নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে জানতে ও ছড়িয়ে যেতে চাই।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী

আমি বাপ্পী। জন্মস্থান বরিশাল। বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১৯ আইসিসি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের ম্যাচ প্রি-রিভিউ

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সেমি ফাইনাল - ১
ইন্ডিয়া বনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ রিভিউ।
………
লীগ পর্বে ইন্ডিয়া ও নিউজিল্যান্ড এই দুই দলের খেলা বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়েছিল। এবার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেমিতে। যাকে ডু অর ডাই ম্যাচ বলা চলে। হারলে এয়ারপোর্ট আর জিতলে লর্ডস। বিশ্বকাপের হেড টু হেডে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আসরে এখন পর্যন্ত ৮ বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। যার মধ্যে চারবার জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড ও তিনবার ইন্ডিয়া। বৃষ্টির কারণে এবারের আসরের ট্রেন্ট ব্রিজের ম্যাচটি বাতিল হয়েছিল।

হেড টু হেডের পরিসংখ্যান কাছাকাছি হলেও বিশাল ব্যবধান আছে মাঠ পর্যায়ে। বিশ্বকাপের আসরে বিদেশের মাটিতে দুই দলের দেখা হয়েছে পাঁচবার। যার মধ্যে চারবারই জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে তিনটা জয় এসেছে ইংল্যান্ডের মাটিতে। একটি জয় নিজেদের মাটিতে। পক্ষান্তরে ইন্ডিয়ার তিনটি জয়ের মধ্যে দুটিই নিজেদের মাটিতে আরেকটি আফ্রিকার মাটিতে। পরিসংখ্যান দেখে বুঝা যাচ্ছে যে নিউজিল্যান্ডের সফলতা ইংল্যান্ডের মাটিতে ইন্ডিয়া অপেক্ষা বেশি।

পরিসংখ্যানকে একপাশে রেখে দলীয় সামর্থ্যের দিকে তাকালে বর্তমানে দুই দলের শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী ইন্ডিয়ার অবস্থান কিছুটা শক্তিশালী। ব্যাটিং-বোলিংয়ের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড থেকে এগিয়ে আছে ইন্ডিয়া। মূলত তাদের ওপেনারদের দূর্দান্ত পারফরমেন্স ও কম্বিনেশনের কারণে প্রায় ম্যাচেই তারা বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারছে। এছাড়াও ভিরাট কোহলির ধারাবাহিক পারফরমেন্সের কারণে একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে ইন্ডিয়া। এতে বড় স্কোর দাঁড় করিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারছে তারা।

বোলিং লাইনআপে দুই দলের কেউই দুর্বল নয়। তবে লীগের ম্যাচগুলোতে ইন্ডিয়ার বোলিং লাইন বেশ পাকাপোক্ত দেখা দিয়েছে। ইন্ডিয়ার আছে বুমরাহ, সামি, ভুবিনেশ্বরে মতো ফাস্ট বোলার। পক্ষান্তরে নিউজিল্যান্ডের আছে বোল্ট, ফার্গুসন, গ্র্যান্ডহোমের গতিশীল বোলার। শেষ কিছু ম্যাচে সামি বেশ দারুণ বোলিং করছে। সেই সাথে বুমরাহ তো আছেই। ডেথ ওভারে সে দারুণ ভাবে ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে। ভুবিও উইকেট ক্যাপ্টেনের ভরসার উপর দাঁড়িয়ে দলকে উইকেট এনে দেয়।

এদিকে, নিউজিল্যান্ডের হয়ে দারুণ বোলিং করছে বোল্ট ও ফার্গুসন। তাদের গতি এবং লাইন বেশ ভালো। দলের প্রয়োজনীয় সময় উইকেট বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে স্পিন দিকে কিছুটা এগিয়ে ইন্ডিয়া। চাহাল ও কুলদীপের সংমিশ্রণে বেশ দারুণ পর্যায়ে আছে ইন্ডিয়ার স্পিন বিভাগ। পক্ষান্তরে নিউজিল্যান্ডের স্যান্টার ব্যতীত আর কাউকে স্পিন বিভাগে নিয়মিত দেখা যায়নি। ইশ সোধি ও উইলিয়ামসনকে মাঝেমাঝে বল হাতে দেখা গিয়েছে।

দুই দলের মূল লড়াই চলবে ব্যাটিং লাইনে। নিউজিল্যান্ডকে এইক্ষেত্রে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা তাদের ওপেনার জুটি খুব একটা ভালো করছে না। কিন্তু ইন্ডিয়ার ওপেনার জুটি এই আসরের অন্যতম সেরা জুটি। ব্যাটিং পরীক্ষায় যে দলের শুরুটা ভালো হবে না, সেই দলকে পস্তাবে হবে। কি হবে না হবে তা আগামীকাল অর্থাৎ ০৯ জুলাই বুঝা যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.