নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm
জঙ্গি ফান্ডে টাকা আসছে দেশ-বিদেশ থেকে, দেদারসে .. ধরাপরে দুএকটি।
শাকিলার আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন, জবানবন্দিতে শাকিলাসহ তিন আইনজীবী জঙ্গিদের অর্থ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি।
তবে জবানবন্দিতে শাকিলা বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মামলা পরিচালনার জন্য তিনি টাকা নিয়েছেন। কিন্তু মামলায় জামিন না হওয়াতে টাকা ফেরত দেন। উসমান আমিন নামের এক মক্কেল শাকিলাকে মামলা চালাতে টাকাগুলো দিয়েছিলেন। পরে তিনি মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির হিসাব নম্বরে টাকা ফেরত দেন। মনিরুজ্জামানকে শাকিলা চেনেনও না। মনিরুজ্জামান জঙ্গি কিনা তাও বলতে পারেন না।
মক্কেলের টাকা চট্টগ্রামে মক্কেলকে না দিয়ে কেন ঢাকায় জঙ্গি মনিরুজ্জামানের একাউন্টে দিলেন, তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
সামান্য জুনিয়ার উকিলকে মামলা চালানোর জন্য কি কোটি কোটি টাকা দিতে হয়? এর কোন সন্তোষজনক জবাবও দেন নি।
২০১৪ সালের অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ধানমন্ডি সাত মসজিদ শাখার মাধ্যমে সানজিদা এন্টারপ্রাইজের ওই ব্যাংক হিসাবে শাকিলা নিজে এবং আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপন মোট এক কোটি আট লাখ টাকা জমা করেন।
এদিকে হেফাজতের মামলা পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।
মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, “ব্যারিস্টার শাকিলা ফারাজানা বা অপর দুই আইনজীবীকে দিয়ে হেফাজতের কোনো মামলা পরিচালনা করা হয়নি। সুতরাং কোন প্রকার অর্থ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।” এছাড়া ওসমান আমিন, মাসু্ম বা মনিরুজ্জামান ডন নামে তাদের কোনো নেতা বা কর্মী নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা বিগ্রেড’কে নানা কৌশলে অর্থায়নের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে একই অভিযোগে এনামূল হককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এনামূল ‘গোল্ডেন টাচ’ নামে গার্মেন্টস কারখানার পরিচালক ও মালিক।
২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে ও আর নিজাম রোড ইসলামী ব্যাংক শাখায় শহীদ হামজা ব্রিগেডের নেতা মনিরুজ্জামান ডনের একাউন্টে ১৬ লাখ টাকা জমা দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব গতকাল রোববার তিনি জানান, ইসলামী ব্যাংক ঢাকার মহাখালী শাখায় এনামূলের একটি একাউন্ট থাকার পরও উত্তরা শাখা থেকে এনামূল হক হামজা ব্রিগেড নেতা মনিরুজ্জামান ডনের একাউন্টে টাকা পাঠান। এ টাকা দেয়ার সময় এনামূল গোল্ডেন টাচের পরিচয় গোপন করে নিজেকে ‘গানেকস মাশরুম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক পরিচয় দেয়। তিনি জানান, শহীদ হামজা ব্রিগেড নেতা মনিরুজ্জামান ডনের এই একাউন্টটিতে এক কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা লেনদেনের মধ্যে এক কোটি ২৪ লাখ টাকার উৎস পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত এর মধ্যে গত ১৮ আগস্ট ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ২৫ ও ২৭ লাখ টাকা করে দুই দফায় ৫২ লাখ টাকা, হাসানুজ্জামান লিটন ৩১ লাখ এবং বাপন ২৫ লাখ ও শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া এনামূল ১৬ লাখ টাকা করে জমা করেছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়াও অর্থ জোগানদাতা হিসেবে আল্লামা লিব্দি নামে দুবাইয়ের এক নাগরিকও রয়েছেন বলেও এ র্যাব কর্মকর্তা জানান। এনামূল হককে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র্যাবকে জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে এনামূল তার এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর তুরাগ থানার তালতলায় ‘গোল্ডেন টাচ’ নামে পোশাক কারখানাটি পরিচালনা করছেন। ৫৬ জন কর্মচারী নিয়ে চালু করা কারখানাটিতে জিন্সপ্যান্ট তৈরি করে তা সৌদি আরব, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করতেন। মিফতাহ আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে এনামূল জানিয়েছে তিন ব্যক্তি তাকে কারখানার অর্ডার হিসেবে এ টাকা দিয়েছেন। পরে তারা অর্ডার বাতিল করে এ একাউন্টটিতে টাকা পরিশোধ করতে বলেন।
তবে এই তিনজন কারা সে বিষয়ে এনামূল কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি করেন এই র্যাব কর্মকর্তা। এর আগে ১৮ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করলেও রোববার এনামূলকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়েছে। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তাকে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
গ্রেপ্তার হওয়া এনামূল ঢাকায় ব্যবসা করলেও তিনি যশোরের কোতোয়ালি থানার জয়ন্তা গ্রামের জনৈক মতিয়ার রহমানের ছেলে। ১৯৯৬ সালে যশোরের সাগরগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে অভয়নগর নোয়াপাড়া মহাবিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর খুলনা বিএল কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স সম্পন্ন করে ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে ২০০৪ সালে মাস্টার্স এবং নোয়াখালী থেকে ডিপ্লোমা ইন মার্চেন্ডাইজিং কোর্স সম্পন্ন করেন। বিএল কলেজে থাকাকালে ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মাশরুম চাষ করতেন এবং ‘গানেকস মাশরুম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। এই এনামূল হক শিক্ষা জীবনে ছাত্রশিবির ও পরবর্তীতে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে একাত্ম হন বলে জানা গেছে। ২০০৬ সালে ‘পলমল’ নামে একটি কোরিয়ান এমব্রয়ডারি ফ্যাক্টরিতে ছয় মাস এবং ‘এমজে ইন্টারন্যাশনাল’ নামে ঢাকা ইপিজেডে একটি প্রতিষ্ঠানে দুই বছর কাজ করেছেন। এরপর মাগুরায় গাবখালী ইউনাইটেড কলেজ নামে একটি কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ২০১৩ সালে রাজধানীর তুরাগ এলাকায় ‘গোল্ডেন টাচ’ নামে প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন।
জবানবন্দিতে শাকিলাসহ তিন আইনজীবী জঙ্গিদের অর্থ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও বিভিন্ন আলামত স্পষ্ট
২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: অনেকে না বুঝেই দিচ্ছে। বিদেশে আমার এক আত্নিয়া দেশের এক দুরসম্পর্কের ভাইএর হাতে ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন জাকাত দেশে বিতরন করতে। আমি নিশ্চিত জানি এই টাকার প্রায় সবটাই মাদ্রাসা এতিমখানা ইত্যাদির নামে জঙ্গি ফান্ডে চলে যাবে।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: প্রথমআলো
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন: হ্যা, হিজবুত,হরকত,আনসারুল .... ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আসছে
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা বিগ্রেড’কে নানা কৌশলে অর্থায়নের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে একই অভিযোগে এনামূল হককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এনামূল ‘গোল্ডেন টাচ’ নামে গার্মেন্টস কারখানার পরিচালক ও মালিক।
২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে ও আর নিজাম রোড ইসলামী ব্যাংক শাখায় শহীদ হামজা ব্রিগেডের নেতা মনিরুজ্জামান ডনের একাউন্টে ১৬ লাখ টাকা জমা দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব গতকাল রোববার তিনি জানান, ইসলামী ব্যাংক ঢাকার মহাখালী শাখায় এনামূলের একটি একাউন্ট থাকার পরও উত্তরা শাখা থেকে এনামূল হক হামজা ব্রিগেড নেতা মনিরুজ্জামান ডনের একাউন্টে টাকা পাঠান। এ টাকা দেয়ার সময় এনামূল গোল্ডেন টাচের পরিচয় গোপন করে নিজেকে ‘গানেকস মাশরুম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক পরিচয় দেয়। তিনি জানান, শহীদ হামজা ব্রিগেড নেতা মনিরুজ্জামান ডনের এই একাউন্টটিতে এক কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা লেনদেনের মধ্যে এক কোটি ২৪ লাখ টাকার উৎস পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত এর মধ্যে গত ১৮ আগস্ট ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ২৫ ও ২৭ লাখ টাকা করে দুই দফায় ৫২ লাখ টাকা, হাসানুজ্জামান লিটন ৩১ লাখ এবং বাপন ২৫ লাখ ও শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া এনামূল ১৬ লাখ টাকা করে জমা করেছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়াও অর্থ জোগানদাতা হিসেবে আল্লামা লিব্দি নামে দুবাইয়ের এক নাগরিকও রয়েছেন বলেও এ র্যাব কর্মকর্তা জানান। এনামূল হককে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র্যাবকে জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে এনামূল তার এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর তুরাগ থানার তালতলায় ‘গোল্ডেন টাচ’ নামে পোশাক কারখানাটি পরিচালনা করছেন। ৫৬ জন কর্মচারী নিয়ে চালু করা কারখানাটিতে জিন্সপ্যান্ট তৈরি করে তা সৌদি আরব, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করতেন। মিফতাহ আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে এনামূল জানিয়েছে তিন ব্যক্তি তাকে কারখানার অর্ডার হিসেবে এ টাকা দিয়েছেন। পরে তারা অর্ডার বাতিল করে এ একাউন্টটিতে টাকা পরিশোধ করতে বলেন।
তবে এই তিনজন কারা সে বিষয়ে এনামূল কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি করেন এই র্যাব কর্মকর্তা। এর আগে ১৮ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করলেও রোববার এনামূলকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়েছে। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তাকে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
গ্রেপ্তার হওয়া এনামূল ঢাকায় ব্যবসা করলেও তিনি যশোরের কোতোয়ালি থানার জয়ন্তা গ্রামের জনৈক মতিয়ার রহমানের ছেলে। ১৯৯৬ সালে যশোরের সাগরগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে অভয়নগর নোয়াপাড়া মহাবিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর খুলনা বিএল কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স সম্পন্ন করে ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে ২০০৪ সালে মাস্টার্স এবং নোয়াখালী থেকে ডিপ্লোমা ইন মার্চেন্ডাইজিং কোর্স সম্পন্ন করেন। বিএল কলেজে থাকাকালে ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মাশরুম চাষ করতেন এবং ‘গানেকস মাশরুম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। এই এনামূল হক শিক্ষা জীবনে ছাত্রশিবির ও পরবর্তীতে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে একাত্ম হন বলে জানা গেছে। ২০০৬ সালে ‘পলমল’ নামে একটি কোরিয়ান এমব্রয়ডারি ফ্যাক্টরিতে ছয় মাস এবং ‘এমজে ইন্টারন্যাশনাল’ নামে ঢাকা ইপিজেডে একটি প্রতিষ্ঠানে দুই বছর কাজ করেছেন। এরপর মাগুরায় গাবখালী ইউনাইটেড কলেজ নামে একটি কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ২০১৩ সালে রাজধানীর তুরাগ এলাকায় ‘গোল্ডেন টাচ’ নামে প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১২
যোগী বলেছেন:
দুনিয়াতে দেখি জঙ্গিদের জন্য টাকার অভাব নাই।