নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে জানতে ও ছড়িয়ে যেতে চাই।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী

আমি বাপ্পী। জন্মস্থান বরিশাল। বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের নামঃ পরিকল্পনা।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৭

গল্পের নামঃ পরিকল্পনা।
লিখেছেনঃ মোঃ জোবায়ের বাপ্পী।

আসাদ শার্ট প্যান্ট পরে তৈরি হয়ে নাস্তার জন্য টেবিলে বসলো। সোফায় বসে পত্রিকা পড়ছেন তার বাবা মঈনূদ্দীন। পাশে বসে আছেন মা রুকমনি। আসাদ ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে নূরীকে ডাক দিলো। নূরী রান্নাঘর থেকে রুটি ও ভাজি নিয়ে ছুটে এলো, “ইসস! স্যরি স্যরি আজ একটু দেরি হয়ে গেছে।” আসাদ রুটির টুকরো নিয়ে তাতে ভাজি মিশিয়ে মুখে দিলো। কিন্তু সেটা গলা থেকে নামলো না। স্বাদহীন খাবার আসাদ খেতে পারে না। ভাজিতে একদম লবণ হয়নি। রুটিও পোড়া পোড়া। আসাদের মেজাজ বিগড়ে গেল। নূরীকে বলল, “কি এসব? এসব কি? কি রান্না করেছ? ঠিকমতো রান্নাটাও করতে জানো না? তোমার মা কি তোমাকে কিছুই শেখায়নি? এতগুলো বছর কি করেছ ওই বাড়িতে? সারাক্ষণ প্রেম-পিরিতি করেছ তাই না?” নূরী অবাক হয়ে গেল। শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সামনে আসাদ তাকে এভাবে অপমান করবে তা সে ভাবতেও পারেনি। নীচু স্বরে বলল, “তুমি এভাবে কথা বলছো কেন? বাবা-মা দেখছেন তো।” আসাদ বাটিটা ধরে ছুড়ে মারলো। কাচের বাটিটা মেঝেতে পড়ে খানখান হয়ে গেল। নূরী ভয়ে আঁতকে উঠলো। দুই-চার কদম পিছিয়ে গেল। আসাদ চেঁচিয়ে বলল, “যখন কিছুই করার যোগ্যতা নেই তো বিয়ে করার সাধ জেগেছিল কেন? তোমার জন্য আমার জীবন জাহান্নামে পরিণত হয়েছে। আসলে দোষটা তোমার না। দোষ তোমার বাবা মায়ের। মেয়েকে এতোই আদর যত্নে লালনপালন করেছে যে একটা অকর্মা বানিয়েছে।”
- তুমি আমার বাবা-মাকে নিয়ে কথা বলছ কেন? যা বলার আমাকে বলো।
আসাদের রাগ আরও বেড়ে গেল। বলল, “তোর চৌদ্দগোষ্ঠী নিয়ে বলব। কি করবি তুই?”
- আমার সহ্যের সীমা কিন্তু পেরিয়ে যাচ্ছে।
- হুমকি দিচ্ছিস নাকি? তোর মতো মেয়ের আবার কিসের ধৈর্য্য-সহ্য? সীমা পেরোলে …………
তাদের এই ঝগড়া অবশেষে ব্যাগ পর্যন্ত গিয়ে থামল। নূরী তার ব্যাগপত্র নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। আসাদ বা তার বাবা-মা কেউই নূরীকে থামায়নি। অশ্রুশিক্ত চোখে নূরী চলে গেল।

নূরী চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর রুকমনি বললেন, “দেখলি তো, প্রেমের বিয়ের পরিণতি। আগেই বলেছিলাম এই মেয়ে সংসারী হতে পারবে না। আমার কথা তো শুনলি না। এখন বুঝ।” আসাদ উঠে দাঁড়ালো। অফিসের উদ্দেশ্যে পা বাড়াতে লাগল। তখন রুকমনি আরও বললেন, “দাঁড়া, ফ্রি পাউরুটি-বাটার আছে। তা খেয়ে যা।”
- আমার ক্ষুধা নেই।
- থাকবে কি করে? সকাল সকাল ঝগড়া করলে ক্ষুধা থাকে নাকি? কিন্তু এখন এসবের সাথেই অভ্যস্ত হয়ে যা। ঝগড়া তো এখন তোর নিত্যদিনের সঙ্গী হয়েছে। আমার কথা শুনলে আজ এই দিন দেখতে হতো না।
রুকমনি নিজের কপালে হাত চাপড়াতে চাপড়তে আরও বললেন, “এই বুঝি ছিল আমার কপালে? এতদিনের সাজানো গোছানো সংসারে এখন সারাক্ষণ ঝগড়াঝাঁটি দেখতে হচ্ছে।” আসাদ বেরিয়ে গেল।

নূরীর বাসা ঘণ্টা পাঁচেকের পথ। বাস ধরে সে বাসায় চলে এসেছে। তাকে দেখে তার মা শেফালী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “কিরে ব্যাগ হাতে তুই একা যে? জামাই কই?” নূরী কোনো জবাব না দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়লো। শেফালীও আর কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। হালকা নাস্তা পানি দিয়ে মেয়ের পাশে বসলেন। তবে নূরী কিছু মুখে দেয়নি। হঠাৎই নূরী কেঁদে উঠলো। তারপর সকালের ঘটনা বিস্তারিত সব বলল।
- জানো মা, আগে ও এমন ছিল না। আগে আমাকে কখনোই বকাঝকা করতো না।
- প্রেমের সময় ছেলেরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। কিন্তু বিয়ের পর তাদের তেতো ভাবটা বেরিয়ে আসে।
নূরী ওড়না দিয়ে মুখ চেপে কাঁদতে লাগল। শেফালী তার স্বামীকে কল করে বাসায় আসতে বললেন। প্রায় সন্ধ্যা নাগাদ নূরীর বাবা নূরুজ্জামান বাসা এলেন। সব শুনে বললেন, “এমনটা হবে তা আমি আগেই জানতাম। তখন কতবার বারণ করেছিলাম। কিন্তু আমার কথা শুনিসনি। এখন বুঝলি তো মজা? বাবা মা কি কখনো সন্তানের খারাপ চায়? সেদিন যদি আমাদের কথা শুনতি তাহলে আজ এই দিন দেখতে হতো না।” নূরী চুপচাপ বসে রইলো। তারপর উঠে রুমে চলে গেল।

সকাল হতেই নূরী তার ব্যাগপত্র নিয়ে চলে গেল। শেফালী শত চেষ্টা করেও থামাতে পারেননি। নূরীর একটাই কথা সে এখানে এসেছিল মানসিক শান্তির জন্য। কিন্তু এখানেও তাকে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। নূরী আবার আসাদের বাড়ি ফিরে এলো। বন্ধের দিন হওয়ায় আসাদ ঘরেই ছিল। নূরীকে দেখে রুকমনি বললেন, “আসাদ বাবা কই তুই? দেখ তোর বউ আবার চলে এসেছে।” আসাদ রুম থেকে বেরিয়ে এসে বলল, “একদিনেই চলে এলে যে? ওখান থেকেও বের করে দিয়েছে নাকি?” নূরী ব্যাগটা রেখে নিজ রুমে চলে গেল। দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দিলো। বাইরে থেকে আসাদ নানারকম কথাবার্তা বলতে লাগল। নূরীর বাবা মা তাকে কিছু শেখায়নি। আচার-আচরণ শেখায়নি। অযোগ্য একটা মেয়ে। এসব বলতে লাগল। নূরী ফোন বের করে তার মাকে কল করলো। কেঁদে কেঁদে বলল, “মা প্লিজ তোমরা আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। আমি আর এই সংসার করবো না।”

সন্ধ্যা হওয়ার আগেই নূরীর বাবা মা এসে উপস্থিত হলো। ঘরে পা রাখতেই নূরুজ্জামান হুংকার দিয়ে বললেন, “কোথায় আমার মেয়ে?”
রুকমনি - আস্তে কথা বলুন। এটা ভদ্রলোকদের বাড়ি।
শেফালী - আমরা এখানে কথা বলতে আসিনি। আমাদের মেয়েকে নিয়ে যেতে এসেছি। ও কোথায়?
রুকমনি - নবাবজাদী তো সেই সকাল থেকে রুম বন্ধ করে বসে আছে। কপাল ভালো আমার হাত পা এখনো সচল আছে। নয়তো না খেয়েই দিন কাটাতে হতো।
আসাদ - বসুন। আমি ওকে নিয়ে আসছি।
নূরীর বাবা মা বসলেন না। আসাদ রুমের কাছে এসে নূরীকে বলল, “নূরী, তোমার বাবা মা তোমাকে নিতে এসেছে।” নূরী দরজা খুলে বের হলো। সোজা রান্নাঘরে চলে গেল। চা বিস্কুট নিয়ে এসে বলল, “দাঁড়িয়ে আছ কেন? বোসো।” নূরীর বাবা-মা কিছুটা অবাক হলেন। নূরীর চোখেমুখে কষ্টের কোনো ছাপ নেই। একদম স্বাভাবিক দেখাচ্ছে। তারা চুপচাপ বসে পড়লেন। নূরী বিস্কুট এগিয়ে দিয়ে বলল, “জার্নি করে এসেছ। কিছু খেয়ে নাও।” তারা দুএকটা বিস্কুট মুখে দিলেন। এদিকে আসাদের বাবা মাও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। আসাদ নূরীকে বলল, “তুমি শুরু করবে নাকি আমি?”
- তুমিই শুরু করো।
আসাদ তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল, “আচ্ছা মা বলো তো, কোনো স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয় না?”
- এটা কেমন প্রশ্ন?
- আহা! বলোই না।
- সবার মাঝেই টুকিটাকি হয়। এটাই স্বাভাবিক।
- আচ্ছা মা এবার বলো তো ঘরে যখন ছোটদের মধ্যে তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হলে তখন মুরব্বীদের দায়িত্ব কি?
- ছোটদেরকে বুঝানো।
- তোমরা আমাদেরকে কখনো বুঝিয়েছ?
রুকমনি এবার চুপ হয়ে গেলেন। তিনি বুঝতে পারলেন এই আয়োজনের আসল উদ্দেশ্যে অন্যকিছু। আসাদ আরও বলল, “গতকাল, নূরীর সাথে ঝগড়ার পর তুমি আমাকে এটা উপলব্ধি করিয়েছিলে যে, নূরীকে বিয়ে করা আমার ভুল ছিল। অথচ তোমার উচিত ছিল আমাকে বুঝানো। রান্নাবান্নায় উনিশ-বিশ হয়। এতে রাগ করার কিছু নেই। এসব বলা উচিত ছিল। আচ্ছা মা তোমার কি কখনো রান্নাবান্নায় ভুল হয়নি?” আসাদ এবার তার বাবাকে বলল, “বাবা, সবাই বলে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ। তোমার নীরবতাকে আমার সেটাই মনে হচ্ছে। নয়তো গতকাল আমি যখন বাটি ভেঙেছিলাম তখন তোমার উচিত ছিল আমাকে বকা দেওয়া। কিন্তু তুমি চুপ ছিলে। আসলে তোমরা আমার বিয়ে মেনে নিতে পারোনি। মেনে নিতে পারোনি নূরীকে পুত্রবধূ হিসেবে।”

আসাদ চুপ হতেই নূরী তার মাকে বলতে শুরু করলো, “মা, গতকাল আমি বাসায় যাওয়ার পর তুমি আমাকে প্রেম ও বিয়ের পার্থক্য বলেছিলে। অথচ এটা একবারও বলোনি যে সংসারে একটু আধটু মানিয়ে নিতে হয়। আর বাবা, তুমি কি বলেছিলে? এমনটা হবে তা তুমি জানতে। তারমানে তুমি জানতে আমি অশান্তিতে থাকবো। আরও বলেছিলে বাবা মা সন্তানের ভালো চায়। তোমরা কি আমাকে ভালোটা দেখিয়ে দিয়েছিলে? না, বরং তোমরা আমার বিয়ে নিয়ে বারবার খোটা দিয়েছিলে। আমাকে এটা বুঝাচ্ছিলে আমি এই সংসারে কখনোই শান্তি পাবো না।”
নূরীর বাবা-মা একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করতে লাগল। তাদের নজর নূরীর সাথে লুকোচুরি করছে। একটু থেমে নূরী আরও বলল, “আমি তোমাদেরকে ডেকেছি। তোমরা এসেছ। এটা বাবা মায়ের টান। নাড়ীর টান। কিন্তু এখানে এসে তোমরা কি করেছ? আমার সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করার পরিবর্তে তোমরা আমাকে নিয়ে যেতে এসেছ। অথচ তোমাদের উচিত ছিল আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সাথে আলাপ করার। কিভাবে সংসার এক সুতোয় গেঁথে রাখা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করার। আসাদকে বুঝানো। কিংবা আমাকে বুঝানো। এসব ছিল তোমাদের দায়িত্ব। কিন্তু তোমরা তার কিছুই করোনি। তোমরা কেউই চাও না আমরা সংসার করি। এর প্রধান কারণ আমাদের লাভ ম্যারেজ। যার ফলে আমাদের মাঝে কিছু হলেই তোমরা খোটা দাও। বলো প্রেমের বিয়েতে এমনই হয়। কখনো কি আমাদের স্থানে এসে ভেবে দেখেছ তোমরা যখন আমাদেরকে এসব বলো তখন আমরা কতটা নিঃসঙ্গতায় ভুগি। আমরা তোমাদের কাছে যাই মানসিক শান্তির জন্য। পরামর্শের জন্য। কিন্তু তোমরা উল্টো আমাদের মন আরও ভেঙে দাও। আমাদের এক হওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করো। এতে যে আমরা ডিপ্রেসড হতে পারি তা কি কখনো ভেবেছ? কেন তোমরা আমাদের মেনে নিতে পারছো না? কি দোষ আমাদের? ভালোবেসে বিয়ে করেছি এটাই কি আমাদের দোষ? আমরা তো পালিয়ে যাইনি। আসাদ কি জামাই হিসেবে কোনো অংশে কম? শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত, ভদ্র, আমাকে ভীষণ ভালোবাসে, সম্মান করে। আর কি চাই? তবে কেন মেনে নিতে পারছো না? কেন সুযোগ পেলেই আমাদেরকে আলাদা করার চেষ্টা করো? কোন বাবা মা চায় তাদের সন্তানের সংসার ভেঙে যাক?”

নূরী কাঁদতে লাগল। আসাদ তার হাতটা ধরে শান্ত হওয়ার ইশারা দিলো। পুরো পরিবেশটা ভারী হয়ে উঠলো। নূরী উঠে রুমে চলে গেল। আসাদও উঠে পড়লো। সবার উদ্দেশ্যে বলল, “আপনাদের এখানে একত্রিত করার একটাই কারণ, আমরা পরিবার চাই। আর পরিবার পূর্ণ হয় একতায়। আমরা চাই না আমাদের সন্তান তার দাদা-দাদী, নানা-নানীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হোক। আমরাও চাই না আপনাদের ছত্রছায়ায় আমাদের ওপর থেকে সরে যাক।” আসাদ চলে গেল। কিছুক্ষণ পর রুকমনি ও শেফালী ভেতরে এলো। শেফালী তার মেয়ের কাছে এসে বলল, “স্যরি মা, আমাদের ভুল হয়েছে। আসলে রাগটা কখন যে সর্বনাশায় পরিণত হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। তুই আমাদেরকে মাফ করে দে।”
- ছিঃ মা এভাবে বলো না। সন্তানের কাছে মাফ চাইতে নেই।
- জামাই বাবা শেষে একটা কথা বলল। দাদা-দাদী, নানা নানী…… আমি কি নানী হতে চলেছি?
সাথেসাথে রুকমনিও বলে উঠলো, “আমিও কি দাদী হতে চলেছি?” নূরী উঠে দাঁড়ালো। আসাদের দিকে তাকিয়ে বলল, “তুমি এসব কি বলেছ?”
- আরে আমি তো কথার কথা বলেছি।
- কি এমন কথার কথা যে উনাদের মধ্যে এমন ভুল ধারণা সৃষ্টি হলো?
- ইয়ে মানে ………
শেফালী বাধা দিয়ে বলল, “থাক আর ঝগড়া করতে হবে না। ভুলটা খুব তাড়াতাড়ি সত্যে রূপান্তর কর। সংসারের সুতো আরও মজবুত করে সন্তান।” নূরী লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলল।

নূরীর বাবা মা রাতেই চলে গেলেন। তারা প্রস্তুতি নিয়ে আসেননি। তাই থাকতে পারেননি। তবে কথা দিয়েছেন শীঘ্রই আবার আসবেন। তখন কিছুদিন থেকে যাবেন। ঘরের পরিবেশটা কেমন যেন পাল্টে গেছে। রাতের খাবার রান্নায় রুকমনিও নূরীকে সাহায্য করেছেন। বিয়ের পর এটাই প্রথম শ্বাশুড়ী ও বউমা মিলে একত্রে রান্না করলো। খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই নিজ নিজ রুমে চলে গেল। আসাদের মুখে মাথা রেখে শুয়ে আছে নূরী। এই পুরো পরিকল্পনাটা নূরীর। কিছুদিন আগে নূরী বলেছিল, তাদের বিয়েটা কেউই এখন পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি। বেশ কিছু উদাহরণও আসাদের সামনে তুলে ধরেছিল। অতঃপর দুজনে মিলে এই সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সকালের ঝগড়াটা তাদের পরিকল্পনারই অংশ।
নূরীর চুলে বিলি কাটতে কাটতে আসাদ বলল, “তোমার মা আজ খুব সুন্দর একটা কথা বলেছেন।”
- কি কথা?
- সংসারের সুতো আরও মজবুত করে সন্তান।
নূরী ছোট একটা হাসি দিলো। আসাদ তাকে কাছে টেনে কপালে ভালোবাসার স্পর্শ দিলো।

সমাপ্ত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.