![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্পের নামঃ আশ্রয়স্থল।
লিখেছেনঃ মোঃ জোবায়ের বাপ্পী।
চোখদুটো বিস্ফোরিত হয়ে আছে নূরীর। একটু আগে আসাদের বলা কথাটা এখনো তার বিশ্বাস হচ্ছে না। “আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমার হাতে হাত রেখে একটা সুন্দর জীবন সাজাতে চাই।” নূরী সবেমাত্র অনার্স শেষ করেছে। আসাদ এমবিএ শেষ করে একটা ব্যাংকে চাকরি করছে। দুজনের পরিচয় ভার্সিটিতে। ভার্সিটির এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুজনের বন্ধুত্ব হয়েছিল। ভার্সিটির এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুজনের বন্ধুত্ব হয়েছিল। সেই থেকে চারটা বছর ধরে একে অপরের বন্ধু। আসাদ সিনিয়র হলেও নূরীর সাথে তার বন্ধুত্বটা বেশ ঘনিষ্ঠ। আসাদের ডাকে নূরীর জড়তা ভাঙলো, “কি হলো? কিছু তো বলো।”
- আসলে আমি তোমাকে নিয়ে ওভাবে ভাবিনি। তোমাকে খুব কাছের বন্ধু ভাবতাম।
- একটা মেয়ের কাছে তার স্বামীই সবচেয়ে কাছের বন্ধু।
- আমি তোমাকে শুধু বন্ধুই ভাবি না, সম্মানও করি।
- স্ত্রীর কাছে স্বামীই সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি।
নূরী চুপ হয়ে গেল। আসাদ বুঝতে পারছে যে নূরী তার মনের সাথে যুদ্ধ করছে। তবে যুদ্ধটা এখন পর্যন্ত পজেটিভ আছে। নয়তো এতক্ষণে নূরী চলে যেতো কিংবা রাগারাগি শুরু করতো। এখন শুধু নূরীকে একটু বুঝাতে হবে।
- তোমার তো এখন অনার্স শেষ। কিছুদিন পর তোমার বাবা নিশ্চয়ই পাত্র দেখা শুরু করবেন। যদি তুমি রাজি হও তবে আজই বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে পারি। বিশ্বাস রাখতে পারো তোমার হাত কখনোই ছাড়বো না।
নূরী চুপ করেই আছে। আসাদ তাড়া দিয়ে বলল, “কিছু তো বলো!”
- কবে থেকে ভালোবাসো?
- প্রথম দিন থেকেই।
- তবে এতদিন বলোনি কেন?
- ভয় ছিল।
- আজ সাহস কোথায় পেলে?
- যাতে দেরি না হয়ে যায়।
- হুম।
- বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো?
মুচকি হাসি দিয়ে নূরী বলল, “জ্বি না জনাব। আপনি এতদিন লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করেছেন। এবার আমি প্রেম করবো। অনার্সের ফলাফল দেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রেম করবো। তারপর বিয়ে নিয়ে ভাববো।”
আসাদ এক প্রশান্তির হাসি দিলো। শুরু হলো আসাদ-নূরীর পথচলা।
প্রতিটি ভালোবাসার ক্ষেত্রে যেমন চড়াই উতরাই আসে তেমনি তাদের ভালোবাসাতেও এসেছে। একটু বেশিই এসেছে। আজ তাদের দেখা করার কথা। নূরী এসে আগেই বসে আছে। আসাদ কিছুটা দেরি করে এলো। এতে নূরী রেগেমেগে আগুন।
- তোমার কি বুদ্ধিশুদ্ধি নাই? কতবার বলেছি তাড়াতাড়ি আসতে?
- আরে আস্তে। আশেপাশের সবাই দেখছে তো।
নূরী আরও চেচিয়ে বলল, “তাতে আমার কি? এতক্ষণ আমি অপেক্ষায় ছিলাম, তুমি না।”
- আচ্ছা শান্ত হও। বুঝোই তো যানযটের শহর।
- অজুহাত দিবা না।
- আচ্ছা স্যরি। এই দেখ কানে ধরেছি। এবার তো রাগ থামাও।
নূরী আস্তে আস্তে শান্ত হলো। অতঃপর কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে আসাদ নূরীকে বাসায় পৌঁছে দিলো।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে আসাদকে ফোন করছে নূরী। কিন্তু রিসিভ হলো না। ঘণ্টাখানেক পর আসাদ ব্যাক করলো।
- কেমন আছ?
- আগে বলো তুমি রিসিভ করোনি কেন?
- প্রেজেন্টেশন নিয়ে ব্যস্ত আছি।
- ব্যস্ত নাকি ইগনোর করছো?
- আহা এমন ভাবো কেন?
- আসাদ, সত্যি করে বলো তুমি কি এই রিলেশন রাখতে চাচ্ছো না?
- দেখ নূরী, এমনিতেই প্রেজেন্টেশন নিয়ে অনেক চাপে আছি। তুমি আবার চাপ দিও না।
- ও আচ্ছা এখন তো আমার সাথে কথা বলতেই তোমার কাছে চাপ লাগে। তুমি আমাকে সরাসরি বলে দাও যে রিলেশন রাখতে চাচ্ছো না।
এবার আসাদও কিছুটা রেগে গেল।
- আমি চাচ্ছি না? আমার তো মনে হচ্ছে তুমি চাচ্ছো না। তাই প্রতিনিয়ত অহেতুক এটা সেটা নিয়ে ঝগড়া করেই যাচ্ছো।
অতঃপর একটা তুমুল ঝগড়া হলো। আসাদ বকাঝকা করে ফোন রেখে দিলো।
প্রায় দুদিন ধরে নূরী ফোন বন্ধ করে রাখলো। তাই আসাদ চেয়েও যোগাযোগ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে ভার্সিটিতে এলো। নূরী একটা প্রয়োজনে প্রায়ই ভার্সিটিতে যায়।
- নূরী, স্যরি বাবু।
- প্লিজ এখানে কোনো তামাশা করো না।
আসাদ হাটু গেড়ে বসে পড়লো।
- প্লিজ মাফ করে দাও। আর কখনোই রাগ করবো না।
নূরীর বান্ধবীরা সবাই বলতে লাগল, “মাফ করে দে। এমন পাগল পাবি না।”
- ঠিক আছে উঠো। আর যদি ………
- আর কখনোই হবে না।
এই‚ “হবে না” শব্দটার শেষ হলো না। প্রায় তাদের মাঝে ঝগড়া হতে লাগল। দোষ যারই হোক স্যরি সবসময়ই আসাদ বলে। তবুও দিনদিন সম্পর্কের অবনতি হতে লাগল। এই নিয়ে আসাদ বেশ চিন্তায় পড়লো। নূরীকে হারানোর ভয় তাকে তাড়া করতে লাগল। তাই নূরীর ফলাফল বের হতেই আসাদ তার বাবা মাকে নূরীর ব্যাপারে বলল। তারপর পারিবারিক ব্যবস্থা নেওয়া হলো। দুই পরিবার নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করলো। তারপর বিয়ের দিন তারিখ নির্ধারণ করলো। এতেও নূরী বেশ ক্ষেপলো। এসব করার আগে তার অনুমতি নিলো না কেন, সে এখন বিয়ে করতে চায় না, আরও পড়তে চায়। হেনতেন আরও অনেক কথা। তবুও পারিবারিক ব্যবস্থা হওয়ায় বিয়েটা হয়ে গেল।
বিয়ে হলেও তাদের ঝগড়া কমলো না। প্রতিনিয়ত খুটিনাটি ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া হতেই লাগলো। আসাদ সেই আগের মতোই স্যরি বলে যেতে লাগল। সব ত্যাগ-বিসর্জন আসাদ একাই করতে লাগল। তাদের মধ্যে অনেকটাই একপাক্ষিক ভালোবাসা চলতে লাগল।
এভাবেই চলতে চলতে একদিন খুশির খবর এলো যে আসাদ বাবা হতে চলেছে। দুই পরিবার আনন্দে নেচে উঠলো। নূরীকে ঘিরে সবার আনন্দ ফূর্তি। অজস্র ভালোবাসার সাথে নানারকম পরামর্শ নূরীকে দিতে লাগল। নূরীর প্রতি আসাদের যত্ন আগের চেয়েও বৃদ্ধি পেল। ভালোবাসার মেঘে নূরীও ভাসতে লাগল। এভাবে সময় গড়িয়ে গেল। অবশেষে নূরী একটা ফুটফুটে ছেলে জন্ম দিলো। হাসপাতালের কেবিনে ঢুকে আসাদ তার নবজাতক ছেলের দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলল, “এক অসহ্য যন্ত্রণা থেকে আমাকে বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।”
নূরী ও ছেলেকে ডিসচার্জ করে বাসায় আনা হলো। আয়োজন করে ছেলের নাম রাখা হলো ইশান। কিছু মাস বেশ ভালোই গেল। কিন্তু তারপরেই নূরী লক্ষ্য করলো আসাদের মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আগে বেশ গুছিয়ে চলতো। নিজের কাপড়চোপড়, ফাইলপত্র সবকিছু নিজেই গুছিয়ে রাখতো। কিন্তু ইদানিং সবকিছু এলোমেলো রাখছে। এক রাতে আসাদ অফিস থেকে ফিরে এসে শার্টটা খুলে চেয়ারের রাখলো।
- কি ব্যাপার? বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি তুমি সবকিছু এলোমেলো রাখছো।
- তোমাকে রেখেছি কি জন্য?
নূরীর চোখদুটো বড় বড় হয়ে গেল। “রেখেছ মানে?”
- কেন? বাংলা বুঝো না?
- তুমি এভাবে কথা বলছো কেন?
- আমি এভাবেই বলব। তোমার যদি ভালো না লাগে তবে কথা না বললেই হয়।
নূরী আকাশ থেকে পড়লো। এসব কি বলছে আসাদ?
- তুমি কি ঝগড়া চাও?
- আমি তোমার সাথে কথাই বলতে চাই না।
আসাদ তার ব্যাগটা সোফায় ছুড়ে মেরে চলে গেল। নূরী অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। আসাদের এমন রূঢ় ব্যবহার সে আগে কখনো দেখেনি।
এক বিকালে নূরী আদুরে সুরে বলল,
- এই শুনো না, আমার না খুব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে।
- আমি কি আইসক্রিমওয়ালা?
আসাদের এমন রূক্ষ জবাবে নূরীর মনমানসিকতা বিগড়ে গেল। নূরী বলল, “আমি দেখছি ইদানিং তুমি আমার সাথে রগচটা কথা বলছো। কি সমস্যা? এখন আমাকে আর ভালো লাগে না বুঝি?”
- এসব ন্যাকামী সহ্য করার মতো সময় আমার নেই।
- আগে তো এগুলো আবদার ভাবতে। এখন ন্যাকামী ভাবো কেন?
- হ্যাঁ ন্যাকামীই। অনেক সহ্য করেছি আর নয়।
একটু চুপ থেকে নূরী বলল,
- যখন সহ্য হয় না তাহলে এক ছাদের নিচে থাকার প্রয়োজন কি? আমি চলে গেলেই তো তোমার লাভ, তাই না?
আসাদ উঠে আলমারিটা খুলল। তারপর কিছু কাগজপত্র নিয়ে নূরীর সামনে রেখে বলল, “এই নাও ডিভোর্স পেপার। সাইন করে যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারো।”
নূরী আকাশ থেকে পড়লো। আসাদ ডিভোর্স পেপারও প্রস্তুত করে রেখেছে?
- কি হলো? সাইন করো।
- কার জন্য আমার এই সাজানো সংসারে আগুন দিচ্ছো? ইশানের কি হবে তা কি একবারও ভাবোনি? কার মোহে পড়েছ?
- হা হা হা। ইশানের চিন্তা তোমার করতে হবে না। ওর জন্য নতুন মা আনবো। আর আমি ঠিক থাকলে আমার সন্তানকে সে কষ্ট দিতে পারবে না।
- মানে কি?
- মানে হলো ইশান আমার কাছেই থাকবে।
নূরীর চোখ দুটো টলমল করতে লাগল। এটা তার আসাদ নয়। তার আসাদ কখনোই এভাবে কথা বলতে পারে না।
- আমি ইশানকে ছাড়া কিভাবে বাঁচবো?
- যে মেয়ে তার স্বামীকে ভালোবাসে না। সে মেয়ে নিশ্চয়ই সন্তানকেও ভালোবাসতে পারবে না।
- আমি ভালোবাসি না? বরং তুমি বাসো না। তাই তো ডিভোর্স পেপারও প্রস্তুত করে রেখেছ। পরনারীতে আসক্ত হয়েছ তুমি।
- আমি তর্ক চাই না। সাইন করে চলে যেতে পারো।
নূরী ধপাস করে বিছানায় বসে পড়লো। তারপর মাথায় হাত দিয়ে নীরবে কাঁদতে লাগল। আসাদ তার কাজ করতে লাগল যেন কিছুই হয়নি। কিছুক্ষণ পর নূরী বলল, “মেয়েটা কে? তোমার অফিসেই চাকরি করে বুঝি?”
- আমি কথা বলতে আগ্রহী না।
নূরী উঠে চলে গেল। তারপর শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে নিয়ে এলো। কেঁদে কেঁদে বলল, “দেখেন বাবা, আপনার ছেলে পরনারীতে আসক্ত হয়ে তালাকের কাগজপত্রও প্রস্তুত করে রেখেছে।” আসাদের বাবা বললেন, “এসব কি আসাদ? আমি তোমার থেকে এসব আশা করিনি। এই শিক্ষক তো আমি তোমাকে দেইনি।” মুচকি হাসি দিয়ে আসাদ বলল, “আগে কাগজগুলো ভালো করে দেখো।” আসাদের বাবা ভালো করে পেপারগুলো দেখলো। তারপর হাসি দিয়ে বললেন, “তাহলে এই নাটক করার কারণ কি?”
- পরে বলব। এখন তোমরা একটু বাইরে যাও। ওর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
তারা চলে গেলেন। নূরী বোকার মতো দাঁড়িয়ে রইলো।
আসাদ বলতে লাগল, “ইশান জন্মের আগে কখনো আমাকে দেখেছ তোমার সাথে রূঢ় ব্যবহার করতে? আমাদের মাঝে বিয়ের আগে ও পরে যতো ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে সবসময় স্যরি আমিই বলেছি। তুমি কখনোই আমাকে গুরুত্ব দাওনি। আমি সবসময়ই তোমাকে হারানোর ভয়ে থাকতাম। তাই বিয়েটাও তাড়াতাড়ি করে ফেলি। কিন্তু তুমি বিয়ের পরেও পরিবর্তন হওনি। তোমার মাঝে সেই একরোখা ভাব থেকেই গেল। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সন্তানের জন্মের পর তোমাকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। আমি দেখতে চেয়েছিলাম তোমার মাঝে মায়া মমতা আছে কিনা। আজ যদি তুমি ঝগড়া করে ব্যাগ গুছাতে তবে আমি আর কখনোই তোমার মুখ দেখতাম না। কিন্তু তুমি বাবা মাকে ডেকে এনে প্রমাণ করেছ যে সংসারের প্রতি তোমার মায়া আছে। তাই ভাবছি সংসারটা করেই যাব। যদি তুমি ঝগড়াবিবাদ না করো।”
নূরী চুপচাপ শুনে গেল আসাদের কথা। আসাদের মনে এত অভিমান জমে ছিল তা নূরীর জানাই ছিল না।
- তোমার মনে যে এত অভিমান জমে ছিল তা আগে বলোনি কেন?
- যখন ঝড় আসে তখন একটা আশ্রয়স্থল প্রয়োজন। এতদিন আমার আশ্রয়স্থল ছিল না। ইশান আসায় আমার সেই স্থানটা হয়েছে। আমি তোমাকে হারাতে চাই না। তাই সবসময়ই তোমার কথা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমি তো মানুষ। সহ্যের একটা সীমা আছে। আমি আর পারছিলাম না সহ্য করতে তাই এসব করেছি। তবে বিশ্বাস করো আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি ব্যতীত এই বুকে আর কোনো মেয়েকে স্থান পাবে না।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে নূরী আসাদের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো। হু হু করে কাঁদতে লাগল। আসাদও চুপ করে রইলো। কাঁদুক, এতে মন হালকা হবে। নূরী বলল, “আর কোনো মেয়েকে বুকে নিবে না?
- কখনোই না।”
- যদি ছোট ছোট হাত তোমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বুকে নেওয়ার ইশারা করে তবুও বুকে নিবে না?
আসাদ নূরীর দিকে তাকালো। নূরী তার লজ্জা মাখা মুখ আসাদের বুকে গুজে দিলো। আসাদ শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো নূরীকে। তারপর বলল,
- অবশ্যই নিবো। সে যে আমাদের ভালোবাসার ফুল হবে।
নূরী চুপচাপ নিজেকে আসাদের মাঝে ডুবিয়ে দিতে লাগল। ঠিক তখনই ইশান তার অস্তিত্বের জানান দিলো। নূরী নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো। দুজনে এসে ইশানের দু পাশে বসলো। বাবা মাকে দেখে ইশান যেন আনন্দে হাত পা নাচাতে লাগল। তা দেখে নূরী ফিক করে হাসি দিলো। আর আসাদ তার দুই ভালোবাসাকে দুচোখ ভরে দেখতে লাগল। এই তো ভালোবাসা। এই তো সুখের সংসার।
©somewhere in net ltd.