![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"রম্যঃ কিছুই না"
"মোঃ জোবায়ের বাপ্পী"
………
আসাদ ব্যাংকে এলো। জীবনে এই প্রথমই সে ব্যাংকে এলো। চেকের মাধ্যমে কিছু টাকা তুলবে। সচরাচর ব্যাংকের কাজগুলো আসাদের ছোট ভাই করে। আসাদের গ্রামের মানুষ। তাই ব্যাংকের কার্যপ্রণালী কিছুই জানে না। তবে চেকের ব্যাপারটা তার ভাই সব শিখিয়ে দিয়েছে। সইও করা আছে। শুধুমাত্র এমাউনটটা বসিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে দিলেই হবে। আসাদ আগে বাজারেএ লিস্ট করল। ইদের বাজার তাই খরচটা হিসাব নিকাশ করল। মোট নয় হাজার টাকা লাগবে। প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত পড়েছে সে। অল্পস্বল্প লিখতে জানে। ব্যাংকে এসে চেকের পাতাটা বের করে এমাউনটটা বসাতে লাগল। তখন তার পাশের একজনের দিকে একটু তাকালো। সেও চেকের পাতায় লিখছে। আসাদ আড়চোখে তার পদ্ধতি দেখল। যদিও আসাদের ভাই সব বুঝিয়ে দিয়েছে। তবুও নতুন পরিবেশে এসে মনের মধ্যে একটা খচখচে ভাব থাকেই। লোকটা চেকের পাতার উপরে নিজের নাম লিখে এমাউনট-এ লিখল, "পনেরো লক্ষ টাকা মাত্র।" এবার আসাদ নিজেরটা লিখে জমা দিল। দুজনে পাশাপাশি দুটা লাইনে এসে চেক জমা দিল। আসাদের চেক দেখে ব্যাংক কর্মকর্তা বললেন, “ভাই এমাউনট-এর শেষে মাত্র লিখতে হয়। আপনি কিছুই না লিখলেন কেন?”
“আরে ভাই উনি [পাশের লোকটা] পনেরো লক্ষ টাকা লিখেও মাত্র লিখেছেন। সেই তুলনায় আমার নয় হাজার টাকা তো কিছুই না। আপনিই বলেন ভাই, কোথায় পনেরো লক্ষ আর নয় হাজার!”
আসাদের কথা শুনে ব্যাংক কর্মকর্তা হা করে তাকিয়ে রইল। আশেপাশের লোকজন মুচকি মুচকি হাসতে লাগল। অতঃপর আসাদের চেক পাশ হলো না। একরাশ দুঃখ নিয়ে আসাদ বাসায় চলে এলো।
এটার কোনো মানে হয়? পনেরো লক্ষ টাকা যদি মাত্র হয় তবে নয় হাজার কি হবে তা আসাদ ভেবেই পাচ্ছে না। আসাদ মনে মনে ভেবে নিয়েছে, পরবর্তী চেকে নয় হাজার সামান্য লিখবে।
গল্পটি বাবার মুখে শোনা।
©somewhere in net ltd.