![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্পের নামঃ বৈধ পাওনা।
লিখেছেনঃ মোঃ জোবায়ের বাপ্পী।
শেষ কিস্তিটা ব্যাংকে জমা করে আসাদ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। সামনেই মাসেই সে টাকাগুলো তুলবে। ফরমালিটি সব পূরণ করে ফেলেছে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ আসাদের মুখটা একটু বেশিই হাস্যোজ্জ্বল। ব্যাপারটা তার ছোট বোন মিতু লক্ষ্য করেছে।
- তোর কি প্রমোশন হয়েছে?
- নাতো। হঠাৎ এই কথা কেন?
- হাসি হাসি ভাব তাই বললাম। তা আজ তোকে এতো খুশি দেখাচ্ছে কেন?
- আমি হাসিখুশি থাকলে তোর জ্বলে, তাই না?
শুরু হলো দুই ভাইবোনের খুনসুটি। এটা তাদের জন্য নিত্যদিনের একটি কাজ। সাধারণ মানুষ যেমন নিয়ম করে তিন বেলা খায়। এরাও নিয়ম করে তিন বেলা ঝগড়া করে।
রাতে খাবারের সময় আসাদ মূল প্রসঙ্গ তুললো।
- বাবা, আমি বিয়ে করতে রাজি আছি। তবে আমার একটা শর্ত আছে।
আসাদের কথা শুনে জাহেদ চৌধুরী বেশ অবাক হলেন। পাঁচ বছর আগ থেকেই আসাদের বিয়ের জন্য তিনি বেশ কয়েকবার কথা তুলেছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই আসাদ নাকচ করে দিয়েছিল। তবুও এই পীড়াপিড়ি বিগত চার বছর ধরে চলেছে। তবে গত ছয় মাস ধরে বিয়ে নিয়ে তিনি আসাদকে একটা বাক্যও বলেননি। তাহলে আজ হঠাৎ বিয়েতে রাজি ও শর্তের কথা এলো কোত্থেকে? তিনি হা করেই আসাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। মিতুরও একই দশা। সেও কিছুটা অবাক। তবে সামিয়া বেগমের খুশির যেন অন্ত নেই। তিনি আসাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন। মাথায় বুলাতে বুলাতে বললেন, “তোর সব শর্তে আমরা রাজি।”
- আমার শর্ত হলো বিয়ের কোনো খরচ আমি দিতে পারবো না।
এমন শর্ত শুনে জাহেদ চৌধুরী বললেন, “সেটা তো পাঁচ বছর আগেও খুঁজিনি। তবে আজ এই শর্ত কেন?”
- তাহলে আমি রাজি।
- ভালো। তো মেয়ের বাসা ঠিকানা দাও। কথা বলে আসি।
- কোন মেয়ের ঠিকানা?
- যাকে তুমি বিয়ে করবে।
- সেটা তো আপনারা খুঁজবেন। আমাকে কেন বলছেন? আশ্চর্য!
আসাদের বাবা-মা আবারও চমকে গেলেন। এতদিন তারা ভেবেছিলেন আসাদের নিশ্চয়ই কোনো সম্পর্ক আছে যার জন্য সে বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। কিন্তু আসাদ এটা কি বলল? তারমানে তার কোনো পছন্দ নেই? তাহলে এতদিন বিয়ে করতে রাজি হয়নি কেন?
রাতে ঘুমানোর সময় সামিয়া বেগম বেশ গর্বের সাথে স্বামীকে বললেন, “দেখলে তো, আমার ছেলে প্রেম ভালোবাসা এসবে জড়ায়নি। আমাদের পছন্দই তার পছন্দই। অথচ তুমি এতদিন আমাকে কত কথা শুনাতে। আসাদ একদিন তার প্রেমিকার সাথে পালিয়ে যাবে এসবও বলতে। হুহ!”
- একটু ভালো করে খোঁজ নাও। আমার তো মনে হচ্ছে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে আমার মান সম্মানটা খাওয়ার পায়তারা করেছে তোমার ছেলে।
- তুমি সবসময়ই আমার ছেলেকে নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য করো।
স্বামী স্ত্রীর অভিমানের মধ্য দিয়ে রাত পেরিয়ে গেল। সামিয়া বেগম খুব সতর্কতার সাথে আসাদের কাছ থেকে তার কোনো পছন্দ আছে কিনা জেনে নিলেন। কোনো বান্ধবী বা পরিচিত এমন কেউ। আসাদ জানালো তার কোনো পছন্দ নেই। তাদের পছন্দই তার পছন্দ। অতঃপর তারা আসাদের জন্য পাত্রী দেখতে নেমে পড়লেন। বেশি খোঁজাখুঁজি করতে হয়নি। জাহেদ চৌধুরী তার এক বন্ধুর মেয়েকেই পুত্রবধূ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। পাত্রীর নাম নূরী। দেখা সাক্ষাৎকারের পর্বও সেরে ফেললেন। দুজন দুজনকে পছন্দ করেছে। দিন তারিখ দেখে বেশ ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করা হলো। সবকিছু ঠিকঠাকই যাচ্ছিলো কিন্তু বিপত্তি বাধলো দেনমোহর লেখার সময়। দুই অভিভাবক মিলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দেনমোহর কত লেখাবে। নূরীর বাবা বললেন, “বেয়াই সাহেব, দেনমোহর বিশ লাখ লিখি, কি বলেন?”
আসাদের বাবাও সাই দিয়ে বললেন, “লেখেন লেখেন। আমার পুত্রবধূর দেনমোহর বিশ লাখ তো হতেই পারে।”
আসাদ উঠে দাঁড়ালো। বলল, “আরে আরে, এতো টাকা কেন? দশ লাখ লিখেন।”
- আরে জামাই বাবা তুমি বোসো। এটা আমরা দেখছি।
আসাদের বাবাও তাকে বসে যেতে বললেন। কিন্তু আসাদ বসলো না। সে জানালো দশ লাখের বেশি এক টাকাও যেন না হয়। কিন্তু তার কথার কোনো গুরুত্ব দেওয়া হলো না। কিভাবে দেওয়া হবে? দুই পরিবারই যে শিল্পপতি। তাদের কাছে লাখ বিশেক টাকা কিছুই না। দেনমোহরটা যেন তাদের আভিজাত্যের একটি অংশ। যতো বেশি ততোই সুনাম।
মায়ের বকুনি খেয়ে আসাদ বাসরঘরে এলো। কারণ সে অনেকক্ষণ ধরেই বাইরে ঘুরছিল। নূরী চুপচাপ ঘোমটা দিয়ে বিছানায় বসে আছে। আসাদ রুমের এদিক থেকে সেদিক পায়চারী করতে লাগল। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে যাওয়ার পর নূরী বলল, “আপনি কি কিছু নিয়ে চিন্তিত?”
- কি দরকার ছিল এতো টাকা দেনমোহর করার? যত্তসব লোক দেখানো কাজকর্ম। আপনি এতো টাকা দিয়ে কি করবেন?
আসাদের এমন কথায় নূরী কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেল। কি জবাব দিতে হবে তা তার জানা নেই। আসাদও উত্তরের আশা না করে পায়চারী চালিয়ে যেতে লাগল।
প্রথম কয়েকদন নানারকম আচার-অনুষ্ঠানেই কেটে গেল। আসাদের পরিবারের সাথে নূরী খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। মিতুর সাথে তার সময়টা বেশ ভালোই যায়। সবাইকেই সে আপন করে নিয়েছে। সবাইও তাকে আপন করে নিয়েছে। ব্যতিক্রম আসাদ। তার সাথে নূরীর এখনো কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠেনি। কারণটা নূরী আপাতত খোঁজার চেষ্টা করছে না। নিজেদের মধ্যে সময় দিচ্ছে। এতে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে নূরীর আশা।
মাসখানেক পেরিয়ে গেল। তাদের সম্পর্কটা আপনি থেকে তুমি এলেও অদৃশ্য এক দেয়াল আজও কাজ করে। নূরী লক্ষ্য করেছে আসাদ তার দিকে কেমন যেন এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সেই চাহনিতে এক মায়া ভাব কাজ করে। কিন্তু আসাদ তার কাছে আসে না। এখনো নূরী ঘরের মধ্যে শাড়ি পরে। একদিন আসাদ বলল, “ঘরের মধ্যে শাড়ি পরবা না।”
- কেন? তোমার ভালো লাগে না বুঝি?
- লাগে বলেই নিষেধ করছি।
- আচ্ছা, তুমি কি কাউকে ভালোবাসো?
- এসব কি বলো?
- তাহলে আমাকে তোমাকে কাছে টেনে নাও না কেন?
- দেনমোহরটা এখনো দেওয়া হয়নি যে তাই।
আসাদের কথা শুনে নূরী কিছুক্ষণ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। তারপর বলল, “মানে কি? দেনমোহরের সাথে কাছে আসার সম্পর্ক কি?”
- দেনমোহর তোমার অধিকার। এই অধিকার আদায় না করা পর্যন্ত আমি তোমার কাছে যেতে পারি না।
নূরী মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। তার বিয়ের দেনমোহর বিশ লাখ টাকা। আসাদ জমিয়েছে বারো লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে আসাদ ব্যাংকে জব শুরু করে। বাবার নিজস্ব কোম্পানি থাকলেও আসাদ নিজ যোগ্যতায় কিছু করার উদ্দেশ্যে চাকরি শুরু করে। আসাদ চাকরিতে জয়েন হওয়ার কিছুদিন পরেই তার বাবা-মা তাকে বিয়ের দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু আসাদ রাজি হয়নি। কারণ তার কাছে দেনমোহরের জন্য কিছুই ছিল না। তাই সে গত পাঁচ বছর ধরে দেনমোহরের জন্য টাকা জমিয়েছে। তার স্টান্ডার্ড ও বর্তমান সময় অনুযায়ী সে ভেবেছিল দেনমোহর লাখ দশেকের মধ্যেই থাকবে। কখনো কল্পনাও করেনি যে দেনমোহর বিশ লাখ নির্ধারণ করা হবে। আর আসাদ দেনমোহর আদায় করা ব্যতীত নূরীর কাছে স্বামীর অধিকার নিয়ে যাবে না। বিয়ের দিন আসাদ দেনমোহরের ব্যাপারে একটু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তা নূরী বিয়ের পর জেনেছিল। তবে ব্যাপারটা ওতোটা আমলে নেয়নি। তবে এখন বুঝলো কেন সেদিন আসাদ দেনমোহরের ব্যাপারে বাধা দিয়েছিল। সে নিজের আয়ত্তের মধ্যেই ব্যাপারটা রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু আভিজাত্য তা হতে দেয়নি।
পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে বের হয়েছে। আসাদের মুখে হাসি থাকলেও নূরীর মুখ মলিন। তা দেখে আসাদ বলল, “কি হয়েছে? শরীর খারাপ নাকি?”
- না।
- তাহলে এমন দেখাচ্ছে কেন?
- আমার কষ্ট তুমি বুঝবে না।
- আচ্ছা বলো তো, কার কষ্ট বেশি? পৃথিবীকে আলো দেওয়া চাঁদের নাকি চাঁদকে কাছে না পাওয়া পৃথিবীর?
নূরী কোনো জবাব দিলো না। শ্বাশুড়ী ও ননদীর মাঝে চলে গেল।
আসাদ টাই পরছে। আসাদকে কিছু বলার জন্য নূরী দুয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাপারটা আসাদ বুঝতে পারলো।
- কি বলবে বলে দাও।
- দেখো, বিয়ের দুই বছর হতে চলল। বাবা-মা আমাকে প্রায়ই নাতি-নাতনীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। আমার পরিস্থিতি একবার বুঝার চেষ্টা করো।
আসাদ রাগন্বিত স্বরে বলল, “তাদের বলে দিও, দেনমোহরটা আরও বেশি করলে আরও ভালো হতো।” আসাদ বেরিয়ে গেল।
নূরী চারদিক থেকে নানারকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে লাগল। তার শ্বাশুড়ী তো এটা ভেবে বসে আছেন যে, নূরীর হয়তো কোনো সমস্যা আছে তাই সন্তান হচ্ছে না। তিনি প্রায়শই নূরীকে ডাক্তারের কাছে যেতে বলেন। আজকাল সমস্যা থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রয়োজনে দেশের বাইরেও নিয়ে যাবেন এমন কথা বলতে লাগলেন। নূরী সবই শুনে যায় কিন্তু প্রত্যুত্তরে কিছুই বলে না।
নূরীর বাবা-মা বেড়াতে এসেছে। তাই নূরী তার বাবার পছন্দের পিঠা বানাচ্ছে। দুপুরের খাবারের সময় নূরীর বাবা তার বেশ প্রসংশা করলেন। বললেন, “এত সুন্দর রান্না আগে কখনো খাইনি। পিঠার তো জবাব নেই।” এতে নূরী বেশ খুশি হলো।
বিছানায় শুয়ে নূরী একটু বিশ্রাম নিচ্ছে। এমন সময় তার মা এলেন। তিনি নানান বিষয়ে নূরীর সাথে আলাপ করতে লাগলেন। নূরী জানে মূল প্রসঙ্গ সন্তানই হবে। সেটাই হলো। কিছুক্ষণ পর নূরীর মা বললেন, “সংসার পরিপূর্ণ হয় সন্তানে। জানি বর্তমান জেনারেশন প্ল্যানিং করে এগোয়। কিন্তু তাই বলে আর কত? দুটা বছর তো হয়ে গেল। মানুষ নানান কথা বলছে। তোর নাকি সমস্যা আছে।”
- সন্তান না হলেই কি সমস্যা হয়? এটা তো আল্লাহর দান। তিনি যখন খুশি হবেন তখন দিবেন।
- তারমানে তোর কোনো সমস্যা নেই?
- মা! আবারও সেই একই কথা।
- আমি তো ভালোর জন্যই বলছি। কোনো সমস্যা বা প্ল্যানিং না থাকলে এখনো নাতি-নাতনীর মুখ দেখছি না কেন?
এবার নূরী রেগে গেল। বলল, “তোমার স্বামীকে বলতে কাবিননামা আরও দশ লাখ বাড়াতে। তাহলে সন্তান আরও তাড়াতাড়ি আসতো। যতসব লোক দেখানো আভিজাত্য।” নূরীর কথা শুনে তার মা ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ নীরবতার পর বললেন, “তারমানে জামাইয়ের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক হয়নি?”
- এসব তুমি কি বলো মা? কেন সম্পর্ক হবে না? ও আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। তবে কাবিননামা না দেওয়ার আগ পর্যন্ত স্পর্শ করবে না। এটাই ওর শেষ কথা।”
- আজকাল এমন ছেলেও হয়? অথচ বর্তমান যুগে কাবিননামাটা শুধুমাত্র লেখাই হয়। আদায় কেউ করে না। সামর্থ্য থাকলেও করে না।
আসাদ শুয়ে শুয়ে ল্যাপটপে গেমস খেলছে। নূরী কিছুক্ষণ পরপর আসা যাওয়া করছে। তার নূপুরের শব্দে রুম ঝনঝন করছে। কিছুক্ষণ পর নূরী আবারও রুমে এলো। এবার আসাদ তাকে ডাক দিলো।
- কি সমস্যা? এভাবে আমাকে জ্বালাচ্ছো কেন?
নূরী মুচকি হাসি দিয়ে বলল, “কি করলাম?”
- এই যে এভাবে সেজেগুজে আছ কেন? তারওপর নিজের অস্তিত্বের জানান দিতে নূপুরও পরেছ। তোমাকে তো সবই বুঝিয়ে বলেছি। তবুও এভাবে জ্বালানোর কোনো মানে হয়?
- তুমি এত কিছু বুঝ কিভাবে?
- এখন যাও নূপুর খুলো। আর এই সাজুগুজু ধুয়ে ফেল।
- জ্বি না। আমি এভাবেই থাকবো।
- দুটা বছর যখন পার করতে পেরেছি। আর একটা বছরও পারবো। তুমি শুধু আমার পাশে থাকো।
নূরী এসে আসাদের পাশে বসে বলল, “এই তো তোমার পাশেই আছি।”
- পাশে বলতে বুঝিয়েছি আমাকে সাপোর্ট দিয়ে যাও। তোমার সাপোর্ট ব্যতীত আমি জয়ী হতে পারবো না।
নূরী উঠে পড়লো। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেল।
এক বছর পর,
আসাদ স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাসায় ফিরলো। তা দেখে নূরী বলল, “এটা কার ব্যাগ?”
- আমার। সকালেই তো নিয়ে গিয়েছিলাম। তুমি লক্ষ্য করোনি হয়তো।
- আমাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করো না। তুমি আজ শুধুমাত্র লান্স বক্স নিয়ে গিয়েছিল।
- তুমি এতো নিশ্চিত কিভাবে?
- আমার স্বামী কি পরে যাচ্ছে, কি নিয়ে যাচ্ছে এসব আমি জানবো নাতো কে জানবে?
- বাহ! দারুণ তো। স্বামীর প্রতি এতো তীক্ষ্ণ নজর রাখো, ইম্প্রেসিভ। খুশি হলাম।
আসাদ ব্যাগটা নূরীর হাতে দিয়ে বলল, “খুলে দেখো।” নূরী ব্যাগ খুলে অনেকগুলো টাকা পেল। আনন্দে তার চোখ ছলছল করে উঠলো। সে বলল, “কাবিননামার টাকা?” আসাদ একটা ফুল নূরীর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, “জ্বি। আপনাকে আপনার পাওনা বুঝিয়ে দিলাম। এবার আমি দায়মুক্ত।” নূরী আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলো। খুশিতে আসাদকে জড়িয়ে ধরলো। আসাদও আজ নূরীকে ছাড়লো না। বাহুডোরে আঁকড়ে ধরে রাখলো।
সমাপ্ত।
©somewhere in net ltd.