নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
একদিন বিজ্ঞান ক্লাসে স্যার বললেন-
‘তোমরা যে প্রায়ই রাতেরবেলা আকাশ থেকে আলো ঝরে পড়তে দ্যাখো
লোকে যাকে তারা খসে পড়া বলে, আসলে তা উল্কাপিণ্ড।
উল্কাপিণ্ড হচ্ছে গ্রহাণু কিংবা ধুমকেতুর অংশ, যা মহাকাশে পরিভ্রমণ করতে করতে
হঠাৎ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, আর বায়ুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে আলো জ্বলে ওঠে।’
অতীন মনোযোগ সহকারে স্যারের কথা শুনলো
পরীক্ষায় লিখলোও ভালো, নম্বর পেল দশে দশ।
দীপাবলির দিন অতীনের বাবা-মায়ের দীক্ষাগুরু এলেন বাড়িতে
রাত্রে সারাবাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হলো
খাওয়া-দাওয়ার পর উঠোনে পাটি বিছিয়ে গুরুদেবের তত্ত্বকথা শুনতে বসলো সকলে,
হঠাৎ একটা আলোকোজ্জ্বল উল্কাপিণ্ড নিচের দিকে পড়তে দেখে গুরুদেব বললেন-
‘দ্যাখো, দ্যাখো, দীপাবলির রাতে ঈশ্বর পৃথিবীতে আলো দিলেন!’
এই বলে তিনি উল্কাপিণ্ডের দিকে প্রণাম করলেন করজোড়ে
শিষ্যরা সবাই তাকে অনুসরণ করলো, অতীনও।
কিছুদিন বাদে অতীনদের বাড়িতে পদধূলি দেওয়া একজন জটাধারী সাধু বললেন-
‘রাতেরবেলা তোমরা যে তারা খসে পড়তে দ্যাখো, আসলে তারা দেবতা
স্বর্গ থেকে দেবতারা পৃথিবীতে আসেন মানুষের গর্ভে জন্ম নিতে,
দেবতাদের পৃথিবীতে আগমনকালে যদি ভক্ত ভক্তিভরে কিছু চায়
তবে দেবতারা ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন!’
অতীন অন্তত তিনবার নিন্মগামী উল্কাপিণ্ডকে দেবতাজ্ঞান করে
ভক্তিভরে সুলেখাকে প্রেমিকা হিসেবে প্রার্থনা করেছিল,
সুলেখা এখন দুলাল মহুরীর সংসারে দুই সন্তানের জননী,
আবার গর্ভবতী।
ঢাকা
১১.০২.২০২৩
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একদিন ভারতীয় এক বিজ্ঞান শিক্ষক তার ছাত্রদের বললেন- সারা বছর পরীক্ষার খাতায় লিখলে, চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে তখন কিছু সময়ের জন্য সূর্য আমরা দেখতে পাই না, ইহাকে সূর্যগ্রহণ বলে। আর গতকাল সূর্যগ্রহণের সময় তোমরা সবাই বাসা থেকে বের হইয়ে ধুপ জ্বেলে, ঘন্টা বাজিয়ে, হই হুল্লোর করে সুর্যকে রাক্ষসের কবল থেকে মুক্ত করলে, সরা বছর কি ইহাই আমি তোমার আমি শিক্ষা দিয়েছিলাম?
আসলে মূল কথা হচ্ছে, বিজ্ঞানের ছাত্র হলেই বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া যায় না, স্কুল শিক্ষকদের চেয়ে ধর্মীয় গুরুদের প্রভাব অনেক বেশি।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
মিশু মিলন বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে আজকালকার বেশিরভাগ বিজ্ঞান শিক্ষকই ধর্মান্ধ, বিজ্ঞানমনস্ক নয়। ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
হা হা হা..... দারুন হয়েছে লেখাটা মিশু, দারুন!!!!!!!!!!!!!!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
এবার বইমেলাতে আপনার কোনো বই বের হয়নি?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
মিশু মিলন বলেছেন: হ্যাঁ, পেন্ডুলাম প্রকাশনী থেকে আমার উপন্যাস দেবদ্রোহ বের হবে। এখন প্রেসে আছে, ২-৩ দিনের মধ্যে মেলায় আসবে।
৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: এভাবে ছোট ছোট গল্পের মাধ্যমে মানুষকে কুসংস্কার মুক্ত করতে হবে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন হয়েছে।