![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন কোনো ঘটনা ঘটে, তখন সে-ই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা রকমের আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এমন ঘটনা গুলোর মধ্যে ধর্ষণ অন্যতম একটি। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সবসময়ই দুটো বিষয় দেখা যায়। একদল বলে কাপড়ের দোষ আরেক দল বলে মন মানসিকতার দোষ। এ নিয়ে শুরু হয় ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিও। যেহেতু বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ মুসলিম তাই ইসলামিক কথা উঠা স্বাভাবিক। ইসলামিক মতবাদ থেকে অনেকেই বলে, মেয়েদেরকে পর্দায় চলা উচিত। কিন্তু কেউ এটা বলে না সেই ইসলামেই প্রতিটি পুরুষকে তাদের দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
ঢাবির এই ছাত্রী ধর্ষনের ব্যাপারটা নিয়ে কিছু লোক এটাও বলছে যে, এই মেয়েটা যদি ছাত্রী না হয়ে সাধারণ কেউ হতো তাহলে কি এতো আন্দোলন হতো? আচ্ছা ঢাবির ছাত্রী মানে কি দেশে সর্বোচ্চ ভিআইপি নাকি? যেকোনো ছাত্রছাত্রী সাধারণ মানুষই তো। আচ্ছা এই আন্দোলনে কি শ্রমিকরাও নেমেছে? কর্মজীবীরা নেমেছে? ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মন্ত্রী-ব্যারিস্টাররা নেমেছে? না, এই আন্দোলনে শুধুমাত্র ছাত্ররা নেমেছে। এটা আমরা নিশ্চয়ই জানি যে, দেশের একটি বড় অংশ ছাত্রসমাজ। আমাদের প্রতিটা ঘরে কর্মজীবী থাকুক বা না থাকুক ছাত্র কম হলেও থাকে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে যে, বাংলাদেশের বড় বড় আন্দোলন গুলোর উৎপত্তি হয়েছে ছাত্র সমাজ থেকে। ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণ হয়েছে। তাই ঢাবির ছাত্রছাত্রীরা নেমেছে। এর সাথে অন্যান্যরাও ধীরে ধীরে যোগ দিয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কি আছে তা আমার বোধগম্য নয়।
ধর্ষক গ্রেপ্তার হয়েছে। তা নিয়েও আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন এমন মানুষ (ধর্ষক) ধর্ষণ করে কিভাবে? আচ্ছা ধর্ষণ করতে কি সুদর্শন হতে হবে? দেখতে শুনতে নায়কদের মতো হতে হবে? যেখানে ভিকটিম নিজে শনাক্ত করেছে, সেখানে আমাদের বলার কিছু থাকে না। হ্যাঁ, আড়ালে অনেক কিছুই থাকতে পারে। যদি নেগেটিভ ভাবতে থাকি তাহলে কোনো কিছুর শেষ নেই। তবে এই জনসাধারণের মনে সন্দেহ আসার ফলে এটা প্রমাণ হয় যে, আমাদের আইন ব্যবস্থার ওপর আমরা কতটা অসন্তোষ। দেশের আইন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ।
© মোঃ জোবায়ের বাপ্পী।
©somewhere in net ltd.