নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে জানতে ও ছড়িয়ে যেতে চাই।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী

আমি বাপ্পী। জন্মস্থান বরিশাল। বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের নামঃ ভালোবাসার প্রথম অনুভূতি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৪

"ভালোবাসার প্রথম অনুভূতি"
"মোঃ জোবায়ের বাপ্পী"
………
আমি প্রতিদিন রাতে ছাদে এসে কিছুক্ষণ সময় কাটাই। এই সময়ের পরিবেশটা আমার খুব ভালো লাগে। দূষণ মুক্ত পরিবেশ, শীতল হাওয়া, শব্দহীন নিস্তব্ধতা। সবমিলিয়ে মনোমুগ্ধকর একটা পরিবেশ। সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে আমি আমার সব ক্লান্তি উড়িয়ে দেই। প্রতিদিনের মত আমি আজও একই কাজ করছি। পরিবেশটা উপভোগ করছি এবং সিগারেটের ধোঁয়া উড়াচ্ছি। হঠাৎ মেয়েলী সুর পেয়ে আমি পিছে তাকালাম। মেয়েটা বলল, "সিগারেট খান, সেটা কি আন্টিকে বলবো?" আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। এই মেয়েকে আমি আগে কখনও দেখিনি। তাহলে এভাবে কথা বলল কেন? আর আমার আম্মাকেই বা কিভাবে চিনে? আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, "কে আপনি?" একটা ঢঙ্গী ভাব নিয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে মেয়েটা বলল, "আমি যেই হই, আপনি সিগারেট খাচ্ছেন কেন?" আমার মেজাজ বিগড়ে গেল। চিনি না জানি না কোত্থেকে এসে মেজাজ গরম করে দিল। আমি বেশ রাগ নিয়ে বললাম, "নিজের চরকায় তেল দিন।" "আচ্ছা ঠিক আছে। আমি আন্টিকে বলছি।" মেয়েটা সিঁড়ির দিকে পা বাড়াতেই আমি ডাক দিয়ে বললাম, "যেতে হবে না। ফেলে দিয়েছি।" একটা হাসি দিয়ে মেয়েটা বলল, "হে হে আমি তো আমার বাসায় যাচ্ছিলাম।"
এই হল নূরীর সাথে আমার প্রথম পরিচয়। তখন অবশ্য ওর নামটা জানতাম না। আমাদের যাত্রাটা যে আরও বড় হবে তখন সেটা বুঝিনি।

সকালে অফিসে যাওয়ার সময় গেইটের সামনে নূরীর সাথে আবার দেখা হলো। সাদা এপ্রোন পরে আছে। আমাকে দেখে সে দাঁত চেপে হেসে বলল, "আন্টিকে খুব ভয় পান, বুঝি?" আমি বেশ বিরক্ত হলাম। এ তো ইঁচড়েপাকা মেয়ে। আমি বিরক্তি নিয়ে বললাম, "ওটা ভয় নয়, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।" একটা মুচকি হাসি দিয়ে সে বলল, "গার্লফ্রেন্ডকেও বুঝি শ্রদ্ধা করেন?" এ তো ভারি ফাজিল মেয়ে। আমি জবাব না দিয়ে চলে গেলাম।
ও হ্যাঁ, নূরীর ব্যাপারে তো কিছু বলা হলো না। নূরীরা নতুন উঠেছে। বাবা মা সহ তিন সদস্যের পরিবার। অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ে। তথ্যগুলো আম্মার কাছে পেয়েছি। আম্মাই বলেছেন। আম্মার কাছে সেলাইয়ের কাজ শিখছে। ঘরে আমার রুমে আমার বেশ কিছু ছবি আছে। নিশ্চয়ই নূরী দেখেছে। সেই সুবাদে আমাকে চিনে। নয়তো আমাকে চেনার কথা নয়।
সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ও রাতে ছাদে নূরীর সাথে আমার দেখা হতে লাগলো। রাতে দেখা হলেই সিগারেটের ব্যাপারে ওয়ার্নিং দেয়। ইঁচড়েপাকা মেয়ে। আমি কথা না বললেও সে এসে বলতে থাকে। আম্মার ভয়ে কিছু বলতাম না। এভাবে সপ্তাহটা পেরিয়ে গেলো। শুক্রবার এলো। আমি ঘুমিয়ে আছি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমানোর সময় কানে তুলা দিয়ে ঘুমাই। যাতে সকালে মায়ের সেলাই মেশিনের শব্দ আমার ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায়। প্রায় ১১টার দিকে আমি ঘুম থেকে উঠলাম। দরজা খুলে যা দেখলাম তাতে আমি অবাক হয়ে গেলাম। মা ও নূরী বেশ হেসে হেসে কথা বলছে। অনেকদিন পর মাকে হাসতে দেখে খুব খুশি হলাম। এই প্রথম মেয়েটাকে কেন জানি ভালো লাগছে। মেয়েটার হাসিও খুব মায়াবী। কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেলাম। মায়ের ডাকে ঘোর কাটলো। "কিরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? হাত মুখ ধুয়ে আয়।" আমি তাড়াতাড়ি চলে গেলাম। নাস্তার টেবিলে বসলাম। মা নূরীকেও বসালো। নূরী সুযোগ বুঝে বলল, "লুকিয়ে লুকিয়ে মেয়ে দেখা ভালো না।"
আমি থতমত খেয়ে গেলাম। সর্বনাশ! ব্যাপারটা নূরী খেয়াল করেছে। আমি না জানার ভান করে বললাম, "মানে?" এরমধ্যেই মা নাস্তা নিয়ে চলে এলো। এই যাত্রা বেঁচে গেলাম।
নূরীর প্রতি প্রথম ভালোলাগা এখানেই শুরু।

নূরীর সাথে আম্মার সম্পর্ক বাড়তে লাগলো। রাতের খাবারের সময় আম্মার মুখে শুধু ওর প্রসংশা শুনি। একদিন তো রাতের খাবার নূরীই বানালো। আম্মাই শিখিয়ে দিয়েছে। আমার ফেভারিট কাচ্চি বিরিয়ানি। বেশ তৃপ্তি নিয়েই খেয়েছি। মায়ের পর নূরীর বিরিয়ানিটাই বেস্ট লাগলো। নিত্যদিনের মত সকালে অফিসে যাওয়ার সময় গেইটের সামনে নূরীর সাথে দেখা হলো। মেয়েটা ডাইরেক্ট একশন টাইপের। আমাকে সরাসরিই বলল, "বিরিয়ানি কেমন হয়েছে?" প্রশ্নটা করে জবাবের আশায় অধির আগ্রহ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি দুষ্টামি করে বললাম, "ভালো হয়নি। মশলার পরিমাণ কম ছিলো।" ভাবলাম নূরীর গোমরামুখটা একটু দেখবো। কিন্তু নূরী আমাকে অবাক করিয়ে হাসি দিয়ে বলল, "ওসব টুকিটাকি হয়। আস্তেধীরে পারফেক্ট হয়ে যাব।" আমি হাসি দিয়ে চলে গেলাম। যাক মেয়েটা সহজে হাল ছাড়ে না।
নূরীকে যে ভালোবেসে ফেলেছি তা প্রথম বুঝলাম এক বৃষ্টির রাতে। হঠাৎই সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু। ফলে ছাদে যেতে পারিনি। নূরীকে একনজর দেখার জন্য মনটা আনচান শুরু করলো। সারারাত ঘুমাতে পারিনি। নূরীর চেহারাটা চোখের সামনে ভাসতে লাগলো। বুঝলাম যে নূরী ছাড়া আমার আর পথ নাই। ওকে চাইই চাই। সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম। যা দেখে আম্মা কিছুটা অবাক হলো। নাস্তা পানি করে যথাসময়ে বেরিয়ে পড়লাম। সিঁড়ি দিয়ে উঁকি মেরে আছি। নূরীদের দরজা খোলার শব্দ হতেই তাকিয়ে দেখলাম নূরী বের হয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি নেমে পড়লাম। গেইটের সামনে দেখা হলো। একনজরে তাকিয়ে ছিলাম। মন কিছু বলতে চাচ্ছিলো কিন্তু আমি বলতে দেইনি। নূরী মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল, "রাতে ঘুম হয়নি?" আমি তো আকাশ হতে পড়লাম। নূরী কিভাবে বুঝলো? মন পড়তে পারে নাকি? আমি স্বাভাবিক হয়ে বললাম, "মেঘের গর্জনে একটু সমস্যা হয়েছে।" হাসি দিয়ে নূরী বলল, "মেঘ না ছাই তা আমি ভালোই বুঝি।" আমি তাড়াতাড়ি কেটে পড়লাম। নূরীর সামনে থাকলেই বিপদ।

এক রাতে ছাদে বসে হাওয়া খাচ্ছি। এখন আর রাতে সিগারেট খাই না। ওটা বাসায় আসার আগেই খেয়ে নেই। নিত্যদিনের মত নূরীও এলো। তবে আজ দূরে না থেকে আমার পাশে এসে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়ালো এবং বলল, "সিগারেট তো খান না তবে ছাদে আসেন কেন?" নূরীর এই কথার মাঝে কেমন যেন একটা রহস্যময় ভাব ছিলো। আমি ঘাবড়ে গেলাম। তাহলে কি ও বুঝে গেছে যে আমি ওর আশায় আসি? নূরী অনবরত এটা সেটা বলে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে আমিও নূরীর সাথে আড্ডায় মেতে উঠলাম। কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে নূরী চলে গেল। আমিও নেমে পড়লাম। দিনদিন মনের আবেগটা বেড়েই চলছে।
এক সকালে ওকে শাড়িতে দেখে অবাক হয়ে গেলাম। একটা মেয়ে যে শাড়িতে এত সুন্দর লাগতে পারে তা আমার জানা ছিলো না। আমি নূরীর দিকে নিষ্পলক ভাবে তাকিয়ে আছি। কখন যে নূরী আমার কাছে এসে দাঁড়ালো বুঝতেই পারলাম না। নূরীর চিমটিতে আমার ঘোর কাটলো। আমি হালকা চিত্‍কার দিয়ে বললাম, "এটা কি ধরণের অসভ্যতামি?" নূরী আমার দিকে কিছুটা এগিয়ে এলো। আমি পিছিয়ে গেলাম। পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলো। নূরী আর আমার মাঝে দূরত্ব ইঞ্চিখানেক। "আপনি যে ওভাবে তাকিয়েছিলেন সেটা বুঝি ভদ্রতা, হুহ?" কথাটা বলে আমার নাক টিপে নূরী চলে গেল। ভাগ্যিস মা তখন কাপড় শুকাতে গিয়েছিল। আমি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কী সাংঘাতিক মেয়ে! হৃদপিণ্ডে ঝড় তুলে দিয়েছে। নূরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। কিন্তু আম্মার ভয়ে বলার সাহস পাচ্ছি না।

নূরীর প্রতি আমার গুপ্ত অনুভূতি গুলো সুপ্ত হয়ে প্রকাশ হয় পহেলাবৈশাখে। ঘুম থেকে উঠে সামনের রুমে যেতেই নূরীকে দেখলাম। পহেলাবৈশাখের লাল সাদা শাড়ি পরেছে। মাথায় বেলী ফুল। হাতে কাঁচের চুড়ি। এত সুন্দরী লাগছে যে চোখ সরাতে পারছিলাম না। চোখ দুটো যেন অবশ হয়ে গেছে। প্রেমে পড়ে গেলাম। নাস্তা দিয়ে মা বলল, "নূরীকে নিয়ে একটু ঘুরে আয়। যে যুগ আসছে তাতে একা একা বাইরে যাওয়া ভালো না।" আমি তো এক পায়ে রাজি। কিন্তু একটু ভনিতা করলাম। মা জোর দিতেই রাজি হয়ে গেলাম।
মেলায় এসেছি। এদিক সেদিক ঘুরছি। তবে আমার মনে যুদ্ধ চলছে। একবার ভাবছি নূরীকে মনের কথা বলে দেই। আবার ভাবছি ও যদি আম্মাকে নালিশ দেয়? তাহলে তো সর্বনাশ। বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। চেহারার ভাবভঙ্গি মেয়েরা বুঝে যায়। এটা নারীর বিশেষ গুণ। নূরীও বুঝে গেল। বলল, "কি নিয়ে এতো ভাবছেন?" আমি হকচকিয়ে গেলাম। তবে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বললাম, "কিছু না।" একটা মুচকি হাসি দিয়ে নূরী বলল, "বুঝি। বুঝি। গার্লফ্রেন্ডের জন্য মন আনচান করছে?"
- আমার গার্লফ্রেন্ড টার্লফ্রেন্ড নাই।
- কেন নেই? দেখতে শুনতে তো ভালোই আপনি।
- এতো কথা কিভাবে বলেন?
নূরী একটা হাসি দিলো। তারপর বলল, "এড়িয়ে যাওয়ার পথ। বাই দ্যা ওয়ে আমরা কি কিছু খাব না? আপনার ক্ষুধা না লাগলেও আমার কিন্তু প্রচুর ক্ষুধা লেগেছে।"
হালকা নাস্তা করে আমরা আবার ঘুরতে বের হলাম। সামনে একটা পাহাড় আছে। নূরী সেখানে যেতে চাইলো। পাহাড়ে তার ভীষণ পছন্দ। আমিও নিয়ে গেলাম। নূরীর সাথে সময় কাঁটাতে ভালোই লাগছে। ঘড়ির কাটা বন্ধ করে দিতে পারলে মনে শান্তি লাগত। মেয়েটার মধ্যে একপ্রকার টান আছে। কেমন যেন আমাকে শুধু তার মায়ায় টানছে। পাহাড়ে উঠতে যেতে নূরীর জুতার হিল ভেঙে গেল। জুতা নিয়ে বেশ বিপাকে পড়লো নূরী। তা দেখে আমি হেসে উঠলাম। উপরে আসার জন্য নূরী আমার দিনে হাত বাড়ালো। আমি হাত না ধরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। তা দেখে নূরী বলল, "আরে কি হলো? দেখছেন না আমি হাঁটতে পারছি না। আমাকে উপরে তুলুন।" আমার কি হলো তা আমি জানি না। আমি নূরীর দিকে তাকিয়ে বললাম, "ধরতে পারি, এক শর্তে। যদি হাতটা আজীবন ধরে রাখার অধিকার দাও।"

নূরী তার চোখ দুটো বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে যেন আমি কোনো এলিয়েন। হয়তো আমার কথা শুনে সে বিশ্বাস করতে পারেনি। ঘোর কাটিয়ে নূরী বলল, "কি বললেন আপনি?"
- কেন তুমি শুনতে পাওনি?
- আবার বলেন।
আমি আবার বললাম, "হাতটা ধরতে পারি যদি আজীবন ধরে রাখার অধিকার দাও।"
আমাকে অবাক করে নূরী বলল, "দিতে পারি এক শর্তে। যদি আজীবন ধরে রাখার প্রতিজ্ঞা করেন।"
আমি নূরীর হাতটা ধরে টান দিলাম উপরে তুলার জন্য। হঠাৎ টান দেয়ায় নূরী প্রস্তুত ছিলো না। তাই নিজের ব্যালেন্স ধরে রাখতে পারেনি। সোজা এসে আমার বুকে ঠাঁই পেল। এতে নূরী বেশ লজ্জা পেল। ঘন কালো কেশের আড়ালের নিজের সূর্য্যমুখী মুখটা ঢাকার বৃথা চেষ্টা করতে লাগলো। আমি নূরীর চুল গুলো সরিয়ে বললাম,
"আজ সূর্যটাও তোমায় দেখে হিংসায় জ্বলছে,
তার চেয়ে আলোকিত চেহারা যে পৃথিবীতে আছে,
এই রূপ দর্শনের জন্য চাঁদটা চাইছে শীঘ্রই জাগতে
আমার এই মন চাইছে তোমায় ভালোবাসতে।"
আমার আগোছালো কবিতা শুনে নূরী হেসে দিল। আমরা পাহাড়ের শেষ কিনারায় যেতে লাগলাম। সেখান থেকে সূর্যাস্ত দেখতে খুব সুন্দর লাগে। হাঁটতে হাঁটতে নূরী আমাকে অনেক কিছুই বলল। আমাদের কলেজে এইচএসসি হল পরে। পরীক্ষা দিতে এসে নূরী আমাকে সেখানেই দেখেছে। আমি কলেজে সামাজিক কর্মকান্ড করি। এই নিয়ে কলেজের নোটিশবোর্ডে বেশ কিছু ছবিও আছে। সেই থেকে নূরী আমাকে পছন্দ করে। এখানে বাসা ভাড়া নেয়াটাও নূরীর চালাকি ছিলো। হাসতে হাসতে নূরী এসব বলল। আমি শুধু তার হাসিটা মন ভরে দেখে যাচ্ছি। এ যেন এক প্রশান্তি। সূর্যাস্ত দেখার অপেক্ষায় আমরা পাহাড়ের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের পথচলার স্বাক্ষী হয়ে রইলো এই পাহাড় ও গোধূলী।
— — — — — × × × × × — — — — —

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.