নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
পেশাগত কারণে এক সময় আমাকে মন্ত্রী, এমপি, বিরোধী দলীয় নেতা, ব্যবসায়ী, সচিব, পুলিশ কর্মকর্তা, সংস্কৃতিকর্মী ইত্যাদি সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের বাড়িতে যেতে হয়েছে। দু-তিনবারের ব্যতিক্রমের কথা বাদ দিলে আমি কখনো কারো সঙ্গে ছবি তুলিনি, তৈলমর্দনের তো প্রশ্নই আসে না। আমার বোনের মতে আমার বিষয়বুদ্ধি নেই, একজন লেখকের জন্য তা খুব জরুরীও নয়, এই বিষয়বুদ্ধি নেই বলে আমি কখনো কোনো মন্ত্রী বা সচিবের কাছে খ্যাপের কাজের জন্য আবদারও করিনি। কারণ আমার সময় নেই, লেখার ক্ষতি হবে।
ছবি তোলা এবং ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার একটা সামাজিক মূল্য আছে, আমার পরিচিত এক ছেলে ভিড়ভাট্টার মধ্যেও কোনো নেতার সঙ্গে ছবি তুললে সেই ছবি ফেসবুকে প্রচার করে এবং এলাকায় গেলে এমন গালগল্প ফাঁদে যেন সেইসব নেতার কতো কাছের মানুষ সে! এরপর এলাকার লোকজন তো চাকরি বা বদলীর জন্য তাকে ধরে, কিন্তু সে না পারে চাকরি দিতে, না পারে বদলী করে দিতে। কিন্তু অনেকেই তাকে প্রভাবশালী ভাবে, তার দিকে আগে চেয়ার এগিয়ে দেয়। ওই যে বললাম সামাজিক মূল্য, কোথাও না কোথাও ছবি তোলার পরিশ্রমের মূল্যটা পাওয়া যায়।
ব্যতিক্রমের কথা বলি, একবার ক্যামেরাম্যান বলে- ‘আসেন ভাই স্যারের সাথে ছবি তুলি।’ আমি পড়ি বিব্রতকর অবস্থায়, সিনিয়র নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীর সামনে বলে ফেলেছে, না দাঁড়ালে তিনি কী মনে করেন তাই সবার সাথে দাঁড়াই। এরকমই আরেকবার হয়েছিল আরেক মন্ত্রীর বাসায়। আমাদের অফিসেই একবার টিমের সবাই ছবি তুলেছিলাম সুলতানা কামাল আপার সঙ্গে। সুলতানা আপার সঙ্গে ছবি তুলতে আমার কোনো অসুবিধা নেই, তিনি যদি সরস্বতীর মতো দাঁড়ান আমি তার পায়ের কাছে হাঁসের মতো বসেও ছবি তুলতে রাজি! আমার কাছে সুলতানা কামাল অন্য মানুষ, বাংলাদেশে এইরকম মেরুদণ্ডওয়ালা নারী এই একজনই। মাসে এক-দুবার তো সুলতানা আপার সঙ্গে কথা হয় ফোনে, কিন্তু কখনো এই কথাটি বলা হয়নি আমি তাকে কী চোখে দেখি, তাকে হৃদয়ের কোনখানটায় রাখি। আমার যা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কোনোদিন তা বলতেও পারব না।
এই যে আমি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষের সঙ্গে ছবি তুলি না, তাই আমি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি, এ কি আমার অহংকার? আবার নিজেই বলি- তাই বা কী করে হয়, আমি তো রাস্তার কুকুর-বিড়ালের সঙ্গেও ছবি তুলি, পথচলতি কোনো অখ্যাত বাউলকে ডেকে তার গান শুনি, ছবি তুলি।
এবার নিচের ছবিটার প্রসঙ্গে আসি, শ্রীলংকার পদকপ্রাপ্ত একজন সাংবাদিক, বিদ্রোহীরা হাতের কাছে তাকে পেয়ে আচ্ছামতো ঠেঙিয়েছে! ছবিটা দেখার পর কী যে শান্তি লাগছে আমার, নিজের বুদ্ধির তারিফ করে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়াচ্ছি! কে বলে আমার বিষয়বুদ্ধি নেই? ঢের আছে! ওই যে যেসব শ্রেণিপেশার মানুষের কথা বললাম তারা তো এক পা দিয়ে রেখেছে বেগমপাড়া, বিবিপাড়াসহ নানা পাড়ায়, নির্বাচনের সময় বিমানের টিকিটের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায়। আমার তো গ্রামের ভিটে ছাড়া যাবার জায়গা নাই। ভাইরে, চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়, আগামী দিনের কথা কে বলতে পারে!
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০৫
মিশু মিলন বলেছেন: যোগ্য মানুষকে যোগ্য সম্মানটুকু আসি দিই। ধন্যবাদ।
২| ১১ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:৩৫
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ভালো লেখা
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০৬
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
বিজন রয় বলেছেন: আপনি তাহলে বিক্রি হননি।
হ্যাঁ সত্যি হলে এটা আপনি অহংকার করেই বলতে পারেন।
+++++
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০৬
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আজকাল সাংবাদিককে মানুষ তেমন পছন্দ করেনা শুধুমাত্র তাদের বিবেককে বন্ধক রাখার কারণে। অনেকে ব্যঙ্গ করে বলে সাংঘাতিক, কেউ কেউ বলে সংঘাতিক পুলিশের চেয়েও খারাপ। এটা আমি বলিনি, জনশ্রুতি আছে। কষ্ট পেয়ে থাকলে ডিলিট করে দিবেন।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০৮
মিশু মিলন বলেছেন: সাংবাদিকদের পছন্দ না করার যথেষ্ট কারণ আছে আমি স্বীকার করি।
৫| ১১ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: গুড পোষ্ট।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০৯
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ফেসবুক জুড়ে আজকে এই ছবি!!!
শুবকামনা রইলো সকলের জন্য।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১০
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:১৯
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১০
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকাল খবরে দ্বীপরাষ্ট্রের ভয়াবহতা দেখে শিউরে উঠেছিলাম। যে কোনো সভ্য সমাজের পক্ষে নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর দূরভাবনার বিষয়। কথায় বলে রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট। যা হবার তা তো হয়ে গেছে এখন দ্বীপরাষ্ট্রের নিরীহ জনগণ কি করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন সেটাই এখন বড় প্রার্থনা।
উপরের ছবিগুলোর সঙ্গে আপনার লেখনীর অন্তর্নিহিত মেসেজটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। যদিও আজকের দিনে গণ্যমান্যদের পাশে পেয়ে বেশিরভাগ মানুষেরই হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে যায়। মেরুদন্ড সোজা রাখার লোক খুঁজেই পাওয়া যায় না।
আজকের শ্রীলঙ্কার মতো দুরাবস্থা উপমহাদেশের কোন দেশের সাধারণ নাগরিকের কাছে কোন অবস্থায় কাম্য নয়। কিন্তু আপনার চিন্তা ভাবনাকে সম্মান জানাই।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১২
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।
৯| ১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমার মনে হয় তুমি একজন খাঁটি মানুষ এবং অপকট।
গল্পগুলো আর আজকের এই লেখা পড়ে আরও মনে হলো।
কিন্তু মনে হয় হঠাৎ রেগে যাও। ভয় ভয় লাগে তাই।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২২
মিশু মিলন বলেছেন: হা হা হা...। ভয়ের কিছু নাই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি মোটেও রাগী নই। তবে রাজনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থার উপর রাগ-ক্ষোভ আছে।
১০| ১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২৮
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
তুমি যে নিজের মনে নিজের নীতিতে চলা মানুষ তা যেমনই বুঝা যায় লেখায় এবং মনোভাবে তেমনই তোমার সমাজকে দেখার চোখের গভীরতাও।
অনেক ভালো থেকো ভাইয়া।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১৪
মিশু মিলন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন।
১১| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
এই ছবি এবং প্রায় আপনার লেখার মতো লেখা আজ ফেসবুকে দেখেছি অনেক গুলো পেজে।
১২ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৫১
মিশু মিলন বলেছেন: আমি নিজেও দেখেছি, আমার ফেসবুক লিস্টের দুজন লেখার আট আনা কপি করে পোস্ট করেছে আমার নাম উল্লেখ ছাড়াই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মে, ২০২২ ভোর ৪:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এক কথায় চমৎকার, শুধু সুলতানা কামালের ব্যক্তিগত বন্দনাটুকু ব্যতীত।