নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে জানতে ও ছড়িয়ে যেতে চাই।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী

আমি বাপ্পী। জন্মস্থান বরিশাল। বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের নামঃ রাজার রাণী।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

গল্পের নামঃ রাজার রাণী।
লিখেছেনঃ মোঃ জোবায়ের বাপ্পী।
দ্বিতীয় পর্ব।

সকালে অফিস যাওয়ার সময় নূরী এগিয়ে এসে বলল, “অফিসে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় কাগজগুলো আরেকবার দেখো। আশাকরি সমস্যার সমাধান হবে।” আসাদ তিক্ত কণ্ঠে বলল, “সব ব্যাপারে নাক গলাও কেন? ঘরের বউ ঘরেই নজর রাখো। এসবের জন্য লোক আছে।” আসাদ চলে গেল। নূরী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। অফিসে এসে আসাদ ফাইলগুলোতে চোখ দিলো। লাল রঙের চিহ্নিত লাইনগুলোতে আসাদের নজর পড়লো। হিসাব নিকাশ করতেই সব সমস্যা ধরা পড়লো। আসাদ বুঝে গেল ম্যানেজাররা ইচ্ছে করেই হিসাবে গণ্ডগোল করেছে। আসাদ তাত্‍ক্ষণিক সবাইকে ডেকে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলো। মাথা নত করে তারা প্রস্থান করলো।
বছর শেষ। নববর্ষ উপলক্ষে ব্যবসায়িক সমিতির এক বিশাল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। আসাদ সমিতির সভাপতি। তাই নূরীকে নিয়ে সেখানে এসেছে। তবে আসাদ নিজ গণ্ডিতেই ব্যস্ত হয়ে আছে। আসাদ তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছে। হঠাত্‍ লক্ষ্য করলো আফজাল রহমানের সাথে নূরী সাথে হেসে হেসে আলাপ করছে। এই শহরের শীর্ষ ভার্সিটির পরিচালক। আসাদ সেদিকে এগিয়ে এলো। আফজাল বললেন, “তুমি তো দেখছি দারুণ বোকা। এমন জিনিয়াস একটা একাউন্টার থাকতে তুমি বাইরের লোককে এই দায়িত্ব দিয়েছ।”
- আপনি ওকে কিভাবে চিনেন?
- ও তো আমার ভার্সিটিতেই পড়েছে। একাউন্টিংয়ে সেরাদের সেরা।
নূরী হেসে বলল, “স্যার, আপনি কিন্তু আমাকে লজ্জা দিচ্ছেন।”
- লজ্জা কিসের? যা সত্য তাই বলছি। এমবিএ শেষ করলে এমজেবি কোম্পানিতে তোমার জবটাও নিশ্চিত ছিল।
এমজেবি কোম্পানিকে আসাদ ভালো করেই চিনে। তাদের কাজই ট্যালেন্ট খুঁজে নিয়ে আসা। প্রতিবারই শীর্ষ ভার্সিটির শীর্ষ স্টুডেন্টদেরকে তারা নিজ কোম্পানিতে চাকরির অফার দেয়।

অনুষ্ঠান শেষে আসাদরা বাসায় ফিরলো। অনেকদিন পর নূরীর মুখে হাসি দেখছে আসাদ। অনুষ্ঠানে অনেকেই নূরীর পরিচিত ছিল। যার ফলে অনুষ্ঠানের পুরো সময়টা নূরীর ভালোই কেটেছে। অবশ্য শেষদিকের কিছু সময় নূরীর সাথেই ছিল আসাদ। মূলত এই কারণেই নূরীর মুখে হাসি। অনেকদিন পর আসাদ তাকে সময় দিয়েছে। অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরেই আসাদ তার বন্ধু মহলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। নূরী ভেবেছিল হয়তো তাকে এককোণায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। কিন্তু এমনটা হয়নি। আসাদ তাকে সময় দিয়েছে। নিজের ব্যবসায়িক বন্ধুবান্ধব সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আজ নূরীর কাছে নিজেকে খুব ভালো লাগছে। ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে গয়না গুলো খুলছে আর গুনগুন শব্দ করছে। নূরী লক্ষ্যই করেনি আসাদ অনেক আগেই রুমে এসেছে। আসাদও চুপচাপ নূরীর এই হাসিমাখা চেহারাটা উপভোগ করছে। স্ত্রীর হাসিমাখা চেহারা যেন ঘরকেই আলোকিত করে দেয়। তাই তো আজ ঘর জুড়ে কেমন যেন হাসি হাসি ভাব। নীরবতা ভাঙতে আসাদ বলল, “অফিসের কাগজ গুলোতে লাল দাগ তুমিই দিয়েছিলে, তাই না?” নূরী পিছে ফিরে তাকালো। তারপর ছোট্ট করে হুম বলল। কিছুক্ষণ স্থির থেকে আসাদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেল। নূরীর মনে হলো এক রাশ আক্ষেপ ও লজ্জা আসাদের শ্বাসের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়েছে।

পরেরদিন সকালে নূরী কি মনে করে রান্নাঘরে এলো। দুই কাপ কফি বানাতে লাগল। এরমধ্যে কাজের মেয়ে আসমা চলে এলো। সে বেশ তীক্ষ্ণ গলায় বলল, “স্যার না আমনেরে রান্নাঘরে আইতে মানা করচে? কি লাগবো আমারে কইলেই তাও হয়।” আসাদ তখন পিছনেই ছিল। কথাটা সে স্পষ্ট শুনতে পেল। আসমার কণ্ঠের দৃঢ়তা দেখে আসাদ খুব অবাক হলো। মনে হচ্ছে সে নূরীকে আদেশ দিচ্ছে। নূরী মুখ খোলার আগেই আসাদ বলল, “আসমা, ম্যাডামের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানো না? কোন সাহসে তুমি ওর সাথে এভাবে কথা বললে?” আসমা ভয়ে কেঁপে উঠলো। আমতা আমতা করে বলল, “সাব, আমনেই তো কইচিলেন……”
- ওটা আমি বলেছি। তুমি বলার কে? রান্নাঘরে আসার জন্য কি তোমার অনুমতি লাগবে? ম্যাডামকে এক্ষুণি স্যরি বলো।
আসমা সাথেসাথেই স্যরি বলল। আসাদ বেরিয়ে গেল। ওমনি আসমা দৌড়ে এসে নূরীর পায়ে পড়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতে বলল, “ম্যাডাম গো আমার চাকরিঢা বাঁচান। স্যারে তো আমারে আইজ বাদ দিয়া দিব।” আসাদের কথাগুলো নূরীর মন ও মস্তিষ্কে খুব গাঢ়ভাবে আঘাত করেছে। এই আঘাত ভালো লাগার আঘাত। নূরী কিছুক্ষণ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। হুঁশ ফিরতেই আসমাকে উঠালো। বলল, “তোমার স্যারের সিদ্ধান্ত তো কেউ বদলাতে পারে না।”
- আমনে পারবেন ম্যাডাম। আমনে পারবেন। আমনে স্যাররে কইলে স্যার আমনের কথা হুনবো।
আসমার এই কথাগুলো যেন নূরীর অন্তরে মধু ঢাললো। এক অনাবিল সুখ অনুভব করলো।

দুপুরের খাবার মুখে দিতেই আসাদ চমকে উঠলো। এই স্বাদ তো ফাইভ স্টার হোটেলকেও হার মানায়। আজ হঠাত্‍ আসমা এত চমত্‍কার রান্না করলো কিভাবে? ইউটিউভ দেখে নিশ্চয়ই কিছু শিখেছে। আসাদ বলল, “কিরে আসমা, চাকরি হারানোর ভয়ে আজ বুঝি মন দিয়ে রান্না করলি? অন্যান্যদিন থেকে খুব ভালো হয়েছে।”
- আইজ তো ম্যাডামে রান্না করচে।
আসাদ অবাক হয়ে নূরীর দিকে তাকালো। নূরীর মুখে মুচকি হাসি। আসাদ খেতে খেতে বলল, “তোর চাকরিটা তো তাহলে চলেই গেল।” আসমা কেঁদে দেওয়ার উপক্রম হলো। নূরী বলল, “কেন শুধু শুধু মেয়েটাকে কাঁদাচ্ছো?”
মুখে দুষ্টু হাসি রেখে আসাদ বলল, “রান্না যদি তুমিই কর তবে ওর কাজ কি?”
- ও আমাকে সাহায্য করবে। এত বড় ঘর কি একা সামলানো যায়?
আসাদ হাসি দিয়ে বলল, “সুপারিশের কারণে তোর চাকরিটা বেঁচে গেল, আসমা।”

গত চারদিন ধরে আসাদের শরীরটা খারাপ যাচ্ছে। ভীষণ জ্বর উঠছে আর নামছে। বেশ কয়েকবার বমিও করেছে। ডাক্তার এসে চেকআপ করে ওষুধ দিয়েছে। তবুও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেনি। এই কয়েকদিন সে অফিসে যায়নি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ আটকে গেছে। তাই তার দুই ম্যানেজার ও সহকর্মীরা কাগজপত্র নিয়ে বাসায় এসেছে। বেডরুমে যাওয়ার সময় নূরী তাদেরকে বলল, “উনার শরীর ভালো না। আপনারা অন্য কোনোদিন আসুন।”
- আমরা এখানে অহেতুক আসিনি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে তাই এসেছি। স্যারকে বলেই এসেছি।
বেডরুমে থেকে আসাদ কথাগুলো শুনেছে। তবে একটা কথা আসাদ শুনেনি। যা নূরী শুনেছে। রুমে প্রবেশের আগে ম্যানেজারটা বিড়বিড় করে বলেছে, “কোত্থেকে যে এসব গেঁয়ো ভুত জ্ঞান দিতে আসে?”
রুমে প্রবেশ করেই তারা আসাদকে সালাম দিলো। তারপর তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কথা বলল।
- স্যার এখন কেমন আছেন? ডাক্তার দেখিয়েছেন স্যার?
আসাদ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো। এদের প্রতিটি বাক্যের আগে-পিছে স্যার শব্দটা যেন লেগেই থাকে। অথচ নূরীকে তারা ম্যাডাম বলে অভিহিত করা তো দূর কিছুক্ষণ আগে বেশ রুক্ষ ব্যবহারই করেছে। আসাদ একটা বাক্যই বলল। “আগামীকাল আসুন।” কথার ওপর কথা আসাদের একদম পছন্দ নয়। তাই তারা আসি স্যার বলে প্রস্থান করলো।
সকাল গড়িয়ে বিকাল হলো। জ্বর কিছুটা কমেছে। আসাদ সোফায় বসে আছে। নূরী একবাটি স্যুপ নিয়ে এসেছে। আসাদ বলল, “এই কয়েকদিনে কয় বাটি স্যুপ খেয়েছি তা হিসাব করেছ? আর কত? এখন তো দেখলেই বমি আসে।”
- জ্বরের সময় স্যুপ খাওয়া ভালো।
এই কয়েকদিন ধরে এই বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত মানুষটা হলো নূরী। একটা মুহূর্তের জন্য নূরীর ছুটাছুটি বন্ধ হয়নি। কিছু না কিছু করেই গেছে। কখনো স্যুপ বানিয়েছে তো কখনো জ্বর মেপেছে আবার কখনো আসাদের কপালে পানির পট্টি দিয়েছে। আসাদ শুধু নির্বাক হয়ে দেখে গেছে। এই মানুষটা তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। এই কয়েকদিনে আসাদ এটা অনুভব করেছে এই বিশ্বে তার আপনজন বলতে নূরী ছাড়া আর কেউ নেই। তাকে নিয়ে নূরী ব্যতীত আর কারও চিন্তা নেই। অথচ সে নূরীকে কখনো যথাযথ ভালোবাসা দিতে পারেনি। দশজনের মধ্যে সেই সম্মানটা দিতে পারেনি যা নূরীর প্রাপ্য ছিল। বরংচ নূরীর সম্মানহানি করেছে।

সন্ধ্যার আকাশ কালো বর্ণ ধারণ করছে। তবে নূরীর মুখে কালো ভাব চলে গেছে। কেননা আসাদ এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। রাতের খাবার খেয়ে তারা শুয়ে পড়লো। আসাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে নূরী নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছে। আসাদ এক নজর নূরীর দিকে তাকালো। এই কয়েকদিন নূরী ঠিকমতো ঘুমায়নি। চেহারায় এক ধরণের ক্লান্তির ছাপ পড়ে আছে। তবুও অসম্ভব মায়াবী লাগছে। আসাদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেদিনের ঘটনাটি নিয়ে ভাবতে লাগল। ম্যানেজাররা নূরীর সাথে যে আচরণ করেছিল তার পেছনে আসাদ-ই দায়ী। তার ভুলের কারণেই ঘরের কাজের মেয়েটিও নূরীর সাথে ভালো ব্যবহার করতো না। তার জন্যই সেদিন ম্যানেজাররা নূরীর সাথে ওভাবে কথা বলার সাহস পেয়েছিল। কেননা সে নিজেই সবসময় সবার সামনেই নূরীর সাথে রাগারাগি করতো। সবার সামনেই নূরীকে বকাঝকা করতো। ফলে আজ সবার চোখে নূরীর স্থানটা নিচে তৈরি হয়েছে। অথচ তার স্থানটা আসাদের পাশেই।
পরেরদিন সকালেই আসাদ মেসেজ করে ম্যানেজারদেরকে বসায় আসতে বলল। সময়মতো ম্যানেজার এলো। আসাদ ও নূরী ডাইনিং রুমের সোফায় বসে আছে। সালাম দিয়ে ম্যানেজার বলল, “স্যার, এখন কেমন আছেন?”
- আপনাদের ম্যাডামের সেবাযত্নে আমি এখন অনেকটাই সুস্থ আছি। জ্বরকে আপনাদের ম্যাডাম ঝাড়ু দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে।
আসাদ হাসলো। নূরী বেশ লজ্জা পেল। আসমাকে ডাকার বাহানা করে উঠে চলে গেল। আসাদ বলল. “তো কি কাজের জন্য এসেছেন?”
- স্যার, এই কাগজগুলোতে আপনার সাইন দরকার। হিসাবটা দেখে একটা সাইন করে দিন স্যার।”
- আপনাদের ম্যাডামকে দেখিয়ে আসুন।
- ইয়ে মানে স্যার, উনি কি এসব বুঝবেন?
- গতবারের ভুলটা ম্যাডামই ধরেছিলেন।
এবার ম্যানেজাররা নড়েচড়ে উঠলো। আসাদ তাড়া দিয়ে বলল, “আমার তাড়া আছে। বের হতে হবে। যা করার তাড়াতাড়ি করুন।”

নূরী ছাদে দাঁড়িয়ে আছে। শো শো বাতাসে তার চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে। মন ভালো থাকলে সবই ভালো লাগে। নূরীরও মন ভালো। তাই তার কাছে সবকিছুই ভালো লাগছে। আজ প্রথম আসাদ কারও সামনে তাকে সম্মান দিয়েছে। যা নূরীর খুব ভালো লেগেছে। নূরী অনুভব করলো কেউ তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। আসাদ ভেবে সে ফিরে তাকালো। কিন্তু ম্যানেজারদেরকে দেখে কিছুটা বিস্মিত হলো।
- আপনারা এখানে!
- ইয়ে মানে ম্যা…ম্যাম। স্যারে বলেছেন এই কাগজগুলো আপনাকে দেখাতে।
- আমাকে কেন?
- চেকিং করার জন্য। আপনি অনুমোদন দিলেই স্যারে সাইন করে দিবেন।
- গতবারের মতো নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা আছে, তাই না?
- না না ম্যাম। গতবার তো ভুলবশতঃ হয়েছিল।
- তাই বুঝি? এত শিক্ষিত হয়েও আপনারা সামান্য ভুল ধরতে পারেননি?
ম্যানেজাররা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল। বলল, “মানুষ মাত্রই তো ভুল।”
- কিছু ভুল ইচ্ছায়। আর কিছু অনিচ্ছায়।
কাগজগুলো নিয়ে নূরী চেক করতে লাগল। কোনো গরমিল না পেয়ে বলল, “ঠিক আছে। স্যারের কাছে নিয়ে যান।”
“সইটা তুমিই দিয়ে দাও।” পেছন থেকে আসাদ বলে উঠলো।
- আমার সই তো কাজে আসবে না।
- আমি উকিলের সাথে কথা বলে নিব। আজ থেকে আমার ব্যবসার এই বিভাগটা তুমিই দেখবে।

রাতে খাবারের শেষে আসাদ ও নূরী শুয়ে পড়লো। নূরী ঘুমিয়ে পড়বে এমন সময় আসাদ বলল, “তুমি একদিন কোন পরীক্ষার কথা বলেছিলে যেন।” নূরীর ঘুম উড়ে গেল। আসাদ আরও বলল, “আমি চাই পরীক্ষাটা তুমি এবার দাও।”
নূরী চুপচাপ তাকিয়ে রইলো। তারপর আসাদের বুকে মাথা রাখলো। আসাদ বলল, “আমি কি তোমার মনের রাজা হতে পেরেছি?”
- রাজা যখন তার রাণীর সাথে রাণীর মতোই ব্যবহার করে তখনই সে পরিপূর্ণ রাজা হয়ে উঠে। মূলত স্ত্রী হলো স্বামী সম্পদ ও সম্মান। হয়তো এতদিন তুমি এটা বুঝনি। তবে এখন বুঝেছ এতেই আমি খুশি।
নূরীর কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে আসাদ তাকে জড়িয়ে ধরলো বুকের মাঝে। সংসার জীবনের শুরুতে আসাদ যতটা না শান্তি অনুভব করেছে তারচেয়ে বেশি এই কয়েকদিনে অনুভব করেছে। স্ত্রীকে ভালোবাসলে সংসার এমনিতেই শান্তি ও সুখে ভরপুর থাকে। স্ত্রীর সম্মানই হলো স্বামীর সম্মান। যাআ আসাদ বুঝতে পেরেছে। তাই তো সে নূরীকে স্ত্রীর স্থানে বসিয়েছে। এতেই সুখ। এতেই শান্তি। রাজা হতে হলে রাণীকে যে রাণীর মতো রাখতে হয়।

সমাপ্ত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.