নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
উনত্রিশ
বসন্ত-পূর্ণিমার দিন বর্ণিল পুষ্পসজ্জায় দেবায়ণীর আশ্রম যেন হয়ে ওঠে পুষ্পকুঞ্জ! নানা ধরনের, নানা বর্ণের পুষ্প দিয়ে আশ্রম সজ্জিত করে কন্যারা, তাদেরকে সহযোগিতা করে অদূরের কিরাতপল্লীর কিরাতরা। বৃন্দা কিরাত সর্দার খিমবুঙকে বলে রেখেছিল যে বসন্ত-পূর্ণিমার দিন দেবায়ণী দিদির বিবাহ অনুষ্ঠিত হবে, তারা যেন পুষ্প আর পুষ্পমাল্য দিয়ে সহযোগিতা করে। আজ সাতসকালে পাঁচজন কিরাত পুরুষ পাঁচটা ঝুড়ি মাথায় নিয়ে আশ্রমে উপস্থিত হয়, চারটা ঝুরিতে পুষ্পমাল্য আর একটায় পুষ্প। অরণ্যের কোনো পুষ্প তুলতে তারা যেন বাদ রাখেনি! আরো পরে চারজন কিরাত নিয়ে আসে মৎস্য এবং হরিণের মাংস, তারাই সে-সব রন্ধনে ব্যস্ত এখন। কিরাতরা দেবায়ণীকে ভীষণ ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধা করে, তাদের মতে- দেবায়ণী এবং অন্য আশ্রমকন্যাদের মতো আর কোনো আর্য নারীই তাদেরকে এমন ভালোবাসা আর প্রশ্রয় দেয়নি। তাইতো ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ দেবায়ণীর বিবাহ উপলক্ষে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
আশ্রমের আঙিনার মাঝখানে বিবাহ মঞ্চ তৈরি করা হয় ভূমিতে চারদিকে চারটি কদলীগাছ পুঁতে, তারপর সেই কদলীগাছগুলো সাজানো হয় পুষ্পমাল্য দিয়ে। এক গাছ থেকে আরেকগাছে রজ্জু টাঙিয়ে তাতে লম্বা লম্বা পুষ্পমাল্য জড়িয়ে দেওয়া হয়, তার সঙ্গে আবার কিছু পুষ্পমাল্য ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আর্যরা গাছ পুঁতে এই ধরনের বিবাহ মঞ্চ তৈরি করে না, এটা অনার্য সংস্কৃতি। কুথান পাতালের কোনো কোনো অনার্য জাতির মধ্যে এভাবে ভূমিতে কদলীগাছ পুঁতে বিবাহ মঞ্চ তৈরি করে বিবাহ হতে দেখেছেন, বিভিন্ন অনার্য গোষ্ঠী এমনিতেই নানা প্রকার বৃক্ষের পূঁজা করে, বৃক্ষকে তারা শ্রদ্ধা করে। ফলে তাদের বিবাহ-সংস্কৃতিতেও বৃক্ষ থাকা খুবই স্বাভাবিক। কদলীগাছ দিয়ে বিবাহমঞ্চ তৈরির এই সংস্কৃতি কুথানের এতটাই ভালো লাগে যে তিনি নিজের বিবাহেও এমন মঞ্চ তৈরির অনুরোধ করেন দেবায়ণী আর আশ্রম কন্যাদের। ভূমিতে দাগ কেটে কন্যাদের বুঝিয়ে দিয়ে দেন বিবাহমঞ্চ তৈরির পদ্ধতি, কিরাতদের সহায়তায় অবিকল অনার্যদের মতোই বিবাহমঞ্চ তৈরি করে কন্যারা। বিবাহ মঞ্চ ছাড়াও সারা আশ্রম তারা পুষ্পমাল্য আর পুষ্প দিয়ে সাজায়, নানা ধরনের পুষ্পের গন্ধে চারিদিক মৌ মৌ করতে থাকে। মোটা সলতের প্রদীপ আর মশাল দিয়ে সাজায় সারা আঙিনা, সন্ধ্যা হতেই সেগুলো জ্বলে উঠবে, সেই আলোয় অনুষ্ঠিত হবে কুথান আর দেবায়ণীর বিবাহ। গান্ধর্ব মতে বিবাহ, তাই বিবাহ অনুষ্ঠানে কোনো পুরোহিত থাকবে না, কোনো আর্য কিংবা অনার্য রীতিই অনুসরণ করা হবে না। কেবল একটি মন্ত্র উচ্চারণ করবে কুথান এবং দেবায়ণী, সেটি- যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব। অর্থাৎ আমার হৃদয় তোমার হোক, তোমার হৃদয় আমার হোক।
এই মন্ত্রটিতে নির্মল আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়েছে, ঈশ্বর বা কোনো দেবতাকে তুষ্ট করার কথা বলা হয়নি, ঈশ্বর বা কোনো দেবতার কাছে গবাদীপশু কিংবা অন্য কোনো সম্পত্তির বৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়নি। বিবাহের যত মন্ত্র আছে, তার মধ্যে এটাকেই উৎকৃষ্ট মন্ত্র মনে হয় কুথানের। অতীতকালে নিশ্চয় কোনো প্রজ্ঞাবান ঋষি এই মন্ত্রটি রচনা করেছেন। বিবাহের মন্ত্রগুলো কোনো একজন ঋষির রচনা নয়, ভিন্ন ভিন্ন কালের ভিন্ন ভিন্ন ঋষির রচনা। অধিকাংশ মন্ত্রই কুথানের পছন্দ নয়। গান্ধর্ব বিবাহে মন্ত্র পড়া আবশ্যক নয়, কোনো পাত্র বা পাত্রী তার নিজের পছন্দের মানুষের গলায় মাল্য পরিয়ে তাকে বিবাহ করতে পারে। কুথান বিবাহকালে মাল্যবদলের সময় দেবায়ণীর উদ্দেশে ওই মন্ত্রটি বলতে চান কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে নেয়, মন্ত্রটি একটি অনবদ্য সৃষ্টি, নিছকই তার হৃদয়ে দাগ কেটেছে তাই।
দেবায়ণীকে ঝরনায় নিয়ে গিয়ে গাত্র মার্জন করে রিঠাফল ভেজানো জল দিয়ে কেশ ধুইয়ে স্নান করায় বৃন্দা আর সরমা, তারপর আশ্রমে নিয়ে এসে অঙ্গে পরিয়ে দেয় নতুন ক্রয় করা হলুদ বর্ণের নিবি ও বাস। কাঠের কাঁকুই দিয়ে কেশ আঁচড়ে সুন্দর খোঁপা বেঁধে পরিয়ে দেয় শুভ্র পুষ্পমাল্য। আর পরায় নানা প্রকার মৃৎ- অলঙ্কার । গলায় পঞ্চলহরি, কর্ণে কর্ণপালি, হাতে কঙ্কন, পায়ে গুজরিপাঞ্চম। এই অলঙ্কারগুলি অনেক বৎসর পূর্বে পাতালের মেলা থেকে ক্রয় করে এনে দেবায়ণীকে উপহার দেন কুথান, কিন্তু কখনো পরিধান করেননি দেবায়ণী। অলঙ্কার শোভিত হয়ে ভীষণ সুন্দর দেখায় দেবায়ণীকে।
সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হলে বৃন্দা বলে, ‘তোমায় যে কী সুন্দর লাগছে দিদি, দাদাশ্রী তোমায় দেখে চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাবেন!’
দেবায়ণী বলেন, ‘সুন্দর না ছাই, মুখপোড়া হনুমানের মতো লাগছে নিশ্চয়!’
সরমা বলে, ‘সত্যি গো দিদি, বৃন্দা দিদি মিথ্যে বলেনি, তোমায় খুব সুন্দর লাগছে! একটু অপেক্ষা করো আমি তোমায় দেখাচ্ছি, তুমি নিজেই তোমাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবে!’
সরমা বাইরে গিয়ে ছড়ানো একটি মৃৎপাত্রে জল নিয়ে এসে বাতায়নের কাছে দাঁড়িয়ে বলে, ‘দিদি এখানে এসে দেখ।’
‘দেখতে হবে না, যা!’
‘আরে এসোই না, লজ্জা পাচ্ছ কেন! এসো।’
অগত্যা উঠে বাতায়নের কাছে গিয়ে সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে সরমার হাতের জলের পাত্রে নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকান দেবায়ণী, বাতায়ন ভেদ করে আসা মিষ্টি আলোয় জলপাত্রে আত্ম-প্রতিবিম্ব দেখে সত্যি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যান তিনি, নিজেই উপলব্দি করেন যে আজ তাকে অন্যরকম লাগছে! মনে মনে ভীষণ খুশি হন, কিন্তু মুখে বলেন, ‘হুম, একদম মুখপোড়া হনুমান!’
সরমা ধমক দেয়, ‘যাও, মিথ্যে বোলো না!’
বৃন্দা বাইরে গিয়েছিল, একহাতের পাত্রে ছানা আর অন্য হাতে জল এনে দেবায়ণীকে বলে, ‘দিদি, এটুকু খেয়ে নাও।’
‘এখন কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না।’ মিনতির স্বরে বলেন দেবায়ণী।
‘উহু, না বললে চলবে না।’
ছানা আর জলের পাত্র একটা জলচেকিতে নামিয়ে রেখে বৃন্দা আবার বলে, ‘খেয়ে নাও, আমি একটু ওদিকটায় দেখি রন্ধনের কাজ কতদূর এগোলো।’
দেবায়ণীর সাজসজ্জা থেকে শুরু করে আশ্রম সজ্জা, কী কী খাদ্যদ্রব্য রন্ধন হবে, কী কী দ্রব্য ক্রয় করতে হবে, কাকে কোন কাজের দায়িত্ব দিলে কাজটি ভালোভাবে সম্পন্ন হবে, সবদিকেই বৃন্দার সজাগ দৃষ্টি। সে অত্যন্ত দায়িত্বশীল, দেবায়ণী যেদিন তাদেরকে বিবাহের কথা জানায় তার পরদিন সকালেই বৃন্দা অন্য কন্যাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিবাহের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
দশজন অতিথি আসবেন কুথানের সঙ্গে, রাত্রে বিবাহ সম্পন্ন হবে, আগামীকাল প্রভাতেই কুথান এবং অতিথিগণ দেবায়ণীকে সঙ্গে নিয়ে বহির্ষ্মতীতে ফিরে যাবেন। স্বয়ং নৃপতি বেণও আসবেন, কন্যারা খুব অধীর হয়ে আছে নৃপতি বেণকে দেখার জন্য! তারা কেবল নৃপতি বেণের নাম আর কুথানের মুখ থেকে তাঁর সম্পর্কে নানা গল্প শুনেছে, কিন্তু চোখে দেখেনি কখনো। ব্রহ্মাবর্তের নৃপতি, যিনি ব্রহ্মাবর্তকে দেবতাদের অধীন থেকে স্বাধীন করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, এত বড় মাপের একজন মানুষ, সেই মানুষ তাদের কুথান দাদাশ্রীর বাল্যসখা আর মাত্র কয়েক দণ্ড পরেই যিনি কিনা তাদের আশ্রমে পদার্পণ করবেন, এটা যেন অবিশ্বাস্য আর স্বপ্নের মতো মনে হয় আশ্রমকন্যাদের কাছে! বৃন্দা এবং অন্য কন্যারা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে যাতে অতিথিদের আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি না হয়। অতিথিরা আসার সঙ্গে সঙ্গেই তৃষ্ণা নিবারণের জন্য জল, দুগ্ধ এবং যব থেকে তৈরি নেশা জাতীয় পানীয় পৈষ্টী দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে, যে যেটা পছন্দ করবেন সেটাই পান করবেন। এরপর রুটি, ছাতু, ছানা, মিষ্ট, কদলী, যবাশীর এবং মৎস্য দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। সন্ধ্যায় অতিথিদের জন্য থাকবে পর্যাপ্ত সোমরস আর রাত্রের আহারে থাকবে রুটি, মৎস্য ও হরিণের মাংস।
মধ্যাহ্নের রন্ধন শেষ, রন্ধনশালায় সারি সারি মৃৎপাত্রে সমস্ত খাদ্যদ্রব্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রাত্রের আহারের জন্য রন্ধন শুরু হবে অপরাহ্ণে।
মধ্যাহ্নের পর পরই অতিথিদের নিয়ে চলে আসার কথা কুথানের, মধ্যাহ্নের আগে থেকেই বারবার পথের দিকে গিয়ে উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে বৃন্দা, কিন্তু ঝিরির কাছে পথের প্রান্তসীমায় কোনো মানুষের দেখা না পেয়ে সে ফিরে গিয়ে নিজের কাজে মন দেয়। আবার কিছুক্ষণ পর যায় পথের দিকে, কিন্তু কাউকেই দেখতে পায় না সে। মধ্যাহ্ন হয়, মধ্যাহ্ন গড়িয়ে যায় অপরাহ্ণের দিকে, বৃন্দা এবং আশ্রমকন্যারা বিচলিত বোধ করতে থাকে। তারপর ক্রমশ অপরাহ্ণও ঢলতে থাকে সন্ধ্যার গায়ে, কিন্তু না কুথানের দেখা মেলে, না অতিথিবৃন্দের। বৃন্দার ভেতরে একটু একটু করে অস্থিরতা বাড়তে থাকে আর ভাবে- এত দেরি করছেন কেন দাদাশ্রী আর অতিথিবৃন্দ? পথে কি তাদের কোনো বিপদ হলো? সেই মধ্যাহ্ন থেকেই সেজে বসে আছেন দেবায়ণী, বৃন্দাকে সামনে পেলেই জিজ্ঞেস করেছেন, ‘তোর দাদাশ্রী আর অতিথিগণ এলেন?’
বৃন্দা বারবার একই কথা বলেছে, ‘আসবে আসবে, হয়ত পথে কোনো কারণে বিলম্ব হচ্ছে।’
দেবায়ণীকে আশার কথা শোনালেও বৃন্দার উদ্বিগ্নতা উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকে, দেবায়ণী বারবার প্রশ্ন করেন বলে তার সামনে যাওয়া কমিয়ে দেয় সে, বারবার পথের দিকে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, একবার সে ঝিরির পাড়েও চলে গিয়েছিল।
বিবাহকার্যে সাহায্য করতে কিরাত সর্দার খিমবুঙের সঙ্গে আসা কিরাত নারী-পুরুষেরাও দুশ্চিন্তায় মগ্ন হয়ে বসে অপেক্ষা করতে থাকে নতুন বর আর অতিথিদের জন্য।
সন্ধ্যার পর মোহ-মায়ার মতো বসন্ত-পূর্ণিমার জ্যোৎস্না ছড়ায় গৃহের চালে, চরাচরে, বৃক্ষের শাখায়-পাতায়, ঝরনায় আর দূরের শ্বেত পর্বতের মাথায়! দাদাশ্রী অতিথিদের নিয়ে দিদিকে বিবাহ করতে আসবেন এই আশায় বুক বেঁধে মৃৎপ্রদীপ আর মশালগুলো একে একে জ্বালিয়ে দেয় বৃন্দা আর সরমা। জ্যোৎস্না আর মশালের আলোর মিলনে সারা আশ্রমে বিরাজ করে ঘোর লাগানো ঔজ্জ্বল্য। বৃন্দাসহ কন্যারা বারবার পথের দিকে তাকায়- কিন্তু পথের দিকে কোনো আলো দেখা যায় না, কেবল একটা-দুটো জোনাকি জ্বলতে দেখা যায় বৃক্ষতলার অন্ধকারে; মানুষের কোনো গুঞ্জন শোনা যা না, কেবল অবিশ্রান্ত ঝিঁঝিপোকার ডাক শোনা যায়!
রাত্রি বাড়তে থাকে, ক্রমশ বাড়তেই থাকে, রন্ধনশালায় খাদ্যদ্রব্যগুলো ঢাকা পড়ে থাকে, কিরাত নারী-পুরুষেরা আহার না করেই গৃহে ফিরে যায়, দেবায়ণী এবং কন্যারাও অভুক্ত থাকে, বিবাহের জন্য রাখা মাল্য ও পুষ্প ঝুড়িতেই পড়ে থাকে। পাথরের ন্যায় নিস্তব্ধ দেবায়ণীর খোঁপার পুষ্পমাল্য শুকিয়ে যায়, তিনি খোঁপা থেকে মাল্য ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলে দেন গৃহের মেঝেতে; একে একে গলার পঞ্চলহরি, কর্ণের কর্ণপালি, হাতের কঙ্কন, পায়ের গুজরিপাঞ্চম খুলে ফেলে নির্লিপ্ত পাথুরে চোখে ঠায় বসে থাকেন শয্যায়! কন্যারা কেউ দেবায়ণীর কাছে, কেউ এখানে-সেখানে বসে অশ্রু বিসর্জন করে। মশাল আর প্রদীপগুলো একে একে নিভে গেলে, চাঁদ আরো পশ্চিমে হেলে বৃক্ষের আড়ালে গেলে অন্ধকার গ্রাস করে সমগ্র আশ্রম!
(চলবে......)
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৮
মিশু মিলন বলেছেন: আচ্ছা। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার আজকের পর্বটি পড়ে সুনীল গঙ্গোপাধায়ের পূর্ব পশ্চিম উপন্যাসের চন্দ্রা চরিত্র টির কথা মনে পড়ে গেলো।