নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm
Click This Link
আলজেরিয়ার একটি গ্যাসক্ষেত্রে ভয়াবহ জঙ্গী হামলা, দেশী-বিদেশী কর্মিদের জিম্মি করা। এরপর সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান, ৫০ জন বিদেশী সহ শতাধিক নিহত। অজ্ঞাত কারনে এতবড় একটি সন্ত্রসি ঘটনা আমাদের মিডিয়া প্রায় নিশ্চুপ ছিল। খুব দায়সারা সংক্ষিপ্ত বিবরন ভেতরের পাতায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কর্মিদের ঘটনাস্থলের কাছে যেতে না দেয়ায় প্রথম দিকে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়া যেতে থাকে।
যেভাবে হামলা শুরু
বিভিন্ন সংবাদ সুত্রে জানা যায়, আলজেরিয়ার সাহারা মরুভুমিতে অবস্থিত গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রকৌশলি কর্মিরা ইন-আমেনাস বিমান বন্দরে যাওয়ার পথে বুধবার ভোরে একদল জঙ্গী তাদের ওপর ওপর হামলা চালায়। সংবাদ মাধ্যমগুলো আরও জানায়, এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীরা প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গ্যাসক্ষেত্রের দিকে চলে যায়।
সূত্র জানায়, “গ্যাসক্ষেত্রে পৌঁছানোর পর হামলাকারীরা বেশ কয়েকজন পশ্চিমা ও আলজেরিয়ান নাগরিককে অপহরণ ও জিম্মি করে। ওই গ্যাসক্ষেত্রের ভেতরে জঙ্গীরা বিস্ফোরক ও মাইন স্থাপন করে বলে সরকারি সূত্রে জানা যায়।
উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আনাড়িপনা ও বিশৃক্ষলা
উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আলজেরিয় নিরাপত্তাবাহিনীর আনাড়িপনা ও বিশৃক্ষলা চোখে পড়ে
বিদেশি জিম্মিদের নিয়ে অপহরণকারীদের অবস্থান করা গ্যাসক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জন জিম্মি ও ১৫ জঙ্গী ছিল। বেঁচে যাওয়া জিম্মিরা জানান, অপহরণকারীরা কয়েকটি জিপে করে জিম্মিদের নিয়ে গ্যাসক্ষেত্র থেকে পালানোর চেষ্টা করলে হামলা চালায় সেনা হেলিকপ্টার। মিসাইল, কামান চালিয়ে জিম্মিসহ জিপ উড়িয়ে দেয়া হয়
যদিও এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি দেশটির সরকার। মৌরতানিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে জঙ্গীরা দাবি করে, সরকার দুই জন নিহত হওয়ার দাবি করলেও আসলে নিহত হয়েছে ৫০ জন। এদের বেশিরভাগই মার্কিন, ব্রিটিশ, জাপানি, সুইডিশ, ফ্রেঞ্চ সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিল।
বুধবারের হামলার দায় স্বীকারকারী আলকায়দার সহযোগী ‘মাস্কেদ ব্রিগেড’ নামে জঙ্গী দলটির বেশিরভাগই নিহত হয়। অপহরণকারী দলের প্রধান আবু এল বারাও নিহত হয়েছেন।
©somewhere in net ltd.