নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিটন আলম

মিটন আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান জীবনাদর্শের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মহোত্তম কবি। বাঙালির আধুনিক রুচি ও মানস গঠিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ এঁর হাতে। তাঁর লেখা, দর্শন, চিন্তা-চেতনার বহুমাত্রিক আলোকছটার ঔজ্জ্বল্য ও মহিমায় বাঙালির জাতিসত্ত্বা মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত। বাঙালিকে আবেগ-অনুভুতি প্রকাশের ভাষা দিয়েছেন তিনি। দেখার দৃষ্টিকে প্রসারিত করেছেন, দিয়েছেন সৃষ্টির প্রেরণা। বাঙালির শিক্ষা, নান্দনিক বোধ, সাংস্কৃতিক চর্চাা, দৈনন্দিন আবেগ-অনুভূতিতেও সারাক্ষণ জড়িয়ে আছেন তিনি। আছেন নি:শ্বাসে-বিশ্বাসে, বুদ্ধি-বোধ-মর্ম-কর্মে। তাঁকে পাওয়া যায় প্রেম-ভালোবাসা, প্রতিবাদ, আন্দোলনের অঙ্গীকার এবং ¯্রষ্টার আরাধনার নিবিষ্টতায়।



প্রত্যেক দেশে মহৎ কবির আবির্ভাব যখন ঘটে; তখন তিনি দেশের ভাষাকে রূপ দেন। তার সময় পর্যন্ত সে ভাষায় যে রূপ, সে অভিব্যক্তি থাকে, সেই অভিব্যক্তিকে আরও বিচিত্র করেন। ইংল্যান্ডে শেক্সপীয়র করেছিলেন, ইটালিতে দান্তে করেছিলেন, জার্মানীতে গ্যয়টে করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে সেই কর্তব্য সাধন করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্যে সৃষ্টির সূত্রপাতে বলেছিলেন, “প্রতিটি আরম্ভের আগেও একটি আরম্ভ আছে। যেমন-একটা প্রদীপ যখন জ্বলে তার সলতে পিছন থেকে এগিয়ে দিতে হয়।”



রবীন্দ্রনাথ মতে প্রত্যেক মানুষই ¯্রষ্টা। সৃজনশীলতাতেই মানুষের সত্য পরিচয়। সৃষ্টির রাজ্যেই মানুষ প্রয়োজনের বন্ধন থেকে মুক্তি পায়। মানুষ যতক্ষণ প্রয়োজনে আবদ্ধ ততক্ষণ সে জীবমাত্র। মুক্ত চৈতন্যই সে স্বধর্মে প্রতিষ্ঠিত, শিল্পীরূপেই সে যথার্থ মানুষ। রবীন্দ্রনাথ তাঁর নিজের ধর্মকে বলেছেন শিল্পীর ধর্ম। বলা বাহুল্য; এ ধর্ম আনুষ্ঠানিক বা সাম্প্রদায়িক ধর্ম নয়। ধর্ম, জীবনদর্শন এবং সাধনা এখানে অভিন্ন্। রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে সৃষ্টি থেকে আলাদা সৃষ্টিকর্তা নেই। সৃষ্টি এবং ¯্রষ্টা একই। সৃষ্টিকর্তা নিজেই নিজেকেই সৃষ্টি করেছেন অথবা করছেন। সৃষ্টি নিজেই নিজের সৃষ্টিকর্তা। রবীন্দ্রনাথের মতে জগৎ-¯্রষ্টার মতো মানুষও সৃষ্টিকর্তা। মানুষও আপনার মধ্যে থেকে আপনাকে সৃষ্টি করতে নানাভাবে, নানা রসে আপনাকে পাচ্ছে। মানুষও বিচিত্রময়। মানুষও নিজেকে সৃষ্টি করে, নিজের জগৎকে সৃষ্টি করে, আবার বিশিষ্ট অর্থে আমরা যাকে আর্ট বলি, সাহিত্যে বলি, তাও সৃষ্টি করে। নিজেকে সৃষ্টি করার কারণেও মানুষ লীলাময়, আবার আর্ট বা সাহিত্যকে সৃষ্টি করার কারণেও মানুষ লীলাময়। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যকে বলেছেন মানুষের “বৃহৎ বিচিত্র লীলা জগতের সৃষ্টি। জীবনে যেমন মানুষে অবিরত নিজেকে সৃষ্টি করে-করে চলে, সাহিত্যেও তাই।” উভয় ক্ষেত্রে মানুষে আত্মসৃজন-পরায়ন। যে সৃজনশীলতা জীবনে, সেই একই সৃজনশীলতা সাহিত্যে। এই সৃজনশীলতাই মানুষের স্বধর্ম। রবীন্দ্রনাথের কাছে সব মানুষই সৃষ্টিকর্তা। মানুষের গোটা জীবনটাই একটা ছেদহীন সৃজনক্রিয়া। এ সৃজন কেবল ব্যক্তি মানুষের নয়-সর্ব মানবের, মানব সমগ্রতার। সমাজ সংসার সবই তার সৃষ্টি। মানব বিশ্ব তারই সৃষ্টি। মানবতাও তাই, মানবতা তো আলাদা কিছু নয়। মানবতাই নিজেকে সৃষ্টি করতে-করতে চলে।



শিল্প মাত্রই বিলুপ্তির বিরুদ্ধে, জড়শক্তির বিরুদ্ধে, জড়শক্তির অমোঘ পরিণামের বিরুদ্ধে সত্তার সংগ্রাম। সুতরাং শিল্প মাত্রই মানুষের মনুষ্যত্বের মানুষের আত্মিকতার প্রকাশ। শিল্প জিনিসটা সময়ের বিরুদ্ধে, মৃত্যুর বিরুদ্ধে- বস্তুত নিয়তির বিরুদ্ধে মানুষের বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহই শিল্পের মানবমূল্য। শ্রেষ্ঠ শিল্পকেই মাস্টার পীচ বলা যায়; সেই শিল্পই আত্মিক ভাস্বরতার কারণে মহৎ।



রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রবল ব্যক্তিত্ব ও সীমাহীন প্রতিভা দিয়ে যে দিকেই তাকিয়েছেন সেখান হতেই নতুন তত্ত্ব উদঘাটন পূর্বক অভিনব মনন সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। কারণ রবীন্দ্রনাথ কোন কিছুকেই চরম ও পরম বলে গ্রহণ করতে নারাজ। পরীক্ষার পর পরীক্ষা, অনুসন্ধিৎসার পর অনুসন্ধিৎসা এ কবি মনকে তাড়িয়ে নিয়ে ফিরেছে সারাক্ষণ। তাই কবির যাত্রা কখনও থেমে থাকেনি, রূপ থেকে অরূপের পথে স্ববেগে বয়ে গেছে। তাই কোন বিশেষ মতাদর্শের মাঝে কবি কখনও বাঁধা পড়ে থাকেনি। অনাসক্ত ভোগবাদ, ত্যাগের দ্বারা চরিতার্থ ভোগস্পৃহা, ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে আগত বিষয়ানন্দকে ইন্দ্রিয়োত্তীর্ণ বিশুদ্ধ আনন্দে রুপান্তরিত করা এই আর্টের মুক্তিই রবীন্দ্রনাথের একমাত্র কাম্য। এই হল তার অরুপানুভবের স্বরুপ এবং এইখানে তিনি সকলের থেকেই পৃথক।



সৃষ্টি এবং ¯্রষ্টার মাঝে যে সম্পর্ক বিরাজমান তাকে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধিবৃত্তির দ্বারা অতটা বিচার বিশ্লেষণ না করে হৃদয়ের অসীম ঐশ্বর্যের দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই তাঁর ধর্ম দর্শন যতটা না বুদ্ধিবৃত্তি নির্ভর, তার চেয়ে অনেক বেশী হৃদয়বৃত্তি নির্ভর হয়ে গড়ে উঠেছে। আর যার মূলে রস সিঞ্চন করেছে কবির হৃদয়ে আপ্লুত প্রেমধারা।



রবীন্দ্রনাথের কবি মানসের মূল প্রবণতা যদিও স্থান-কাল-পাত্রের অতীত এবং বিশ্বজনীন মূল্যবোধে উদ্ভাসিত তথাপি তিনি প্রধানত: ভরতীয় কবি ততা ভারতবর্ষের মানসপুত্র। আরও একটু বিশিষ্টতার সাথে বলতে গেলে বলতে হয় ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ সার্থক নির্মাতা কবি পূরুষ তথা বাঙালির অন্তরাত্মার সার্থক ভাষ্যকার। সেই শৈশববেলায় বিস্ময়- বিমুগ্ধ নয়ন মেলে কবি যে প্রকৃতিকে প্রত্যক্ষ করেন তা বাংলার শ্যামল সমতল মাঠ, বহতানদী আর তার উদার-উদাস নীলাকাশের ছায়ামাখা শান্ত দুপুর। কখনও বা সজল মেঘের ঘনঘটাসহ ধারাপতনের কলতানে মুখর মেঘমল্লারের একটানা সুর। রবীন্দ্রনাথের মূল দর্শন তা সীমা আর অসীমের মাঝে পািরব্যাপ্ত কবির মানস প্রবণতার এক শ্রেষ্ঠতম ধারা। সীমার মাঝে আবির্ভূত হয়েও কবি যেমন বীর্য বলে সীমাকে অতিক্রম করে অসীমকে আলিঙ্গন করেছেন, তদ্রুপ বাংলাদেশের প্রকৃতিকেও গভীরভাবে ভালোবেসে কবি বিশ্ব প্রকৃতিকে ভালবাসার শক্তি সঞ্চয় করেছেন।



রবীন্দ্রনাথ মূলত: এবং প্রধানত কবি কিন্তু যেহেতু তাঁর কবিতা দর্শন সমৃদ্ধ, সেহেতু তিনি শুধু কবিই নন বরং দার্শনিকও বটে। রবীন্দ্রনাথ কবি এবং কবি বলেই দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথ কবি, তাঁর একটি মাত্র পরিচয় তিনি শিল্পী। কাব্যসৃষ্টিকে সার্থক করে তুলতে হলে যে দার্শনিক অনুভূতির প্রয়োজন, রবীন্দ্রনাথের ‘ধর্ম’ সেই পথেরই যাত্রী। রবীন্দ্রনাথের গভীর জীবনবোধ, বিশ্ববোধ ও পারলৌকিকবোধ বা ঈশ্বরানুভূতি। এই তিনটি সত্তার অস্তীত্ব ও স্বরূপ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাব্যে যে প্রজ্ঞার দীপ্তি ছড়িয়ে দিয়েছেন তাই তাঁর কাব্যে বিধৃত জীবন-দর্শন ও মানবতাবাদের মূল সুর। রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তি সত্তাই তাঁর কবিতায়ে সবচেয়ে বেশি ছায়াসম্পাৎ করেছে।তাই একথা বলা যায় যে, রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিসত্তা ও কবিসত্তা একই উৎসমুখ হতে প্রবাহমান।



জীবনের ক্ষেত্রে কোন স্থবিরতা বা জড়তাকে কবি চরম বলে মেনে না নিয়ে গতির মহা আহবানকেই সাদরে বরণ করে নিয়ে দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেন,

“ধ্বনিয়া উঠিছে শুণ্য নিখিলের পাথার এ গানে।

হেথা নয়, হোথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোন খানে।”

-বলাকা ৩৬ সংখ্যা কবিতা



মূলত;রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শন ও মানবতাবোধের পরিপূর্ণ বহি:প্রকাশ ‘বলাকা’ কাব্যের যুগেই বিশিষ্টতার সাথে বিকশিত হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথের এ মানস প্রবনতা নতুন কোন দার্শনিক উপলব্ধি নয় বরং প্রভাত সঙ্গীতের সময় হতেই তা মন্থর গতিতে সম্মুখ পানে অগ্রসর হচ্ছিল। ‘বলাকা’ যুগের অনুকুল আবহাওয়া, কালের ব্যাপ্তি, কবির মনন চর্চা ও পরিবেশ পারিপার্শ্বিকতা তাকে ফুলে-ফলে বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রভূত শক্তি যুগিয়েছে মাত্র।



রাবীন্দ্রনাথ তাঁর দার্শনিক উপলব্ধির দ্বারা এই তত্ত্ব প্রচার করেছেন যে, আনন্দের এক পরম ও চরমতম উৎস রয়েছে। সেই উসের মাঝে একাত্ম হবার জন্য আত্মোৎসর্গ করার মাঝেই মানব জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা নিহিত রয়েছে। আত্মঅহমিকার অশুভ প্রভাব মুক্ত মানবতার এই আকাক্সক্ষাই রবীন্দ্র কাব্যে বিবৃত জীবন দর্শন ও মানবতার মূল সূত্র। ‘বলাকা’ কাব্যের কবিতায় কবির এ দার্শনিক উপলব্ধি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

‘কী প্রলাপ কহে কবি।

তুমি ছবি?

নহে নহে, নও শুধু ছবি

কে বলে রয়েছে স্থির রেখার বন্ধনে

নিস্তব্ধ ক্রন্দনে?



রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাব্য সাধনার দ্বারা মানবজীবনের অন্তর্নিহিত গূঢ় অনেক অর্থকে সত্য ও সুন্দরের মাঝে উত্তীর্ণ করে দেবার সাধনায় সদা আত্ম নিমগ্ন ছিলেন। কবির অনুধ্যানে গতিতত্ত্ব যে দার্শনিকতাকে ব্যক্ত করেছেন তা তাঁর অকৃত্রিম মনবদরদী হৃদয়েরই বহি:প্রকাশ ভিন্ন অন্য কিছু নয়।



পুনশ্চের ‘মৃত্যু’ কবিতায় কবির জীবনদর্শন ও মানবতাবাদ অত্যন্ত প্রাণস্পর্শী মূল্যবোধে উদ্ভাসিত।

“অসীমের অসংখ্য যা কিছু

সত্তায় সত্তায় গাঁথা

প্রসারিত অতীতে ও অনাগতে।

নিবিড় সে সমস্তের মাঝে

অকস্মাৎ আমি নেই

একি সত্য হতে পারে।



রবীন্দ্রনাথের ধর্মদর্শন ও কাব্য ভাবনা মানুষের জয়গানে মুখর। তাঁর ধর্ম মানুষের ধর্ম। তাঁর দর্শন ও কাব্যানুধ্যান জীবনের জয়জয়াকারে ভরপুর। তাই যারা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে অথচ মানুষের দুঃখে যাদের হৃদয় কেঁদে ওঠে না এবং যাদের আত্মাভিমানের দ্বারা মানব হৃদয় পীড়িত হয় না, তাদেরকে কবি ধিক্কার দিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথা পরিদৃশ্যশান জগৎ ও জীবন হতে নিজ মণীষার দ্বারা যে সত্যের সন্ধান লাভ করেছিলেন তাকেই তাঁর সাম্রগ্রিক কাব্য ভাবনার রূপদানের জন্য সদা সচেষ্ট ছিলেন। সে কারণেই রবীন্দ্রনাথ এক অনন্য প্রতভার নাম। রবীন্দ্রনাথ মহা ঐক্যের পূজারী। বিচ্ছিন্নতাকে কবি কখনই সত্য বলে গ্রহণ করেননি। তাঁর চেতনায় বিচ্ছন্ন মানেই মিথ্যা ও ধবংস। জগৎ ও জীবনের সাথে সম্পৃক্ত সব কিছুকেই তিনি এক অখণ্ড মহাসত্তার সাথে যোগমুক্ত বলে বিশ্বাস করতেন। তাই মানবতাবোধে উজ্জীবিত রবীন্দ্র কবি মানস জীবশ্রেষ্ঠ মানুষকে সকল সংকীর্ণতা ও বৃহবদ্ধতার হাত হতে মুক্তি দান পূর্বক অসীমের চিরকল্যাণ পরিব্যাপ্ত লোকে প্রতিষ্ঠিত করার তপস্যায় নিজ কবি সত্তাকে সদা নিয়োজিত রেখেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের চেতনায় মানুষ শুধু জীবশ্রেষ্ঠ নয়, মানুষ অসীমের সাক্ষাৎ প্রতিনিধও বটে।



রবীন্দ্রনাথ ভাবী কালের যে মানুষের স্বপ্ন দেখেছেন, সে স্বাধীন স্বাভাবিক মানুষ। তিনি আধুনিক ও অগ্রগামী। দেশ সম্পর্কে সচেতনতা, ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা, সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতনতা রবীন্দ্রনাথের মধ্যেই দেখতে পাই। রবীন্দ্রনাথ যখন বলেন, “সত্য যে কঠিন, কঠিনরই ভালোবাসিলাম”- তখন তাঁর উচ্চরণের মধ্যে সত্য পথের আহ্বান শুনতে পাই। কঠিনকে পেতে হলে কঠিন দাম দিতে হয়। তা জানেন বলেই রবীন্দ্রনাখ বলেছেন, ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন।’ মুনষ্যত্বের ডাক সব সময়ই কঠিনের ডাক, মনুষ্যত্বের পথ সব সময়ই বীরের পথ।



রবীন্দ্রনাথ সৃজনশীল শিল্পী, মহৎ শিল্পী। কে না জানি যে, মহৎ শিল্পীরা কালজয়ী। তাঁদের মতামত, তাদের চিন্তা, তাঁদের সিদ্ধান্ত, তাঁদের বিশ্ব ভাবনা দিনে দিনে পুরোনো হয়ে যেতে পারে, সমাজের বদলে, জীবনের বদলে কাল চিহ্নিত হয়ে যেতে পারে, জীর্ণ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মহৎ সৃষ্টি সহজে জীর্ণ হয়ে যেতে পারে। ব্যাস-বাল্মীকি, হোমার-সোফোক্লিস, কালিদাস, লিওনার্দো-দা-ভিঞ্চির ছবি, স্কেসপীয়ারের নাটক আজও জীবিত। সমাজ বদলে গিয়েছে, তা সত্ত্বেও দান্তে, গ্যোটে, টলস্টয় জীবিত আছেন। তাই শিল্পী রবীন্দ্রনাথ জীবিত আমাদের কাছে, অপেক্ষাকৃত তরুণদের কাছেও, হয়তোবা ভাবীকালের পাঠকদের কাছেও।



সহায়ক গ্রন্থ ঃ

১। রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাসের জগৎ-সত্যেন্দ্রনাথ রায়-শান্তিনিকেতন

২। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যতত্ত্ব- সত্যেন্দ্রনাথ রায়-দেশ পাবলিকেশন লিঃ

৩। রবীন্দ্রনাথ- জন্মশত বার্ষিকী সংষ্করণ- ১৫ খণ্ড

৪। রবীন্দ্রনাথের সৌন্দর্যদর্শন-প্রবাসজীবন চৌধুরী

৫। রবীন্দ্রনাথ-বাংলা একাডেমী সম্পাদনা

৬। রবীন্দ্রনাথ-আনিসুজ্জামান সম্পাদনা

৭। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-রবীন্দ্র গ্রন্থ পরিচয়

৮। রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শন ও মানবতা-জুলফিকার নিউটন

৯। রবীন্দ্রনাথের মানবতা ও দর্শন-ড. সুলতান

১০। প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়-রবীন্দ্র জীবনী-১ম খণ্ড

১১। প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়-রবীন্দ্র জীবন কথা(কলিকাতা ১৩৬৬)-১ম খণ্ড





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.