নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসদের কাজ শেষ, এবার তাদের দেশ ছাড়তে হবে!

২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৯




আমি ছেলেবেলায় আমাদের গ্রামের সরকারী প্রাইমারী স্কুলে পড়েছি, তখন সেখানে চারজন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন হিন্দু আর একজন মুসলমান শিক্ষক ছিলেন- রশীদ স্যার। রশিদ স্যারের অবসরের পর তার মেয়ে রোজিনা ম্যাডাম আমাদের স্কুলে জয়েন করেন। পরিসংখ্যান একই থাকে, তিনজন হিন্দু এবং একজন মুসলমান। হাইস্কুল ছিল পাশের গ্রামে, সেখানে দশজন শিক্ষকের মধ্যে নয়জন হিন্দু আর একজন মুসলমান ছিলেন, মুসলমান শিক্ষক ইসলাম ধর্ম পড়াতেন। বাংলা, ইংরেজী, অংক, বিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, সমাজ, ইতিহাস ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ এবং কাজের বিষয়গুলো পড়াতেন হিন্দু শিক্ষকগণ। আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মেরই ছিলাম, হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি ছিল। আমাদের স্কুলের হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সেইসব ছাত্ররা, অর্থাৎ আজ আমরা যারা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত, বলা যায় হিন্দু শিক্ষকগণই আমাদের তৈরি করেছেন। শুধু ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বা হিন্দু ধর্মশিক্ষা পড়ে আজ আমরা এই জায়গায় আসিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠিত হবার পিছনে রয়েছে সেইসব হিন্দু শিক্ষকদের বাংলা, ইংরেজী, অংক, বিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, সমাজ, ইতিহাস জ্ঞানের শিক্ষা।

আমি ন’য়ের দশকের কথা বলছি; এবার আরো তিন-চার-পাঁচ দশক পিছিয়ে গিয়ে স্কুলের পুরোনো খাতাপত্র ঘেঁটে দেখুন, অধিকাংশ স্কুলে দেখতে পাবেন যে একজন মুসলমান শিক্ষকও নেই! হ্যাঁ, এটাই বাস্তব ইতিহাস। ব্রিটিশ আমলে ইংরেজদের শিক্ষাব্যবস্থায় আস্থা রাখেনি মুসলমানরা কাফের শিক্ষা আখ্যা দিয়ে, কাফেরদের শিক্ষা গ্রহণ করলে তাদের ইহকাল-পরকাল দুই-ই নাশ হবে এই ভয়ে! কিন্তু হিন্দুরা ব্রিটিশদের শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করে তারা শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক এগিয়ে যায়। শুধু তো শিক্ষা নয়; সংগীত, নৃত্য, বাঙালী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষায় হাল ধরে ছিল হিন্দুরা। অবশ্য অল্প সংখ্যক মুসলমানও ব্রিটিশের শিক্ষা গ্রহণ করে।

ভারতবর্ষ দুইভাগ হয়ে যায় ১৯৪৭ সালে; তার আগেই ১৯৪৬ এবং পরে ১৯৪৮, ১৯৫০ সালের দাঙ্গায় বিপুল সংখ্যক হিন্দু মুসলমানদের পেয়ারের পাকিস্তান ছেড়ে ভিটে-মাটি ফেলে ভারতে যেতে বাধ্য হয়। সে-সময় অনেক স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধই হয়ে যায় শিক্ষকের অভাবে। তারপরও সেই সময়ের স্কুল-কলেজে অধিকাংশ শিক্ষকই ছিলেন হিন্দু, কোথাও কোথাও শতভাগ। এই হিন্দু শিক্ষকেরাই পূর্ব-পাকিস্তান, অতঃপর বাংলাদেশের দুই-তিন প্রজন্মের মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছে। হিন্দু শিক্ষকদের হাতে গড়া শিক্ষিত মুসলমানরা স্কুল-কলেজের শিক্ষকতায় প্রবেশ করতে থাকে, ক্রমশ বাড়তে থাকে তাদের সংখ্যা। পঁচাত্তর বছরের ব্যবধানে আজ ২০২২ সালে অধিকাংশ স্কুলে মুসলমান শিক্ষকই বেশি, ঠিক আমার কৈশোরের উল্টো চিত্র এখন। হয়ত হিন্দু অধ্যুষিত কিছু অঞ্চলে ব্যতিক্রম আছে। মুসলমান শিক্ষকরা এখন কেবল ধর্মশিক্ষার শিক্ষকে আটকে নেই, সব বিষয়ই তারা পড়াতে জানেন, সব ক্ষেত্রেই তারা প্রতিষ্ঠিত। হিন্দু শিক্ষকদের তাদের আর কোনো প্রয়োজন নেই, বরং হিন্দু শিক্ষকরা শিক্ষিত মুসলমানদের রুটি-রুজিতে ভাগ বসাচ্ছে! ফলে মুসলমানদের একটা অংশ এখন হিন্দু শিক্ষকদের উৎখাত করতে উঠে-পড়ে লেগেছে। কিভাবে উৎখাত করা যায়? সেক্ষেত্রে ধর্মের ব্যবহার হতে পারে মোক্ষম হাতিয়ার! সেটাই তারা ব্যবহার করছে। বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে তাদেরকে অপমান-অপদস্ত করা হচ্ছে, জেলে ঢোকানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পুলিশ নির্বিকার। রাজনীতিকরাও ভোটের অংকের হিসাব মাথায় রেখে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে একের পর এক হিন্দু শিক্ষকরা মুসলমানদের একটি চক্রের চক্রান্তের শিকার হয়ে অপমানিত হচ্ছে। সর্বশেষ এই চক্রান্তের শিকার নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ঘটনা কী? এই কলেজের ছাত্র রাহুল দেব রায় তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়- ‘প্রণাম নিও বস নূপুর শর্মা, জয় শ্রী রাম!’

নূপুর শর্মার বিষয়টি সকলেরই জানা, তাই সে-বিষয়ে লিখে লেখা দীর্ঘ করলাম না। রাহুল দেব রায়ের এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মুসলমান ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে। অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস তাৎক্ষণিক অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে রাহুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এরই মধ্যে রটে যায় স্বপন কুমার বিশ্বাস রাহুলকে বাঁচাতে পুলিশকে খবর দিয়েছেন! তার বিরুদ্ধেও ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়, পুলিশের সামনেই রাহুলের সঙ্গে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকেও জুতার মালা পরিয়ে অপদস্ত করা হয়!

কিন্তু এসবই যে অধ্যক্ষ স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত তা বেরিয়ে আসতে সময় লাগে না। অধ্যক্ষকে সরিয়ে দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে ৫ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে তৎপর একটি চক্র, তারাই রাহুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে তোলে এবং স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনে যাতে তাকে অধ্যক্ষের পদ তেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। সেই পুরোনো কৌশল!

পৃথিবীতে ৫৭ টি মুসলিম দেশ, এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পরে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই এত সংখ্যক অমুসলিম নাগরিক রয়েছে। বাকি সব দেশ থেকে অমুসলিমদের হয় জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, নয়তো হত্যা কিংবা নির্যাতনের মাধ্যমে দেশছাড়া করা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় এখনো এত অমুসলিম মানুষ থাকার কারণ- দেশ দুটির শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ৭৫ বছর ধরে এই বঙ্গের হিন্দুরা অত্যাচারিত হয়ে দেশত্যাগ করতে করতে এখন ৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই ৮ শতাংশ এখনো টিকে আছে ধুঁকতে থাকা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বঙ্গের বহু মত বহু পথের কারণেই। কিন্তু সেই শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এখন পুরোপুরি ধ্বংসের মুখে, ফলে এই ৮ শতাংশের ওপর জুলুম চলছে। এই ৮ শতাংশ এখন এই দেশে উদ্বৃত্ত, এদের যা কাজ, অশিক্ষিত মুসলমানদের শিক্ষিত করে তোলা, তা এখন শেষ হয়েছে। সুতরাং স্বপন কুমার বিশ্বাসদের এখন এই দেশের মুসলমানদের আর কোনো প্রয়োজন নেই, এখন প্রয়োজন তাদের দখলে থাকা চাকরি এবং জমিজমার, তাই এবার তাদের দেশ ছাড়তে হবে! এরা দেশ ছাড়লেই পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, ইরাক প্রভৃতি দেশের মতো খাঁটি মুসলমানের দেশ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ; যা অধিকাংশ মুসলমানের স্বপ্ন!

যে ছাত্ররা অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়েছে, তাদেরকে কিংবা তাদের কয়েক প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলেছেন স্বপন কুমারের মতো হিন্দু শিক্ষকেরা! স্বপন কুমার বিশ্বাসদের শিক্ষাদানের প্রতিদান জুতার মালা!

জুন, ২০২২ ।



মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কাঠ মোল্লারা শিক্ষা দীক্ষায় মুসলিম ছাত্র ছাত্রী দের মান্দাতা আমলের মত করে রাখতে চায়। হয়তো তাদের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে তাই।

২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:


প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের মাথায় মগজ নেই, সঠিকভাবে কিছু ভাবতে পারে না; তারা যেখানে যা পায়, সেটা দখল করতে চায়।

২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮

মিশু মিলন বলেছেন: একটা প্রজন্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, পতনের শুরু অনেক আগে থেকেই।

৩| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০২

রাজীব নুর বলেছেন: এই নিউজটা আমি দেখেছি। আমার ভীষণ কষ্ট হয়েছে।

২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

মিশু মিলন বলেছেন: বারবার একই ধরনের নিউজ দেখতে হচ্ছে।

৪| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: হিন্দুরা ব্রিটিশদের একটা জিনিস আঁকড়ে ধরেছে তা হলো শিক্ষা। এরা অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছে শিক্ষা ছাড়া বিকল্প নাই। তাই তারা স্কুল কলেজের গুরুত্ব বুঝেছে। মুসলমানদের এতোটাই ধর্ম হারানোর ভয় যে তারা ধর্ম বাচাতে গিয়ে নিজেদের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।

২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫

মিশু মিলন বলেছেন: দেশে দেশে মুসলমানরা এর ফলও ভোগ করছে।

৫| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। শিক্ষকের গলায়, তাও তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ, এমন একজন শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপমান করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে অপরাধীদের। অবশ্য, অপরাধীরা কোনো দৃষ্টান্তের ধার ধারে না।

২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

মিশু মিলন বলেছেন: দেশে আইনে শাসন না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

নিমো বলেছেন: অন্ধকারের একশ বছরের শুরু কেবল।

২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪

মিশু মিলন বলেছেন: শুরু আরো আগেই হয়েছে, এখন ধ্বংসস্তুপে আছি।

৭| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


অতীব দুঃখজনক !

২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩

মিশু মিলন বলেছেন: হুম।

৮| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

জগতারন বলেছেন:
সোনাগাজী বলেছেন:

প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের মাথায় মগজ নেই, সঠিকভাবে কিছু ভাবতে পারে না; তারা যেখানে যা পায়, সেটা দখল করতে চায়।


সহমত!

জ্বনাব গাজী সাহেবের মন্তব্য যেন পাপিষ্ঠ বাঙ্গালি কলিজায় একট করে গুলি মারে।
তার পরও তারা তাদের স্বভাবের যদি তার পরও যদিএকটু পরিবর্তন করতে একটু চেষ্টা করতো পাপিষ্ট্রা,
তবে কোন দুঃখ ছিল না আমার।

৯| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

জগতারন বলেছেন:
জ্বনাব মিশু মিলন এই প্রবন্ধ-এর জন্য মত্যব্য করতে একটু পরে আসছি।
এর আগে অন্যান্য পাঠক ও পাঠীকাদের মন্তব্য পড়ে নেওয়া দরকার।

১০| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিশু মিলন,





ন্যাক্কারজনক।
এদেশের নামকা ওয়াস্তের মুসলিম সমাজ যে অধঃপতনের তলানিতে আর অন্ধকারে পতিত, এসব তারই লক্ষন।
যার আর কিছুই নেই পরনের একখানা লুঙি ছাড়া, তার লুঙি হারানোর ভয়টাই যেমন তাকে তাড়িয়ে ফেরে তেমনি এদের ধর্মীয় বিশ্বাস এতোই নাজুক যে প্রতি পদে পদে সে ধর্ম হারানোর ভয়।
যদিও এটা মূখ্য নয়, মূখ্য হলো সংখ্যালঘিষ্টদের সম্পতি ও জীবিকা হাতানো, যেমনটা আপনি বলেছেন।
এই সব মোল্লা ভাবাপন্ন মানুষদের দৌঁড় ঐ মসজিদ পর্য্যন্তই...................

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪১

মিশু মিলন বলেছেন: ওদের দৌড় শুধুমাত্র মসজিদ পর্যন্ত নয়, সব জায়গায় ওরাই এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

১১| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই ঘটনার ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই ছি ছি ছি ছি
আপনার পোষ্টের আদ্যোপান্ত পড়ে যা বুঝলাম তাতে আগামী দিনে ঘৃণ্য চক্রান্তকারী এই উগ্র ধর্মীয় মানসিকতা ভয়ঙ্কর প্রবনতার দিকে এগিয়ে চলেছে। বোঝাই যাচ্ছে, ধর্মীয় অন্ধত্ব তাহলে মোদিজীর ভারত পাকিস্তান আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকেও গ্রাস করেছে। সুষ্ঠু সংস্কৃতি সম্প্রতি মানবতার পক্ষে খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৯

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কামাল৮০ বলেছেন: এই অপমানের ফল আমরা অচিরেই পাব।পাকিস্তান আফগানরা যেমন পায়।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৮

মিশু মিলন বলেছেন: ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছি।

১৩| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৮

জুন বলেছেন: নিন্দা জানানোরও ভাষা নেই।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:১৩

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যে লোকটাকে কোনোদিন ধর্মকর্ম করতে দেখি নি, তাকেও দেখেছি বিধর্মীদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতে।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৫

মিশু মিলন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। একটি সুবিধাভোগী মহল ধর্মকে পূজী করে এইসব ঘটাচ্ছে এর জন্য ধর্ম দায়ী নয়।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৪

মিশু মিলন বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ।

১৬| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:০০

বিটপি বলেছেন: প্রথম কথা, নূপুর শর্মা 'বস' হবার মত এমন কি করেছে? পরে সে কাপুরুষের মত ক্ষমা ভিক্ষাও চেয়েছে। এরকম মেরুদন্ডহীন তথাকথিত নেত্রীকে যে বস ডাকে, তাকে অবশ্যই জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো উচিৎ।

কিন্তু অধ্যক্ষের ব্যাপারটা ন্যাক্কারজনক। তিনি যাই করুক না কেন, পুলিশের প্রহরার মধ্যে তাঁকে এতটা অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। আমি আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে এক একটা দৃষ্টান্তমূলক প্রতিবাদ করতে চাই। একটু বুদ্ধি দিন তো কি করতে পারি?

- আমি এইসব পুলিশ নামের কুপমন্ডুক ছাগলগুলোর শাস্তি চাই দায়িত্বে অবহেলার কারণে।
- যারা পুলিশের সামনেই একজন অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরিয়েছে, পুলিশের সাক্ষ্য নিয়ে তাদের দ্রিষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪২

মিশু মিলন বলেছেন: নূপুর শর্মা কী বলেছে জেনে থাকলে বলেন তো একটু শুনি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.