নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

CNN এর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যেভাবে মোকাবেলা

১১ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮



CNN এর সাথে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নতুন কিছু নয়। দীর্ঘ

রাজনীতির ক্যারিয়ারে অনেকবারই তিনি মুখোমুখি হয়েছেন বিখ্যাত সব

সাংবাদিকের। কয়েক মাস আগেও বিবিসির হার্ড টক অনুষ্ঠানে স্টিফেন শাকুরকে

দেয়া তার সাক্ষাৎকার প্রশংসিত হয়েছিল সর্বত্র। গতবছর লন্ডন সফরকালে

আল-জাজিরা অফিসে বসে এক দীর্ঘ সাক্ষাতকার দেন, লাইভ। বাংলাদেশে

যুদ্ধাপরাধী ইশু তখন তুঙ্গে। আল-জাজিরার প্রশ্নকর্তা পাকি বংশভুত রিজ খান

তাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করে ফেললেও ওনাকে যথেষ্ট দৃঢ়তার সাথেই মোকাবেলা

করতে দেখা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে New york Times সংবাদপত্রেও একটি

সাক্ষাৎকার দেন, তখন ছিল ইউনুস ইশু।



বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধান এর আগে বিদেশী মিডিয়াতে এতবার

মুখোমুখি হয়েছেন কি না জানি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া কখনই প্রেসকে

সাক্ষাৎকার দেন না, বিদেশী সংবাদমাধম তো দুরের কথা, দেশী মিডিয়াতেও দেন

না। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য শেষ করার পর কিছু জিজ্ঞেস

করলে বলা হয়, "আমার লিখিত বক্তব্যে সব প্রশ্নের উত্তর আছে". ১৯৯৩ এ

বাংলাদেশে CNN দেখার অনুমতি দেয়া হয়। তত্তকালিন প্রধানমন্ত্রী

ম্যাডাম খালেদা জিয়া CNN এ একটি ২-৩ মিনিটের প্রিরেকর্ডেড সাক্ষাৎকার

দেন বাংলায়, গৎবাধা সাধারন প্রশ্নে দুজন দোভাসি তাকে সাহায্য করতে দেখা

যায়। এর পর উনি আর কোন ইন্টারভিউ দেন নি। না দেশী, না বিদেশী। ১৯৯৪ এর

দিকে বিবিসি ফোনইন অনুষ্ঠানে রাজি হয়ে একদম শেষমুহুর্তে না করে দেন।



গত বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউজ চ্যানেল সিএনএনকে দেয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার আলোচনার ঝড় তুলেছে।

চ্যানেলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক ক্রিশ্চিয়ান আমানপোর

নিউইয়র্ক থেকে সাক্ষাৎকারটি নেন। আলজাজিরার ঢাকা অফিসের সহায়তায়

স্যাটেলাইট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়। দুরবর্তি

নিরাপদ যায়গা নিউইয়র্কে বসে আমানপুরকে প্রশ্ন করার সময় বেশ আগ্রাসি

মনে হয়েছে।



সোহেল রানার ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে বলাহচ্ছিল সে ভবন মালিক ও গার্মেন্টস

মালিক, ক্ষমতাসীন দলের উচু পদের নেতা, যে দলটি আপনার। সে ইয়ুথ উইং

(যুবলীগ বোঝাতে) এর শীর্ষ নেতা...

একটা ছ্যাচড়া ক্যাডারকে শীর্ষ নেতা বলাতে প্রধানমন্ত্রী নো নো ... নেভার বলেন

সঙ্গত কারনেই। যেহেতু ছ্যাচড়া ক্যাডারের নামটি ঘটনার পর পরই স্থানীয়

যুবলিগের খাতা থেকে মুছে ফেলার পর স্থানীয় সাংসদ মুরাদ জং প্রধান

মন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন ক্যাডার সোহেল রানার নাম যুবলিগে নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন আমি আপনাকে বলতে চাই, ভবনটিতে ৫ টি গার্মেন্টস

কারখানা ছিলো। ৫ জন মালিক। তারা শ্রমিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তারা

শ্রমিকদের কাজে যোগ পাঠায়।

আমানপুর: ওকে

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে (সোহেল রানাকে উদ্দেশ্য করে) একাই ভবনটির মালিক

না। আমরা ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা সব মালিককে (৫ গার্মেন্টস

মালিক) গ্রেপ্তার করেছি। প্রকৌশলীসহ সবাইকে। আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা

গ্রহণ করেছি। আমরা সবাইকে গ্রেপ্তার করেছি।

আমানপোর: তাদের ব্যাপারে কি ঘটতে যাচ্ছে? ... (প্রশ্ন শেষ করতে পারেননি আমানপুর)

প্রধানমন্ত্রী: আমরা তাদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি না। (কয়েক সেকেন্ড

দু'জনই চুপ..)

প্রধানমন্ত্রী: অপরাধী অপরাধীই..।

তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ

করেছি। এটা জনগণকে দেয়া আমাদের ওয়াদা। আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি।

সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে

মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভবনটির মালিক এবং গার্মেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে।

সুতরাং আমাদের সরকার .. আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

আমানপোর: সমস্যা হলো জনগণ এ ধরণের প্রতিশ্রুতি অতীতে দেখেছে এবং তারা

বিশ্বাস করে না যে অভিযুক্তদের শাস্তি হবে। তারা অপেক্ষায় আছে কিভাবে

মামলাটি আগায়! (এটাকি আমানপুর না খালেদাজিয়া!)



মাত্র ১৮ জন ইন্সপেক্টর দিয়া হাজার হাজার কারখানা পরিদর্শনের কেমনে সম্ভব?

একথার কোন জবাব নেই।

সংগত কারনেই হাসিনা বলেছেন, কথা ঘুরিয়েছেন, বলছেন, আইন করছি, করতেছি।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আমরা জাতীয় শ্রম নীতি গ্রহণ করেছি। আমরা এসব

ব্যাপারে সচেতন এবং তা বাস্তবায়নে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।



এরপর আমানপুর নিহত এনজিও নেতা আমিনুল কে বললেন 'লেবার ইউনিয়ন লিডার' (যেখানে ইউনিয়ন গঠিতই হয়নি আর আমিনুল গার্মেন্টস নেতা বা কর্মিও ছি্লেন না।)

তাই হাসিনা ক্ষেপে গিয়ে বললেন - "তিনি কোন ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন? নাম বলেন"।

আমানপুর: তিনি (আমিনুল ইসলাম) শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজ করছিলেন যেখানে

শ্রমিকদের জিম্মি করে রাখা হয়। আপনি নিজেই বলেছেন কিছু মানুষ বেআইনী

কাজ...

প্রধানমন্ত্রী: না। আপনি ভুল

আমানপোর: স্টপ! আমি কি ভুল বললাম?

প্রধানমন্ত্রী: আপনি ভুল। আপনি ভুল।

বাংলাদেশের কেউ জানে না তিনি (আমিনুল) শ্রমিক নেতা ছিলেন। তিনি খুন হন

অথবা কিছু ঘটেছে। চারদিন পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করে আমাদের আইনশৃঙ্খলা

রক্ষাকারী বাহিনী। এটা আমাদের পুলিশ। আমাদের পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।

পরে জানা যায় তিনি শ্রমিক নেতা বা কিছু একটা ছিলেন বা অন্য কিছু। কিন্তু

আমরা দুঃখিত, ব্যাথিত, আমাদের তার প্রতি সিমপ্যাথি আছে। মামলা তদন্ত হচ্ছে। আমরা

আমাদের দায়িত্ব বুঝি। সুতরাং এই ব্লেম গেইম থাকা উচিত না।

আমানপোর: অল রাইট। আপনি জানেন না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব

বাংলাদেশে গিয়ে এ ব্যাপারে তদন্ত করতে বলেছেন। আপনি বলেছেন আপনি আপনাদের

জনগণ ও শ্রমিকদের ব্যাপারে সচেতন...

প্রধানমন্ত্রী: তদন্ত চলছে...

আমানপোর: ওকে..



এরপর তীব্র বাদানুবাদ হয় CNN প্রতিনিধীকে ঢুকতে কেন দেয়া হয়নি।



HASINA: I'm sorry; CNN was not allowed to come to Bangladesh?



AMANPOUR: No. No, and I would ask you right now please to change that.



HASINA: No. What did you say?



AMANPOUR: I did say that. CNN is not allowed to come to cover this story --



HASINA: No. I'm sorry.



AMANPOUR: No, ma'am --



HASINA: What did you say?



AMANPOUR: I said CNN and other international organizations have not been allowed to come to Bangladesh as journalists to cover this story. They have put very draconian conditions on (অস্পষ্ট)confiscate



HASINA: No, it is not true.



AMANPOUR: It is true.



HASINA: No, no, no.



AMANPOUR: Yes, yes, it is true.



HASINA: No, no, Bangladesh is a free country.listen, in our country, we have private television ... tell me one thing. If it is prevented, then why I am talking to you?



AMANPOUR: Prime Minister, I'm not there.



HASINA: If we -- if we prevent you -- no, no. If we prevent CNN, then why I am talking to? (Inaudible). You were stopped; you don't publish it. If you mean that, that we didn't allow CNN to come to Bangladesh, then you should not publish my interview.



আসলে তুর্কি প্রতিনিধী দলের ছদ্দবেশে আন্তর্জাতিক ওহাবি মৌলবাদি চক্র

ট্রাইবুনালে প্রবেশ করে বেয়াইনি ভাবে চিত্র ধারন করে নেতিবাচক প্রতিবেদন

প্রচার করে। তাই কতৃপক্ষের কিছু অবধারিত কড়াকরি।

বিদেশী সাংবাদমাধ্যমের জন্য একটি ফর্ম ফিলাপ করে আসতে হয়, যাতে বলা হয় কতৃপক্ষ ইচ্ছা করলে তাদের ভিডিও- উপাত্ত চেক করতে পারবে, প্রয়োজনে জব্দ (confiscated) করতে পারবে। CNN কতৃপক্ষ এই 'অপমানজনক' শর্ত? না মানায় CNN এর কোন সাংবাদিক আসেনি,

অতচ আমানপুর বলে ফেললেন বললেন "ঢুকতেই দেয়া হয়নি"!



প্রধানমন্ত্রী: সব দেশেরই কিছু নিয়ম কানুন থাকে। সবাইকেই তা অনুসরণ করতে

হবে। আমরা আমাদের মানুষ হারিয়েছি। আমি এসব মানুষের জন্যই রাজনীতি করি।

সুতরাং প্রতিটি জীবনই আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের

জন্য দু:খপ্রকাশ করছি। এবং এটার দায়ভার আমার। আমি এটা দেখভাল করবো এবং

আমি তা করছি।



আমানপুর: প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ধন্যবাদ

প্রধানমন্ত্রী: ধন্যবাদ।



অতচ কদিন আগে আমানপুর বার্মার অংসান সুচি ও ইরানের আহাম্মদিনেজাদের

ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, এভাবে "স্টপ" নো .. নো .. বলার সাহস হয়নি

ইরানে ঢুকার আগে এরচেয়েও কঠিন ফর্ম ফিলাপ করতে হয়েছিল, মাথায় হিজাব দিয়ে চলবে বলে মুচলেকা দিতে হয়েছিল।

এবার বাংলাদেশকে দুর্বল পেয়ে একহাত নিল আমানপুর।

বার্মার তখন বেপরোয়া মুসলিম রহিংগা নিধন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বেপরোয়া উচ্ছেদ চলছিল। অংসান সুচি তখন মুক্তহয়ে ওবামার সাথে। মন্দায় কাহিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদিদের গ্যাস ও কয়লার ঠিকাদারি দরকার। আমানপুরও বুঝে, তাই মিঠামিঠা কথা বলে সাক্ষাৎকার শেষ করে্ন।

রহিংগা গ্রামের আগুনের ধোঁয়া দেখা গেলেও ব্যাপার না ... সমস্যা নেই বলে

উলটা রিপোর্টে দেখায় ঢাকা কেন 'অমানবিক'? ভাবে বহিষ্কৃত রহিংগাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে,

অমানবিক কাজ করছে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বাংলাদেশকে দুর্বল পেয়ে একহাত নিল আমানপুর।
ভিডিওটি দেখেছি, আমানপুরের চোখেমুখে ছিল অবজ্ঞার ছাপ!

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - True

২| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

নিকষ বলেছেন: সাক্ষাতকারটা দেখার পর; চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে। কি সাবলীল আর বলিষ্ঠ সত্যভাষণ; একারণেই সুকান্ত লিখেছিলেন "জ্বলে পুড়ে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়"; পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই সাক্ষাতকার একটি অমূল্য দলিল; সত্য, সততা এবং সাহসের। মিথ্যা আর কুচক্রী আক্রমনের বিরুদ্ধে কয়জন পারে এমন করে বলতে। স্যালুট।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ!

আপনার পোষ্টগুলো সব মুছে ফেলেছেন কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.