নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে জানতে ও ছড়িয়ে যেতে চাই।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী

আমি বাপ্পী। জন্মস্থান বরিশাল। বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের নামঃ মায়ের ভালোবাসা।

২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

“মায়ের ভালোবাসা”
“মোঃ জোবায়ের বাপ্পী”
………
ট্রেন লাইনের পাশে বসে আছি। মায়ের সাথে ঝগড়া করে ভাত না খেয়ে বেরিয়ে পরেছি। হঠাৎ আমার সামনে হওয়া একটা দৃশ্য আমার নজরে পড়লো। শহরে সাধারণত ট্রেন লাইনের পাশে ছোট ছোট কুঁড়ে ঘরে মানুষ তাদের সংসার তৈরি করে। দৃশ্যটা সেই কুঁড়ে ঘরেরই। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছি। কোথা থেকে কুড়িয়ে আনা কিছু খাবার বাছাই করতেছেন মহিলাটা। বাছাই করে খাবার গুলোকে দুইভাগে ভাগ করলেন। দেখে মনে হলো, খাবার গুলো থেকে ভালো এবং খারাপ পৃথক করলেন। কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে এসে হাজির হলো। কথাবার্তা শুনে বুঝলাম যে মহিলাটার ছেলে। মহিলাটা তার ছেলেকে সেই ভাগ করা খাবার থেকে একভাগ দিয়ে দিলেন। যা দেখতে অন্য ভাগটা থেকে ভালো। ছেলেটা খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়লো
-
মহিলাটা অপর ভাগটাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করলেন। এক ভাগ ভালো অন্য ভাগ অপরটার অপেক্ষা কিঞ্চিত খারাপ। আমি মন দিয়ে মহিলাটার প্রতিটি কাজ লক্ষ্য করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর মাঝবয়সী একজন এসে হাজির হলো। কথাবার্তায় বুঝলাম লোকটা তার স্বামী। তিনি তার স্বামীকে ভালো ভাগটা খেতে দিলেন। লোকটা খেয়েদেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। তারপর মহিলাটা শেষ ভাগটা খেয়ে নিলেন। তাও অন্যান্যদের অপেক্ষা খুবই কম। কিন্তু যখন লোকটা জিজ্ঞেস করেছিল খেয়েছে কিনা তখন মহিলাটা হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়েছিল।
.
এই দৃশ্যটা দেখে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। মায়ের সাথে সামান্য ঝগড়া করে না খেয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। দৌড়ে ছুটে গেলাম বাসায়। বেল বাজাতেই মা দরজা খুলে দিলেন। যেন আমার অপেক্ষাতেই ছিলেন। মায়ের মুখে রাগের চিহ্নমাত্র দেখতে পেলাম না। উল্টা ভালবাসার সাথে মা বলল তাড়াতাড়ি খেয়ে নে। এভাবে না খেয়ে থাকতে নেই। অসুখ হবে। ইত্যাদি আরও অনেক কথা। মাকে আবদার করে বললাম মা আজ তুমি খাইয়ে দাও। তবুও মা বিরক্ত হলেন না। বরং তাড়াতাড়ি খাইয়ে দেয়া শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর মনে পড়লো মা খেয়েছে কি? জিজ্ঞেস করাতে মা বলল আমাকে খাইয়ে দিয়ে তারপর খাবেন। কিছু বলার ভাষা খুঁজে পেলাম না। চুপচাপ খেয়ে নিলাম।
.
মায়েরা সত্যিই অদ্ভুত। সন্তানের জন্য নিজের প্রাণটাও বিসর্জন দিতে পারেন। তবুও আমরা প্রায় সময়ই তাদের কষ্ট দিয়ে থাকি। মায়ের ভালবাসার ঋণ গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলেও শোধ হবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.