নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে জানতে ও ছড়িয়ে যেতে চাই।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী

আমি বাপ্পী। জন্মস্থান বরিশাল। বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম।

মোঃ জোবায়ের বাপ্পী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের নামঃ চড়াই উৎরাই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

গল্পের নামঃ চড়াই উৎরাই।
পর্বঃ ০১
লিখেছেনঃ মোঃ জোবায়ের বাপ্পী।

বিশাল বড় খাবার টেবিলে বসে আছেন মোস্তফা শিকদার ও তার পরিবার। পরিবার বলতে এক মেয়ে অহনা শিকদার ও স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম। টেবিলে হরেকরকমের খাবার আছে। ফলফ্রুট, জুস, নাস্তা কোনোকিছুর অভাব নাই। এসব প্রতিদিনই থাকে। কিন্তু তারা সবসময়ই সামান্য খেয়েই উঠে পড়ে। যেন পেট নয়, চোখ ভরানোর জন্যই এতো রকমের খাবারের আয়োজন করা হয়। অন্যান্য সময় খাবার পরিবেশনের জন্য দুজন মেয়ে থাকে, যারা খাবার তৈরিতে দিলুয়ারাকে সাহায্য করে। কিন্তু আজ কেউ নেই। প্লেটে যার যার পছন্দের খাবার পরিবেশন করাই আছে। তিনজনে খেতে বসলো। কারও মুখে কথা নেই। অন্যান্য দিন বাবা-মেয়ে মিলে ব্যবসায়িক কথাবার্তা বলে কিন্তু আজ তাও বলছে না। খাওয়ার এক পর্যায়ে অহনাকে উদ্দেশ্য করে মোস্তফা বললেন, “আমি এই বছরেই তোমার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এতক্ষণে অহনা ও দিলুয়ারা বুঝলো আজ কেন এই রুমে কেউ নেই। কথাটা যেন একটা বোমার মতো পড়লো। বিস্ফোরণের পর যেন পরিবেশ কিছুক্ষণের জন্য নীরব হয়ে যায়। তেমনি পুরো রুম জুড়ে নিস্তব্ধতা ছেয়ে গেল। দিলুয়ারা এক নজর মেয়ের দিকে তাকালেন। অহনা একদম স্বাভাবিক ভাবে বসে আছে যেন সে কিছুই শুনতে পায়নি। তার চেহারায় লজ্জার বিন্দুমাত্র ছাপ নেই। অথচ দিলুয়ারা যখন নিজের বিয়ের কথা জানতে পেরেছিলেন। তখন ভয় ও লজ্জায় বেশ কিছুদিন বাবার সামনেও আসেননি। কিন্তু অহনার মধ্যে কিছুই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যুগের সাথে অনেক কিছুরই যেন পরিবর্তন হচ্ছে। নীরবতা ভেঙে অহনা বলল, “আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে পাত্র আমার পছন্দের হবে।” এই কথা শুনে মোস্তফা বেশ অবাক হলেন। এই কথা বলার সাহস অহনা পেল কোথায়? তিনি বেশ কর্কশ গলায় বললেন, “আমি তোমার মতামত চাইনি। আমি তোমাকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। তোমার বিয়ে আমি আমার পার্টনার রাসেদের ছেলের সাথে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” খাবারের চামচ দুটো টেবিলে রেখে অহনা তার বাবার চেয়ে দ্বিগুণ কর্কশ গলায় বলল, “আমি কোনো ব্যবসায়িক পণ্য নই যে, তুমি আমাকে লাভের আশায় ব্যবহার করবে। বিয়ে তো আমি আমার পছন্দমতোই করব। তুমি রাজি না হলে তোমার অসম্মতিতেই করব।” মেয়ের এমন কথা শুনে গর্জে উঠেন মোস্তফা। “তোর এত বড় স্পর্ধা? আমার মুখের উপর কথা? ঘর থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিব। তখন দেখবো এই উঁচু গলা কোথায় যায়।” তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দিয়ে অহনা বলল, “অর্থবিত্তের হুমকি আমাকে দিয়ো না। ভুলো না, আমি শিকদার গ্রুপ এণ্ড কম্পানির ২০% শেয়ারহোল্ডার। এমন একটা বাড়ি গুলশানে আমারও পড়ে আছে।” কথাগুলো বলে অহনা সোজা উপরে নিজ রুমে চলে গেল। নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন দিলুয়ারা বেগম। ছোট থেকেই অহনা রাগী স্বভাবের। তবুও কখনো বাবার সামনে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলেনি। তবে মেয়ের এমন রূপ দেখে তিনি মনে মনে যেন একটু খুশিই হলেন। এই ঘরে আজ পর্যন্ত মোস্তফার কথার ওপর কথা বলার সাহস কেউ করেনি। হোক সেটা ভুল কিংবা শুদ্ধ। অপরদিকে রাগে ফুসছেন মোস্তফা সাহেব। দিলুয়ারাকে বললেন, “ওকে বুঝাও। অন্যথায় আমি কিন্তু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।”

পুরো নাম অহনা শিকদার। বয়স পঁচিশ বছর। শিকদার গ্রুপ এণ্ড কম্পানির ২০% শেয়ারহোল্ডার। কম্পানি তার বাবারই। ২৩ বছর বয়সে বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে অহনা দেশে এসে বাবার ব্যবসায় বসে। তার বাবার মূল ব্যবসা ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট। এছাড়াও তার বাবার রিয়েলএস্টেটের ব্যবসাও ছিল। কিন্তু ওটাতে তেমন লাভ হতো না। তাই মোস্তফা সেদিকে তেমন নজরও দিতেন না। অহনা যখন ছোট ছিল তখন তার বাবা তার নামে ব্যাংকে ডিপিএস করেছিল। যা অহনার তেইশ বছর বয়সে এসে সমাপ্ত হয়। সেখানে প্রায় লাখ পঞ্চাশে টাকা পায় অহনা। বাবার অনুমতি নিয়ে তারই কম্পানির ৫% শেয়ার কিনে রিয়েলএস্টেট ব্যবসায় মূলধন প্রয়োগ করে। সুন্দর সুন্দর ডিজাইন ও নানারকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ফ্লাট-বাড়ি বানিয়ে সেটা গ্রাহকের কাছে বিক্রি শুরু করে। আকর্ষণীয় ও উন্নতমানের ফ্ল্যাট হওয়ায় তা ধীরে ধীরে সুনাম অর্জন করতে থাকে। এতে সময়ের সাথে মুনাফা আসতে থাকে। এই ব্যবসায় অহনা বেশ লাভবান হয়। ফলে ব্যবসা প্রসারিত হয়। সময়ের স্রোতে সেই ৫% শেয়ার আজ ২০% শেয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে। মোস্তফা কল্পনাও করতে পারছেন না যে, অহনা কিভাবে ২০% শেয়ারহোল্ডার হলো! এই মেয়েকে তো এখন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে যাবে। বিয়েটা না হলে ব্যবসায়িক দিক থেকে তার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এই বিয়ের ওপর তার কোটি টাকার চুক্তি স্থির হয়ে আছে।

মেয়ের রুমে ঢুকে বেশ অবাক হয়ে গেলেন দিলুয়ারা। অহনা ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছে। অহনা তার একমাত্র সন্তান। বিদেশে পড়াশোনা ব্যতীত আর কখনোই অহনাকে নিজের থেকে দূরে রাখেননি। তাছাড়া তিনি চান না মেয়ে এভাবে ঘর ছাড়ুক।
- রাগ করিসনে মা। মেয়েদের এভাবে ঘর ছাড়তে নেই।
মুচকি হাসি দিয়ে অহনা বলল, “আমি কি পাগল নাকি যে, এই বিশাল সম্পত্তি ছেড়ে চলে যাব? আমি কিছুদিন ভ্রমণে যাচ্ছি। এতে তোমার লোভী স্বামীর মাথায় যদি আমার কথা ঢুকে তো ভালো। তবে এটা নয় যে, ফিরে এলে তোমার স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে নিবো।” মেয়ের ভাবভঙ্গি দেখে দিলুয়ারা হেসে দিলেন।বললেন, “আমার স্বামী। তোর বুঝি কিছুই না?”
“কপালে ছিল তাই তোমার স্বামী আমার মতো মেয়ের বাবা হতে পেরেছে।” হেসে বলল অহনা। তারপর ব্যাগ নিয়ে নেমে পড়লো। নিচে এসে বাবার সাথে চোখাচোখি হতেই এমন ভাব নিলো যেন রাগ করে ঘরে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। মোস্তফাও ডাক দিলেন না। অহনা চলে গেল। দিলুয়ারা উপর থেকে নেমে এলেন। মুখে কষ্টের ছাপ। কিছু খোটা মেরে মোস্তফা বললেন, “তোমার উত্‍সাহ পেয়েই মেয়ে এমন হয়েছে। আরও উত্‍সাহ দাও।” দিলুয়ারা আঁচল দিয়ে মুখ চেপে ধরলেন যেন কাঁদছেন। অথচ আঁচলের আড়ালে মুচকি মুচকি হাসছেন।

গাড়ি তার তীব্র গতিতে বাতাস চিড়ে ছুটছে। অহনা তার চুলো গুলো সেই বাতাসে ছড়িয়ে দিয়েছে। বুক ভরে আনন্দের বাতাস নিচ্ছে। আজ কোনো ধরাবাধা নেই। সে যেন মুক্ত পাখি। গাড়ি চালাচ্ছে তার প্রিয় বান্ধবী রূপালি। দুজনে মিলে ভ্রমণে বেরিয়েছে। উদ্দেশ্যহীন এক ভ্রমণ। যার শেষ কোথায় তা নির্ধারণ করা হয়নি।
- দেখ ভাই, চুপচাপ বোস। আমার এমনিতেই ভয় লাগছে।
- আরে পাগল ভয়ের কি আছে? আমি তো আছি।
- তাই তো ভয়। তোর মাথায় কখন কোন ভুত উঠে তা তো বলা মুশকিল।
অহনা হেসে উঠলো। অহনা পূর্বেউ জানতো কোনো একদিন তাকে তার বাবার মুখোমুখী হতে হবে। তাই সে অনেক আগ থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করেছে। নিজ পায়ে দাঁড়িয়েছে যাতে তার ওপর তার বাবা কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে না পারে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। নদীর তীরে অবস্থিত একটি গ্রাম দেখে তারা থামলো। বেশ দূরেই গাড়িটা রেখে তারা গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করলো। মূলত আত্মগোপনের জন্যই এমনটা করেছে। অহনা তার বাবার পছন্দ মতো বিয়ে করতে চায় না। অহনা ভালো করেই জানে টাকা পয়সার প্রাচুর্যে মানসিক সুখ পাওয়া যায় না। নয়তো তার মায়ের মুখে সবসময়ই হাসি থাকতো। অহনা ছোটবেলায় তার মাকে নীরবে অন্ধকারে কাঁদতে দেখেছে। স্বামীর ভালোবাসার অভাব যে, একটা স্ত্রীকে কতটা কষ্ট দেয় তা অহনা ভালো করেই জানে। সে নিজেও ছোট থেকে বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছে। তাই সে দ্বিতীয় দিলুয়ারা হতে চায় না, চায় না তার সন্তানেরা দ্বিতীয় অহনা হোক। মেয়ে হয়ে জন্মেছে যখন বিয়ে তো করতেই হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত অহনা তেমন ছেলে পায়নি যে মন থেকে ভালোবাসতে জানে। জীবনে বেশকিছু প্রপোজাল পেয়েছে। কিন্তু কারও চোখেই ভালোবাসা দেখেনি। কেউ হয়তো তার সম্পত্তিকে ভালোবেসেছে, কেউবা শরীরটাকে। মনকে কেউই প্রধান্য দেয়নি।

২০ দিনের মাথায় অহনা ঘরে ফিরে এসেছে। কম্পানির অনুষ্ঠান আছে। তাই সে এসেছে। কেননা বর্তমানে সে এই কম্পানির তৃতীয় বৃহত্‍ শেয়ারহোল্ডার। এই অনুষ্ঠান তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানির সবার সাথে পরিচয়টা বাড়ানো ভবিষ্যতের খুবই প্রয়োজনীয়। অহনা তার মায়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতো তাই মোস্তফা মেয়ের চলে যাওয়াকে ওতটা গুরুত্ব দেয়নি। অহনা বেশ হাসিখুশির সাথে অনুষ্ঠানে যোগ দিলো। সবার মুখেই অহনার সফলতার প্রশংসা। এতে মোস্তফাও বেশ খুশি হলেন। ঠিকঠাক মতো অনুষ্ঠান শেষ হলো। অহনা ও তার মা বাসায় চলে এলো। অহনা তার মায়ের কোলে শুয়ে আছে। আঁচল নিয়ে খেলা করছে। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে কেটে গেল। তারপর দিলুয়ারা বললেন, “ছেলেটা কে?” অহনা সটান করে বসে পড়লো। মায়ের চোখে চোখ পড়তেই অহনার মুখ লজ্জায় লাল বর্ণ হয়ে গেল। “কথাটা অন্ধকারে ঢিল মারার মতো ছিল। তবে এখন তোর প্রতিক্রিয়া দেখে নিশ্চিত হলাম। তা ছেলেটা কে?” অহনা আবার তার মায়ের কোলে শুয়ে পড়লো। আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে ভ্রমণ কাহিনী বলতে লাগল।
“এখান থেকে বেরিয়ে আমি রূপনগর গ্রামে এক গিয়েছিলাম। সেখানের ঝরনা ও প্রকৃতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে ইব্রাহীম। এত সহজ সরল ও উদার মনের মানুষ আমি কখনো দেখিনি। গ্রামে আমরা নতুন ছিলাম। তাই গ্রামের মোড়ল মানে ওর বাবা আমাদের দেখাশোনা ও ঘুরানোর জন্য ওকে আমাদের সঙ্গে দিয়েছিলেন। অত্যন্ত সাহসী ছেলে। একবার তো আমি একটা শেয়ালের ফাঁদে পড়েছিলাম। ও সাহসিকতার সাথে আমাকে বাঁচিয়েছিল।”
দিলুয়ারা কেঁপে উঠলেন। “বলিস কি? আমাকে আগে বলিসনি কেন?”
“আহা! শুনো তো আগে। আমি একবার জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিলাম। ও আমাকে খুঁজে বের করেছিল। আমি সারারাত ওর সাথে একা ছিলাম। বিশ্বাস করো মা, ও আমার দিকে একবারও ফিরে তাকায়নি। বরং আমাকে পাহারা দেওয়ার জন্য সারারাত ঘুমায়নি। আমি তো শুরু থেকেই ওর উদারতা ও সরলতার প্রেমে পড়েছিলাম। আমাকে যেভাবে আগলে রেখেছিল তাতে ভেবেছিলাম সেও আমাকে ভালোবাসে। আমি যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি সারারাত না ঘুমিয়ে আমাকে পাহারা দিয়েছ কেন? তখন ও নিঃসংকোচে এক বাক্যে কি বলেছিল জানো মা?”
দিলুয়ারা ছোট্ট করে বললেন, “কি?”
“বাবা নির্দেশ আপনাকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। আমি অবাক হয়েছিলাম এই কথা শুনে। বাবার কথা পালন করতেই ও এসব করেছে। সেদিন আমি ওকে ভালোবেসে ফেলি। অনেক ইনিয়ে বিনিয়ে মনের কথা ওকে বলেছি। কিন্তু ও এত গাধা যে বুঝতোই না। এদিকে অনুষ্ঠানের সময় ঘনিয়ে আসছিল। আমাকে ফিরতে হবে। হাতে সময়ও ছিল না। তাই একদিন সুযোগ বুঝে ওকে মনের কথাগুলো বলে দেই। কিন্তু ও অবাক করে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। আমি নাকি শহুরে মেয়ে। ঘর সংসার নাকি বুঝি না। এগুলো নাকি আবেগ। এসব বলে ফিরিয়ে দিয়েছিল। অনেক কান্নাকাটির পর রাজি করিয়েছি। তবে ও সোজা ওর বাবার কাছে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি একান্তে আমার সাথে কিছু কথা বললেন। তার ছেলেটা খুব আবেগী। একবার তাদের দীর্ঘদিনের পালিত গরু মারা যাওয়ার দুঃখে সে দুই সপ্তাহ জ্বরে ভুগেছিল। আমি যদি ওর মন নিয়ে খেলি তবে হয়তো ও মারাই যাবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে ধোকা দিবো না। শীঘ্রই বাবা মাকে জানিয়ে বিয়ে করব। অতঃপর তিনি সম্মতি দিলেন। বেশি না, আমি ওর সাথে মাত্র তিনটা দিন ভালোবাসার চাদরে কাটিয়েছি। ওই তিনদিন শুধু আমি আর ইব্রাহীম মিলে জঙ্গল, পাহাড়, ঝরনায় ঘুরে কাটিয়েছি। ও যে এতো আবেগী আমি তা আগে বুঝিনি। কথায় কথায় হাত ধরে কেঁদে ফেলতো। বলতো ছেড়ে যেওনা। ইসস আমি কি নির্লজ্জ! তোমাকে এসবও বলে দিলাম।” অহনা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল। মেয়ের লজ্জামাখা মুখ দেখে দিলুয়ারা হেসে দিলেন। তবে মনে মনে বেশ চিন্তায় পড়লেন। অহনার ব্যাপারটা স্বামীকে কিভাবে জানাবেন? তিনি কি পারবেন মেয়ের মনের ইচ্ছে পূরণ করতে? এদিকে অহনা মনে মনে তার বাবার সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে। কেননা সে জানে তার বাবা কখনোই ইব্রাহীমকে মেনে নিবে না।

চলবে ………

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.