্য'ই থাকবে। কারো চ্যাঁচামেচিতে সত্য মিথ্যা হয়ে যাবে না।
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। নিশ্চয় লিখবো, কারো খারাপ লাগবে বলে তো আর ইতিহাস পাল্টাতে পারি না।
১৩| ২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:০৬
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ইসলামপূর্ব যুগে আরবের কবিতা ছিল মূলত বীরদের বন্ধনা, রাজার স্তুতিপাঠ, সুদর্শন নায়কোচিত চেহারার গুণগান। মাটি ও মানুষের সাথে ওই সময়ের কবিদের কবিতার বিশেষ যোগসূত্র ছিল না। যা ছিল তা শুধুমাত্র জাহেলিয়াতের জয়গান।
আর কোন কোন নবীকে নিয়ে যেন কার্টুন প্রকাশ হয় নিয়মিত?
সে-যাবে কারণ শরীফ সুদর্শন মানুষই কেবল
উচ্চ সুনামের কদর রাখতে জানে
কুরুচিপূর্ণ কবিতা দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবকে হেয় করা আপনিও সাপোর্ট করেন?
মোহাম্মদ (সাঃ) উনার কর্ম ও জীবন দিয়েই তো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হয়েছেন। নাকি এটা মিথ্যা?
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
মিশু মিলন বলেছেন: ইসলাম পূর্ব যুগের কবিতা আমি পড়েছি। যথেষ্ট ভালো মানের কবিতা সেখানে আছে। সমাজে ভালো-মন্দ দুই থাক পারে, যার যেটা ভালো লাগবে সে সেটা গ্রহণ করবে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব!! অজস্র মানুষের হত্যাকারী মহামানব!!! হা হা হা!!! পৃথিবীর বিখ্যাত পণ্ডিত-মনীষীদের জীবন সম্পর্কে অজ্ঞ হলেই কেবল এমন কথা বলা যায়।
১৪| ২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি কমেন্ট গুলো পড়তে এসেছি, মুল প্রবন্ধ খানাও পড়ছি, আসলে জ্ঞ্যান শুন্য বিষয়ে কিছু কমেন্ট করা অসম্ভব তাই বিরত থাকাই শ্রেয় মনে করছি।
২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব!! অজস্র মানুষের হত্যাকারী মহামানব!!!
আপনি একজন শ্তভাগ বিকৃত রূচির মানুষ। এই ধরণের মন্তব্য যাকে নিয়ে করেছেন তাকে মুসলিম লেখক নন, একজন খ্রীষ্টান লেখক সারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনিষী বলে ঘোষনা দিয়ে বই প্রকাশ করেছেন। পড়ে আসুন এটাঃ মাইকেল এইচ. হার্ট-এর সেরা ১০০
আন্দাজে কারো নামে কিছু লিখবেন না। নিচে পড়ুন আপনি কার নামে নোংরা মন্তব্য করেছেনঃ
মহানবী (সা.)-এর আদর্শ সম্পর্কে অমুসলিম পণ্ডিতদের কিছু মূল্যায়ন—
১) Michael H. Hart তাঁর লিখিত বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ The 100 : A Ranking of the Most Influential Persons In History-তে লিখেছেন, ‘মুহাম্মদ (সা.)-কে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দেওয়াটা অনেক পাঠককে আশ্চর্যান্বিত করতে পারে এবং অন্যদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে, কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সেক্যুলার এবং ধর্মীয় উভয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ সফল ছিলেন। সম্ভবত ইসলামের ওপর মুহাম্মদের তুলনামূলক প্রভাব খ্রিস্টান ধর্মের ওপর যিশু ও সেইন্ট পলের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়েও বেশি। আমি মনে করি, ধর্মীয় ও সেক্যুলার উভয় ক্ষেত্রে প্রভাবের এই বিরল সমন্বয় যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই মুহাম্মদকে মানবেতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত করেছে।’
২) আমেরিকার সর্বপ্রথম ‘ম্যান অব লেটার’ এবং ‘ফাদার অব আমেরিকান লিটারেচার’ নামে পরিচিত বিখ্যাত লেখক Washington Irving তাঁর ঐতিহাসিক গ্রন্থ Muhammad-এর ২০ পৃষ্ঠায় ঐতিহাসিক আবুল ফিদার সূত্রে লিখেছেন, “একজন মানুষের পরিপূর্ণ সৎ ও পুণ্যবান হতে যতগুলো গুণে গুণান্বিত হতে হয় মহান প্রভু তাঁর মাঝে এর সবকটি গুণের সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন। তিনি এতটাই বিশুদ্ধ ও নির্মল প্রকৃতির অধিকারী ছিলেন যে স্বাভাবিকভাবে তিনি সবার কাছে ‘আল-আমিন’ নামে পরিচিত ছিলেন। প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস যা বিচারের ক্ষেত্রে তাঁর মাঝে স্থিতি লাভ করেছিল আর তাঁর নম্রতা তাঁকে বরাবরই তর্ক-বিতর্ক সালিসির ক্ষেত্রে বিচারক ও মীমাংসাকারীর আসনে সমাসীন করেছিল।”
৩) মি. ইরভিং তাঁর আলোচ্য গ্রন্থের ১৯২ ও ১৯৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলি ছিল নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর ও অতিমানবীয়। তাঁর ছিল দ্রুত উপলব্ধি করার সক্ষমতা, তেজস্বী স্মৃতিশক্তি, এক জীবন্ত ও প্রাণবন্ত কল্পনাশক্তি আর সৃজনশীল জেনিয়াস...।’ এরপর ১৯৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘সামরিক বিজয়গুলো কখনোই তাঁর মনে কোনো গর্ব কিংবা দম্ভের জন্ম দেয়নি। তিনি বাস্তবে নিজের স্বার্থে এ অভিযানগুলো করতেন না। চরম দুঃখ আর দারিদ্র্যের মাঝে তাঁর চরিত্রে যেমন সারল্যের প্রলেপ স্পষ্ট অনুভূত হতো, তেমনি যখন তিনি বিজয়ের সিঁড়ির সর্বোচ্চ সোপানে দাঁড়িয়েছিলেন; তখনো তাঁর চরিত্র ছিল এক ও অভিন্ন...।’
৩) বহু গ্রন্থের প্রণেতা Mr James A. michener ‘দ্য রিডার্স ডাইজেস্ট’ পত্রিকার জুন ১৯৫৫ সংখ্যার ৭৯ পৃষ্ঠায় Islam the misunderstood Religion নামক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘ইসলাম যেভাবে অতি দ্রুতগতিতে গোটা বিশ্বে বিস্তৃতি লাভ করেছিল, সেভাবে অন্য কোনো ধর্ম বিস্তৃতি লাভ করতে পারেনি। মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবদ্দশায়ই ইসলাম আরবের একটি বৃহত্তম অংশে কর্তৃত্ব লাভ করেছিল। পরবর্তী সময়ে অতি দ্রুতই তা সিরিয়া, ফিলিস্তিন, মিসর, আধুনিক রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ভূখণ্ডগুলোসহ উত্তর আফ্রিকার মধ্য দিয়ে স্পেনের প্রাচীর পর্যন্ত বিজয়াভিযান চালিয়েছিল। এর সবই সম্ভব হয়েছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর সর্বোত্তম স্বভাব ও অতিমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে।’
৪) আধুনিক ভারতের জনক Mahatma Gandhi বলেন, ‘আমি জীবনগুলোর মধ্যে সেরা একজনের জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম, যিনি আজ কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান নিয়ে আছেন। যেকোনো সময়ের চেয়ে আমি বেশি নিশ্চিত যে ইসলাম তরবারির মাধ্যমে সেই সব দিনগুলোতে মানুষের জীবনধারণ পদ্ধতিতে স্থান করে নেয়নি। ইসলামের প্রসারের কারণ হিসেবে কাজ করেছে নবীর দৃঢ় সরলতা, নিজেকে মূল্যহীন প্রতিভাত করা, ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক ভাবনা, বন্ধু ও অনুসারীদের জন্য নিজেকে চরমভাবে উৎসর্গ করা, তাঁর অটল সাহস। এ সবই মুসলমানদের সকল বাধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’
এদের কারো পায়ের এক কনা ধূলির সমান যোগ্যতাও আপনার নেই। আর এরা কেউই আপনার মতো নির্বোধ ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন না। এবং এরা কেউ মুসলিম না।
কাক যতই ময়ূরের পেখম গায়ে লাগাক, সে কাকই থেকে যায়।
আপনার উদ্দেশ্য কী সেটা সবাই জানে।
২২ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মিশু মিলন বলেছেন: এইসব ফালতু তথ্য তুলে ধরা ছাড়া নবীর অপকর্ম ঢাকতে আপনাদের আর কী-বা করার আছে! বেচারা!
১৬| ২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি যাকে নিয়ে এইসব ননসেন্স পোস্ট দেন, তাকে নিয়ে খোদ আমেরিকাতেই কী বলা হয় দেখুন?
নভেল করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে যুক্তরাষ্ট্রে বিলবোর্ডে ব্যবহার করা হয়েছে ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী। বিলবোর্ডটিতে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি বাণী লেখা রয়েছে। তার হাদিসের বরাত দিয়ে সেখানে বলা হয়েছে, ‘সংক্রামক রোগের সময় তোমরা বারবার হাত ধোও, সংক্রমিত এলাকায় প্রবেশ করো না এবং সংক্রামিত এলাকা থেকে বাইরে যেও না।’ যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে টাঙানো এই বিলবোর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। গেইনপিস নামে একটি অলাভজনক সংস্থা শিকাগোর ওহারে বিমানবন্দরের অদূরে এই বিলবোর্ডটি স্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ভিত্তিক ইসলামি সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে, সাধারণ মার্কিন জনগণের মধ্যে সঠিক ইসলামি জ্ঞান বিতরণ করা। এ ছাড়া দেশটিতে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম ভীতি দূর করা- যাতে ইসলামি মূল্যবোধ সম্পর্কে তারা যথাযথভাবে জানতে পারে।
সূত্র : রিপাবলিকা অনলাইন।
১৭| ২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: @নীল আকাশ নবী মুহম্মদ যে বলেছিল ছোঁয়াচে বলে কোনো রোগ নেই সেটা কি আমেরিকা বিলবোর্ডে লাগিয়ে প্রচার করেছে? করলে তার একটা পিকচার দিন।
১৮| ২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে বিভিন্ন যুগে অনেক মানুষই ঘৃণা করেছেন। তাঁকে ঘৃণা করা বা অসম্মান করার বিষয়টি নতুন নয়। এটা যুগে যুগে হয়ে এসেছে। তবে এই পৃথিবীর একটা বড় অংশ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে তাঁকে সম্মান দিয়েছেন, ভালো বেসেছেন। ইতিহাস, ধর্ম অধিকাংশ জায়গায় তাঁর সম্পর্কে সঠিক ধারনাই প্রকাশিত হয়েছে। তবে অনেক সময়ে বিভিন্ন বিধর্মী ও ইসলামের বিপক্ষে ষড়যন্ত্রকারীরা নবী মোহাম্মদ সাঃ এর বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যে কাহিনী বর্ণনা করেছেন, ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এবং তা মিথ্যে হিসাবে প্রমানিতও হয়েছে।
যেখানে ১৪০০ বছর আগে বহু যাচাই বাছাই করা হাদীস নিয়ে মানুষ এখন প্রশ্ন তোলে, সেখানে গোলাপ মাহমুদের বই! ভদ্রলোক তো শিক্ষিত তাই না? তিনি কোরানের বিভিন্ন আয়াতের আক্ষরিক অর্থ বের করার চেষ্টা করেছেন। এত শিক্ষিত মানুষ ম্যাটাফোর বলে কিছু আছে সেটা তিনি জানেন না। যেখানে কোরানের অনেক বানীই রূপক হিসাবে নাজিল হয়েছে।
মুক্ত চিন্তা মানে কোন বিষয়ে পুর্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে অটল হওয়া নয়। মুক্ত চিন্তা মানে হচ্ছে নতুন কে স্বাগত জানানো, যৌক্তিক বিষয় মেনে নেয়ার ইচ্ছা। আপনারা আর ধর্মান্ধ দুটো শ্রেনীই এক। ঘৃণার চাষাবাদে সভ্যতার অগ্রযাত্রার স্বপ্ন দেখছেন। এটা মত প্রকাশের স্বাধীন মাধ্যম, এখানে সবাই সব বিষয়ে মত দিবে। কেউ ভালো বলবে, কেউ খারাপ বলবে এটাই স্বাভাবিক।
কিছু মনে করবেন না মিশু ভাই, আপনি শুধু শুধু কোরানের রেফারেন্স টানলেন। আপনি নিজে কখনও কোরান পড়ে দেখেছেন? আপনার পুরো পোস্ট হচ্ছে কুফর এ কিতাব বা ধর্মকারীর গোলাপ মাহমুদ থেকে অনুপ্রাণিত। ঐ এক বই পড়েই আপনি নবী মোহাম্মদ সাঃ কে এত গালি টালি দিচ্ছেন।
এতে যদি আপনি মনে তৃপ্তি পান, আনন্দিত হন, মানবজাতির জন্য বিশাল কিছু করে ফেলেছেন,তাহলে চালিয়ে যান। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিক। শক্তি দিক। আমি দোয়া করি, আপনি খোলা মনে আরো পড়াশোনা করেন। ধর্মকারী সাইটে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করে যুক্তি তর্ক দিতে আইসেন না।
আমরা আমাদের নবীকে ভালোবাসি। তাঁর প্রতি আমাদের সালাম ও দুরুদ আজীবন অব্যহত থাকবে। এটাই হচ্ছে আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ। এটাই প্রকৃত ইসলামের চর্চা। যারা ধর্মের নামে ও ধর্মে বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায় তারা ধ্বংস হোক - আমরা এই প্রার্থনাই করি।
২২ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০
মিশু মিলন বলেছেন: আপনার নবীও মৃত্যুশয্যায় ইহুদী আর খ্রিষ্টানদের ধ্বংস কামনা করেছিল। অথচ ইহুদী-খ্রিষ্টানরা প্যালেস্টাইন ধ্বংস করছে!!
১৯| ২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নদর বিন আল হারিস এবং ওকবা বিন আবু মোওয়াইতকে বদর যুদ্ধের বন্দি হিসাবে হত্যা করা হয়। তারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল বলেই বন্দি হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীর ক্ষেত্রে তিনটা বিকল্প। দাসত্ব, মুক্তি পণ দিয়ে মুক্তি অথবা হত্যা। বিজয়ি পক্ষের সমর নায়ক যার জন্য যেটা ন্যায্য মনে করবেন সেটা করতে পারবেন। তৎকালীন আরবের এটাই যুদ্ধের নিয়ম ছিল। কাফেররাও এই নিয়ম মানতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের দলের অনেককে এভাবে হত্যা করা হয়েছিল বিচারের মাধ্যমে। কাব বিন আশরাফকে হত্যা করা হয়েছিল রাষ্ট্রদোহীতা (রাষ্ট্রর বিরুদ্ধে চক্রান্ত) ও মুসলমান নারীদের নিয়ে কবিতার কারণে। উনি ওনার দলের পক্ষে মদিনা সনদের অন্যতম সাক্ষরদাতা ছিলেন। চুক্তি ভঙ্গ করে মক্কাবাসিকে মদিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের উস্কানি দেন যা স্পষ্টত রাষ্ট্রদোহীতা। তাই এতো সমবেদনার কিছু নাই।
বাকিগুলিরও নিশ্চয়ই কারণ ছিল। না জেনে বলতে পারছি না।
২২ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মিশু মিলন বলেছেন: রাষ্ট্রদ্রোহিতা? হা হা হা। নবী ছিল মদিনার রোহিঙ্গা। একজন রোহিঙ্গাকে কি বাংলাদেশের মানুষ শাসক হিসেবে মেনে নেবে? নেবে না। নবী এক সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছিল মদিনাতে, সে তো কোনো বৈধ শাসক ছিল না। তার কোনো বৈধ রোজগারও ছিল না। সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে সে জীবনযাপন করতো।
আবু সুফিয়ানের কাফেলা লুণ্ঠনে ব্যর্থ হয়েই মক্কা থেকে সুফিয়ানকে এগিয়ে নিতে আসা কোরাইশদের ওপর হামলা বদরে চালিয়েছিল নির্মভাবে। অথচ আমরা ভুল ইতিহাসে মজে আছি। নদর এবং ওকবা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার।
২০| ২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নূর আলম হিরণ ভাই, ধরেন আমরা তো অনেকেই হাদিস নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলি। আমরা ভাবি অনেক হাদিস নিয়ে ঝামেলা আছে। সেই হিসাবে যদি এই হাদিসে আমাদের অজান্তে ঝামেলা থাকে তাহলে কি হবে?
২১| ২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালোবাসা, আপনার উলুবনে মুক্তা ছড়াচ্ছেন, সময়ও নষ্ট করছেন। এদের উদ্দেশ্য অন্তত নিরপেক্ষ সমালোচনাও না, কারণ উদাহরণস্বরূপ, কাব বিন আশরাফের ঘটনা একেবারে সুস্পষ্ট। কাবের হত্যার ঘটনা ঘটছে বদর যুদ্ধের পর, কাব চুক্তি ভঙ্গ ও বিশ্বাসঘাতকতা করে যুদ্ধাবস্থায় মক্কায় গমনের পর, সেখানে ষড়যন্ত্র ও উস্কানির পর। সুতরাং এখানে অন্ধবিশ্বাসী কে স্পষ্ট। আর নোংরা সাম্প্রদায়িক ধর্মকারী সাইটের কথা আমরা সবাই জানি।
২২| ২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: বিখ্যাত পণ্ডিত মনীষীরা মনে হয় আপনার মত ছিল। আপনার বিদ্যার দৌড় অনেক তা জানা হল!
২৩| ২২ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: আপনি যে আপাদমস্তক একটা আহাম্মক, সেটা কমেন্টের উত্তর গুলো দেখলে বোঝা যায়. নাস্তিকতাকে গ্রহন করেছেন কিনা জানি না, নাস্তিক হলে যুক্তি দিয়ে সব কমেন্ট খন্ডানোর চেষ্টা করুন. আহাম্মকের মত উত্তর দিয়ে নাস্তিকতাকেই অসম্মান করছেন. আরেকটি ব্যপার, কোন ধর্মকে অসম্মান করে নাস্তিক হওয়া যায় না.
২২ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৫
মিশু মিলন বলেছেন: প্রত্যেকের মন্তব্যের জবাব বিশদে দেওয়া সম্ভব? আপনার মতো গর্দভদের পিছনে আমি এতো সময় ব্যায় করি না। পুরো ইতিহাস তুলে ধরলেও গাধা কখনো মানুষ হবে না। এমনিতেই লিখতে গেলে অনেক লেখাপড়া করতে হয়, সময় ব্যয় হয়। সময় কোথায় সময় নষ্ট করবার!
২৪| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: গান-বাজনা, শিল্প-সাহিত্যকে যারা খারাপ ভাবে তারা অপ্রকৃতস্থ- আমি নিজে লেখক , মঞ্চ নাটক সংশ্লিষ্ট এবং চলচ্চিত্র বিষয়ে ডিগ্রিধারী। আপনার কাছে গান-বাজনা, শিল্প-সাহিত্য মানেই হলো নোংরামী।
সুস্থ গান-বাজনা, শিল্প-সাহিত্য কি সেটা আপনি জানেন না।
২২ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২৬
মিশু মিলন বলেছেন: আমি প্রথম সারির একটা থিয়েটারের কর্মী, মঞ্চে আমার নাটকও নেমেছে। লেখক, চলচ্চিত্রের কাহিনীকার। আমি বেশ ভালো করেই জানি যে বাংলাদেশের অধিকাংশ সাংস্কৃতিক কর্মী কতোটা ধর্মান্ধ এবং মৌলবাদী। এরা খ্যামটাও নাচে আবার ঘোমটাও দেয়। রোজার মাসে নাট্যদলগুলোতে ঘটা করে ইফতারের আয়োজন করা হয়। অথচ ইসলামে গান-বাজনা হারাম। নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি আপনি তেমন একজন।
২৫| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি কি জানেন আপনার এধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য উস্কাসীমূলক লেখা আইন অনুযায়ী দন্ডবিধির ২৯৫ক ধারায় অপরাধ?
আমি নিজেও ধার্মিক না এসব অসভ্যতার উদ্দেশ্য বিশৃঙখলা সৃষ্টি ছাড়া আর কি হতে পরে?
এখানে সবাই কম জানে আর একমাত্র আপনি বিরাট সক্রেটিস !!!! ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ
২২ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪৫
মিশু মিলন বলেছেন: আমাকে নিয়ে আপনার দুঃশ্চিন্তা করতে হবে না।
অধিকাংশই কম জানে এটা ঠিক, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের লেখাপড়ার স্তর খুব নিচের দিকে। কিন্তু কেউ কেউ আছে জানে, এদের কেউ ভয়ে মুখ খোলে না। আর কেউ জ্ঞানপাপী, জেনেও অন্ধকারের পক্ষাবলম্বন করে। পরকালের ভয় পায়।
২৬| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১০:২১
গোধুলী বেলা বলেছেন: হত্যার ইতিহাস দ্বারা কি বোঝাতে চাইছেন? এই ইতিহাস মুসলমানদের গ্রন্থেই আছে।কোন মুসলমান তা অস্বীকার করেনি।কিন্তু যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের সকলের শাস্তি হত্যার যোগ্য।কারো প্রতি কোন অবিচার করা হয়নি।আপনি যা মানবতা বলি বিরোধী বলেন তা আমি বলিনা।ইসলাম মানবতার জন্য যা বলেছে ও করেছে আজ পর্যন্ত কোন ধর্ম বা কোন নাস্তিক সেটা করতে পারেনি।
ইসলাম একটা পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান আর আমাদের নবী যা করেছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক।
আপনি ইতিহাস তুলে ধরেছেন খুবই ভালো। নবী সাঃ ইসলাম প্রচারে কি পরিমাণ কষ্ট,যন্ত্রণা ভোগ করেছে সেই ইতিহাস টুকুও লিখবে আশা করি।
২৭| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সব কথা বলতে নেই।
২২ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৯
মিশু মিলন বলেছেন: কিছু কথা বলতে না পারলে খুব অপরাধবোধ হয়, তাই বলি।
২৮| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @ ঈশ্বরকণাঃ আপনার প্রতিক্রিয়াটি খুব হাস্যকর এবং কিছুটা ছেলেমানুষী সম্পন্ন। ইতিপূর্বেও আপনাকে এই ধরনের গায়ে পড়ে পরামর্শ দিতে দেখেছি। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি এই ধরনের আচরনের সাথে সুপরিচিত। আমি এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে চাই না। আশা করি, বুদ্ধিমানদের জন ইশারায় কাফি।
সামহোয়্যারইন ব্লগ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে নানা মতের মানুষ লিখবে। এখানে তর্ক বিতর্ক হবে। ব্লগার মিশু যে বিষয়ে লিখেছেন, সেই বিষয়ে অন্য ব্লগাররাও লিখবেন। ব্লগাররা চেষ্টা করবেন এই বিষয়ে সঠিক তথ্য লিখে প্রতিবাদ করতে। কারো মত প্রকাশ বন্ধ করে দেয়াটা চুড়ান্ত ফ্যাসিজম।
আমি আমাদের ব্লগারদের ধন্যবাদ জানাই। কারন যারা অসৎ উদ্দেশ্যে যাচাই বাছাই ছাড়া শুধু মাত্র ধর্মকে অবিশ্বাস বা ইসলাম ফোবিক হবার কারনে সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিলায় তারা সবচেয়ে ভয়াবহ হওয়া স্বত্তেও আমাদের ব্লগাররা যে যার অবস্থান থেকে মন্তব্য করে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। কেউ কেউ এই বিষয়ে যৌক্তিক মন্তব্য দিয়েছেন, আপনাকে দেখলাম আপনি অনেক ভালো রেফারেন্স জানেন। আলোচিত ব্লগার এই সব রেফারেন্স মানবেন না ধর্মকারী সাইটের কথিত অর্ধ সত্য আর মিথ্যার উদ্দেশ্য প্রণোদিত রেফারেন্স মানবেন এটা তার কমনসেন্স আর পড়াশোনার উপর ছেড়ে দিন।
সম্ভব হলে আপনি এই ব্যাপারে সঠিক রেফারেন্স সহ পোষ্ট দিন। আমরা জানতে চাই, শিখতে চাই। বিশেষ করে আমাদের নবী মোহাম্মদ সাঃ কে অবমাননার বিষয়ে আপনাদের মত স্কলারদের উচিত সামনে এগিয়ে আসা।
দিন শেষে আমরা চাই সুস্থ আলোচনা। একটি অন্যায়কে প্রতিরোধ করার জন্য সবচেয়ে সেরা উপায় তাঁর বিপক্ষে যৌক্তিক বিতর্ক। আপনি যদি কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বন্ধ করে দিতে চান, দুঃখিত, এই ফিলসোসফিতে আমরা বিশ্বাস করি না।
আর ব্লগ বন্ধে কার দোষ, কে দোষী এটা নিয়ে যেমন বিতর্ক আছে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেকেই সামনে দিয়ে মায়া কান্না করে, পেছনে গিয়ে নিজের আদর্শের সাথে মিলে না দেখে ব্লগ বন্ধ করার জন্য জায়গা মত লিংক পাঠায়, সুপারিশ করে। হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে এরা নিজেরা অন্যের মত প্রকাশকে বন্ধ করে নিজেরাই আবার মত প্রকাশের স্বাধীণতা নিয়ে সবচেয়ে দীর্ঘ মন্তব্য করে।
আমি আবারও বলছি কোন অন্যায় মতকে আপনি ব্যান করে বন্ধ করা মানে ঐ মতকে আপনি ভয় পাচ্ছেন, আপনি ঐ মতকে ঘৃণা করছেন। কোন মতকে মিথ্যা প্রমান করাই হচ্ছে সেই মতকে বন্ধ করার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উপায়।
২৯| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৩
নতুন বলেছেন: রাসুল সা: কি কবিতা অপছন্দ করতেন? না কি ছন্দে সমস্যার কারনে তাদের হত্যা করতে নিদের্শ দিতেন?
যদি রাসুল সা: সাহিত্য অপছন্দ বা হারাম বা অন্য কিছুর কারনে কবিদের হত্যা করতেন তবে সেটা অবশ্যই খারাপ।
কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন? বা ষড়যন্ত্র করেছিলেন বা অন্য কোন চুক্তি ভঙ্গ করেছিলেন যেটা হত্যার মতন অপরাধ হিসেবে ততকালিন সময়ে বিবেচিত ছিলো তবে তাকে হত্যা করা কি অপরাধ ছিলো?
এখন যদি এই রকমের মানুষ যদি কবি হয় তবে কি তাকে হত্যা কি কবি হত্যা ???
বাংলাদেশে অনেক মানুষকেই আদালত ফাসির সাজা দেয় রাস্টদ্রহের কারনে ও আদালত ফাসি দিতে পারে এখন যদি এমন সাজা ওলা মানুুষ কবি হলে আপনি কি বলবেন যে কবিকে ফাসি দিওয়া হয়েছিল? বাংলাদেশীরা কবিদের ফাসি দিয়েছিলো?
আপনি কবি হত্যার কথা তখনই বলতে পারবেন যখন রাসুল সা: কবিতা লেখার জন্যই কাউকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কারন তার ছন্দ পছন্দ হয়নাই অথবা লাইন উল্টাপাল্টা হয়েছিলো।
২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৪
মিশু মিলন বলেছেন: ১২০ বছর বয়সের কবি আফাকের শক্তি ছিল না মুহাম্মদের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করবার। আসমা ছিলেন একজন নারী। তারা কেবল কবিতা লিখে মুহাম্মদের মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন।
৩০| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৫৪
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: আপনি রেফারেন্স হিসাবে গোলাম মাহমুদের যে বইটির কথা লিখেছেন, তা সম্পূর্ণই ধর্মকে উপহাস করে লেখা। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটের নামের অর্থ দাঁড়ায় 'ধর্মউপহাস'. বইটিতে চোখ বুলিয়ে নিলাম এবং আপনার অধিকাংশ পয়েন্টই সেই বই থেকে নেয়া। একজন মুক্ত চিন্তার লেখক যে কোনো ধর্ম সম্বন্ধে কি লিখতে পারেন, বইটি দেখেই বুঝে গেছি। বইটির কয়েকটি লাইন পড়ে আমি নিজেও হেসেছি। এরা কিভাবে মুক্তচিন্তার মানুষ হয়! আপনাদের মতো স্থুল মস্তিষ্কের মানুষের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া আর নিজেকে কুয়ায় নিক্ষেপ করা একই কথা।
২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৮
মিশু মিলন বলেছেন: গোলাম মাহমুদ নয়, গোলাপ মাহমুদ। গোলাপ মাহমুদ ইসলামের আদি উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আপনি তার লেখা যদি বিশ্বাস নাও করেন, প্রথমা প্রকাশন প্রকাশিত ইবনে ইসহাকের লেখা মুহাম্মদের প্রথম জীবনী ‘রিসাতে রাসুলুল্লাহ’ পড়ুন। হুবহু একই তথ্য জানতে পারবেন। অথবা হাদিসগুলি পড়ুন।
৩১| ২৩ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৫
ঈশ্বরকণা বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,
এই লেখায় আর কোনো মন্তব্য করার কোনো অর্থ নেই সেটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমার মন্তব্যের পোনে চার লাইনের উত্তরে আপনার সাত প্যারাগ্রাফের (কম বেশি) একুশ লাইনের দীর্ঘ উত্তরে ও তার ঝাঝালো টোনে যারপর নাই বিস্মিত হয়েছি বলতেই হবে ! । হতে পারে কয়েক মাস আগেই ব্লগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ঝঞ্ঝার কাৰণেই খানিকটা অতি সতর্ক মন্তব্য ছিল সেটা কিন্তু তা নিয়ে আপনার কথায় কিছুটা কটাক্ষের সুরে খানিকটা দুঃখিত হয়েছি সেটা স্বীকার করছি । ব্লগের কোনো ব্যাপারেই আগে বেড়ে কিছু বলার ইচ্ছে বা অভ্যেস ভয়েস আমার কখনোই নেই । কিন্তু ঘর পড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেও ভয় পায় । তেমনি মনে হয় গত বছর ব্লগের সমস্যা হবার পর থেকেই অতি সাবধানী হবার একটা তাগিদ এসেছে নিজের মধ্যে। সে থেকেই কিছু ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ লেখা সম্পর্কে আপনাকে জানবার চেষ্টা ।যাক এখন যখন জানি ব্যাপারটা আপনার না পছন্দ তখন থেকে আমিও সেই চেষ্টা বাদ দিলাম ।কোনো সমস্যা নেই নিশ্চিন্তে থাকুন। কিন্তু তবুও আপনার মন্তব্য আর এই পোস্ট নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার মনে হলো।
সামু একটা কমিউনিটি ব্লগ আর এখানে সবাই লিখবেন সেটাতো বুঝলাম কিন্তু যা ইচ্ছে তাই কি লিখবে ? আপনি বলেছেন, আমি আবারও বলছি কোন অন্যায় মতকে আপনি ব্যান করে বন্ধ করা মানে ঐ মতকে আপনি ভয় পাচ্ছেন, আপনি ঐ মতকে ঘৃণা করছেন। কোন মতকে মিথ্যা প্রমান করাই হচ্ছে সেই মতকে বন্ধ করার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উপায়। এই পোস্ট নিয়েতো আমার ভয় পাবার কোনো ব্যাপার নেই । থাকবেই বা কেন ? আমি এই পোস্টের যে বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করেছি সেটাতো কোনো অমীমাংসিত ব্যাপার না । খুবই মীমাংসিত একটা বিষয় ।মীমাংসিত বিষয় নিয়েও যৌক্তিক আলোচনা হতেই পারে । কিন্তু আপনার কি মনে হয় এই পোস্টে ইসলামের আলোচিত বিষয় নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা হয়েছে ? পোস্টদাতা বিশিষ্ট নাট্যকুশিলব মিশু মিলন কি বিষয় সম্পর্কে নৈব্যক্তিক থাকতে পেরেছেন নাকি এই পোস্ট ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক ও প্রশ্ন সাপেক্ষ ভাষা ব্যবহারে একটা চরম আপত্তিকর পোস্ট হয়েছে ? কা'ব ইবনে আল আশরাফের হত্যাকান্ড একটা প্রকাশ্য ঘটনা আর সেটা নিয়ে মুসলিম আর নন মুসলিম স্কলারদের বিস্তারিত গ্রহণযোগ্য আলোচনা আছেই। এ’রকম একটা ঐতিহাসিক বিষয় নিয়েতো আমার বা আপনার নিজস্ব মতামত দেবার কিছু নেই কোনো নতুন গবেষণা ছাড়া। এখন যদি বলেন গোলাপ মাহমুদের বইয়ের ভিত্তিতে সেই গবেষণা হতে পারে তাহলে সেটা অন্য কথা । ধর্ম নিয়ে (বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে) বিদ্বেষ মূলক লেখা ব্লগে পাবলিশ করা কি মুক্ত চিন্তা চর্চার বিষয় হিসেবে ভাবতে হবে ? এখানেই মডারেটর হিসেবে আপনার খানিকটা ভূমিকা নেওয়া দরকার বলে আমার মনে হয়। প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব ইতিহাস নিয়ে লিখতে গেলে লেখাটাতো একটু ভারসাম্যপূর্ণ অথবা বস্তুনিষ্ঠ হওয়া দরকার না কি সেটা না হলেও ব্লগে চলবে? বিশিষ্ট নাট্যকুশীলব মিশু মিলন তার এই পোস্টে ৱলেছেন "তথাকথিত নবুয়তির পর মুহাম্মদ নিজেকে আল্লাহ প্রেরিত নবী দাবী করে মক্কার পৌত্তলিক কোরাইশদেরকে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে তার নতুন ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করতে বলেন-----" এই লাইনটাকে বা অন্তত "তথাকথিত নবুয়তির " কথাটাকে কি চরম অফেন্সিভ বলা যাবে ? আপনার কি মনে হয় এই ধরণের ভাষা ব্লগের সুষ্ঠু আলোচনার জন্য সহায়ক বা ব্লগের অস্তিত্বের জন্য নিরাপদ কোনো ভাষা ? আমি সেটাই মডারেটর হিসেবে শুধু আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলেছিলাম । আর কিছু নয় |
যে বিষয়টা নিয়ে এই পোস্টটা তার ইতিহাসগুলোতো অজানা বা লুকোনো কোনো বিষয় না । এগুলো নিয়ে অনেক দীর্ঘ আলোচনা আছে ইসলামিক ও নন ইসলামিক বিশেষ করে ইহুদি স্কলারদের। সে সব বাদ দিয়ে এমন একটা বিষয়ে যদি গোলাপ মাহমুদ নামের কারো বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে লিখতে হয় (যার বইয়ের ব্যাপারে আপনার মন্তব্যেও কোনো পজিটিভ কিছু পেলাম না!)তাহলে আপনি কি সেই আলোচনার শুরুকে বস্তুনিষ্ঠ বলবেন ? এই রকম প্রশ্ন সাপেক্ষ সোর্সের ভিতিত্তে লেখা কোনো পোস্টের বিষয়ে কি বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হবার সুযোগ থাকে আর ওপর লেখক যদি এইরকম একচোখা দৃষ্টি নিয়ে আক্রমণাত্মক ("তথাকথিত নবুয়তী" কথাটা আমার কাছে নোংরাও লেগেছে) ভাষা ব্যবহার করেন? পোস্ট লেখক কিন্তু লেখাতেই ইসলামের ব্যাপারে আক্রমণাত্মক তা না মন্তব্যের ক্ষেত্রেও । তাই শুধু গোলাপ মাহমুদের বইয়ের কারণেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেই যুক্তিতে কিন্তু তার ইসলাম বিদ্বেষ এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই ।একটা উদাহরণ দেই । ব্লগার সাড়ে চুহাত্তরের একটা মন্তব্যের উত্তরে উনি বলেছেন "রাষ্ট্রদ্রোহিতা? হা হা হা। নবী ছিল মদিনার রোহিঙ্গা। একজন রোহিঙ্গাকে কি বাংলাদেশের মানুষ শাসক হিসেবে মেনে নেবে? নেবে না। নবী এক সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছিল মদিনাতে, সে তো কোনো বৈধ শাসক ছিল না। তার কোনো বৈধ রোজগারও ছিল না। সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে সে জীবনযাপন করতো।" এই মন্তব্যটা কিন্তু খুবই আপত্তিজনক যে কোনো প্রগতিশীল আর সুশীল ভাষাতেও । কেন আপত্তিজনক ? সেটাও বলি ।এই মন্তব্যটা লেখার সময় আমার পাশেই খুবই নামকরা চারটে বই রয়েছে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে পাশ্চাত্যের তিনজন লেখকের। কারেন আর্মস্ট্রংয়ের "Muhammad - A Prophet of Our Time, Jonathan A C Brown -এর Misquoting Muhammad, Muhammad -A Very Short Introduction আর Michael Cook -এর Muhammad । শেষ দুটো বই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিশ করা। কারেন আর্মস্ট্রংয়ের বইটা বিখ্যাত প্রকাশনী হার্পার কলিন্সের থেকে পাবলিশড ।Misquoting Muhammad বইটা আমেরিকা ব্রিটেন আর অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত Oneworld প্রকাশনীর । নাম থেকেই নিশ্চই বুঝতে পারছেন বইগুলো রাসূলের (সাঃ)জীবন নিয়েই প্রধানত লেখা।সেখানে মক্কা মদিনা জীবন, ইসলামের প্রতিষ্ঠা, বিকাশ নিয়ে খুবই ভালো নৈব্যক্তিক আলোচনা আছে । বড় করেই আছে ।এই বইগুলো সবই খুবই নামকরা জার্নালিস্ট আর একাডেমিকদের লেখা আর হাইলি রেফার্ড (কোন বিখ্যাত নন মুসলিম এনটিটি এই বইগুলো পাশ্চাত্যের নন মুসলিমদের রেফার করে ইসলাম সম্পর্কে প্রতিনিধিত্বমূলক ধারণা পেতে জানতে ইচ্ছে হলে বলবেন।সেটাও জানানো যাবে)। বিশিষ্ট নাট্যকুশীলব ও পোস্ট লেখক মিশু মিলন যেভাবে আপত্তিজনক ভাষায় নবীর (সাঃ) মদিনা জীবন সম্পর্কে বললেন সেট কিন্তু এই লেখকদের কেউ বলেননি। এর মধ্যে Michael Cook কিন্তু খুবই রিভিশনিস্ট লেখক হিসেবেই পরিচিত ইসলাম বিষয়ে। কিন্তু তবুও ইসলামের বিকাশ নিয়ে লিখতে যেয়ে মাইকেল কুক এ'রকম আক্রমণাত্মক বা প্রশ্নসাপেক্ষ ভাষা ব্যবহার করেননি।
তাছাড়া পোস্ট লেখক ও বিশিষ্ট নাট্যকুশীলব মিশু মিলনের তীব্র ইসলাম বিদ্বেষ ছাড়াও আরেকটা জিনিস আমাকে বিমূঢ় করেছে এই মন্তব্যে সেটা হলো পোস্ট বিষয় নিয়ে তার জ্ঞানের অগভীরতা । উনি বলেছেন, "নবী ছিল মদিনার রোহিঙ্গা। --- নবী এক সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছিল মদিনাতে, সে তো কোনো বৈধ শাসক ছিল না।উনি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছিল মদিনার বৈধ শাসক ছিলেন না " । আমি ঠিক জানি না এই মন্তব্যে আপনার কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিন্তু এটা চরম নোংরা আর আপত্তিকর ভাষায় ইতিহাসের আড়াল করা এক মিথ্যা ভাষ্য । ইসলামিক আর নন ইসলামিক সব স্কলাররাই এব্যাপারে একমত যে মদিনার অধিবাসীদের আমন্ত্রণেই রাসূল (সাঃ) মদিনায় হিজরত করেছিলেন। মদিনার অল্প আরব জনগোষ্ঠীর সাথে সেখানকার ইহুদি জনগোষ্ঠীর একাংশও ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিল আর তারা রাসূলের (সাঃ) নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল। আর সেজন্যই মদিনার ইহুদি গোষ্ঠীগুলো রাসূলের সাথে মদিনা চুক্তি করেছিল।মদিনায় ইসলাম রাষ্ট্র হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাসূলের (সাঃ) নেতৃত্বে।আর মুসলমানরা সবাই একসাথেও মদিনায় হিজরত করেনি যে রাতারাতি তারা একটা শক্তি হয়ে সব জবর দখল করবে মদিনার ইহুদিদের । আর তাছাড়া জনসংখ্যার মাইগ্রেশন একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মানুষের সভ্যতার ইতিহাসে । এই যে আমাদের উপমহাদেশের বৈদিক সভ্যতা যা অজন্তা ইলোরার অসামান্য কারুকার্যের মতোই দীপ্তি নিয়ে একসময় সারা পৃথিবী উজ্জ্বল করেছিল সেটাও ইউরোপ/মধ্য এশিয়া থেকে এখানে এরিয়ান মাইগ্রেশনের ফসল । দ্রাবিড় সভ্যতা টিকে গেলে এ'রকম হতে আরো কত দিন লাগতো কে জানে ? আর্যদের কি ভারতীয় উপমহাদেশের নেতা হিসেবে মানতে ইতিহাসের কোনো অসুবিধে হয়েছে ? তারা নিজেদের যোগ্যতাতেই সেই নেতৃত্ব নিয়েছিল ।ইউরোপের এখনকার যে মানচিত্র সেটা সভ্যতার শুরুর দিকের জার্মানিক , স্লাভ, তুর্কসহ আরো কিছু জাতির মাইগ্রেশনের ফল । ষোড়শ শতাব্দী থেকে দুই হাজার সাল পর্যন্ত আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া আর ওশেনিয়ার ইতিহাস হলো প্রায় ৬০ মিলিয়ন ইউরোপিয়ানদের মাইগ্রেশনের ইতিহাস। সেখানকার সভ্যতার বিরাট অংশ এই মাইগ্রান্টদের দিয়েই তৈরী । ১৮২০ সাল থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত আমেরিকাতে ইউরোপিয়ান ইমিগ্রান্টের সংখ্যা প্রায় ৩৭ মিলিয়ন । তাদের নেতৃত্বেই কিন্তু আমেরিকার ইতিহাস গড়া । ইমিগ্রান্ট হলেই যে জোর জুলুম করে ক্ষমতা দখল করতে হবে, সন্ত্রাসী হতে হবে সেই ধারণা যে বিশিষ্ট নাট্যকুশিলব মিশু মিলন কোথায় পেলেন উনিই জানেন ! কিন্তু মদিনায় মুসলিমদের মাইগ্রেশন সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত ইতিহাসের বিপরীতে তার বক্তব্য অসত্যতো বটেই আর কিন্তু চরম আপত্তিজনকও । এটা নিয়ে মুক্ত বা সুস্থ্য আলোচনার আলোচনার কিছু আছে কি না আমি সত্যিই জানি না ।
একজন সন্ত্রাসী নেতা কখনো রোমান আর পারস্য সম্রাটকে চিঠি লিখতে পারে না বা তার সেটার দরকারও নেই । রাসূল (সাঃ) সেটা করেছিলেন মদিনার ইসলামিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান হিসেবেই। আরবরাও একটা ক্ষুদ্র সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে সন্ধি চুক্তি করতে পারে না যেটা কোরাইশরা রাসূলের (সাঃ) সাথে হোদায়বিয়াতে করেছিল । এ'মনকি কা'ব আল আশরাফের গোষ্ঠী বনু নাদিরের হাজার মানুষকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মদিনা থেকে যে বহিষ্কার করেছিলেন সেটা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কারণেই করতে পেরেছিলেন। এগুলোতো প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ! বনু নাদিরের তো মিত্র গোষ্ঠীও ছিল মদিনার অন্য ইহুদি গোষ্ঠী । একদল সন্ত্রাসী তাদের এক মিত্র গোষ্ঠীকে তাদের শত বছরের আবাসস্থল থেকে বহিস্কার করছে আর তারা সবাই মিলে তার প্রতিবাদ করতে পারে নি এটাতো বিশ্বাসযোগ্য কথা না । মনে রাখতে হবে যে মদিনা জীবনের শুরুতে বদর আর ওহুদ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মাত্র ৩১২ ও ৭৭০ জন সাহাবী নিয়ে শত্রু মোকাবেলা করেন (ওহুদ যুদ্ধের অল্প পরেই সম্ভবত বনু নাদিরকে মদিনা থেকে বহিস্কার করা হয়)। আবার মদিনা জীবন শুরুর দশ বছর পরের বিদায় হজে লক্ষ সাহাবীর উপস্থিতির কথা বলা হয় I তেমন মদিনা জীবনের প্রথম দিকে তাঁর আরো হাজার হাজার সাহাবী থাকলে তারাও সেই যুদ্ধগুলো করতো যেমন বিদায় হজে তারা রাসূলের সঙ্গী হয়েছিল তেমন। তাই (বদর বা ওহুদ যুদ্ধের সময়কালের মতো)এতো ক্ষুদ্র একটা সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকটা গোত্রের হাজার হাজার ইহুদি একজোট হয়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি সেটাতো একটা মিথ্যে ভাষ্য। এই ব্যাপারটাই পুরো লেখায় বিশিষ্ট নাট্যকুশীলব মিশু মিলন করেছেন জেনেশুনে বা ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে । এখন এ'রকম একটা সত্য বিবর্জিত বিদ্বেষমূলক লেখা সম্পর্কে আপনি যদি মুক্ত চিন্তার আলোকে সুস্থ আলোচনা করতে পরামর্শ দেন তাহলেতো মুশকিল !
যাহোক আমার আর কোন বক্তব্য নেই আপনার মন্তব্য বা এই পোস্ট সম্পর্কে। ব্লগ সমস্যায় পড়লে মানে এটা বন্ধ হলে আমার অর্থনৈতিক কোনো ঝামেলা হবে না।ব্লগে সমস্যা হলে অন্য ব্লগারদের যতটুকু সমস্যা হবে আমার ততটুকুই হবে।বেশি বা কম না। খারাপ লাগাটা কম বেশি হতে পারে কিন্তু তার বেশি কিছু হবে না।ব্লগের ব্যাপারে ভালোলাগার কারণেই আপনাকে লক্ষ্য করে মন্তব্যে বলেছিলাম।যাক,আপনি ব্যস্ত মানুষ আমার পোনে চার লাইনের মন্তব্য নিয়ে একুশ লাইনের দীর্ঘ মন্তব্য করার মতো অতো সময় দেবার কোনোই আসলে দরকার ছিল না।আপনি আপনার মতো করেই সিদ্ধান্ত নেবেন তাতে আমার সমস্যা নেই।তারপরেও আমার ছোট মন্তব্য নিয়ে এতো সুদীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ নেবেন।কুশলে থাকুন আপনারা দু'জনই।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো তথ্য দিয়েছেন ।