নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিটন আলম

মিটন আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০০

সংস্কৃতি জনজীবনের কর্মকান্ডের প্রকাশ। যেকোন জনগোষ্ঠীর জীবনের কর্মকান্ড প্রকাশ করে তার সাংস্কৃতিক কাজের মধ্যে। জীবনের বিপরীতের যাবতীয় অপব্যবহারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় সংস্কৃতি। সব জনগোষ্ঠীর সর্বজনীন উৎসব আছে। বাঙালির বৃহৎ লোকায়ত উৎসব পহেলা বৈশাখ। সাংস্কৃতিক উৎসবের মধ্য দিয়েই মানুষ হৃদয় দিয়ে মানুষকে অনুভব করে।

পহেলা বৈশাখের উৎসব ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে কলকাতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারে শুরু। ঠাকুরবাড়িতে ইংরেজরা যেমন ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করে সেই আঙ্গিকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সূত্রপাত। অতএব আধুুনিক বাংলা নববর্ষ উৎসব ফলত উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নববর্ষ উৎসবের প্রেরণাজাত। বাঙালি সমাজ তাদের ধর্ম পরিচয় অক্ষুন্ন রেখে, অধিকাংশ মানুষ ধর্মের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য পালন করেই জাতি পরিচয়ে ধন্য হয়ে বাঙালির নিজস্ব স্বাধীন আবাসভূমি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। যে কোন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ সাধারণত জাতিপরিচয়ের মূল নির্ধারক।

বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশের বাঙালির এক বিশাল ঐতিহাসিক অর্জন। সামান্য কয়েক বছরের মধ্যে এ ধরণের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব সৃষ্টির কৃতিত্ব যেমন ছায়ানটের, তেমনি বাঙালি শিল্পী-সাংস্কৃতিককর্মী-সঙ্গীত শিল্পী-চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রী এবং ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল বাঙালির। এ উৎসব বাঙালির জাতি চেতনাকে সংস্কৃতির পাটাতনের ওপর প্রতিষ্ঠিত করে নবতর মানবিক ও শৈল্পিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে, এটাই আশা করা যায়। বৈশাখের দিনটি আলোয়-ফুলে-গানে-সাজে ভরে উঠুক। আমাদের চিত্ত পরিপূর্ণ হোক। দু’হাত বাড়িয়ে পরস্পরকে আলিঙ্গন করে হৃদয় থেকে নিঃসৃত হোক, “এসে হে বৈশাখ এসো এসো
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমুর্ষরে দাও উড়ায়ে
বছরের সব আবর্জনা।”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.