নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে জানতে ও ছড়িয়ে যেতে চাই।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী

আমি বাপ্পী। জন্মস্থান বরিশাল। বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের নামঃ সম্পদ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১২

গল্পের নামঃ সম্পদ।
লিখেছেনঃ মোঃ জোবায়ের বাপ্পী।

শুক্রবার; সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। আসাদ নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। হঠাৎ তার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলো। গুনগুন শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেল। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করলো শব্দ উপেক্ষা করে ঘুমাতে। কিন্তু পারলো না। অবশেষে উঠে পড়লো। ঘড়িতে মাত্র ছয়টা বাজে। তার মেজাজ অত্যন্ত বিগড়ে গেল। বন্ধের দিন ঘুমে ব্যাঘাত সে একদমই সহ্য করে না। গুনগুন শব্দটা পাশের রুম থেকে আসছে। আসাদ সেখানে গেল। দেখল নূরী বসে গুনগুন শব্দ করছে আর ঢুলছে। এই দৃশ্য দেখে তার রাগ আরও বেড়ে গেল। হুংকার দিয়ে উঠলো। বলল, “এই! তুমি গুনগুন করছো কেন? জানো না আমি ঘুমাচ্ছি।” আসাদের হুংকার শুনে ভয়ে নূরী তো কেঁপে উঠলোই আসাদের বাবা-মাও সেখানে উপস্থিত হলো। আসাদের মা বললেন, “কি হয়েছে বাবা? এভাবে চেচাচ্ছিস কেন?”
- দেখছো না, ও এখানে বসে বসে গান গাচ্ছে। আর আমার ঘুমের বারোটা বাজাচ্ছে।
- চুপ! কি যাতা বলছিস? বউমা কোরআন শরীফ পড়ছে।
আসাদ এক নজর নূরীর দিকে তাকালো। নূরী জায়নামাজ গুছিয়ে কোরআন শরীফ রেখে উঠে পড়েছে। ভয়ে মাথা নিচু করে রেখেছে। আসাদ মনে মনে লজ্জিত হলো। কিছু না বলে চলে গেল। আসাদের মা এসে নূরীকে বললেন, “মন খারাপ করো না মা। তুমি তো জানোই ও একটু রাগী।” নূরী মাথা দুলালো। আসাদের সাথে তার বিয়ে হয়েছে আজ প্রায় চার মাস। আসাদের রাগের ব্যাপারে নূরী ভালোভাবেই অবগত। কিছুদিন আগে সামান্য একটু ভুলের জন্য আসাদ তাকে অনেক বকাঝকা করেছিল। আজও নূরী তেমন কিছু শোনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিলো। একা পেলে নিশ্চয়ই বকবে। আসাদের কিছু ব্যাপার নূরীর খুব ভালো লাগে। সে কখনোই সবার সামনে বকাঝকা করে না। একাকী হলে শান্ত গলায় বকাঝকা করে। কিন্তু তার এই শান্ত ভঙ্গির কথাবার্তাতেই গায়ের পশম পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যায়। আসাদের এই রগচটা স্বভাবের জন্য আজও তাদের মাঝে জড়তা কাটেনি।

জুমার নামাজের পর সবাই মিলে খেতে বসলো। বিরিয়ানি রান্না হয়েছে। আসাদ ও তার বাবার প্রিয় খাবার। বেশ আনন্দ নিয়েই তারা খেলেন। আজ নূরী রেঁধেছে। আসাদের বাবা অসংখ্য প্রসংশা করলেন। তবে আসাদ কিছুই বলল না। চুপচাপ খেয়ে উঠে পড়লো। নূরী সবকিছু গুছিয়ে রুমে এলো। আসাদ শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছিল। নূরীকে দেখে বলল, “ক্লান্তি লাগছে?” নূরী না সূচক মাথা নেড়ে বলল, “কিছু লাগবে?” আসাদ বলল, “বলছিলাম যে আজ কোথাল ঘুরতে যাই।” নূরী মনে মনে বেশ আনন্দিত হলো। বিয়ের এই চার মাসে আসাদ কখনো নিজ ইচ্ছায় তাকে নিয়ে ঘুরতে যায়নি। হয়তো শ্বশুর নয়তো শ্বাশুড়ীর কথায় ঘুরতে বেরিয়েছিল। এই প্রথম আসাদ স্ব-ইচ্ছায় ঘুরার কথা বলল।

নূরী সুন্দর করে বোরকা পরতে লাগল। আসাদ বারবার নূরীর দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে। নূরীকে অপরূপ লাগছে। তার সৌন্দর্য আসাদকে বারবার টানছে। তাই তো চোখ ফেরাতে পারছে না। তৈরি হওয়ার পররপরই তারা বেরিয়ে পড়লো। আজ তারা ফ্যান্টাসি কিংডমে এসেছে।
- বলো, কিসে চড়বে?
নূরী কোনো কিছুতে চড়বে না জানালো। আসাদ কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। তারপর নূরীকে নিয়ে একটা গাছের নিচে বেঞ্চিতে বসলো। বাদাম কিনে তা চুপচাপ খেতে লাগল। কিছুক্ষণ পর আসাদ বলল, “আ'ম স্যরি।” নূরী ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। আসাদ কেন স্যরি বলল তা নূরীর বোধগম্য হলো না। নূরীর হাতটা ধরলো আসাদ। নূরী কিছুটা কেঁপে উঠলো। তার চোখ দুটো অনবরত পলক ফেলছে। কিন্তু তার দৃষ্টি আসাদের দিকে স্থির হয়ে আছে। আসাদ বলল, “সকালে না বুঝে ওভাবে চিল্লানোর জন্য আমি সত্যিই লজ্জিত। আমি বুঝতেই পারিনি যে তুমি কোরআন পড়ছিলে।”
- আমি তো কিছু মনে করিনি। আসলে আমার উচিত ছিল দরজা বন্ধ করে তারপর তিলাওয়াত করা। তাতে আপনার অসুবিধা হতো না।
- আগে বলো আমাকে মাফ করেছ।
- ছিঃছিঃ এটা বলে আমাকে লজ্জা দিয়েন না।
একটু চুপ থেকে আসাদ কিছু বাদামের খোসা ছুলে নূরীর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, “বলো, কোন কোন রাইডে চড়বা।” নূরী লজ্জিত ভঙ্গিতে বাদাম নিয়ে তারপর বলল, “চলুন, দোলনায় চড়ি।” অতঃপর তারা দোলনায় চড়লো। তারা পরপর দুইবার দোলনায় চড়লো। নূরী আনন্দ যেন থামছেই না। বোরকার আড়ালেও নূরীর হাসিমাখা চেহারাটা আসাদ ঠিকই উপলব্ধি করতে পারছে। দোলনার রাউন্ড শেষ হওয়ার পর আসাদ বলল, “চলো, আরেকবার চড়ি।”
- ধুর! এতবার চড়লে লোকে পাগল বলবে। আমরা বরং সামনে কোথাও বসি।”
অতঃপর তারা নেমে পড়লো।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে তারা একটা রেষ্টুরেন্টে খেতে বসলো। আসাদ বলল, “কি খাবে?”
- আপনি যা খান।
- আমাকে কি আপন ভাবো না?
- এমন ভাবলেন কেন?
- তোমার বাবা কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে যখন কোথাও খেতে বসতে তখন তো নিজের পছন্দমতোই অর্ডার করতে, তাই না? তাহলে আমার সাথে সংকোচ কেন?
এইটুকু বলার পর আসাদ একটু থামলো। তারপর আবার বলল, “আমি চাই, তুমি আমার কাছে নিজের সব চাহিদা ব্যক্ত কর। আমি চেষ্টা করব তা পূরণ করার।” নূরী পলকহীন দৃষ্টিতে আসাদের দিকে তাকিয়ে রইল। আসাদের চোখ দুটো বলছে সে তাদের মধ্যকার সকল দূরত্ব মুছে দিতে চায় যা এতদিন ছিল। নূরী খাবার মেন্যু হাতে নিলো। তারপর ওয়েটারকে ডেকে তারা খাবার অর্ডার করলো। খাওয়া শেষে ফেরার সময় কিছু কেনাকাটা করলো। এক দোকান থেকে আরেক দোকান। এটা নয়তো সেটা। এই কালার নয়তো সেই কালার। এমন করে করে অনেক সময় অতিবাহিত করলো। পুরোটা সময় আসাদ ধৈর্য্য ধারণ করে ছিল। সেদিন না বুঝেই নূরীর ওপর চিল্লানোর পর আসাদ অনুভব করেছে নূরীর ওপর সে অন্যায় করছে। অহেতুক নিজের রাগের কারণে নূরীকে নিজের কাছ দূরে সরিয়ে রাখছে। অথচ নূরী কখনোই তার কোনো কথার অবাধ্য হয় না। যা বলে সবকিছুই মেনে নেয়। হোক সেটা ভুল বা শুদ্ধ। তাই আসাদ মনে মনে ঠিক করেছে নিজেদের মধ্যকার এই দূরত্ব মুছে দিবে।

পরেরদিন সকালে আসাদ খুব ভোরেই উঠে পড়লো। নূরী ও আসাদের মা তখন ঘর-দুয়ার গুছাচ্ছে। আসাদ চুপচাপ নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেল। এতে নূরী ও তার শ্বাশুড়ী বেশ অবাক হলো। আসাদ চার ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো পড়লেও ঘুমের কারণে ফজর যথাসময়ে পড়তো না। ফজর শেষে আসাদ আবার ফিরে এলো। তারপর আবার বিছানায় শুয়ে পড়লো। তা দেখে নূরী মুচকি হাসি দিলো। তারপর আসাদের কাছে এসে বলল, “আর ঘুমাতে হবে না। উঠে পড়ো।”
- আমাকে শাসন করার সাহস হয়েছে?
নূরী কিছুটা ঘাবড়ে গেল। ভাবলো এই কথাটা বলা বোধহয় তার উচিত হয়নি। নূরীর ভয়ার্ত চেহারা দেখে আসাদ হাসি দিয়ে বলল, “এই বোকা! ভয় পেলে নাকি? আমি তো তোমার থেকে এমনটাই আশা করি। শাসন করবে, বুঝাবে, সঙ্গ দিবে এই তো সংসার।” নূরীর মনের ভয় দূর হয়ে গেল। সে একটা মুচকি হাসি দিলো।

নূরী বসে বসে বই পড়ছে। অবসর সময়ে বই পড়া তার অভ্যাস। আসাদ এসে পাশে বসলো। নূরী কিছুটা হকচকিয়ে গেল।
- বইয়ের মধ্যে ডুবে গিয়েছ বুঝি?
- হু। খুব সুন্দর বইটা।
- আচ্ছা তুমি সবসময় ঘরে এত ভারী কাপড়, গহনা পরে থাকো কেন?
- এমনিই। ভালো লাগে তাই।
- গরম লাগে না?
- আমি এতে অভ্যস্ত তাই খুব একটা গরম লাগে না। আপনি এটা আজ লক্ষ্য করলেন?
- সবসময়ই লক্ষ্য করি। তবে জিজ্ঞেস করা হয়নি।
নূরী মাথা দুলিয়ে আবার বইয়ে মনোযোগ দিলো।

সামনে ইদ। তাই আসাদের অফিসে কাজের খুব চাপ। শুক্রবারও ডিউটি করতে হচ্ছে। এদিকে নূরী ইদ উপলক্ষে কিছুই কিনেনি। আসাদ টাকা-পয়সা দিয়ে বলেছে পছন্দমতো সবকিছু কিনে নিতে। কিন্তু নূরী স্পষ্ট বলে দিয়েছে আসাদকে ছাড়া মার্কেটিং করবে না। অবশেষে ইদের দুইদিন আগে বিকালের দিকে আসাদ সময় বের করলো। নূরীকে নিয়ে শপিংয়ে এলো। কিন্তু তাতেও কাজ থেকে রেহাই নেই। কিছুক্ষণ পরপরই কল আসছে আসাদের মোবাইলে। ফলে শপিংয়ে মন দিতে পারছে না। অথচ নূরী প্রতিটি কাপড়চোপড়ের ব্যাপারে আসাদের পরামর্শ চাচ্ছে। এই, এটা কেমন? এটাতে আমাকে কেমন দেখাচ্ছে? এটা সুন্দর নাকি ওটা? এমন সব প্রশ্ন করতে লাগল। এতে আসাদ বিরক্ত হয়ে উঠেছে। অবশেষে তার রাগ-ক্ষোভ এসে কসমেটিকসের দোকানে উগড়ে গেল। নূরী বিভিন্ন কসমেটিকস দেখছে আর বলছে এটা নিব নাকি ওটা? একটা সময় আসাদ বিরক্ত হয়ে গেল। বলল, “এত কসমেটিকস দিয়ে কি করবে? দুই মাস আগেও তো বেশ কিছু কসমেটিকস কিনে দিয়েছিলাম। তোমাকে তো কখনো সেজেগুজে বের হতে দেখিনি। এই যে আজও বোরকা পরে এসেছ। তাহলে এত কসমেটিকস কিনে কি করো?” নূরী কিছু বলল না। চুপচাপ আসাদের পাশে এসে বলল, “আর কিছু লাগবে না। বাসায় চলুন।” আসাদও রাগ ভাঙ্গার চেষ্টা করলো না। বাসায় চলে এলো।

একটা সুন্দর ইদ কাটালো আসাদ-নূরী। শপিংয়ের ব্যাপারটা যেন নূরী ভুলেই গেছে। তা নিয়ে তার মনে কোনো অভিমান দেখেনি আসাদ। ঘুরাঘুরি করে তারা ইদের ছুটিগুলো উদযাপন করলো।
বেশ কিছুদিন ধরে আসাদ লক্ষ্য করছে নূরীকে আগেরমত লাবণ্যময়ী দেখায় না। আগে তার কাজল কালো চোখে তাকালে আসাদ হারিয়ে যেত। কিন্তু এখন আর তেমন হয় না। এতে আসাদ নিজেই নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করলো। তবে কি নূরীর প্রতি তার ভালোবাসা বিলীন হচ্ছে? কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা নয়। বরং সে আগের তুলনায় নূরীর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়েছে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর একদিন আসাদ একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলো। আগে নূরী ঘরের মধ্যে শাড়ি, গহনা পরে সেজেগুজে থাকতো। এখন আর আগেরমত সাজে না। দামী গহনাগুলো আলমারিতে তুলে রাখা হয়েছে। অথচ আগে নূরী একেক সময় একেকটা পরতো। নূরী হঠাৎ এই পরিবর্তনের কারণটা আসাদ বুঝতে পারলো।

আসাদ সকালে নাস্তা খেতে খেতে নূরীকে বলল, “আজ বিকালে একটু শপিং করতে যাব। প্রস্তুত থেকো।”
- আমি যাব না।
- রাগ জমিয়ে রাখা ভালো না। আমি কিন্তু বিকালে আসবো।
আসাদ বেরিয়ে গেল। আসাদ জানে নূরী প্রস্তুত হয়ে থাকবে। ঠিক তা-ই হলো। আসাদ বিকালে এলো। নূরী সবসময়ের মতো বোরকা পরে প্রস্তুত হয়ে আছে। অতঃপর তারা বেরিয়ে পড়লো। নূরীকে নিয়ে আসাদ এই দোকান থেকে সেই দোকানে ঘুরছে। তবুও নূরী কোনো কিছু কিনতে রাজি হচ্ছে না।
- এসব কিন্তু ঠিক না। যা লাগবে তা কিনো।
- আমার কিছুই লাগবে না।
- আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই তোমাকে শপিংয়ে নিয়ে এসেছি।
- কিসের ভুল?
- এই কিছুদিনে আমি এটা বুঝেছি যে, তুমি বাইরে বের হলে সাজো না। ঘরেই সাজো।
- ঘরে কেন সাজতে যাবো?
- আমার জন্য। আমাকে দেখানোর জন্য।
- হুহ! আমি কেন আপনাকে দেখানোর জন্য সাজগোজ করব? আমার বুঝি আর কাজ নেই?
- তোমার কাজই তো আমার জন্য সাজগোজ করা।
- কচু।
- আচ্ছা চলো রাগ কমাও। অতঃপর তারা কিছু কেনাকাটা করে চলে এলো।

আসাদ শুয়ে শুয়ে ম্যাগাজিন পড়ছে। নূরী ড্রেসিংটেবিলে বসে সাজছে। টেবিলটা পর্দার ওপাশে তাই স্পষ্ট দেখা যায় না। কিছুক্ষণ পর নূরী বেরিয়ে এলো। খয়েরি রঙের শাড়িতে বেশ মানিয়েছে নূরীকে। আসাদ নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। নূরী লাজুক স্বরে বলল, “কি হলো? ওভাবে তাকিয়ে আছ কেন?”
- চোখ দুটো নির্লজ্জ হয়ে গেছে। সরতে বলছি। তবুও সরছে না।
নূরী লাজুক হাসি দিয়ে বলল, “কফি খাবেন?”
- হুম। খাওয়া যায়।
- আপনি বারান্দায় গিয়ে বসুন। আমি কফি নিয়ে আসছি।
কিছুক্ষণ পর নূরী দুই কাপ কফি নিয়ে বারান্দায় এলো। কফিতে চুমুক দিতে দিতে আসাদ বলল, “তুমি ঘরে এত সাজ কেন?”
- কারণ আপনি থাকেন।
- মেয়েমানুষ তো বাইরে গেলেও সাজে, তাই না?
- নারীর সৌন্দর্য শুধু তার স্বামীকেই প্রদর্শন করার জন্য। তবে বাইরে সাজব কেন?
- তো কসমেটিকস সব ঘরেই শেষ করো?
- জ্বি। আপনার কোনো আপত্তি আছে?
আসাদ হাসি দিয়ে না সূচক মাথা নাড়লো। তারপর এগিয়ে এসে বলল, “এই তোমার চোখে যেন কি পড়েছে।”
- কই? কি!
আসাদ দেখার জন্য এগিয়ে আসার বাহানা করে নূরীর চোখে ও কপালে ভালোবাসার স্পর্শ ছুঁয়ে দিলো। নূরী লজ্জা পেয়ে উঠে চলে যেতে লাগল। আসাদ তার হাত ধরে টান মেরে বুকের মধ্যে নিয়ে নিলো। বলল, “আমার শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমার বুকের মাঝেই থাকুক।” নিম্ন স্বরে নূরী বলল, “আপনিও আমার শ্রেষ্ঠ সম্পদ।”

সমাপ্ত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.